আমি আমার আদর্শের সমর্থনে 2 দিন বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আশা করেছিলাম এ দুই দিনে মডারেশনের পক্ষে যারা মডারেটর তাদের একটা বক্তব্য আসবে, কেনো তারা মাসুদার লেখাটা মুছে দিলো এবং এ সাইটের সহনশীলতার চর্চায় তাদের আইনানুগতার এবং সচ্ছতার একটা চিত্র তুলে ধরবেন।
এখনও কতৃপক্ষীয় বক্তব্য আসে নি, অতএব তাদের কাজটা করার পিছনের যুক্তি হয় তারা খুজে পান নি অথবা তাদের মনে হচ্ছে না এটা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার, দুটোই ভয়ংকর বিষয়।
তবে আমার প্রতঃম থেকে একটা ধারনা ছিলো যারা প্রোগ্রামার তাদের লিজিক্যাল সেন্স ভালো হয়, কারন একটা সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট কিছু যুক্তির ধারাবাহিকতা মেনে চলতে হয়, সুতরাং ডেভলপারদের যুক্তহীন এ অপবাদ দেওয়া অনুচিত হবে।
এবার আমার বক্তব্য :
মডারেশন উঠিয়ে নেওয়ার পর আমি এটাকে সাধুবাদ জানিয়ে একটা পোষ্ট করেছিলাম, এবং যখন বেশ স্পষ্ট অক্ষরে কতৃপক্ষ একটা মূলা ঝুলানোর মতো নীতিমালা ছাপিয়েছিলো এবং যেটা অনেক দিন সার্বক্ষনিক ভাবে নীড়পাতায় ঝুলে থাকতো সেখানে লেখা কথাগুলোর স্পষ্টতা চেয়েছিলাম, কারন কোন মাত্রায় উস্কানিকে উস্কানি বলা হবে, এটার কোনো স্পষ্ট বক্তব্য এখনও তারা দেন নি, এবং এর পর পরই একজন সমকামি একটা গল্প ছাপান, যেটার প্রতিবাদ করেন সালেহ মাহমুদ, আপনারা সে পোষ্টটাও একবার ঘুরে আসতে পারেন, সেখানেও আমি আমার বিরোধিতা স্পষ্ট করে বলেছি, যারা গ্রহন করার এবং যারা বর্জন করার এটা তাদের উপর ছেড়ে দিন, অযথা একটা খবরদারি কেনো?
যাই হোক কতৃপক্ষীয় কোনো ব্যাখ্যা না পাওয়ায় আমি ব্লগের টার্মস এন্ড কন্ডিশনে লিখিত কথার ভিত্তিতে বাকি কথাগুলো লিখবো।
রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম আছে একটা
একজনের নামে একটার বেশী একাউন্ট থাকা চলবে না, আমার বাসায় 2 জন ব্যবহার কারি সুতরাং আই পি আড্রেসের ভিত্তিতে হলে আমার সমস্যা হবে, অনেকেই পাবলিক পিসি ব্যাবহার করেন তাই তাদেরও সমস্যা, এটা পালন করতে গেলে কিছুতেই সম্ভব না, সুতরাং রেজিস্ট্রেশনের ওখান থেকে খঠাটা মুছে ফেলে শুধুমাত্র ব্যাবহারকারির সততার উপর আস্থা রাখা হোক।
সাধারন নিয়মের মধ্যে বেশ কিছু ভালো ভালো কথা আছে, গোলডেন রূল নামক একটা বিষয় আছে সেটা মেনে চলুন, অন্যের কাছে যেমন ব্যাবহার চান তেমন ব্যাবহার করুন তাদের সাথে, খুব সুন্দর নিয়ম তবে আমি কাউকে কখনও অশালিন ভাষায় কিছু বলেছি মনে পড়ছে না, কিছু কুযুক্তি দিয়েছি সেখানেও স্ববিরোধিতা ছিলো বিধায়, কিন্তু আমার পোষ্টে করা মন্তব্যগুলোর মধ্যেও অশালিন কথা আছে, অন্য পোষ্টেও আমার পরিবারকে জড়িয়ে বেশ কিছু চমৎকার রগরগে মন্তব্য করেছে জনগন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভেবে মেনে নিয়েছি, যদিও গোলডেন রুল কোনো কাজে আসে নি।
কাউকে ব্যাক্টিগত আক্রমন করা যাবে না, কাউকে আবিউজ করা যাবে না, হ্যারাস করা যাবে না, বা ডিফামে করা যাবে না,
সহনশীল হোন, বিষয়ানুগি হোন, অযথা কথা বলবেন না,
এই শর্তগুলো মেনে চলতে হবে সাইটের ব্যাবহারকারি হিসেবে, এখন আপনার বিচার করেন যারা অশালিন মন্তব্যগুলো করেছে তারা কি সাইটের নিয়মাবলি মেনে চলেছে??
