1947এ শুধুমাত্র সংখ্যাগড়ে বেশীকম থাকার জন্যে কোন এক আশ্চর্য সকালে প্রতিবেশী ভিনদেশী নাগরিক হওয়ার মতো ভুতুরে বাস্তবতা প্রতক্ষ্য করলো কিছু দূর্ভাগা মানুষ। একটা টাইপ রাইটার আর উদ্ভট জেদে সেকুলার একজন মানুষ ধর্মভিত্তিক একদেশের জাতির পিতা হয়ে গেলো।
প্রথম নির্বাচিত সংসদ অধিবেশনে এর দূর্বলতার প্রকাশ পেলো। রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ র মতো অনেক মানুষ বাংলা পছন্দ করলেও গোলাম মোস্তফার মতো অনেকের পছন্দ ছিলো উর্দু। শুধুমাত্র রাজনৈতিক অধীনতা মানুষের বিবেচনাবোধের অধপতন ঘটায় এর প্রমান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রতি দিন প্রকাশিত হয়েছে। আর এই আন্দোলন ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের অসারতার প্রমাণ, ধর্মপ্রভাববিহীন দেশের জন্যে প্রয়াসে র সুচনা পাকিস্তানের জন্মের পর পরই শুরু হয়েছে। তিনটা ব্যার্থ নির্বাচন, মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার পেচানো সিড়ি হানাহনি. সামরিক শাসন আর সেই সাথে সেকুলার রাষ্ট্র আন্দোলন দমানোর সকল প্রচেষ্টা যেখান থেকে ছায়ানটের জন্ম। ছায়ানটের বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের পরিতোষন আমাদের রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারন করেছে।
এই আন্দোলনের সাফল্য 70 এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। 1971এর যুদ্ধের পশ্চাৎপট আসলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আর ধর্মের প্রভাববিহীন সাংস্কৃতিক রাজনীতির দন্দ্ব।
বাংলাদেশ এজন্যে বিশিষ্ট নয় যে এই দেশের মানুষ 9 মাসের প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতায় প্রশিক্ষিত 1লক্ষ সৈন্যকে পরাজিত করেছে, বরং বাংলাদেশের গর্ব এটা যে শিক্ষার হার 30 শতাংশ হওয়া সত্বেও এই দেশের মানুষ ধর্মীয় অনুভুতিকে ভুলে 24 বছর সেকুলার শাসনব্যবস্থার জন্যে লড়াই করেছে।
তৎকালীন মুসলিম লীগের সমর্থক যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তাদের ব্যার্থতা তারাএ বিষয় বুঝতে ভুল করেছে। তাদের অপরাধ তারা জনমতের বিপক্ষে গিয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির শেকল পড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন