পুলিশের ভাবমুর্তি বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে- পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন শ্রেণীর সুশীলদের সাথে বসে পুলিশসংশোধন প্রকল্প গ্রহন করেছেন। আলোচনা চলছেই, রাজধানিতে মডেল থানা কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে, এবং এটাকে সফল ঘোষণা দিয়েই আরও কয়েকটা জায়গায় মডেল থানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
পুলিশের বিষয়ে আমাদের অবস্থান নেতিবাচক। পুলিশের অবস্থান এবং পুলিশের ব্যবহার নিয়ে সবসময়ই একটা বিতর্ক ছিলো, এবং এখনও আছে। মানবাধিকার লংঘনের যতরকম পদ্ধতি সম্ভব সবটুকুই পুলিশের জানা। পুলিশের সামগ্রীক নীতিমালায় কি লিখা থাকবে এটার চেয়ে বড় হলো পুলিশ নিজে কি আচরণ করছে।
পুলিশ গত ৩ মাসে ডাকাতি করেছে, ছিনতাই করেছে, অপরাধীকে হত্যা করেছে পুলিশের হেফাজতে, পুলিশ অনপরাধী একজনকে ধরে এনে তাকে পিটিয়ে পঙ্গু করেছে।
এসব ঘটনাই ঘটেছে যখন বিভিন্ন আলোচনা ও পুলিশ সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে আই জি নুর মোহাম্মদের প্রচেষ্টা অব্যহত ছিলো।
পুলিশ গত পরশুও একজনের কাছে ১৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাদের আশাহত করে পুলিশ সুপার সোনারগাঁওতে বলেছেন প্রয়োজনে ডাকাতকে পিটিয়ে মেরে ফেলবেন, আইনি ঝামেলা তারা সামলাবেন। ভয়ংকর কথা, প্রকাশ্য সমাবেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনীর সদস্য উপদেশ দিচ্ছেন প্রয়োজনে আইন ভঙ্গ করে মানুষ খুন করা যাবে। এবং এ বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা তারা সমাধান করে দিবেন।
১৯৭১এ ঠিক এ সময়টাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ আর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লড়াই চলছিলো। এই একটা সময়েই হয়তো পুলিশ জনগনের সাথে দুরত্ব না রেখে জনগণের সাথেই বিক্ষোভ এবং লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে।
আমি আশা করবো পুলিশ নিজেদের দক্ষতা বাড়াবে এবং হয়তো মানবিক পুলিশ হয়ে উঠবে। জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করবে, কোনো ডাকাতিতে জড়িত থাকবে না এবং অপরাধির চর হিসেবে কাজ করবে না। অপরাধ দমনের চেয়ে অপরাধের সহযোগিতায় যাদের অধিক মনোযোগি মনে হয় তারা হয়তো এ আশা পুরণ করতে পারবেন না, তবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সংগ্রামী পুলিশদের জন্য আজ রাতে পুনরায় আশা করতে ভালো লাগছে আমাদের পাশে পুলিশেরা আছে। তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্যই লড়ছে।
মন্তব্য
ধন্যবাদ আপনাকে। পুলিশ সম্পর্কে আমাদের সবার যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত।জীবনে যে কবার পুলিশের সংস্পর্শে আসতে হয়েছে সে অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত।
তবে ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সেইসব হতভাগ্য এবং সাহসী পুলিশ সদস্যের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা আর সে রাতে যে কজন আহত পুলিশ শাহজাহানপুরে আমার নানার বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদেরকে যথাযথ সেবা দিতে পারার ব্যর্থতার জন্য আমার নানার সারাজীবনের আক্ষেপ স্মরণ করে তাদের কাছে ক্ষমা চাই, জানি না সে রাতের পর তারা আর বেঁচে ছিলেন কিনা, বা আজো বেঁচে আছেন কিনা।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
শেষ প্যারার কথাগুলো সত্য হয়ে আসুক; এমনটি প্রত্যশা।
নতুন মন্তব্য করুন