আমি মোটামুটি একটা বৃত্তে আটকা পড়েছি। ধর্মবিষয়ক প্যানপ্যানানি ভালো লাগছে না। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা আয়েশা কে নিয়ে লিখার। প্রাথমিক মুসলিম সমাজে এমন বনর্ীল চরিত্র নেই। আবু বকরের কন্যা যাকে মাঠ থেকে উপরে এনে বিয়ে দেওয়া হলো। যে বিয়ের পর শৈশবের খেলার সঙ্গীর সাথে যোগাযোগ রাখতে গিয়ে বন্দীনি। তার জীবনটা দ্রোহের। সারাজীবন একের পর এক প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ। অথচ তার মেধার কদর করা হয় নি তেমন। প্রায় 2000 হাদিসের প্রতক্ষ্য উৎস এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচক মহিলার পূর্নাঙ্গ জীবনি পাচ্ছি না।
তার পতিপরায়নতার উল্লেখ সস্তা ধর্মের বইতে। তার একটা জীবনি আছে প্রকাশক সম্ভবত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিন্তু সেখানে বিদ্রোহের কথা নেই। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় অনান্য আরব মেয়েদের মতো তার রসিকতা বোধ উন্নত ছিলো। আমি অন্য একটা বিষয় বুঝি না,এটা প্রচারনা যে ইসলাম নারীকে মুক্তি দিয়েছে। আগে বাবা ও স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পেতো না মেয়েরা। তাহলে খাদিজার সম্পদের উৎস কি?
আয়েশার বেশ কিছু মজার মজার স্মৃতিকথা আছে। এখন হাতের কাছে নেই তবে বোখারি আর ইমাম মুসলিম পড়লে তার কৌতুকবোধের প্রশংসা করতে হবে রসবোধসম্পন্ন সবাইকে।
তবে আমার যেটা ভয় কেউ এখন সুন্নত পালনের নামে শিশুনিযর্াতন শুরু না করে। মোল্লাগুলার সমস্যা আছে বাকি বিধান পালনের ঝোক কম কিন্তু যৌনতাবিষয়ক সব সুন্নতে তাদের আগ্রহ বেশী। সমস্যাশুরু হয়েছে আগেই। কক্সবাজারে মাদ্রাসা ছাত্রী নির্যাতন করছে মাদ্রাসা শিক্ষক, কোন এক জামায়াত নেতা গিয়ে বলেছেন তার উপর শয়তানের আসর হয়েছে। হারামজাদাকে ধরে কি করা উচিত আমি জানি না। তবে পুলিশ তাকে কিছু বলে নি। ন্যায়নীতিনিষ্ঠ জামায়াত থেকে তাকে বহিস্কার করা হয় নি। এই অসুস্থ শিশুনিপীরক লোকটা বেলাজ হেসে তার অপরাধ স্বীকার করে বলেছেন আমার উপর দুষ্ট জ্বীনের আসর হয়েছিলো তাই -------- শালার আমার উপর কেন দুষ্ট খুনী জ্বীনের আসর হয় না তাহলে সব হারামজাদার ------- যাই হোক পরে খবর পাওয়া গেল দুষ্ট জ্বীনের আসর হয় মাদ্রাসার রেসিডেন্ট শিক্ষকের। তাদের আক্রান্ত হওয়ার ভয়াবহ হার - ছেলেশিশু মেয়েশিশু নির্বিচারে তাদের কদর্য যৌনঅসুস্থতার স্বীকার। যাদের পিছনে জামায়াত নেতার আশীর্বাদ নেই তারা পালিয়ে যাচ্ছে নাতো জামায়াত সমর্থক হয়ে পুলিশের শাস্তি থেকে বাচছে।
যদি প্রকাশিত ঘটনার চেয়ে অপরাধ সংগঠনের হার দশ গুন বেশী হয় তাহলে বাংলাদেশে আয়েশা কতজন? এদের অনেকেই ধারাবাহিক শিশুনিপীরক। তবে মাদ্রাসায় যারা পড়তে যায় তাদের ভবিষ্যত কি নির্যাতিত হওয়া।
ঘটনাগুলে া ঘটেছে রাজশাহী দিনাজপুর সাতক্ষীরা পটুয়াখালি -- যারা উৎসাহী খুজলে আরও পাবেন।
এ বিষয়ে একটা কথা বলা যায় যারা মাদ্রসায় পড়ছে তাদের মেরুদন্ডহীন তাবেদার অন্ধ বানানোর ক্ষেত্রে এই নির্যাতন অনেকাংশে দায়ী।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন