দুঃখ প্রকাশ

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: সোম, ০৬/০৩/২০০৬ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ব্যাক্তিগত একটা সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বেশ কিছু ব্লগার বিতর্কিত হয়ে গেলেন এবং আমার নিজের ইচ্ছা ছিলো তাদের সমর্থনে আরও 14 ঘন্টা বিরত থাকবো লেখা থেকে তবে এটা মেনে চলতে পারি নি বলে আমি লজ্জিত এবং দুঃখিত।
সবাই বিষয়টার একটা ভুল ধারনা করেছেন, এটা ধর্মঘটের আহবান ছিলো না মোটেও যদিও অনেক ব্লগার বিষয়টাকে সেভাবে নিয়েছেন,
আমি এটা উত্থাপন না করলে অন্যকেউ করতও, তবে আমি কেনো প্রথম কথাটা বললাম,

এখানে অনেককেই বিষয়গুলো পীড়া দিয়েছে, সবাই অনুভব করেছে বিষয়টা নিয়ে কেউ কোনো কথা উত্থাপন করুক, বাঙালি সব সময় শোভনতার পক্ষে থাকে তবে আপনদ্্বিধায় কেউ প্রথম হতে চায় না, আর কিছু নপুংশক আছে যাদের আসলে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সাহস নেই, তাদের নপুংশকাতা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই, আর আমি সে সব মানুষের হয়ে প্রথম বলে ফেললাম কারন আমি এর আগে ডেনিশ কার্টুনিস্টদের সমর্থন করে এ দ্্বিধামুক্ত হয়েছি,
যারা শোভনতার পক্ষে এবং যারা সুবিধাবাদিগোত্রের মানুষ কিন্তু নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তোলার সাহস পান নি তাদের জন্য আমি কোনো দায় নিচ্ছি না, দীক্ষক, হাসি, সুমন, নতুন, সাধক, লাল মিয়া ভুত এরা সবাই মডারেশনের বিপক্ষে আমার এি বিরতিকে সমর্থন করেছেন, করেছেন আড্ডাবাজ, অরুপের মনোভাব ভালো লেগেছে, তিনি যদিও আমার না লেখার বিরুদ্ধে, এবং কেউ কেউ সবাইকে অনুরোধ করেছেন লেখা থেকে বিরত থাকার জন্য, কিন্তু আমার মনে হয় যারা অহেতুক এটাকে ধর্মঘট ভেবে ভয় পাচ্ছিলেন, যেমন ধানসিঁড়ি, আমার মনে হয় না, আপনি বা অন্য কেউ লিখলে এখানে যারা না লেখার অনুরোধ করেছিলো তারা আপনাকে অশালিন কিছু বলতো, আপনি যদি এখানে বেশ কিছু দিন থেক থাকেন তাহলে বুঝবেন, অশালিন অশোভন কথা বলার জন্য এরা কেউই চিত্রিত নয়,
এটা অশালিনতা এবং অযথা মডারেশনের বিরুদ্ধে সত্যভাষনের সপক্ষে কথা বলা, অতএব এই দাবিতে লেখাবিরত থাকা অবস্থায় একই আচরন আমরা কেউই করতাম না, মতপ্রকাশের অধিকার মতদ্্বৈত্বতার অধিকার, যুক্তি থাকবে, বিপক্ষ যুক্তি থাকবে , এভাবেই একটা সমধানে পৌছাবে সমস্যা, কিন্তু যুক্তির ধারা না মেনে অশালিন কথা বলা, কিংবা কারো বক্তব্য প্রকাশের বাধা দেওয়া, এটা উন্মুক্ত ফোরামের বিষয় হতে পারে না, আর লজ্জার কথা হলো কতৃপক্ষ মাসুদাকে কোনো ব্যাখ্যা দেন নি, অথচ এর আগে ব্লগফ্লাডিং এর দায়ে একজনকে নিষিদ্ধ করার সময় এ বিষয়ক বক্তব্য দেওয়া হয়েছিলো, এবার কতৃপক্ষ নিরব। এটা এমন হবে কেনো, কতৃপক্ষ হিসেবে তাদের একটা দর্শন থাকবে, এবং এটা যদি তাদের কাছে স্পষ্ট হয়, এটার সপক্ষে তারা কথা বলবেন, হঠাৎ নিরবতা কেনো।
