"অনাত্মিয় জন্ম তুই মৃত্যু ফেরত দে"
সম্পুর্ন অচেনা ক্লান্তি এই জীবনযাপন। অর্থহীন স্বার্থকতার দৌড়, আর প্রত্যাশার চাপে মানুষ সংকুচিত, বেশ কিছু অপুর্নতা লুকিয়ে রাখে নিজের ভিতরে।
সব কিছু উজার করে দেওয়ার মতো কোনো আদর্শ নেই তাই নিজেকে বিলীন করার মাহত্ব নেই আধুনিক মানুষের। জীবনের গতি আর রুপরেখা স্পষ্ট বলেই কোনোরকম বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে নিজেকে অপরিহার্য ভাববার বোকামিও করে না মানুষ- এটুকু নিস্পৃহ বিচ্ছিন্নতা মানুষে মানুষে থাকেই।
খুব বেশি আত্ম সচেতন মানুষের গল্পই এমন। কিছুটা গোপনিয়তা, স্পর্শাতিত অতীত আর স্পর্শহীন চলমান বর্তমান আছে- সেটুকুই মানুষ কিংবা আলাদা সত্তা মানুষের-
আমরা ক্রমাগত পরস্পরের দিকে ছুটে যাচ্ছি, পরস্পরে ঝুকে থাকছি,বিলীনতার গোপন আকাংক্ষা সত্ত্বেও আত্মসচেতনতা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মানবিক সম্পর্কগুলোকে। তাই শেষের খুব কাছে পৌছেও বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে ক্রমাগত আর্তনাদ " ভেতরে আসতে দাও"
কিছুটা সংস্কার আর ব্যাক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে মানুষ জীবনযাপন করছে। ঋতবীনা, অনির্বান বা দেবদত্ত কেউই অপরাধি নয়- অপরাধ যদি থাকে তবে তা সময়ের।
ঋতবীনা সম্পুর্ন ভাবেই নারী, সামাজিক সংস্কার আর নারীত্বের প্রচলিত ধারনা স্পষ্ট গভীরে আছে যার। আর কিছুটা দ্্বিধা- তাই গোপনে স্তাবকতা আর প্রশংসাও শুনতে চায়- তাই যতটা অনির্বানকে দিয়েছে তার কম দেবদত্তকে েেদায়ার কুন্ঠা আর লজ্জাবোধ- কিংবা সুক্ষ অপরাধবোধ রয়েছে তার ভিত.ে তারও বেশী সংকোচ আর ব্যাক্তিগত গোপনিয়তা নিয়ে চুড়ান্ত পরিনতইর দইকে চলে গ্যাছে।
কবিতার সত্যে জীবন সাজাতে চেয়ে প্রথাগত কবিতার সংকুচিত ুচ্চারনে অনির্বান কখনই বলতে চায় নি তার কামনা বাসনা আর ব্যাক্তিগত আকাংক্ষার কথা। যতটা মহত্ব আরোপিত, গোপন গর্ত থেকে পিচ্ছিল অবিশ্বাসের ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে তাকে রেখেছে চলমান ধারার বাইরে।
দেবদত্ত কাবিতা না ছবি না ব্যাক্তিগত ব্যর্থতার স্মৃতি নিয়ে এমন আত্মমগ্ন তার পরিচয় নেই। দারাস সাপের মতো মাত ৃহীনতার দুর্বলতা আর মাতৃস্নেহের আকুলতায় মাতৃমুখী বউ চেয়েছে, পরিনামে যে সত্য তাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জীবন থেকে--
মানদা সম্পুর্ন সামাজিক বোধের রুপক, যেখানে শিল্পকে সভ্যতার পোশাক পড়িয়ে দেখতে অভ্যস্ত মানুশ সেখানে ন গ্নতা আর যৌনতা তীব্র অপরাধ, সে সমাজে ন গ্নভাবে প্রকাশিত হবে সত্য এমন আশাও দুরাশা--
আসলে মানুষ কল্পনায় সত্য ভেবে বাস্তবতাকে বিনির্মান করে- সেই বাস্তবতার খোলসে আজীবন কাটিয়েও এি বিভ্রান্তি বুঝে উঠতে পারে না । অতীতে সংসারের খুটিনাটিতে নিজেকে নিমগ্ন রাখা রমনিরা এসবকে অস্তিত্বের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে ভেবেই সম্পুর্ন সচেতনতায় নিজেকে বিলীন করে রাখতেন সংসারে- সেও এক ভ্রান্তি-
তবুও সেখানে আঢুনিক বিচ্ছিন্নতার জটিলতা ছিলো না
সময় চলে গেলে কানাগলি আর পরস্পরের খুব কাছে পৌছাতে না পারার ব্যার্থতা "ভেতরে আসতে দাও"
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন