এটাও ভাবতে ভালো লাগে যখন স্বেচ্ছায় নেকাব পড়ে বসে ছিলো আমাদের সম্মানিত সুশীলেরা তখন শুধুমাত্র এই অন্তর্জালেই সচল ছিলো মানুষের মত এবং ভিন্নমত প্রকাশের ধারা।অনেক পানি গড়িয়েছে- অনেকটা সময় পেড়িয়েছে।
যদিও তথাকথিত সুশীল সমাজ এখন অনেক বেশী স্পষ্ট ভাষায় কথা বলছে তবে এখনও সেই মাত্রা আমাদের মাত্রাছাড়া প্রতিবাদের সমতুল্য হয়ে উঠে নি।
আমাদের স্বস্তির উল্টোপিঠেই অসস্তির বসবাস। আমাদের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের নানারকম স্বপ্ন ফিকে হতেও সময় নেয় নি তেমন।
সামরিকায়নের প্রচন্ড উৎপাত ছিলো, একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা ছিলো সেনাসদস্য এবং সেনাকর্মকর্তাই দেশে একমাত্র সৎ ও নির্ভরযোগ্য মানুষ। যদিও তাদের পেশাগত সততা, নৈতিকতা নিয়ে আমার নিজের সন্দেহ- তবে সারাদিন টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন বক্তব্য দেখে নিজেই ভ্রান্তিতে ছিলাম। আসলেই কি আমার বুঝবার ভুল ছিলো?
হাসান মশহুদ চৌধুরি ১১ই জানুয়ারী পরে মস্ত নেতা, গ্রহনযোগ্যতার মাত্রায় তুঙ্গে ছিলেন। তাকে তুলে এনে দুর্নীতিদমন কমিশনের মাথায় বসানো হলো। দুর্নীতি দমন কমিশন নানা রকম ভুল করে যাচ্ছে- তবে মশহুদ চৌধুরি বর্তমানে শোভাযাত্রা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। বিভিন্ন লোকালয়ে মানুষ নিয়ে রাস্তায় হাঁটছেন- এই বয়েসে হাঁটা উপকারী ব্যায়াম। তার সাথে অনেকেই হাঁটতে শিখছে এটাও একটা বাড়তি পাওনা হতে পারে। তবে দুর্নীতি দমনের কাজটা কতটা সমাধা হলো।
একটা হিসাবে বলা হচ্ছে আগামি ২ বছরেও বর্তমান লোকবল নিয়ে দুদক তার চলমান মামলাগুলোর রায় প্রদান সমাপ্ত করতে পারবে না।। হয়তো বছরের শেষে চিহ্নিত কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেই নির্বাচিত সরকারের আঁওতায় থাকবে দুদক।
লোকবলের সমস্যা নিয়ে যা হচ্ছে তা হলো অতিদ্রুত বিচারের রায় দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও প্রকৃত তদন্তের আশেপাশে না গিয়ে কপি পেস্ট করে বলে দেওয়া হচ্ছে দুদক আপনার অর্থবিবরণী পড়ে সন্তুষ্ট নয়, তার মনে হয়েছে আপনার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
এই মনে হওয়াটা মারাত্বক, আর এই মনে হওয়ার ভেতর দিয়েই অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। তিনি সৎ নন মনে করলেই তাকে অসৎ প্রমাণের নানা রকম প্রচেষ্টা শুরু হচ্ছে।
এসব ভ্রান্তি নিয়ে প্রচলিত মাধ্যমে কোনো সংবাদ আসছে না- অবশ্য এসব সংবাদের সংবাদমূল্যও কম। আমাদের নতুন ভাবে সংগঠিত দুদক টেকনিক্যালি ডেড হর্স হয়ে যাওয়ায় লাভবান হবেন কারা?
দুদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে না নিয়ে তারা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযোগটা ছিলো দুদকের ভেতরেও কেউ কেউ পয়সার বিনিময়ে অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কিংবা তাদের অন্যায় আড়াল করবার কাজে সহযোগিতা করছেন। এ বিষয়ে তদন্ত হবে বলা হলেও তদন্তের অগ্রগতি, এটার সত্যতা এবং অসারটা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য আসে নি দুদক থেকে।
দুদকের কথা বাদ রাখি- গুরুতর অপরাধ দমনের জন্য একটা জাতীয় সংস্থা গঠিত হয়েছিলো, সেখানের প্রধান জেনারেল মাসুদ।
এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাও অপরাধিকে সহায়তা করবার বিনিময়ে আর্থিক সহায়তা নিচ্ছে। কারা কিভাবে নিচ্ছেন, কিংবা ভাগবাটোয়ারার নিয়মাবলী কি রকম তা এখনও স্পষ্ট নয় তবে এ সংস্থার সাথে জড়িত অনেকেই এখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এবসল্যুট পাওয়ার করাপ্টস অল!!!!!!!!
ইয়াবা সম্রাটের অপরাধের বাজারমূল্য যতটা ছিলো, এখন তাকে আটক করবার পড়ে এই বাজারমূল্য কমে গেছে- ইয়াবাসুন্দরী ধরা পড়বার পড় জয়নাল আটক হয়েছে- তাদের কেচ্ছাকাহিনী বেচে যতটা উপার্জন সম্ভব উপার্জন হয়েছে। আপাতত এই ইস্যুতে পাব্লিকের মনোযোগ কম। তাই আগামি কয়েক দিনের ভেতরেও এই ইয়াবা সম্রাট এবং জয়নাল জামিনে মুক্ত হতে পারেন, এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগেরও সুরাহা হয়ে যেতে পারে।
বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সাথে সম্পর্কিত ইয়াবাসম্রাটের মুক্তিপণ কতো? কতদিয়েই বা মুক্তি পেতে যাচ্ছে জয়নাল নিকিতা?
মন্তব্য
এরকম কিছুদিন পর পর একেকটা ফেউ তুলে বজার গরম রাখা হয়। পত্রিকা পাঠকদের মধ্যে একধরণের সমান্তরাল বিকল্প বাস্তব তৈরী করা হচ্ছে যাতে তারা ক্রমশ সমস্যার গোড়া থেকে ভাববার বদঅভ্যাস থেকে মুক্ত হন।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- একটা জিনিষ মাথায় ঘুরে সেই কবে থেকেই।
সামরিক বাহিনী প্রায়শঃই বলে যাচ্ছে যে তারা এই সরকারের পেছনে আছে, সামনে নেই। কিন্তু কথা হলো তাহলে দুদক কিংবা তার মতো আরও অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্মিস্টাফরা সরাসরি ঢুকে ক্যামনে?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন