কবিতা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ২৫/০১/২০০৬ - ৪:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোনও এক কবিতা সম্মেলনে শুনেছিলাম কবিরা নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষ। যারা কবিতা লেখে এবং যারা কবিতা পড়ে তারা মানুষ খুন করতে পারে না।এমন প্রশংসা কমই পাওয়া যায়।
অনেকে কবিতা লিখছে লিখেছে, সভ্যতার প্রায় শুরু থেকেই এবং ভবিষ্যতেও লিখবে। কবিতা মানুষের ভেতর বাহির যোগাযোগ। এক মানুষের অনুভব যা এমন ভাবে উচ্চারিত যেটা অন্যসব পাঠকের অন্দরমহলের কড়া নাড়ে।
কবিতা লেখার শর্ত কবি হয়ে ওঠা। এটা ধারাবাহিক অনুশীলনের বিষয়। কেউ কেউ শুরুতেই কবি হয়ে যায়, কারো খানিকটা পথ পাড়ি দিতে হয় আর কেউ মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কবিতা লিখেও কবি হতে পারে না। সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না। আমার কয়েকটা পংক্তি মনে পড়ে কবি কিংবা লেখকের নাম জানি না।
যদি আজ বিকেলের ডাকে তার কোনোও চিঠি পাই যদি সে নিজেই এসে থাকে
এতদিন পর যদি তার মনে হয়
দেরি হোক যায় নি সময়.........
অনেকের পরিচিত কবিতা হতে পারে।

একটি কথার দ্্বিধাথরোথরো চুড়ায়
সাত সাতটি অমরাবতীর সুখ---

এমন একটা দুইটা কবিতা হয়তো ইতিহাস হয়ে থাকবে। আহসান হাবীব নির্মলেন্দু মহাদেব সাহা আবুল হাসান এমন অনেক অনেক জানা ও অজানা কবির কবিতা। কিন্তু সবার সব কবিতা সেখানে যাবে এমন না। জয় গোসাইএর একটা অনু কবিতা আছে
নাম লিখেছি একটি তৃণে
আমার মায়ের মৃতু্যদিনে

আমি এটার আগামাথা বুঝি নি। কিন্তু এটা গোসাই বাবুর প্রিয় একটা কবিতা। কবিতা বিষয়ে পান্ডিত্য দেখানো উচিত হবে না। ভালো কবিতা সমালোচক ভালো কবি না কিন্তু নিজের কবিতার সেরা সমালোচক কবি নিজে। তাই যারা কবিতা লিখছৈন বিভিন্ন মাধ্যমে, কবিতার শুয়োপোকা ছাড়ছেন এ আশায় একদিন প্রজাপতি হবে, তাদের নিজেদের আরও একটু সচেতনতা বাড়লে আমরা ভালো কিছু কবিতা হয়তো পেতাম।
মাত্র মাসখানেকের মধ্যে এই বাংলা ব্লগে বেশ অনেক পুরোনো এবং হবু কবি এসেছে। তাদের কবিতার সমালোচনা করতে চাইছিলাম না। কিন্তু পীড়াদায়ক কয়েকটা কবিতা চলে এসেছে। হয়তো কবিতার সম্পর্কে উচ্চ ধারনা , নিজের কবি পরিচয়ের অহমিকা বা নিম্নমানের কবিতাকে ছাড়পত্র দেওয়া যে কারনেই হোকনা কেন সব কবিতা ঠিক সিঁড়ির কাছাকাছি আসে নি। কবিতার দালানে ওঠার সম্ভবনাও কম এমন কবিতার সংখ্যাই বেশী। সামান্য সচেতন ঘষামাজায় হয়তো হয়ে যেতে পারে এমন তিনটা কবিতা হীরকের ব্লগে আছে। সাইদুর রওশন অনু কবিতা বলে একটা জিনিষ জনপ্রিয় করছে। ওটার লেখক এতবেশী হয়ে যাচ্ছে এখন এইসব অনুকবিতার জন্মনিয়ন্ত্রন দরকার। কবিতার মতো কিছু একটা লিখে ফেলানো সম্ভব, কিন্তু সেটাকে কবিতা পর্যায়ে নিয়ে যেতে ঘাম ঝড়াতে হয়। ক্রীতদাস বলে নতুন একজন এসেছে। আমি অনেকটা নিশ্চিত তার কাছে কয়েকটা ভালো কবিতা পাবো।
লুনা রূশদীর আর পারি না যদি একটা ধাপ হয় বাকি সবগুলো কবিতাই সে ধাপের দশ হাত নীচে খামচাখামচি করছে।
তবে যার কবিতা পড়ে আমার আত্নহত্যা প্রবনতা বেড়েছে আবি নওয়াব। আমি অনেক কষ্টে নিজেকে বিরত রেখেএিই মহাপাপ থেকে। তবে এই মানের আরো কয়েকটা পড়লে সোজা টয়ট্রেনের নীচে পরতে হবে। তার কবিতা ব্যান করার কোন ক্ষমতা আমার নেই, এমনকি অপাচ্য জঘন্য কবিতা লেখার অপরাধে কারো ফাসিঁর বিধান নেই, নয়তো প্রথম আসামি হিসেবে সেখানে থাকতো আম্মার বিন নওয়াব। বাঙ্গালীর গোঁফ হওয়ার সাথে কবিতা বের হয়, নওয়াবের কবিতার সাথে লেজ বের হচ্ছে। তার প্রায় একযুগের পচা আবর্জনার বাক্স মেলে দিয়েছে সে। আমি প্রার্থনা করি আরও শক্তিশালী বিবমিষাময় কবিতা উৎপন্ন হোক তার ডাস্টবীনে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।