34 বছর এবং দুই প্রজন্ম পরে কোন প্রভাব ছাড়া কিছু কথাবলার মানসিক স্থিরতা অর্জন করেছি । এটা আমার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষন।
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে শুরু করি।
7ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার বক্তব্য থাকলেও মূলত শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো স্বাধিকার। পুর্ব পাকিস্তান নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হবে আলাদা রাজ্য হিসেবে যেমন যুক্ত রাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত। 7ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার কথা বলেও সরাসরি যুদ্ধের সুচনা না করে আলোচনার পথ খুলে রাখা আর এই অবসরে পাকিস্তানি সৈন্যবাহীনির এদেশে অবস্থান গ্রহন এবং অবশেষে 25শে মার্চ এর বর্বরতা এটা রাজনৈতিক ভুল এমন মত থাকতে পারে বিপরীত মতও থাকতে পারে, আলোচনা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার নয়, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিত 1971এর মুক্তিযুদ্ধের ।
25শে মার্চে যশোর ঢাকা ফরিদপুর খুলনা সব জেলাশহরে একযোগে হত্যা শুরু হলে কোন ঘোষনা ছাড়াই প্রতিরোধ শুরু হয়। মুজিব জিয়া কেউ আনুষ্ঠানিক প্রতিরৌধের ডাক না দিলেও মুক্তি যুদ্ধ হতো। আবার এই যুদ্ধকে প্রতিরোধ করার জন্যে পাকিস্তানি জাতিয়তাবাদের সমর্থক সংগঠিত হতো এটাও স্বাভাবিক। যুদ্ধের চুড়ান্ত ফলাফল বিচার করে এক পক্ষকে বলছি স্বাধীনতা বিরোধী অন্য পক্ষকে মুক্তিযোদ্ধা। যদি পাকিস্তান সৈন্যবাহিনী সফল হতো (তাদের মতে বিচ্ছিন্নতাবাদী অপতৎপরতাকে রুখে দিতে) তবে আজকের রাজাকার গোলাম আজম নিজামী মহান ত্রাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেতো। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর তখন বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যেতো।
1971এ যারা যে পক্ষে থেকেছে তাদের সে আচরণের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তাদের আছে। আমি বলবো এই বিসয়ৈর তর্ক বাদ দিয়ে আরো প্রসঙ্গিক কিছু আলোচনা করা যাক।
কেন 1971 অবস্মভাবী ছিলো।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন