আমরা কবে নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারবো? বাংলার প্রথম অন লাইন জার্নালে মানুষ লিখছিলো শান্তিমতো। সবাই নিজের অবস্থান থেকে নিজের ভাবনা লিখলো। মন্তব্য পালটা মন্তব্য , চলছিলো ভালোই। কিন্তু কারো বক্তব্য সংশোধনের প্রয়োজন ছিলো না। এখন পর্যন্ত যতজন এখানে এসেছেন লিখেছেন তাদের বয়েস 20 থেকে বেশী। শুধুমাত্র শাওনকে বাদ দিলে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তারা নির্বাচনে নিজেদের মতামত জানাচ্ছে, নিজেদের জীবনে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের মতামতের ভার আছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নিজস্ব মানসিকতা উচ্চারন নিয়ন্ত্রন করতে হবে তাও এমন এক দল মানুষের যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত স্নাতক পর্যায়ে। যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে সহনশীলতা মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে কিভাবে?
মইন যে প্রথম পোষ্ট করেছেন তার বক্তব্য আমি বুঝি নি। আমার মনে হয়েছে ঈদ আনন্দের উদযাপনের ক্ষেত্রে ধনী গরিবের ব্যাবধান। যদিও নিশ্চিত না আমার ধারনা সঠিক কি ভুল। তবে তার মন্তব্য একটু আলাদা রকম। তার নিজের বিশ্বাস অবস্থান বোধহয় তেমন শক্ত নয়। তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য রাখছেন সবার লেখায় কিন্তু তার মন্তব্যের বিরোধিতা পছন্দ করছেন না। তার ধারনা যারা তার সুচিন্তিত মতামতের সাথে একমত নয় তারা লুসার। যদিও জিনিষটা কি এটাও বুঝি নি আমি। লুজার একটা শব্দ আছে ঋনাত্বক শব্দ। তার সালিশ মানি তালগাছ আমার আচরন তার মন্তব্যের বালখিল্যতা এসবের জন্যে একজন মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবে। সরস বাঁকা মন্তব্যগুলো লেখার আগে সবাই দশ বার ভাববে। ভুত রাজাকার ওয়ালী তাদের অবস্থান আমার সাথে না মিললেও তাদের অবস্থানের উপর শ্রদ্ধা আছে। যদিও আমার লেখায় তারা কোন মন্তব্য করেন নি। তাদের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত অবস্থান দিয়ে আমার কোন লাভ ক্ষতিও নেই। কিন্তু যদি কেউ মইন এর মন্তব্য পরে সেখানে যুক্তির পরিমান নগন্য।
তবে মজা লেগেছে এটা দেখে তার ধারনা তিনি এবার খোলা মনে লিখবেন। কিন্তু তার উদ্ভট মন্তব্যের কারনে যে নিয়ন্ত্রকের আগমন। শেষে মডারেটরের উদ্দেশ্যে-- বেজন্মা গালিটা এবং আরো কিছু শ্লোগান জ্বলজ্বল করছে মইন এর প্রথম পোষ্টে। মিছিলের জনপ্রিয় শ্লোগান যতই আক্রমনাত্বক হোক তা নিয়ন্ত্রন বহিভর্ূত এমন কোন শর্ত আছে??
কিন্তু অসহ্য লাগছে এটা ভেবে যে পেছনে একজন রাখাল সব প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করবেন।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন