সুমন্ত আসলাম

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ০৩/০২/২০০৬ - ৭:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক দিন পর সুমন্ত আসলামের লেখা পড়লাম। ভদ্্রলোক আগের মতোই আছেন। মধ্যবিত্ত স্বাপি্নকেরা তার লেখার ভক্ত এটা বুঝেছিলাম 2002 এর বই মেলায়। আমার হালকা বামপন্থি এক ছোটো ভাই বাউন্ডুলের ভেতরের পাতায় সুমন্তের হাতের ছাপ নিয়ে গর্বিত ভাবে বললো, সুমন্তের লেখার আমি ভীষন ভক্ত,
বাংলাদেশের তথাকথিত আধুনিক লেখকেরা কেজি দরে হতাশা বিক্রি করে বেশ দু পয়সা কামিয়ে নিচ্ছেন, বইমেলায় মাঠে বসে চুকচুক বাদাম খেতে খেতে জীবন ঘনিষ্ঠ লেখার মকশো করছেন। তাদের লেখায় থকথকে চর্বির মতো থলথলে করুনার অসভ্য নাড়াচড়া।
কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে? কিন্তু বাঙ্গালি পয়সা খরচ করে দুঃখ কিনতে ভালোবাসে, তাই সার সার ব্যার্থ প্রেমের উপন্যাস আসে, বিরহের গান গেয়ে মনির এস ডি রুবেল আর আসিফ , আর সেই একই ফর্মায় হতাশার কাব্য করে সুমন্তও হিট।

ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মানুষ শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক দার্শনিক হয়ে যায়, হবে না জেনেও প্রতিদিন প্রাতকৃতে একবার গিয়ে আরও বেশি জীবনবিমুখ হয়ে ফিরে আসা, আর কে না জানে টয়লেটেই সবার সৃষ্টিশীলতা প্রকাশিত হয় বেশি। সুমন্ত আসলামের প্রতি অনুরোধ তিনি যেনো তার হতাশা বেচা সঞ্চিত পয়সার কিয়দংশ কোষ্ঠতারল্য সরঞ্জাম খাতে ব্যায় করেন।

সেই একই ফর্মার লিখা লিখবেন কতদিন?
হতাশায় ভুগে ভুগে কখনই বিদ্্রোহী না হতে পারা প্রান্তিক মধ্যবিত্তের অশায় করুন কাব্য করে করে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর কোনো মানে নেই।

জানি এ বইমেলায় আপনার কিছু হতাশাভরা বই কিছু মধ্যবিত্ত স্বাপি্নকের মনে সান্তনা দিবে, তারা জীবনবিমুখতা শিখছে ক্রমে ক্রমে এটা না বুঝেই পকেটের 80টাকা খসিয়ে কিনে ফেলবে আরও একটা বই। ভাববে জীবন মানেই ক্রমাগত আপোষ আর প্রতিদিন গ্লানি জমিয়ে অপমান পান করা,

একটু চোখের চশমা পালটে নতুন কিছু দেখেন। এখনও যৌবন দ্্রোহে কেপে উঠে, এখনও সার সার মোমবাতি হাতে অন্ধকারে আলোর মিছিলে যায়, এখনও দেয়াল লিপিতে সারারাত দেশ প্রেম লিখে যায় পাড়ায় পাড়ায়।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।