আমি কতৃপক্ষ হিসেবে না একজন সাধারন ব্লগার হিসেবে শাহানা,হাসিন, হাসান , দেবরা সহ আর যারা কতৃপক্ষ হয়েও সাধারন ব্লগার, তাদের সাধারন ব্লগার হিসেবে মত জানতে চাই।
এটা বোধ হয় তারা করবেন না, স্রেয়শী বসু অনেকটা স্পষ্ট করে বলে চলে গেলেন, বিষয়টা সবাই কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো, দাদা নামক ব্যাক্তি মাসুদার পোষ্টের স্রেয়শীকে নিয়ে অযথা একটা অশালিন কথা বলেছেন, লোকটার যৌক্তিক বোধ কম, তবে এখন মনে হয় সেটা শুন্যের কোঠায় গিয়ে থেমেছে, মাসুদার পোষ্টের সাথে তার বক্তব্যগুলো যায় না, তার পরও সেখানে অযথা অন্য একজনকে টেনে এনে তাকে বেশ্যা বলে দেওয়ার পরও এ লোকটাকে কেনো এখান তঃেকে ব্যান করা হবে না
এ বিষয়ে কতৃপক্ষীয় বক্তব্য শুনতে চাইছি।
এবং
তীর্থক এবং কালপুরুষ
সমাজ শুধুমাত্র অনেকগুলো মানুষের যুথবদ্ধতা নয়, সমাজ অনেকগুলো মানুষের সামগ্রিক ভাবনাধারা, অনেকগুলো পরস্পর বিরোধি বিচ্ছিন্ন মতবাদের ধারাবাহিকতা, এবং সে অর্থে ব্লগ একটা সমাজ, এবং সে সমাজে যদিও এটা ভার্চুয়াল একটা সমাজ, বাস্টব সমাজের প্রতিবিম্ব ধরা পড়বে,
সমাজে যদি কোনো খারাপ বিষয় থাকে সে খারাপ বিষয়ের চেতনাধারি মানুষেরাও এখানে লিখছে, তারা তাদের সাথে সে ধারনাই নিয়ে আসবে, আপনাদের শুদ্ধতা, শোভনতা শুচিতার দাবিটা অবাস্টব বিধায় আমাকে প্রতয়াখ্যান করতে হচ্ছে, আপনাদের সহজগম্যতা, পারিবারিক আবহ, এসব কথার জন্য একটা কথাই বিপরিতে বলা যায়, সব খানেই অশোভনতার উন্মেষ ঘটতে পারে, সহজ গম্য বিধায় বাসার সামনের ভিডিও দওকান থেকে পর্নো ছবিও আনতে পারে( বাংলাদেশের বেশির ভাগ ছেলেই নীলছবি দেখে 12 থেকে 14 বছর বয়েসের ভিতরে) তাই ভিডিও দোকান উঠিয়ে দেন,
রাস্তায় বখাটে ছেলেরা বাজে কথা বলে, সেখানেও শুনে বাজে কথা শিখতে পারে তাই ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকুন, এভাবে ক্রমশবিচ্ছিন্ন হয়ে আসলে এসবের বিরুদ্ধে দাড়ানো যাবে না, দাড়াতে হলে এসবের মধ্যে থেকেই সচেতনতার আলো ছড়াতে হবে, বর্জন করতে হবে বুঝেশুনে, আর অনেকগুলো মানুষের সাথে আলোচনা না করে সামগ্রিক ছবিটা আপনার কাছে আসবে না যদি এসব সস্তা শুচিতার দোহাই দিয়ে নিজে নিজের কান বন্ধ করে রাখেন।
এদেশে মেয়েরা নিজের ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্রথন যৌন আগ্রাসনের শিকার হয় তাদের এসএস সি পার হওয়ারআগেই, এটা নিয়ে যারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে বা সচেতনতার অভাবে আমরা শোভনতার কথা বলে, সেচ্ছাবিরত থাকার কথা বলে বোরখা চাপিয়েও নিজেদের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি নি,
অবশ্যই বিষয়টা শেষ পর্যন্ত মাত্রাবোধের, কারো শালিনতাবোধ শালা বললে ক্ষুন্ন হয় কারো সম্পুর্ন পরিবারকে বিছানায় তুলে প্রকাশ্য জনসমক্ষে সঙ্গমবাসনার কথা জানালেও ক্ষুন্ন হয় না, এমন বিশাল পরিধিতে আপনি কিভাবে একটা সাধারনীকৃত সমাধান আশা করেন,


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।