রাজাকারদের বিচারপ্রসংগে

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ১৩/০৫/২০০৬ - ৩:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাইমুম একটা প্রশ্ন তুলেছিলো রাজাকারদের বিচার নিয়ে, কেনো রাজাকারদের বিচার করা সম্ভব হলো না এই দেশের মাটিতে।
অনেকগুলো তত্ত্ব আছে এর জন্য যেই পরিমান তথ্য প্রয়োজন তা এই মুহূর্তে হাতের কাছে নেই, তাই এই কয় দিন বিভিন্ন সূত্র থেকে যোগার করে যতটুকু বুঝলাম তা বলার চেষ্টা করি,
রাজাকার, আলবদর, আল শামস শান্তি বাহিনী তৈরি করা হয়েছিলো পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে, এটা সামরিক বাহিনীর সংযুক্ত শাখা, কারন এই রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের জন্য বেতন পাওয়া যেতো, এদের কাজ ছিলো
পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীদের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা
বিশেষত মুক্তিবাহিনী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চিহি্নত করা।
এরা মূলত মুসলিম লীগ, জামাত এ ইসলামি এবং বিভিন্ন ইসলামি দলের সমর্থকদের নিয়ে তৈরি একটা দল। এই ইসলামি জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসি দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলো বিভিন্ন মানবতা বিরোধি কার্যকলাপে। এই সত্য অস্ব ীকারের উপায় নেই যে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা 1971এ
প্রায় 450000 নারীকে ধর্ষন করেছে বা ধর্ষনের কাজে সহায়তা করেছে। যেমন তাদের অফরন করা, বা জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর ক্যাম্পে পৌছানো,
মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হেনেস্থা করা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হত্যায় সহযোগিতা করা এবং লুণ্ঠনের কাজে অংশগ্রহন করা।
রাজাকারদের সবার মনস্তত্ত্বে একটা বিষয় ছিলো তীব্র সামপ্রদায়িকতা এবং হিন্দু বিদ্্বেষ, এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ, শত্রু আইন বাস্তবায়নের নামে যারা হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছে এবং সামাজিক সুবিধা পেয়েছে বিশেষত সামরিক সরকারের কাছ থেকে তাদেরই 71এ পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর তল্পিবাহক হিসেবে দেখা গেছে, এবং তারা তাদের এই ঐতিহ্য অক্ষত রেখেই 71এও একই কাজগুলো করেছে। তাই পুরানো ঢাকায় সংখ্যালঘুদের বাসায় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের সচ্ছল হিন্দু পরিবারের সব বাসায় এরা লুটপাট করেছে, এবং এদের অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুন,
এই হিন্দু বিদ্্বেষের উৎস প্রাচীন, প্রধানত হিন্দু রাজনৈতিকরা সব সময় একটা সমপ্রদায়িক সমপ্রিতি এবং বাঙালি জাতিয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করতে চেয়েছে। ইসালমি জাতিয়তাবাদের বিপক্ষে হুমকি ছিলো এই সব শিক্ষিত মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্য বিত্ত হিন্দু রাজনৈতিকবৃন্দ, শিক্ষা এবং উদার মনোভাবের জন্য এরা সব সময় মুসলিম জাতিয়তাবাদের সংকীর্নতার বিরুদ্ধে সরব, তাদের কৌশলে দেশত্যাগী করার প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে, যে কারনে শত্রু সম্পত্তি আইন তৈরি করা হলো, হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়িয়ে দেওয়া হলো, প্রচুর হিন্দু দেশত্যাগ করলো কিন্তু কিছু দেশপ্রেমিক হিন্দু পরিবার দেশ ত্যাগ করলো না আর এই সচেতন গোষ্ঠিকে নিয়ন্ত্রন করার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিলো না সামরিক সরকার এবং ইসলামি জাতিয়তাবাদের ধ্বজাধারি মৌলবাদি দলগুলোর, তাই তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছিলো সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই।
পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী এবং এদের সহায়ক রাজাকার গোষ্ঠি দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অত্যাচার করেছে তার একটা উদাহরন হতে পারে নড়াইলের একটা গ্রাম, বায়না গ্রাম, 25শে মার্চের পর অনেক শহুরে পরিবার এখানে আশ্রয়ের জন্য এসেছিলো, পথিমধ্যে যারা প্রানত্যাগ করেছে তাদের কথা অনুচ্চারিত থাক, এই গ্রামে এক দিন রাজাকারবাহিনী সহ পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনি প্রবেশ করলো, গ্রামের সকল অধিবাসিকে সার বেঁধে দাড়াতে হলো মাঠের উপর, সেখানে থেকে সক্ষম সকল পুরুষকে আলাদা করা হলো, এবং তাদের গুলি করে এবং বেয়ানেট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হলো। নারীদের বাছাই করে কিছু মেয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো পাকিস্তানি বাহিনির ক্যাম্পে, এই খানে পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর যে ক্যাম্প ছিলো সেখানে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা এইং এদের সমর্থকদের ধরে এনে অত্যাচারের পর হত্যা করা হতো। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই গ্রামের বধ্যভুমিতে প্রায় 2700 জনকে হত্যা করা হয়।

15 থেকে 20 লক্ষ মৃত মানুষের তালিকা রয়েছে, যারা 71এ স্বাধিনতা যুদ্ধে নিহত হয়েছে, এবং এদের হত্যায় সহযোগিতা করেছে রাজাকার বাহিনী, কখনও সক্রিয় ভাবে হত্যায় অংশগ্রহন করেছে কখনও মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে, কখনও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়তা করেছে হত্যা এবং ধর্ষনে, এমন অনেক নিহত মানুষের কথা সরকারি তালিকায় উঠে নি, সবার নাম উঠানোর কাজটা কোনো সরকারই খুব আগ্রহ নিয়ে করেছে এমন প্রমান নেই, একটা সংগঠন তৈরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান সংস্থা, প্রাজন্ম 71 তৈরি হয়েছে কিন্তু এদের সবার যেই দাবি সেই দাবি পূরন হয় নি, 1972এ মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর রাজাকার ধরেছে এবং তাদের জেলে রাখা হয়েছিলো, কোনো কোনো জেলে 1200 থকে 1500 রাজাকার বন্দি ছিলো।
এদের বিচারের দাবি উঠে স্বাধিনতার ঠিক পর পরই, 18ই ডিসেম্বর দৈনিক বাংলায় এদের বিচার চেয়ে সম্পাদকিয় লেখা হয়, 25শে ডিসেম্বর একটা তদন্ত কমিটি গ্রহন করে অভিযুক্ত রাজাকারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহনের আবেদন করা হয়, মুজিবর রহমান দেশে ফিরে আসার পর 8ই ফেব্রুয়ারি একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং এর রিপোর্ট প্রকাশের সময়কাল বেণনধে দেন 3 সপ্তাহ, 17ই মার্চ সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয় নি, সেই দিন শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যরা 32 নং রোডে যায় হত্যার বিচার চাইতে, আবারও তাদের আশ্বস্ত করা হয় বিচারের বিষয়ে, এবং এর পর দালাল আইন প্রণয়ন করা হয়, এবং এই আইনের দূর্বল দিকগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর আবার সংশোধন করা হয়। এই দালাল আইন রদ করা হয় জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহনের পর।
মুজিবের হত্যার পর বন্দি শীর্ষ পর্যায়ের রাজাকার নেতৃবৃন্দ কে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং রাজনীতিতে পূর্নবাসিত করা হয়,

এর বিস্তারিত বিবরন পাওয়া যাবে বিভিন্ন সূত্র থেকে, সুতরাং এই বিষয়ে বেশি বাক্য ব্যায় না করে মূল বিষয়ে যাই, রাজাকারদের বিচারের জন্য আমরা কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি এবং কেনো রাজাকারদের বিচার হওয়া উচিত।

প্রথমত যুদ্ধ অপরাধি হিসেবে রাজাকারদের বিচার হওয়া উচিত। যুদ্ধ অপরাধের যতগুলো লংঘন সম্ভব সবগুলোই করেছে রাজাকার বাহিনী। এ জন্য আমাদের জেনেভা কনভেনশনের কথাগুলো পড়তে হবে, যেখানে বলা আছে সক্রিয় ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহন না করা সকল মানুষকে নিরাপত্তা এবং সম্মান দিতে হবে, তারা যদি নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধঅধু্যষিত এলাকা ছেড়ে যেতে চায় তাহলে তাদের নিরাপদে যেতে দিতে হবে, তাদের উপর কোনো অত্যাচার করা যাবে না, অসামরিক স্থাপনায় কোনো রকম আক্রমন করা যাবে না, সাধারন নাগরিকদের কোনো রকম হেনেস্থা করা যাবে না, যেকোনো নিরপেক্ষ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হলেই যুদ্ধ অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র আক্রমন করা যাবে না, যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈন্যদের যথাপোযুক্ত সম্মান দিতে হবে, কোনো ধৃত সৈন্যের উপর অত্যাচার করা যাবে না। কোনো নারীর উপর অত্যাচার করা যাবে না এবং এই কাজে সহযোগিতা করা যাবে না।
জেনেভা কনভেনশন লংঘন হওয়াটাই যুদ্ধ অপরাধ বিবেচিত হয়, প্রায় 100 বছর ধরে যুদ্ধাবস্থায় এই নিয়মগুলো পালিত হচ্ছে, এবং যুদ্ধরত সকল পক্ষ এই নিয়মগুলো মেনে চলবে এমনটাই নিয়ম।
এই নিয়মটা তৈরি করেছে যারা তারা কোনো ধর্ম বা রাজনৈতিক ভিত্তিতে এই নিয়মগুলোকে তৈরি করেন নি, বরং সাধারন মানবিকতার দৃষ্টি থেকে মানবিক আচরনকে বর্বরতা থেকে পৃথক রাখার জন্য কিছু নীতিমালা তৈরি করেছেন মাত্র। জেনেভা কনভেনশন লংঘন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বিবেচিত হয়, এবং এই মানবতার বিরুদ্ধে অরাধ বিচার করার জন্য একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে, ওখানে যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবতা লংঘনের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে এবং সেখানে বিচার চাওয়া যাবে,
যদিও এই বিচর কমিশনের সদস্য নয় এখনও বাংলাদেশ, পাকিস্তানও এখনও সদস্য নয় এই সংস্থার, কিন্তু বিশ্বের প্রায় 100টি দেশ এই সংস্থার সাথে যুক্ত।
আমরা আন্তজাতিক ভাবে পাকিস্তানিদের বিচার চাইলে এবং এই সাথে এদের সহেযোগি রাজাকার বাহিনীর বিচার চাইলে আমাদের জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে, এবং যদি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ি কোনো সদস্য ভেটো না দেয় তাহলে এর বিচার করা সম্ভব।
আমেরিকা আন্তর্জানিত বিচার কমিশনের সদস্য নয়, হয়তো তাদের ক্রমাগত মানবিধাকার লংঘনের বিষয়টা এবং বিভিন্ন যুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংশ্লিষ্ঠতার বিচার থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টায় এই কাজ, আমেরিকা এমন মানবাধিকার নীতিমালার কোনো টারই সদস্য নয়,
এবং আমরা যদি দেশেও রাজাকারদের বিচার করতে চাই আমাদের দালাল আইন পুনরায় প্রণয়ন করতে হবে, এবং সংশোধিত রূপে যেনো এবার কোনো হাস্যকর যুক্তির প্রকোপে যেনো এবার তারা ছাড়া পেয়ে না যায়।
একটা বিচারের ফলাফল মনে পড়ছে-
অভিযুক্তকে 7 বছরের জেল এবং জরিমানা করা হয়েছিলো।
পরবর্তিতে অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আপীল করে, এবং বিচারক তাকে খালস করে দেন- সেই বিচারকের রাজনৈতিক আনতি পাকিস্তানি জাতিয়তাবাদ বা ইসলামি জাতিয়তাবাদ, এটাকে যদি প্রেক্ষপট থেকে বাদ দিয়ে দেই তাহলে ভুল হবে তারপরও তার রায়ে বলা কথাগুলো কৌতুকপূর্ন
যেহেতু অভিযুক্ত জামাত এ ইসলামির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলো এবং যেহেতু এই দলটা স্বাধিনতার বিরোধিতা করেছে তাই এই অবস্থান সাক্ষিদের সাক্ষ্যকে প্রভাবিত করেছে এবং একই সাথে বিচারকদের বিবেচনাবোধকে প্রভাবিত করেছে, তাই এ ক্ষেত্রে সঠিক বিচার হয়েছে বলা যায় না, বরং বেনিফিট ওফ ডাউট থেকে অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হলো।
কথা হলো এই সত্যটা সবাই জানে এটা কিভাবে মানুষের বিবেচনা কে অন্ধ করে?

আমরা আরও একটা বিষয় স্মরণ রাখতে চাই, যখন জনতার আদালতে বিচার হলো তখন বগুরা থেকে 3 জন বীরাঙ্গনা এসেছিলো সাক্ষ্য দিতে, যখন তারা ফিরে গেলো তাদের আবাসে তখন সমস্ত লোকালয় তাদের এই অত্যাচারের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলো না বরং তারা বিদ্্রুপ করেছে তাদের নিয়ে এবং সেই বীরাংগনাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিলো। এই রকম মানসিকতা থাকলে অনেকেই রাজাকারদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সাহস পাবে না, এমন কি যেভাবে রাজাকাররা ক্ষমতার অংশিদার হয়েছে এবং তাদের পেটোয়া বাহিনী যেভাবে দেশব্যাপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাতে সামাজিক নিগৃহনের চেয়ে নিপীড়নের ভয়ে অনেক লোকই রাজাকারদের কূকর্মের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সাহস পাবে না।
আমাদের এই সব তথ্যপ্রমান সংগ্রহ করতে হবে, বিভিন্ন প্রকাশিত তথ্যমাধ্যমে রাজাকারদের যাবতিয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং নাম ঠিকানা এবং কূকর্মের বিবরন সংগ্রহ করে এই সব সংরক্ষন করতে হবে।
যখনই আমরা একটা স্বাধীন বিচার বিভাগ পাবো তখনই আমরা এই সব মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের দাবি করতে পারবো, তখন যেনো পর্যাপ্ত তথ্য প্রমানের অভাবে কেউ ছাড়া পেয়ে না যায় এই বিষয় নিশ্চিত করতেই আমাদের কাজ করতে হবে।
অবশ্যই এই মাটিতে রাজাকারদের বিচার হবে, পাকিস্তানের মাবাধিকার কর্মিরা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত 200 সৈন্যের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি তুলেছে, আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি তারা এখনও বিচার না করে এই রাজাকারদের রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশিদার করেছি এটা আমাদের জাতিগত লজ্জা।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।