বাংলাদেশের প্রবাসী মুজিব নগর সরকার কিংবা সংবিধানের সংশোধনীর আগে রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান, এর পরে রাষ্ট্রপতি পদটি সম্মানজনক একটা পদ ছিলো, এবং এর পরে আবারও সংবিধানের সংশোধন এবং আবারও সংশোধন শেষে ১৯৯১ এ আবারও রাষ্ট্রপতি পদটি নেহায়েত অলংকারিক পদ, রাষ্ট্রের সম্মানজনক একটা পদ শুধুমাত্র-
তবে সম্মানিত এবং গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিরা এটাকে অলংকৃত করেছেন এমনটা বলা যায় না- রাষ্ট্রপতির তালিকায় চোখ রাখলে এটা আরও স্পষ্ট হবে-
১৯৭৫ এর পরবর্তী রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের সংকটমুহূর্তে নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষনা এবং ইনডেমিনিটি পাশ করা, এবং ইসলামিক রিপাবলিক ওফ বাংলাদেশ ঘোষণা ছাড়াও তার নানাবিধ কীর্তি আছে- এবং সেসবের সবটুকুই যে সম্মানজনক এমন বলা যাবে না-
মুজিব নগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে সে পাকিস্তানের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে এবং পরবর্তিতে তাকে বহিস্কার করা হয় মন্ত্রীসভা থেকে-
এর পরে ৭ নভেম্বর পরবর্তী সময়ে আবু সায়েম যিনি সম্ভবত একমাত্র বিচারপতি যিনি সামরিক প্রধানের সহযোগিতার জন্য নিজেকে মার্শাল ল চিফ ঘোষনা করেন-
এর পরে ব্যক্তিত্বহীন সাত্তার সাহেব- এর পরে এরশাদ-
আব্দুর রহমান বিশ্বাস যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সে স্বাধীনতা বিরোধীদের সহায়ক শক্তি ছিলো ১৯৭১এ।
এ তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন ইয়াজউদ্দিন আহমেদ, দলীয় প্রধানের পা চাটার পুরস্কার হিসেবে যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পেরেছেন- যিনি নিজস্ব অধ্যাপক জীবনে রাজনৈতিক মোক্ষ হিসেবে দলীয় প্রচারনা করেছেন নিয়মিত-
বর্তমানে নয় বরং ২৮শে অক্টোবরের পরে তত্ত্বাবধায়ক বিতর্কে জড়িয়ে এবং ১১ই জানুয়ারী সেনাবাহিনীর চাপে প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে বহিস্কৃত হয়ে তার বর্তমান কাজ বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত থেকে নানাবিধ ভালো ভালো কথা বলা, এখন অথর্ব, ব্যক্তিত্ববিহীন এই ভদ্রলোক সরাসরি দলীয় প্রধানের পা চাটা বক্তব্য দিতে পারছেন না,
এমন অথর্ব এবং নৈতিকতাবোধহীন ব্যক্তি আমাদের জাতির অভিভাবক, তার অভিভাবকত্বে আমরা একটা অশালীন সময় পার করছি সেখানে আমাদের ১১ রত্ন নানারকম ভুল করছেন এবং মানবিক অনুভূতিতে আঘাত করছেন, আমাদের মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজ, তিনি বলেছেন এই সাম্প্রতিক সাইক্লোনে দেশের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়বে না, আমন আমাদের অর্থকরী ফসল নয়- হয়তো জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদান কম, তবে উপকূলীয় জেলাগুলোর সব অবকাঠামোই নষ্ট হয়ে গেছে- এদের নতুন করে নির্মান করতে হবে- এখানের মানুষগুলো যে ঋণ নিয়েছিলো তা অপরিশোধিত থাকবে, বরং আরও ঋণ দেওয়া হবে, পুনর্গঠনে সহায়তা হিসেবে ঋণ দেওয়া হলেো আগের ঋণ মওকুফের কোনো সিদ্ধান্ট নেয় নি সরকার-
অভিভাবক একটা মর্মস্পর্শী বানী দিয়েছেন তবে তিনি পদাধিকার বলে বলতে পারেন নি দেখো সেখানের মানুষগুলোর অমানবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের সাথে বেনিয়া হিসেবে আচরণ না করে বরং মানবিক আচরণ করো, তাদের অনুদান দাও- তাদের অবকাঠামো ও জীবিকা পুননর্মানে সহায়তা করো-
দেশের অর্থনীতিতে চাপ পড়বে না কোনো বড় প্রভাব পড়বে না কথাটা শুনে আজব লাগলেও বিজ্ঞ মানুষ, মনিষী ঋষি আজিজুল ইসলামকে অনুরোধ করতে পারি আরও একটু বিবেচনা করতে-
অর্থনীতির চাকা যারা ঘোরাচ্ছে তাদের অনুৎপাদনশীল হয়ে যাওয়া এবং বৃহৎ কোনো মানবিক বিপর্জয়ের পরে অর্থনীতিতে যে প্রভাবটা পড়ে সেটা সামান্য কি না= যেখানে আলোচিত হচ্ছে এই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে ২ মাস সময় লাগবে ,মানে অর্থনীতির বছর থেকে ২ মাস উধাও এবং এটা কোনো প্রভাবই ফেলেবে না- কেনো ফেলতে পারবে না- বিজ্ঞ বামনের এমন কেনো মনে হলো এটা জানবার ইচ্ছা আছে আমার-
ইয়াজউদ্দিন এখন তাসের প্যাকেটের জোকার- তার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই, এমন কি তার ব্যক্তিত্বহীনতা প্রবাদসম হয়ে গেছে ইদানিং- তিনি তার পদাঙ্ক অনুসরণ করবার উপদেশ দিচ্ছেন না এটাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক-
তবে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কিছু বাড়তি সম্মান এবং সম্মানি তারা পান- নিয়মিট মাসোহারা এবং নিরাপত্তা তারা পেয়েই থাকেন- জনগণের খাজনার টাকা এবং অপ্রয়োজনীয় বাজনার পেছনে খরচ করবার কোনো উপযুক্ত কারণ আমি দেখি না-
বরং এ সব পাচাটা এবং ব্যক্তিত্ববিহীন মানুষদের রাষ্ট্রকতৃক প্রদত্ত সম্মানের পেছনে জনগণের যে টাকা অপচয় হয় তা রোধ করা প্রয়োজন। তারা কোনো সময়ই জনগণের প্রতিনিধি নন, যোগ্যতাবিহীন মানুষের পেছনে জনগণের খাজনার টাকা অপচয়ের অনুরোধ করতে চাই আমি-
( ব্যতিক্রম শাহাবুদ্দিন সাহেব, তবে গা ভর্তি ঠগ থাকলে কিছু ভালোমানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে- চোরের গায়ে বাস করলে ভদ্রলোকের গায়েও চোরের তকমা লেগে যায়।
মন্তব্য
ঐ পদে গোবেচারা না বসাইলে অনেক সমস্যা।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন