লক্ষ্যবিচু্যত হয়েছি মনে হয়, গত পোষ্টে আমি সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় মানুষের ভেতরে ইশ্বরচেতনার জন্ম নিয়ে বলছিলাম কথা, চেতনার একটা ধাপে মানুষ নিরাকার ইশ্বরকল্পনা করে, কিন্তু জনগনের আমার বক্তব্য পছন্দ নয়। অনেক আগেই আমি একবার বলেছি মরিস বুকাইলি বেশ চমৎকার একটা বই লিখেছেন, তার মূল উদ্দেশ্য কি ছিলো আমি জানি না, তবে এটা বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ না বিধায় কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই বেশ স্বাধীন ভাবেই নিজের মনমতো বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরেছেন এবং মন মতো সেগুলোকে পরিমর্জন modify করেছেন, তবে এখানে এখনও কিছু মানুষ বসবাস করে যাদের ধারনা প্রকাশিত বই সব সময় সত্য বহন করে, (এটা সব ক্ষেত্রে সত্য নয় এটা তাদের যৌক্তিক মন জানে তবে উপন্যাস পড়ার সময় তারা এটাকে মাথায় রাখে কিন্তু অন্য প্রচারনা পুস্তক বা নিবন্ধ পড়ার সময় এটা ভুলে যায়) তাদের মানসিক শান্তির জন্য তারা বুকাইলির বাইবেল কোরান ও বিজ্ঞানের কথা বলেছেন, কোনো উদ্ধৃতি ব্যাবহার না করেই, আমি প্রথম পড়ি বোধ হয় 7 বছর আগে এক বন্ধুর প্ররোচনায়। যাই হোক তেমন প্রভাবিত হই নি কারন আমার নিজের পড়ার ক্ষেত্র বিজ্ঞান এবং ভৌত বিজ্ঞান, যাচাই করার সুযোগ না থাকলে শুধু অধিবিদ্যাভিত্তিক কোনো ধারনা কে মেনে নিতে আমার আপত্তি আছে। এবারের আমি শুধু বুকাইলির পুস্তক নিয়েই কথা বলবো, আধুনিক বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারনার সাথে সেখানে বর্নিত তথ্যের বিরোধ কোথায় এবং কোথায় লেখাক কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন, আমার কাছে বাংলা অনুবাদ নেই, এটা ইংরেজিতে পেয়েছি আশা করছি এটা বাংলার মতোই সঠিক, সেখানে আমি সৃষ্টিতত্ত্ব অংশে শুরু করবো। অনেক বিশাল এক প্যাচাল আছে, একেবারে ঝোপের উপর লাঠির বাড়ি দিলে যেখানে পৌছাবে সেটা হলো ইশ্বর কি ছয় ধাপে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন? বুকাইলির বক্তব্য না 8টা ভাগ আছে, ওগুলোকে কোনো এক ভাবে 6 পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়, অনেক বড় প্যাচালি সুতরাং আমি সম্পুর্নটা অনুবাদ করতে যাচ্ছি না, বাংলা অনুবাদ দেখে যাচাই করে নিলেই হবে, বেশ কিছু কোরানের আয়াতের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রচেষ্টা এটা এটুকু বুঝলেই হবে, আয়াতগুলো সুরা 41 আয়াত 9 থেকে 12 এর পর আসছে সুরা 7 আয়াত 54 সুরা 2 আয়াত 29 সুরা 20 আয়াত 4 সুরা 7 আয়াত 54 সুরা 10 আয়াত 3 সুরা 11 আয়াত 7 অনেক বড় লিষ্টি, এসব সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক আয়াত সংকলনের পর তাদের অর্থ দেওয়া আছে। এসব কথার পর তার বক্তব্যের সারাংশ সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে কোরানে 5 ধারার তথ্য আছে মুল অংশ ইংরেজিতে তুলে দেই বাংলা অনুবাদ যথার্থ মনে হচ্ছে না। 1. Existence of six periods for the Creation in general. 2. Interlocking of stages in the Creation of the Heavens and the Earth. 3. Creation of the Universe out of an initially unique mass forming a block that subsequently split up. 4. Plurality of the Heavens and of the Earths. 5. Existence of an intermediary creation 'between the Heavens and the Earth'. এর পরের অংশে সংজ্ঞা আছে, সৌর জগত কি, গ্যালাক্সি কি, এবং এর পর কিভাবে এদের উৎপত্তি হলো সেটার বর্ননা। হাইড্রজেন এবং হিলিয়ামের পুঞ্জ থেকে ঘনীভুত হতে হতে গ্যালিক্সি এবং সেখানের ক্ষুদ্্র ক্ষুদ্্র অংশ ঘনীভুত হয়ে নক্ষত্র তৈরি, (বাংলা অনুবাদ আরও ভালো হতে পারতো তবে আমি অনুবাদকের কাজ করছি না আমি শুধুমাত্র মুল বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি সুতরাং আমার অনুবাদের ফাঁক না ধরে বক্তব্য অনুধাবন করলে ভালো হয়।) সৌর জগতের উৎপত্তি সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত, তবে এটা মোটামুটি সত্য মেনে নেওয়া হয়েছে পর্যবেক্ষন থেকে একটা সুপারনোভা বিস্ফোরিত হওয়ার পরে সৌরজগত তৈরি হয়েছে, যদিও বুকাইলি সাহেব নক্ষত্রের ধারাবাহিক বিবর্তনের বৈজ্ঞানিক ধারাটা বর্জন করে বেশ চমকপ্রদ বক্তব্য দিয়েছেন, যাই হোক বহুপৃথিবীর ধারনাটাও আছে এখানে, অবশ্যই পরিসংখ্যানিক কল্পন তবে এটা প্রচলিত ধারনা গবেষক মহলে। কেউ প্রমান করতে পারেন নি এখনও তবে এটার সত্যতা অপ্রমানিত হয় নি বিধায় সত্য। এবং পরবর্তি অংশ মহাশুন্যে ইন্টার সিলেস্টিয়াল ডাস্ট। কোরানের আয়াতের সাথে সাজুয্য বজায় রাখতে তাকে এ বিষয়গুলো আনতে হয়েছে আলোচনায়। এবং এর পরে আসল অংশ এত কথা বলে তিনি যা প্রমান করতে চেয়েছিলেন সেটা এসেছে-- We shall examine the five main points on which the Qur'an gives information about the Creation. 1. The six periods of the Creation of the Heavens and the Earth covered, according to the Qur'an, the formation of the celestial bodies and the Earth, and the development of the latter until (with its 'sustenance') it became inhabitable by man. In the case of the Earth, the events described in the Qur'an happened over four periods. One could perhaps see in them the four geological periods described by modern science, with man's appearance, as we already know, taking place in the quaternary era. This is purely a hypothesis since nobody has an answer to this question. It must be noted however, that the formation of the heavenly bodies and the Earth, as explained in verses 9 to 12, sura 41 (see page 136) required two phases. If we take the Sun and its subproduct the Earth as an example (the only one accessible to us), science informs us that their formation occurred by a process of condensation of the primary nebula and then their separation. This is exactly what the Qur'an expresses very clearly when it refers to the processes that produced a fusion and subsequent separation starting from a celestial 'smoke'. Hence there is complete correspondence between the facts of the Qur'an and the facts of science
এর পর এসেছে
3. Science showed the interlocking of the two stages in the formation of a star (like the Sun) and its satellite (like the Earth). This interconnection is surely very evident in the text of the Qur'an examined.
4. The existence at an early stage of the Universe of the 'smoke' referred to in the Qur'an, meaning the predominantly gaseous state of the material that composes it, obviously corresponds to the concept of the primary nebula put forward by modern science.
5. The plurality of the heavens, expressed in the Qur'an by the number 7, whose meaning we have discussed, is confirmed by modern science due to the observations experts in astrophysics have made on galactic systems and their very large number. On the other hand the plurality of earths that are similar to ours (from certain points of view at least) is an idea that arises in the text of the Qur'an but has not yet been demonstrated to be true by science; all the same, specialists consider this to be quite feasible.
6. The existence of an intermediate creation between 'the Heavens' and 'the Earth' expressed in the Qur'an may be compared to the discovery of those bridges of material present outside organized astronomic systems.
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন