অনেক ভেবে চিন্তে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে কোরানের একটা ব্যাখ্যান আমি লিখবো। রাম শ্যাম যদু মধু সবাই নাকের লোম ছিড়তে ছিড়তে একটা ব্যাখ্যান লিখে ফেলছে আমি পিছিয়ে পরি কেনো?
ছাড়পোকার কামড়ে অতিষ্ট মওদুদী সাহেব বগল আর পশ্চাত দেশ চুলকুতে চুলকুতে একটা ব্যাখ্যান লিখলো,সেটা অনেক জনপ্রিয়তাও পেলো, এখন অপ বাক একটা ব্যাখ্যান লিখবে, বুঝে উঠতে পারছি না কতটা উত্তেজক ব্যাখ্যান লিখবো।
কোরানের অনুবাদ দিয়ে শুরু করবো, অনেকেই অনুবাদ করেছে, সেখানে আমার অনুবাদের প্রয়োজন কি? এর উত্তরে বলতে পারি আমার সেসবের ভাষ্য পছন্দ হয় নি, পড়লে ঠিক ভক্তিরস উথলে উঠে না বরং ফিচকেমি করার বাসনা জাগে।
একটা গুরুগম্ভ ীর অনুবাদ দেওয়ার জন্য আমার এ ক্ষুদ্্র প্রয়াস।
কোরানের ব্যাখ্যান নিয়ে যে কথা না বললেই নয় তা হলো, ধর্ম সব সময় কেমন করে জানি বিজ্ঞানের তুলনায় পিছিয়ে পরে, প্রতি শতাব্দিতে একেকজনকে ধর্মের স্থিতিজড়তা কাটিয়ে সামনে ঠেলতে হয়। বিজ্ঞান আগাচ্ছে দ্্রুত , আবার কোরান পিছিয়ে পড়েছে, তাই আমার এ প্রচেষ্টা, কোরানের ভাষ্যকে একটু আধুনিকতার ছোয়া দেওয়া।
কষ্ট হবে যদিও, সেই 2000 বছর আগে গ্রিক মনিষীরা সিদ্ধান্ত দিলেন পৃথিবী গোলাকার,
তারা হিসেব কষে পরিধিও নির্ধারন করলেন, কিন্তু গ্রিক দের এই আবিষ্কারের খবর ইশ্বরের কাছে পৌছায় নি, তাই পৃথিবী সমতল থেকে গেলো, কি আর করার সমতল পৃথিবীতে বসবাস করি আমরা।
আকাশকে সামিয়ানার মতো ঝুলিয়ে দেওয়া হলো, সেখানে তারা গেথে দেওয়া হলো, যত দোষ পাজী গ্যালিলিও গ্যালিলির ,ব্যাটার ব্যাটা টেলেস্কোপ বানায়া আসমান দেখে ফেললো, সেই গেথে দেওয়া তারাগুলো কিভাবে যেনো পৃথিবী থেকে দুরে সরে যাচ্ছে,? সামিয়ানাটা অধর্মের বাতাসে ফুলে ফেপে উঠছে মনে হয় নাতো মহাবিশ্বের আয়তন বাড়বে কেনো?
সৃষ্টিতত্ত্বের এই দুর্বলতা ঢাকার একটা চেষ্টা করতে হবে আমাকে।
আরো কয়েকটা সমস্যা আছে এই সর্বকালের জন্য নির্দিষ্ট পুথিটার। মোহাম্মদের বিবাহ জনিত আয়াতগুলোর কি হবে? মদপান করে নামাজে দাড়ানো যাবে না এই আয়াতের পরে মদপান নিষিদ্ধ করে যে আয়াত আসলো তার কি হবে, কেনই বা বেহশতে মদ পান যায়েজ হবে পৃথিবিতে নিষিদ্ধ যেটা বেহেশতে সেটা যায়েজ কেনো। তাহলে কি বেহেশতে কাউকে ধর্ম পালন করতে হবে না? কেউ কি বেহেশতে নামাজ কায়েম করবে না?
মককা বিজয়ের পরে মুসলিমরা যখন ভাবলো এইতো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো এখন একটু রেস্টু খাই, আরও একটা যুদ্ধের আয়োজন সম্পন্ন হলো। এটা সাম্রাজ্যবাদি বললে আবার এখানের অমুসলিমরা খেপে উঠবে, সেই যুদ্ধে যেতে অস্ব ীকৃতি জ্ঞাপন করায় নাজেল হওয়া আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা কি হবে? সেসব আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তো জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো ছাগল মুসলিমদের বোমাবাজ বানাচ্ছে।
কিংবা মোহাম্মদের বিবিদের ঝগরা উপল্লক্ষে নাজেল হওয়া আয়াতগুলোর তফসির কি হবে? অনেক প্রশ্নের জবাব নিয়ে আসছে অপ বাকের কোরান ব্যাখ্যান,
ধৈর্য্যশীলরা অপেক্ষা করেন।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন