বেশ বিতর্কিত হব ধরে নিয়েই লিখছি, আবারও মুরতাদ মোনাফেক ইত্যকার বিশেষনের জন্য প্রস্তুত হয়েই শুরু করি লেখাটা। বিষয়বস্তু সংস্কারের।
ব্লগের শুরু থেকেই ধর্ম যুক্তি ভ্রান্তি এবং এসবের সহযোগি বিষয় নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে কেউ পক্ষে কেউ বিপক্ষে। ইসলামে নারীর অধিকার, ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতা,(যদিও অজানা এক কারনে কতৃপক্ষ এটাকে কখনই ফ্রন্টপেজে স্থান দিচ্ছেন না, ওটার উপর সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন নোটিশ থাকা সত্তেও এবং এখানে আসা অধিকাংশ ব্যাক্তিই বাংলা লিখতে এবং পড়তে জানেন এ ধারনা থাকা সত্ত্বেও ওটা স্থান পাচ্ছে না ফ্রন্ট পেজে), এবং আমি বেশ অনেক দিন ধরেই এই কথা বলছি যে ধর্ম মানুষের সৃষ্টি, ইশ্বর ধর্ম তৈরি করেন নি, এটা থাকা সত্তেও এখনও তেমন বাধার সমুক্ষিন হই নি এটার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করি লেখা।
ইসলামের মূল ভিত্তি কোরান ও হাদিস। মরিস বুকাইলি বেশ চমৎকার একটা বই লিখেছেন বাইবেল কোরান ও বিজ্ঞান নিয়ে, সেখানে কোরানের আয়াতের গুঢ় অর্থ নির্নয়ে সচেষ্ট ছিলেন তিনি। কখনও কখনও প্রয়োজনে সরাসরি োার্থ গ্রহন করেছেন ভদ্্রলোক, কখনও কখনও আরো গভীরে গিয়ে ভাবগত, মূলগত ধোয়া তুলে তার বক্তব্যের সপক্ষে প্রমান এনেছেন, যদিও পৃথিবী সমতল এবং পৃথিবীর উপরে পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করা বিষয়ের বক্তব্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না পেয়ে ওটাকে আরবের মরুচারি লোকদের জন্য নাজেলকৃত দাবি করেছেন। যাই হোক তাকে সমালোচনা করার জন্য আমি লিখছি না এটা। কথা হলো কোরানের প্রায় 30টি জায়গায় এ দাবি করা হয়েছে এটা আল্লাহর তরফ থেকে নাজেলকৃত কেতাব এবং এটাকে সরল ভাষায় অবতীর্ন করা হয়েছে। এটার কোনো েগোপন অর্থ নেই কোরানের বানীর ভিত্তিতে আমরা এ উপসংহারে পৌছাতে পারি। এটার কিছু কিছু কথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকবেই, হাদিসের কিছু কিছু কথায় বৈজঞানিক ভিত্তি থাকবেই, সভ্যতার সাথে অর্জনকৃত জ্ঞান, আয়ুর্বেদ আর কবিরাজি চিকিৎসাও প্রায় প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে চলে আসা চিকিৎসা পদ্ধতি, সেসব ভেজষের জৈব রাসায়নিক গুনাবলিমানুষের রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে এটা আমরা জানতে পারছি বৈজ্ঞানিক গবেষনার একটা স্তরে পেঁৗছানোর পর। সেসব সাধারন জ্ঞানের মতো অতি স্বাভাবিক বিষয়কে অলৌকিক করে তোলার মধ্যে কোনো মাহত্ব খুঁজে পাচ্ছি না আমি। কিন্তু মানুষের বিশ্বাসের উপর কুঠারাঘাত করা উচিত নয়, যারা বিশ্বাস করে কোরান ইশ্বর প্রেরিত গ্রন্থ যার একটা কপি লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত তারা বিশ্বস করে আনন্দ পাক, এ সংক্রান্ত কোনো বিশ্বাসে আঘাত না করে আমি মূল বক্তব্যে যাই।
কোরানের আইন বলে একটা বিষয় বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের মতো উড়ছে, কি আছে সে আইনে?
চুরির শাস্তি হাত কাটা
হত্যার শাস্তি পালটা হত্যা। টিথ ফর টিথ আই ফর আই। নিক্তিতে মাপা হিসেব,
তালাকের নিয়মকানুন, ওটা নিয়ে আলোচনা চলছে জোড়দার সেটা নিয়ে কথা না বলি আমি।
ব্যাবসায়ে প্রতারনা না করার নির্দেশ।
মুমিনের করনীয় এবং যুদ্ধজয়ের 1/5 ভাগ জনগনের সম্পদ, বাকি অংশ যোদ্ধাদের।
তবে বিকলাঙ্গ দের কোনো অপরাধ নেই।
এখানেই প্রথম সমস্যাটা আসে।
একজন চুরি করলো, তার হাত কাটা গেলো। সে বিকলাঙ্গ, তাই একবার চুরি করে ধরা পড়ার পর সে শাস্তি পেয়ে যেকোনো অপরাধ করতে পারবে এবং সে ইসলামি আইনে নিরপরাধ বিবেচিত হবে।
সভ্য সমাজে চুরির মতো নিরীহ অপরাধে একজনকে বিকলাঙ্গ করে ফেলাটা সমর্থন করছে না। সভ্যতার অগ্রগতি সাথে এসব নোংরামি আমরা বর্জন করেছি।
খুনের বদলা খুন পদ্ধতি নিয়ে জোড় তদবিড় চলছে কেউ কেউ হত্যার বদলে হত্যার নিয়মটাও রদ করতে চান। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ নিয়মটা চালু হয়েছে। সেখানে আমরা কোরানের এই দুটো আইনকে প্রঝঞাপন জারীর মাধ্যমে রদ করে দিতে পারি। এটাই সভ্যতার এ যুগে সবচেয়ে উপযুক্ত কাজ হবে।
এর পর পাথর ছুড়ে হত্যার বিধানগুলোকে রদ করার প্রস্তাবনা দিবো। যদিও কোরানের বানি অনুযায়ি 4 জন সাক্ষী থাকতে হবে ব্যাভিচারের তবে এখানে একটা গলদ আছে, এক জন প্রকৃত মুসলিম যদি পর পর 4 বার ইশ্বরের নাম নিয়ে বলে তাহলে এক জনই অন্য একজনকে ব্যাভিচারি সব্যস্ত করতে পারবে।
পালটা বিচার হলো মেয়েটাকেও একই অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেও যদি 4 বার ইশ্বরের নাম নিয়ে ব্যাভিচারে অভিযোগ অস্ব ীকার করে তবে পুরুষ দোষি হবে। আমি তেমনটাই বুঝেছি।
কথা হলো প্রকৃত মুসলিম শব্দটা, এটা কিভাবে নির্ন ীত হবে? কাউকে প্রকৃত মুসলিম ঘোষনার অধিকার পার্থিব মানুষের নেই, সুতরাং এ ক্ষেত্রে বিধান কি হবে? আর অন্য একটা অসঙ্গতি হলো কোরানের সব খানেই 1 জন পুরুষ সমান 2 নারী ঘোষনা দেওয়া হয়েছে( বিশ্বাস না হলেও এটা সত্য নারীর ক্ষমতা পুরুষে রঅর্ধেক কোরানের মতে তাই মেয়ে সাক্ষি দিলে 2 জন মেয়ে লাগবে ছেলে সাক্ষি দিলে 1 জন হলেই হবে।) কিন্তু ব্যাভিচারের ঘোষনা দেওয়ার সময় নারীর অধিকার পুরুষের সমান।
ব্যাভিচারের সংজ্ঞা নিরূপন করা প্রয়োজন, এটার জন্য পাথর ছুড়ে হত্যার বিধানটা বর্বর হিসেবে সব্যস্ত করে এটাকেও রদ করা হোক।
তাহলে কোরানের আইন বলে কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না, এ ক্ষেত্রে কোরান শুধু মানুষের জীবন বিধান হয়ে যাক ঘোষনা দেওয়া হোক এটা কখনই রাষ্ট্রের আইন পরিনত হতে পারবে না। কারন সম্পদ বিতরনে ইসলামি শরিয়া আইনকে রদ করার চেষ্টা চলছে বর্তমানে।
আর সাদেক একটা প্রসঙ্গে বলেছিলো অনেক হাদিসে নাকি গলদ আছে, আজ আস্ত মেয়ের লেখায় পড়লাম বুখারির হাদিসেও নাকি গলদ, (সাহীহ নয় মানে সঠিক নয়, সঠিক নয় মানেই ভুল বা গলদ) সে ক্ষেত্রে োইসলামিক বিশষজ্ঞরা যাচাই বাছাই করে হাদিসের প্রামান্য একটা সংকলন দিক যেটা মুসলিম উম্মাহরা সঠিক বলে ঘোষনা দিবে এবং সেটার ভিত্তইতে সুন্নত পালিত হবে।
মুখরা হাদিস, সেচ্ছাপ্রনোদিত হাদিসের হয়রানি থেকে আমরা মুক্তি পাই, হিল্লা বিয়ের অপমান থেকে মুক্তি পাই আমরা।
আমাদের সামনে আগাতে হবে সময়ের সাথে, যুগের সাথে যুগের ধারার সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ফিকহবিদরা আছেন তারা যুগউপযোগি আইন আইন প্রনয়ন করুন অথবা আইন ঘোষনাকে রাষ্ট্রিয় মেনে নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা এবং ইসলামের মূল নীতিগুলো প্রচারে কার্যে নিয়োজিত হোক।
ইসলামের মূল বানী স্রষ্টার প্রতি আত্মসমর্পন। এটাকেই আমরা পালন করি শুধু। নামাজ সমর্পনের একটা উপায়, দিনে 5 বার আমরা স্রষ্টাকে স্মরণ করে তার কাছে নিজেদের সমর্পন করি, তার বরাদ্দকৃত খাদ্য গ্রহন করি, তার মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট কাজগুলো করি। এবং কিছু অংশ পরিবর্জন করি, যেমন, কাফের হতয়াপ্রকল্পে নাজেলকৃত আয়াতগুলো বর্জন করে ফেলি। এখানে শুনলাম কোরানের সুন্নতে খাৎনা নাকি সৌদইআরবের লোকেরা আগেই করে ফেলেছে, তারা যদি একবার করতে পারে আমরা কেনো যুগের উপযোগি করে কোরানের অগ্রহনযোগ্য অংশগুলো বর্জন করতে পারবো না।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন