বুকাইলির কোরান ও বিজ্ঞান

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ১৯/০৩/২০০৬ - ৫:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকাইলির বাইবেল কোরান ও বিজ্ঞান নিয়ে লেখাটা সমাপ্ত হয়েছিলো সৃষ্টিতত্ত অংশে গিয়ে। বুকাইলি আরও অনেক লিখেছেন, এর পরবর্তি অংশ পৃথিবী এবং সৌরজগত নিয়ে কোরানের বানী।
বুকাইলির দাবি, সূর্য নক্ষত্র এবং চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে উজ্জল হয় এ ধারনাটা প্রথম এসেছে কোরানে।
দাবিটা ভুল, কিন্তু বুকাইলি বিষয়টাকে অতিলৌকিক রূপ দেওয়ার চেষ্টায় এটা অস্ব ীকার করেছেন( যেমনটা করেছেন সৌরজগত সৃষ্টি প্রসংগে তার পছন্দনিয় অংশটা গ্রহন করে বাকি কয়েকটি প্রচলিত মত বিসর্জন করে?) অথবা এটা তার চোখ এড়িয়ে গেছে?
সূর্য গ্রহন কালে চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে এই অনুমান করে এর সপক্ষে কয়েকটা কথা বলেছেন গ্র ীক মনিষীরা। এসব ধারনা বাহিত হয়ে গেছে মিশরের উপকূলে, সেখানে থেকে সিরিয়া, সেখান থেকে আরব জাহান। এ প্রসংগে কোরানের একটা আয়াতে রঅনুবাদ দেই, তিনি দুটি সমুদ্্রকে পৃথক করেছেন একটি পর্বত মালা দ্্বারা,
এ পর্বতমালা যা পরে সুয়ে জ খাল হিসেবে ছিন্ন হয়ে 2টি সাগরকে যুক্ত করেছে। সিরিয়া হলো 3টা মহান সভ্যতার সংগমস্থল। 3টা মহাদেশের সংগম স্তল। 3 মহাদেশের 3 উন্নত সভ্যতার সবচেয়ে কাছাকাছি ভূমি।
বুকাইলির বইয়ে ফিরে যাই বাক্য ব্যায় না করে।
সূর্যের কক্ষপথের কথা এসেছে, চাঁদের কক্ষপথের কথা এসেছে, এসব নিয়ে কথা না বলে পৃথিবী বিষয়ক কোরানীয় আলাপনে যাই, এবং এর বুকাইলিয় ব্যাখ্যা দেখি।

পৃথিবীকে অমাদের আবাসস্থল হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, এতে আমি নদী প্রবাহিত করেছি, এর মধ্যে আমি পর্বতস্থাপন করেছি, এর মধ্যে আমি পথ তৈরি করেছি, এর মধ্যে আমি শস্য ৎটপাদন করিয়েছি, এর মধ্যে উৎপাদন করেছি ফলফলাদি, এর উপরে চড়তে দিয়েছি পশু যা তোমরা খাও এবং যার চামড়া পরিধান করে তোমরা বিরূপ প্রকৃতির মোকাবেলা করো।
মোটামুটি এই কথাগুলোই বিভিন্ন আয়াতে বলা আছে।
পৃথিবী সমতল নয়, পৃথিবী গোলাকার, এই একটা বিষয় কোরানে সঠিক বলা নেই, যেটা বলা সবচেয়ে সহজ হতো কারন পৃথিবীর গোলত্বের ধারনাটা তখন বেশ প্রতিষ্ঠিত।
2য় টা হলো পর্বত স্থাপন, পর্বত উত্থানের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো জিওগ্রাফিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ। এর একটা সংঘর্ষ সামপ্রতিক সুনামির কারন, যারা একটু অনবগত তাদের জন্য বলা, হিমালয় পর্বতের উচ্চতা প্রতিবছর কয়েক সেন্টিমিটার করে বাড়ছে, কারন এই খানের 2টা প্লেট পরস্পরের দিকে সরে আসছে।
এটাই হলো পর্বতের পেছনের কাহিনি এটাকে স্থাপন করতে হয় নি এটা উত্থিত হয়েছে।

যেমন আরও একটা হাস্যকর কারন পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ এর বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নাই, শুকতারা বলে দাবি করা শুক্র যে আসলে গ্রহ এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। গ্রহ বিষয়ে কোনো কথাবার্তাই নেই, নক্ষত্র এবং গ্রহকে একই ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
7 আসমানের বুকাইলিয় ব্যাখ্যা হলো এটা অসংখ্য আসমানের নির্দেশক, কিন্তু কোন আসমান? বুকাইলির ধারনা সৌরজগতকে প্রথম আসমান বলা হচ্ছে তাহলে পরবর্তি আসমানগুলো কি কি??
মিরাজের সময় বিভিন্ন নবীর অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু কথা আছে, তারাই বা সেখানে কি করছিলো??

পানিচক্র এবং কোরান নিয়ে কিছু কথা আছে, আকাশ থেকে পানি পড়ে, অর্থ্যাৎ বৃষ্টি, বৃষ্টিপাতের পরোক্ষ কারন সমুদ্্রের পানি বােেষ্প রূপান্তরিত হয়ে বৃষ্টি যখন মরূভুমিতে পড়ে কোথায় যায়?
বালি শুষে নেয়, কোরানের বানীতে এই বর্ননা থাকতেই পারে। কিন্তু এসব সহজ অবলোকনের অতিলৌকিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন কোথায়??
েকোরানের সমুদ্্রগামীতার আগেই সমুদ্্রের ব্যাবহার জানতো মানুষ, জাহাজের ব্যাবহার জানতো, জানতো বিভিন্ন চোরা স্রোত আর বিভিন্নমুখী বাতাসের কথা, এসব যখন কোরানে উঠে আসে ওটা কোরানের অলৌকিকত্ব প্রমান করে না, অবশ্য এটা নিয়ে বলে লাভ নেই বোধ হয়,
আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত হলো, কোরানে বর্নিত এমন কোনো ঘটনা বা ইশারা নেই যা সে সময় মানুষের অবগত ছিলো না, সেই সমসাময়িক ধারনাগুলোই কোরানে আছে, পর্বত সৃষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞান ছিলো না মানুষের তাই এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কথা নেই কোরানে।
গ্রহ এবং নক্ষত্র বলে আলাদা কিছু ছিলো না, ছিলো গ্রহ এবং খসে পড়া তারা( উল্কা, কোরানে বর্নিত আছে, আসমানের দেয়ালে কান পেতে শয়তান যখন ইশ্বরের গোপন কথা শুনতে চায়, তখন ফেরেশতারা ঢিল ছুড়ে, সেটাই উল্কা, ) এখনকার বিজ্ঞান বলছে, উল্কা অতি প্রাচীন কোনো ধুমকেতুর ধ্বংসাবশেষ, যা পৃথিবীর মহাকর্ষের প্রভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে বাতাসের ঘর্ষনে জ্বলে উঠলে আমরা দেখতে পাই,

মানুষ যখন সুয়েজ খাল কাটলো তখন ইশ্বরের প্রানে ব্যাথ্যা লেগেছিলো কিনা সেটা জানতে ইচ্ছা করে আমার।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।