সুতরাং কেনো
দাদা
ডেস্ট্রয়ার
কট্টর
স্নাইপার ঘি
মাচোদা ভটভটি
এবং আরও যারা এই নিয়মগুলো ভঙ্গ করে অশালিন বক্তব্য রেখেছে তাদের কেনো ব্যান করা হবে না। কতৃপক্ষ সচ্ছতার এবং আইনানুগতার কথা বললে এই আই ডিগুলো ব্যান করা হোক। আমি আইনের প্রতই শ্রদ্ধাশীল এবং আইনানুগ, এ জন্য শুদঃুমাত্র স্পষ্টতা দাবি করি, আপনি আইন করেন আমি মানতে রাজি।
এর পর আসি সেই বৃহন্নলা ব্যাক্তিস্বাধীনতার বানী নিয়ে,
ধর্ম এবং সামপ্রদায়িক উস্কানি দেওয়া যাবে না
বীভৎসতা
অশ্লিলতা এড়িয়ে চলুন,
এই তিনটা কথাই সেখানে আছে, কথা হলো মাত্রাবোধ কেমন হবে।
উস্কানি কেনো ধর্মের ভিত্তিতে হতে হবে, যারা ধর্মানুরাগি নয়, তাদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া কোন যুক্তিতে যুক্তিযুক্ত, এবং অবশেষের কথা হলো এই বিষয়গুলো যারা মানছেন না তাদের আই ডি ব্যনা করা এবং পোষ্ট মুছে দেওয়ার ক্ষেতরে সততা দেখানো হোক।
ওয়ালির 2টা পোষ্ট মুছে ফেলা হয়েছে, সে এখন এই সাইটের ধর্মবাদিদের অলিখিত খলিফার দায়িত্বে নিয়োজিত, সুতরাং তার নিম্ন লিখিত পোষ্টগুলো কেনো মুছে ফেলা হবে না এবং কেনো তাকে ব্যান করা হবে না,
1) একাডেমিক কপচানিঃ ব্যাক্তিগত আক্রমন
2) সেফটি ভালব ঃ আবারও ব্যাক্তিগত আক্রমন এবং যে বিষয়ের জন্য তার আগের 2টা পোষ্ট মুছে ফেলা হয়েছিলো সে জিনিষের চর্বিত চর্বন
3) ধর্মনিরপেক্ষ দেসেহর গল্প, সামান্য বিচারে হলেও সেটা উস্কানি মূলক
4) এক মিনিটের জন্য বোবাঃ অবশ্যই স্পষ্ট উস্কানিমূলক
5) 2 দিনের বাঙালি ঃ এটা অনেক বেশী আক্রমনাত্বক এবং এখানে উৎপাদিত বিতর্কের সমর্থনে এবং বিপক্ষে বেশ কিছু সহায়ক পোষ্ট হয়েছে,
কুশিক্ষিতদের জন্য শিক্ষা ব্যাক্তিগত আক্রমনের দায়ে নিষিদ্ধ
হিন্দুত্বের প্রত্যাবর্তনঃ অবশ্যই ভুল এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া, এবং সামপ্রদায়িক বক্তব্য, সে হিসাবে হাবিবের উস্কানিমূলক বক্তব্য সম্বলিত একটা পোষ্ট যা আমার প্রতি ব্যাক্তিগত আক্রমন সেগুলোকে কেনো মুছে ফেলা হবে না
কেনো আম্মার বিন নওয়াবের সাক্ষাৎকার নামক কবিতাটা অশ্লিলতার দায়ে নিষিদ্ধ হবে না।
নাকি আমরা করলে খুব খারাপ এবং ধর্মেরধ্বজাধারিরা বললে তা কোরানের বানী বা হাদিসের বানীতে সিদ্ধ,
কতৃপক্ষ যদি এসব না মুছে শুধু মাসুদার পোষ্ট মুছে ফেলে তাহলে কতৃপক্ষ অবশ্যই একটা পক্ষপাতইত্ব দেখাচ্ছেন, এবং আমার এি অনশনের পেছনের কারন এটাই।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন