বাঙ্গালির রক্তে রাজনীতি। রান্নাঘর থেকে মুজিবনগর পর্যন্ত রাজনীতির গতায়ত। গলির সামনের চায়ের দোকান আর সংসদ সবাই জানে কি করলে দেশউদ্ধার হয়ে যাবে। একটা দেশে এতবেশী চিন্তক তারপরও দেশটা কাঁচপোকার মতো ঘুর্নি খাচ্ছে। বড়ই তাজ্জব কথা। তারচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশের অসুখের উপশমকল্পে তাদের দেওয়া বিধিগুলো একটার সাথে অন্যটা খাপ খায় না। রাজনীতি নিয়ে লেখার বিপদ অনেক মন্তব্যের জন্যে প্রস্তুতি নেওয়া। অবশ্য এখন পর্যন্ত ভাগ্য সাথে আছে কেউ অভাজনের প্রলাপ পড়ে কিছু বলেনি।
আমার একবন্ধুর উপলব্ধি বাংলাদেশের মূল সমস্যা অধিক জনসংখ্যা । সমাধান রাতারাতি জনসংখ্যা কমানোর জন্যে অর্ধেক মানুষকে বঙ্গপোসাগরে ফেলে দাও। নির্মম ঠাট্টা তাই এর পর আমরা কাকে কাকে ছুড়ে ফেলবো এর হিসাব করি। রাজনীতি দেশকে নষ্ট করে ফেলছে তাই সব দলের উচ্চপর্যায়ের নেতা থেকে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কোরবানি দিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত হয়। দলের সমর্থকদের ছুড়ে ফেলানোর সিদ্ধান্ত নিলে দেশে শুধু সদ্যোজাত থেকে 12 বছরের জনগোষ্ঠী বাদ দিয়ে সবাইকে বিসর্জন দিতে হতো। ঠাট্টা বাদ।
কলেজ জীবনের এক বন্ধুর সাথে দেখা বছর কয়েকের ব্যাবধানে। আমাদের মফস্বল শহরের আড্ডার জায়গা চায়ের দোকান। তাকে নিয়ে যাবো আতাতলায় সেখানো আরও কয়েকজন বসে। সে যাবেনা সেখানে। কেন যাবে না প্রশ্ন করলাম। বললো ওরা চায়ের কাপ হাতে বুশ ব্লেয়ারের কিভাবে দেশ চালাতে হবে তার উপদেশ দেয়। ওরা আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবি। ওদের ছায়ার আশেপাশে অনেক জ্ঞান। আমি ওর কথা শুনে বিকেলে দেখা করবো বলে গেলাম আতাতলায়। শুনলাম- বুশতো আবার ভুল করলো। ইরাকে এটা কর িঠিক হয় নি। টুইন টাওয়ারে এ্যাটাকের প্লানকরছে ইহুদিরা। ওদের ফাদে পড়ছে সাদ্দাম আরাফাত। আমি কিছু না বলে চা শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
কিন্তু এতজ্ঞানীমানুষ সব চায়ের দোকানে থাকে না। সাধারন চায়ের দোকানের জনগন এরশাদ হাসিনা খালেদার রাজনীতি বিশ্লেষন করে। আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবির অর্ধেক আজিজের সামন থাকে বাকি অর্ধেক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে চা সিঙ্গারা গোলডলীফ খায়।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন