মনসুর হামান বিদগ্ধ জ্ঞানী ব্যক্তি-
আজিজের সামনের চত্বরে বসে তিনি সমমনা মানুষদের নিয়ে দেশ এবং বিদেশের নানা সাংস্কৃতিক আলোচনার তুলনামূলক বিশ্লেষণে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটান- এইটো কয়েক দিন আগে ফ্রিডা কোহালোকে কেনো নোবেল দেওয়া হলো না এর পেছনে ঔপনিবেশিক রাজনীতি আর পূঁজিবাদ সম্প্রসারণ নীতিমালার সাথে ফ্রিডা কোহালোর বিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন-
তিনি নিয়মিতই একটা কথা বলে থাকেন বিতর্কই উৎকর্ষতার প্রমাণ- আলোচনার অগ্রগতি হবে যৌক্তিক ভাবে এবং আলোচনার সমাপ্তিতে আসলেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
তার প্রিয় একটা কথা হলো নিয়ম সব সময়ই নিয়মপ্রণেতাকে গিলে খেতে পারে তবে এইসব আলোচনার বাইরেও মনসুর হামানের আলাদা একটা জীবন আছে- আলাদা একটা জীবনের অস্তিত্ব থাকবার সম্ভবনা নেই এমন ভাবনা যাদের তাদের মনক্ষন্নতার কারণ হওয়ার সমূহ সম্ভবনা থাকলেও এটা বলতে পারি তার নিশ্চিত ভাবেই আলাদা একটা জীবন ছিলো- সে জীবনে সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ নেই- সেখানে ঔপনিবেশিকতার করাল থাবা নেই- সেখানে পূঁজিবাদ কখনই বিকাশের পথ রুদ্ধ করে না-
এমনই এক দিনে হঠাৎ যৌক্তিক আলোচনার খোলসে একজন বলছিলো আদতে এক মাত্র কুকুর ছাড়া আর কারোই ক্ষমতা নেই সে এক পা তুলে প্রসাব করতে পারে-
একটা যৌক্তিক আলোচনার সুর দেখতে পেয়ে মনসুর হামান সেখানে উপস্থিত হলেন- অবশ্য দিনটা ম্যাজম্যাজ করছিলো - আকাশে সূর্য্য ছিলো না- আর এমন অবস্থায় শাররীক কারণেই প্রসাবের বেগ চাপে বেশী- একেবারে সমোয়পযোগী আলোচনা বিবেচনা করেই মনসুর হামান আলোচনায় অংশগ্রহন করলেন- অবশ্য পেছনে অন্য একটা উদ্দেশ্যও ছিলো- কোনো একটা পন্থা যদি জানা যায়- ঢাকার রাস্তায় বৃষ্টিতে পানি জমেছে আর এলোমেলো বৃষ্টিতে রাস্তায় প্রসাব করলেই সেই প্রসাব পানির সাথে মিলে পায়ে লেগে যেতে পারে- বলতে আপত্তি নেই সামান্য সুশীল শুঁচিবাই অবশ্যই ছিলো মনসুর হামানের মননে-
আলোচনা চলছে- আলোচকরা বিভিন্ন উপাত্ত প্রদান করে বললেন আদতে বকেরও এক পায়ে দাঁড়িয়ে প্রসাব করবার একটা সম্ভবনা আছে- দেখো নাই ওরা কি রকম জলাভূমিতে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকে চুপ করে-
মনসুর হামান বাগ মতো পেয়ে বললেন তো আপনি কি নিশ্চিত ভাবেই জানেন বকের পুরুষাঙ্গ তাকে এ সুযোগটা দিতে পারে? এমনও তো হতে পারে বকের পুরুষাঙ্গ থাকে পেছন দিকে- অতএব আপনার যুক্তি গ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে না- ক্যানাইন প্রজাতির পক্ষে হয়তো সম্ভব এটা- আপনারা জানেন হয়তো কুকুরও ক্যানাইন প্রজাতির অংশ- এমন কি আমি দেখেছি বাঘও এক পা তুলেই প্রসাব করতে পারে-
আলোচনার দিক ঘুরে যায়- মনসুর হামানের বাঘকে প্রসাব করতে দেখবার ঘটনা জানতে উৎসুক হয়ে উঠে সবাই- আর এইসব সাংস্কৃতিক আলোচনার ভবিষ্যত প্রায়শই এমনই হয়- যে বিষয়ে আলোচনা থাকে মাঝ পথেই আলোচনা অন্য দিকে ঘুরে যায়- মনসুর হামান বললেন আমার বাঘ দেখবার ঘটনা আসলে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু নয়- বরং আমরা আলোচনায় মনোনিবেশ করি- তবে আমার মনে হয় আমিও এক পা তুলে প্রসাব করতে পারবো-
না মানে আমি করতে যাচ্ছি এমন না তবে থিওরেটিক্যালি এটা আসলেই সম্ভব- ধরেন আপনি বকের মতো এক পা তুলে আরেক পায়ের হাঁটুতে রেখে চেন খুলে প্রসাব করলেন- যৌক্তিক ভাবেই আপনার একটা পা মাটিতে নেই- আপনি এক পা তুলেই প্রসাব করলেন- এটা আসলেই সম্ভব-
উপস্থিত সবাই মনসুর হামানের বাগ্মীতায় মুগ্ধ- তারা একটা ডেমোনেস্ট্রেশনে যাবার কথা ভাবছিলো- এমন সময় এক টোকাই যে কিনা এতক্ষণ আলোচনার পাশে দাঁড়িয়ে পেছনে ফেলে রাখা উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে খাচ্ছিলো সে বললো-
আপনেরা জানেন না দুই পা তুলেও পেশাপ করা যায়- আমি দুই পা তুলেও মুততে পারি-
মনসুর হামান বললেন এটা অসম্ভব- তুমি দুই পা তুলে ফেললে কিভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে- এমন কি দুই পা তুলে বসাও সম্ভব না- না এটা যৌক্তিক বিচারেই অসম্ভব-
টোকাই কোনো কথা না বলেই আজিজের পাশের দেয়ালে উঠে দুই পা ছড়িয়ে ছেঁড়া প্যান্টের নষ্ট চেনের ফাঁক দিয়ে পুরুষাঙ্গ বের করে মুততে মুততে বললো এই দেখেন আপনেরা আমার দুই পাই মাটির উপরে- এই যে আমি মুততেছি- দুই পা উপরে তুলেও মুতা সম্ভব-
মন্তব্য
জয়তু টোকাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ওই পিচ্চিরে আমার হইয়া কাচ্চি খাওয়াইয়া দিও
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
সেই আদি অকৃত্রিম ।
মনসুর হামান কি বোঝিলো?
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মনসুর হামান কী বুঝিবে?
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
মনসুর হামান কি বুঝিল?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
টাফ। প্রেজেনটেশন ঠিক হইলে মজা পাওয়া যায়।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
আপত্তির কারণটা জানালে আরও ভালো লাগতো- ঠিক কোন অবস্থান থেকে লেখাটা আপত্তিকর এটা না জানলে ঠিক ব্যাখ্যা করা সম্ভব না-
তাই যে কিংবা যারা আপত্তির জায়গাটা তুলেছে তারা একটু সাহস করে বলে ফেললেই হয়-
এই লেখার চূড়ান্ত অংশে এসে টোকাই যখন দেয়ালে উঠে পেশাব করে তখন তার দুই পা কিভাবে উপরে ছিল তা বুঝতে আমার অসুবিধা হয়েছে।
কারণ বর্ণনাটা হচ্ছে দেয়ালে উঠে। দেয়ালে উঠে দাঁড়িয়ে না বসে তা বলা হয়নি। দেয়ালে যদি সে বসে থাকে তবে সে পা দুটোকে শূন্যে ছড়িয়ে দিতে পারে। দাঁড়িয়ে থাকলে পা মাটিতে না থাকলেও দেয়ালে থাকে।
সুতরাং দেয়ালে উঠে----এই বর্ণনার পর দাঁড়িয়ে বা বসে এরকম একটা শব্দ আমি চাইছি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমচৌ- দেয়ালে উঠে পাছা ঠেকিয়া বসলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়- আমার কাছে দৃশ্যটা এ রকম কিছুই ছিলো- অনেক ভাবেই কাজটা সম্পূর্ণ করা যায়- দেয়ালের কোনায় বসে দুই পা দু পাশে ঝুলিয়ে রেখে- কিংবা যেকোনো স্থানেই এটা করা সম্ভব- তবে মূলত পা কোনটাকে চিহ্নিত করা হবে এটা একটা বিবেচনার বিষয় হতে পারে।
হ
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন