সীমিত প্রবাস জীবনের ক্ষুদ্র উপলব্ধি ধর্মান্ধতা পশ্চাৎপদতার পরিচয় না। আর অন্য একটা উপলব্ধি যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম মৌলবাদী দেশ। চার্চে না যাওয়ার জন্যে একঘরে করে রাখার মতো আশ্চর্য ঘটনাও ঘটে এখানে। অবশ্য আশ্চর্যই বা বলি কিভাবে ব্যাক্তিসাতন্ত্রপুজা করতে করতে মানুষগুলো বিচ্ছিন্ন দ্্বীপের মতো। তাদের সংঘবদ্ধতার চাাহদা পুরন করার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নাই। 500 বছরে কতগুলো ভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মানুষ প্রাচুর্য আর প্রতিষ্ঠার লোভে আদিবাসিদের বঞ্চিত করে সমাজ তৈরি করেছে কিন্তু সংস্কৃতির সংমিশ্রন করে নি। এটা নৃত্বত্তের আলোচনা আমার করা শোভা পায় না। আমার বিশ্লেষন কোন জাতিয় ঐতিহ্য না থাকায় এরা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত না। কোন রান্নার ধারা নেই কোন লোকগীতি নেই আর পোষাকের ঘরের জীবনের চারপাশে যা ঘিরে আছে সেখানে জাতীয় কোন সংস্কৃতির পরিচয় নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা সময় এবং পরিকল্পনার মিলমিশ ব্যাক্তিসাতন্ত্রতা এই তিনটা বিষয় দিয়ে ঐক্য আসে না তাই অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপদলে মানুষ সাংস্কৃতিক সংযোগ করছে। সবার পরিচয় প্রথমে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এর পরের পরিচয় জাতিসত্ত্বার। দ্্বীতিয় তৃতীয় প্রজন্মে এটা আরও প্রকট। যাই হোক প্রবাসী বাঙ্গালিদের শতকরা 90জন ধর্মপালনে রীতিমতো পীর আউলিয়া পর্যায়ের। পর্দা হালাল হারাম শূচিবাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় চেতনায় অনেক স্বাধীন। আমার মতো অল্প কিছু কুলাঙ্গার কোনমতে দাড়িপাললার অন্য অংশে ঝুলে সার্কাস দেখাচ্ছি দেখছি।
এই যদি উচ্চশিক্ষিত বাঙ্গালির বস্থা হয় তবে অর্ধশিক্ষিত সাধারন জনতার কি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রেরা ভিনদেশী। তবে যে কয়জন পড়ে তারা সত্যিকার অর্থেই নিবেদিত প্রান। সাধারন জনতার সাথে চেতনা আচরনে বাংলাদেশীদের সাথে তফাৎ সামান্য।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন