আমার পছন্দের কবি শক্তি চাটুজ্যে। আমি রবি ঠাকুর পড়ি নি নজরুল তেমন পড়ি নি। আমার ভালো লাগে নি যে কটা পড়েছি। শক্তির বলার ধরন , দেখার ধরন, ছবি আঁকার ধরনে আলাদা একটা ভাব।
ঘাসের গভীড়ে চরে ভেড়া
রীতিমতো ঘাস হয়ে যায়
যখন ভেড়াকে খুটে খায়।
কবিতার শব্দগুলোর আড়ালে গল্প থাকে যার কিছুটা কবির জানা কিছুটা অবচেতন। শক্তির নিজের অনুভব কবি সমস্ত লিখাগুলোই আসলে একটা দীর্ঘ কাব্য যা আলাদা করে সারা জীবন ধরে কবি লিখছেন। তাই কবির কবিতাকে দেখা প্রয়োজন সামগ্রীক ভাবে। আমার যদিও এই কথা মেনে নিতে সামান্য আপত্তি আছে, তবে একজন মানুষের জীবনদর্শন তার কাজে প্রতিফলিত হয়। তার রাজনৈতিক অবস্থান তার মানসিক অভিক্ষেপ পড়ে তার প্রতি উচ্চারনে। একজন কবি তার অবস্থান আর অনুভব প্রকাশ করছেন কবিতায় , তার কাব্যসমগ্র কোন না কোন ভাবে তার জীবনের চুর্নবিচুর্ন ক্ষনিক অনভবের লিখিতরূপ।
আমি শক্তিকে খোজার চেষ্টা করি তার কবিতায়। তার প্রকাশিত প্রায় সবগুলো কবিতা আমি পড়েছি, তার প্রতিটি কাব্যগ্রন্থে কোন না কোন শোকগাথা আছে। সমস্ত জীবন মৃতু্যর তাড়া কিংবা মৃত্যুকে তাড়া করছেন কবি। এটা হয়তো শৈশবে পিতাহারানোর শোক হতে পারে। তার উদ্দেশ্যে সামান্য এলিজি আমার
যদি কোনদিন যাই মেঘের ওপারে তোমাদেরওসঙ্গে নেব,
একাকী যাবো না অসময়ে,
খুব কি তাড়া ছিলো?
ঘাটের নৈকা ছিড়ে ফেলে তীরের শাসন মায়া
জলের গভীরে ইশ্বর পিড়ি পেতে অপেক্ষায়
তোমাদের সাথে নেব নিশ্চিত নিমন্ত্রন ভুলে অসময়ে চলে গেল লেকিটা
কবি ও মাতাল .........
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন