বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ। পাগল অর্থমন্ত্রীর প্রলাপ সংবাদ পত্রের প্রথম পাতায় আসে । তার বিভিন্ন নির্মম রসিকতা দেখে পড়ে বুঝতে অসুবিধা হয় না কেন বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ। তার আঞ্চলিকতার দোষ কেউ শুধরাতে পারবে না। অবশ্য বাংলাদেশের কজন মানুষ শুদ্ধ আর সুন্দর বাংলায় কথা বলতে আর লিখতে পারে।
ভাষা জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম। সুন্দর কথা বলতে পারাটা শিল্প এবং এটা করতে তেমন বেশী পরিশ্রম করতে হয় না সামান্য আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টা থাকলেই হয়। রাজনৈতিকদের অশোভন সংস্কৃতি চর্চার প্রধান ক্ষেত্র সংসদ। কুরূচিপূর্ন কথা বলার জন্যে নিশ্চিত কেউ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে না। কিন্তু সস্তা সং সভা হয়ে গেছে সংসদ। এদের জন্যে খারাপ অনুভুতিও আসছে না। বেড়ে ওঠা এসব মানুষকে সুন্দর ভাষায় কথা বলার শিক্ষা আমরা দিতে পারবো না কিন্তু গনমাধ্যমে শিশুকিশোরদের বাংলা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া কঠিন কিছু না। প্রয়োজন আন্তরিকতার।
অথচ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রতিযোগিতা করে শুদ্ধ উচ্চারনে কোরান শিক্ষার আসর খুলেছে। কোরান আরবিতে পড়ে(শুদ্ধ বাভুল উচ্চারনে) কি মহান জিনিষ অর্জিত হবে। ধর্মের শিক্ষা বুঝার জন্যে তা বোধগম্য ভাষায় পড়তে হবে, আমার ক্ষুদ্র চিন্তায় এটাকে যৌক্তিক মনেহয়। বাংলাদেশের কয়জন মানুষ আরবি ভাষা বুঝে, তারা আলিফ জবর আ বে জবর ব্যা বে পেশ বু করে আলিফ লাম মিম জ্বালিকাল কিতাবুন ............. করছে কিন্তু তোতা পাখির মতো কিছু অবোধ্য উচ্চারনে কোন পুন্য অর্জিত হচ্ছে এমন উদ্ভট বিশ্বাস আমার নেই।
যদিও ধর্মপালনকারী প্রতিটা মানুষ এটা বিশ্বাস করেন কোরান তেলাওয়াত পূন্য কাজ কিন্তু এই পড়ার অর্থ যে তোতা পাখির মতো শ্লোক আওরানো না বরং পড়ে বুঝে সেটাকে কাজে রূপান্তর করা এটা ভূলে যান। পরিশ্রমবিহীন পূন্য লাভের লোভ পরকালের প্রাপ্তির প্রত্যাশা যে কারনেই হোক না কেন শুদ্ধ উচ্চারনে কোরান শেখানোর জন্যে মরিয়া টিভি চ্যানেল গুলো। অথচ বাংলা শেখানোর একটা সামান্য উদ্যোগ নেই কারো। তারা কি সংসদদের অশ্লীলতা দেখেও এটা বোঝে না সুন্দর কথা শেখা কতটা গুরূত্বপূর্ন আজকের বাস্তবতায়।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন