জন্মবিভ্রাট এবং আকবরের বোকামি

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ১২/০২/২০০৬ - ৩:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আকবর একটা ভুল করেছিলেন তার রাজত্বকালে, অশিক্ষিত এই সম্রাট কি যেনো কুবুদ্ধি এসেছিলো ঘটে তাই সভাসদদের বললেন হিজরি মাস অনুযায়ি সৈর দিনপঞ্জি তৈয়ার করো, একজন হিসেব কষে তৈয়ার করলেন, সে মোতাবেক আমরা বাংলা সন পাইলাম, পাইলাম পহেলা বৈশাখ, তাহলে হিজরি সন আসিল কোথা থেকে, জানা যায়, কাফের আরব বাসি মোহাম্মদের উপর পিতৃপুরুষের ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপরাধে ক্ষিপ্ত ছিলেন, তারা হত্যা করতে পারেন এই আশংকায় রাতের অন্ধকারে মোহাম্মদ চুপিসারে, তার তৎকালিন ভ্রাতা, পরবর্তিতে জামাতা আলিকে আমানত রাখা জিনিষপত্র বুঝাইয়া দিয়া গৃহত্যাগ করেন, মোহাম্মদ চরম স্বদেশ প্রেমি ছিলেন তাই এই দেশত্যাগের ব্যাথ্যা ভুলিতে পারেন নি। তিনি লিপিবদ্ধ রাখেন , এি জালেন কাফেররা আমাকে কত দিন মককা থেকে বাইরে রেখেছে, তার হিজরতের দিন থেকে হিজরি বর্ষ গননা শুরু হয়, ওমর( তৎকালিন আরবের শিক্ষিত কবি এবং গনিতজ্ঞ, পরে হিসাব ঠিকঠাক করে হিজরিকে প্রামন্য চাদের মাস হিসেবে বছর গননার কাজে লাগান।

মোহাম্মদের জন্ম কবে? হিজরি পুর্ব কোনো এক সময়ে, কেরেস্তানি দিনপঞ্জি মোতাবেক জুন মাসের কোনো এক দিনে, অনেক আগে পড়া তাই সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হলো না, কিন্তু হিজরি মাসে তার জন্ম হয় নি এটা নিদ্র্্বধায় বলা যায়।
মাঝে একটা দুর্ঘটনা ঘহটে গেলো, নাসারারা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিলো গোটা 10 দিন, তাই মোহাম্মদের জন্মের হিসেব গেলো পালটে, কিন্তু বেচারা মৃতু্য দিবস পালটাতে পারেন নাই পামর নাসারা রা, সেটা 12ই রবিউল আউয়াল, এর আগে জিলহাজ্ব মাস ছিলো না, সেটা ছিলো যুদ্ধবিরতির মাস, আরবের লোকেরা সব সংঘাত ভুলে এই মাসে কাবায় আসতো হালকা ফুর্তিও করতো, তারা সুখে ছিলো, সে সময় কাবার আশেপাশের ঘটনা নিয়ন্ত্রন করতেন কুরাইশ বংশের লোকেরা, তাদের বংশভুক্ত বলিয়াই প্রাথামিক পর্যায়ে মোহাম্মদের পাগলামি হজম করেছিলো আরবের বেদুইন গোষ্ঠি, নাতো পেদিয়ে ছাল তুলে ফেলতো, একটা সময় কোরাইশ বংশ নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় মোহাম্মদের গৃহত্যাগের দিন , আমাদের প্রিয় মুছলমান ভাই বোনের হিজরি বছরে জম্মদিন,

আমাদের ওয়ালি ভায়ার মনে বেজায় দুঃখ, কেনো জন্মদিন পালনের কেরেস্তানি প্রথা ভবিষ্যত ইসলামি খেলাফতের মুল ভুখন্ড বাংলাদেশের মুরতাদ বুদ্ধিজীবি গোষ্ঠি আত্তিকৃত করলো, না এটা তার আপত্তির কারন হবে কেনো, তার আপত্তি কেক কাটিয়া জম্মদিন পালনের প্রথার, মুছলমানেরা কেক কাটিয়া জম্মদিন পালন করে না, উয়ারা জম্মদিন পালন করে, তবে ফকির মিসকিন খাইয়ে, তবে, মদিনায় ফকিরের সংখ্যা ছিলো কম, তাই সাহাবাদের খাইয়েও কোনো কোনো সাহাবা জম্মদিন পালন করতো, হয়তো তথ্য বিভ্রাট থাকতে পারে, সস্তা ইসলামের বইগুলোতে ভুয়া কথাই লেখা থাকে বেশি, মোকছেদুল মোমেনিন নামক একটা পুস্তিকা আছে, সেখানে বিভিন্ন বিষয়াসয় লিখিত আছে, সহীহ উপায়ে সালাত থকে সহীহ উপায়ে সঙ্গম পর্যন্ত। তাই আগ্রহি জংন আরও একটু সফিস্টিকেটেড গোলাম মুস্তফার..... যে ফুলের সুবাসে দুনিয়া মাতোয়ারা নামক গ্রন্থ পড়িয়া দেখিতে পারেন, সেখানে বিভন্ন পর্যায় এবং ঘটনার বর্ননা পাইবেন। হিজরি সালের শুরুর গল্পটাও সেখান থেকে কপি করা,

কিন্তু ওয়ালি ভাইয়ের গোপন দউঃখ হলো তার প্রকৃত জন্মসময় জানতে না পারা, এটা আবার কেরেস্তানি হয়ে গেলো নাতো, কেরাস্তানরা , গোড়া যারা, নতুন দবি তুলেছে, গর্ভপাত বিরোধি দাবি, সেখানে তারা বলেছে, শিশুর ভ্রুন তৈরি হওয়ার পর থেকে তাকে জীবিত ধরতে হবে, তাই গর্ভপাত মোটেও মেনে নেওয়া যায় না, এটাকে জীবহত্যার সমতুল্য ধরতে হবে, একি ওয়ালি ভাই, তাদের বচন কেনো আপনার শ্রিমুখে?
আপনি পাসপোর্টে হিজরি সাল ব্যাবহার করেছেন? হিজরি সাল মোতাবেক আপনার বয়েসতো 24, 23 লিখে মিথ্যাচার করেন কেনো?

যারা আগ্রহি তাদের জন্য ছোট্ট একটা ধাধা, সৈর বছর এবং চাদের বছরের মধ্যে পার্থক্য 11 দিনের,
এটা বাংলা 1412 সন, 1426 হিজরি, এ দুই য়ের পার্থক্য বের করে 365 দিয়ে গুন করে 11 দিয়ে ভাগ করে দেখুন কি উত্তর আসে, সেটা হলো আকবর যখন এই বোকামিটা করেছিলো তার সময়।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।