এই আলোচনার মূল সুর সংস্কৃতি, কৃষ্টি মানুষের যৌগিক চেতনার উৎপত্তি এবং আমাদের সরলিকরন প্রক্রিয়া, বাকি অংশ এই ভাবনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন চিন্তার আঁচর। এখানে বিবেচিত বিষয়ের মধ্যে আমার ধারনায় সমাজগঠনের মূল প্রক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের পার্থক্য কিভাবে সমাজের সত্তাকে বদলে ফেলে এটার উপর আমার অনুভব, মানুষ মাত্রই অনিশ্চয়তায় ভুগে, এটাও আমার অভিমত, সত্যকে যাচাই করার মূল উপায় পরীক্ষন, কিন্তু সমাজের মতো অনেক লতানো প্যাঁচানো জীবন্ত সত্ত্বাকে পরীক্ষন করার জন্য যেই বিচ্ছিন্নতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই, আমরা মানুষকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যাবহার করতে পারি না, এবং বিষয়টা মানবিকও না আমার বিবেচনায়, একেবারে প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারি মানুষকে হঠাৎ করে যন্ত্রযুগের সম্মুক্ষীন করলে তার সাংস্কৃতিক ভ্যাবাচ্যাকা ভাবটা বোঝা সহজ হতো, কিন্তু ধারাবাহিক বিবর্তনে মানুষের মানসে যন্ত্রের যে প্রভাব তা বোঝা সম্ভব হতো না বা হবে না, আমি জীবনকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মতো দেখছি, যেখানে প্রাথমিক উপযোগ এবং অন্ত উৎপাদনের মধ্যে মূলঘট মিল নেই, বরং মৌলিকত্বের ধারনাটা ব্যাবচ্ছেদ ছাড়া প্রমান করা সম্ভব নয়, সমাজ এই অর্থে অনেক বড় একটা পরীক্ষনকেন্দর, নদীর স্রোতে থেকে নদীর গভীরতা এবং গতিপথ নির্নয়ের মতো নির্বিকার এখনও হয়ে উঠতে পারি নি, হয়ে উঠতে পারি নি ততটা দক্ষ, যেখানে পরিপার্শিক সদাপরিবর্তনশীল সেখানে গতির ধারনা একটা আপাত বিষয়, আপেক্ষিকতা এই অর্থে খুব ভালো একটা বিশেষন, আমি ভালো প্রাবন্ধিক না, প্রাবন্ধিক শব্দ এবং ভাবনাকে শেকলে বেধে রাখতে পারে আমার ধারনা এবং ভাবনা যথেচ্ছাচারী, তাই ভাবনার বিচু্যতি স্বাভাবিক। এই শব্দগুলো সংযোজনের প্রয়োজন হলো কারন আলোচনা যেখানে রাখতে চেয়েছিলাম সেখান থেকে সরতে সরতে কোথায় যাচ্ছে বা যাবে সে সম্পর্কে আমার এখন কোনো ধারনা নেই।
গোত্রবিভাজন মানুষের ভেতরের একটা চলমান প্রক্রিয়া, মানুষ একের সাথে অন্যের সাযুজ্য খুঁজে বের করতে চায়, মানুষের জ্ঞানার্জনের প্রথম ধাপ এই পর্যায়ক্রমিক শ্রেনিবিন্যাস প্রবনতার ফলেই শুরু হয়েছে, সময়ের সাথে মানুষের যৌগিক চিন্তা করার ক্ষমতা বেড়েছে, মানুষের জীবন যাপনে জটিলতার পরিমান বেড়েছে, আমরা এই মুহূর্তে যতটা জটিল ভাবনার ভার নিতে পারি, যতটা উন্মুক্ত ভাবে বিশ্বাস করতে পারি প্রাকৃতিক ঘটনাবলি তার পেছনে 10000 বছরের ইতিহাস লুকানো, 10000 বছরের চর্চা আমাদের প্রতিটা উচ্চারন, প্রতিটা বিশ্বাসে, আমরা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম যেটুকু তার সামনের যেকোনো কিছু গ্রহনের জন্য আমরা অতীত ইতিহাস টেনে আনি,-**** এই আলোচনা একেবারে আমার নিজস্ব বিশ্বাসের ফসল, এর পেছনে আমার অনুভব ছাড়া অন্য কোনো তথ্যগত প্রমান আমি দেখাতে পারবো না, এমন কি এই দাবি হয়তো অনেক একাডেমিক আলোচনায় পাওয়া যেতে পারে, কিংবা নাও পাওয়া যেতে পারে,*****
আমাদের চেতনার গঠন সময়ের সাথে জটিল হয়ে উঠছে, আমাদের গোত্রবিভাজন প্রক্রিয়া এখন মোটেও সরল কিছু নয়, আমরা যদি সাধারনিকরন করতে চাই তবে আমাদের জীবনের মৌলিক বিষয়গুলোর ভিত্তিতে সাধারনীকরন করতে হবে, এই আলোচনা বা বিশ্লেষন উস্কে দিয়েছে ত্রিভূজের সামপ্রদায়িক একটা বিবেচনা, যেখানে আলোচনার টেবিলে এসেছে ধর্মবিহীন মানুষ অসৎ এবং 100 % ধর্মপ্রান মানুষ সৎ এই বাক্যবদ্ধ শব্দ কটি, মানুষের সততা, মানুষের যৌক্তিক আচরনকে সভ্যতা সৃষ্টির 5000 বছর পরের কোনো বোধ দিয়ে সাধারনীকরন করাটা আসলে উচিত কি না প্রশ্নটা এখানেই,
সেই বিশেষ পোষ্টে এই ধারনার ভিত্তিতেই সরলিকরন করা হয়েছে, ধর্ম মানেই সততা এবং ধর্মবিহীনতা মানেই অসততা। কথাটা নিপাট নিরীহ গোছের হলেও এই ধারনাটার শেকড় অনেক গভীর বিচ্ছিন্নতার জন্ম দেয়। আমাদের গোত্রবিভাজন প্রক্রিয়ায় এটা একটা নতুন ধরনের নিয়ামক। এই বিশেষ বিষয়টা সব সময় ক্রিয়াশীল একটা বিষয়, সম্মিলিত জাতিসত্ত্বার এই দেশে মাত্র 2 বছর এসেছি, এবং এখানে এসে এই এসোশিয়েশনের স্বরূপটা আমাকে বার বার বিভ্রান্ত করেছে, এখানে জাতিয়তাবোধের সংজ্ঞা সম্পুর্ন আলাদা, এটা একটা অভিবাসি সমাজব্যাবস্থা, এই মাটির সংস্কৃতি অভিবাসিরা গ্রহন করে নি, বরং তাদের সংস্কার এবং চেতনা বহন করে নিয়ে এসেছে এবং এই ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির কিছু সাধারন ঐক্য এই জাতিসত্ত্বা তৈরি করেছে, যেকোনো ঔপনিবেশিকতার ভবিষ্যত সাংস্কৃতিক অভিযোজন, কিন্তু এখানে সংস্কৃতির ধারাবাহিক বিবর্তন ঘটে নি, বরং একটা সৃষ্ট সংস্কৃতির অভিযোজ ন ঘটেছে সীমিত পর্যায়ে। সংস্কৃতি একেবারে সাধারনভাবে বলতে গেলে জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস, পরিধেয়বিবেচনা, গৃহসজ্জার ধরন এসব মৌলিক বিষয় সংস্কৃতির অংশ, ধর্ম সংস্কৃতির মৌলিক অংশ নয়, এটা চেতনার উন্নয়নের একটা ধারা, আমরা যেসব অংশকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিবেচনা করি, কিংবা যাকে কৃষ্টি নামে অভিহিত করা চলে ধর্ম সেই অর্থে কৃষ্টির পর্যায়ভুক্ত, মানুষের চেতনায় কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি শব্দদ্্বয় আলাদা কোনো বিভাজন আনে না, কিন্তু এইখানে সভ্যতার মৌলিক প্রেষনা লুকিয়ে আছে এটা আমার বিশ্বাস। বাঙালি এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতির যেই আপাত দন্দ্ব সেটার সমাধানও এখানেই লুকিয়ে আছে, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির মধ্যের পার্থক্য বাঙালি এবং বাংলাদেশির মধ্যে পার্থক্য। এই সত্যের জন্য অভিবাসি সমাজে তাকানোর প্রয়োজনীয়তা কেনো এটা ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন আগে, মানুষের যুথবদ্ধতার প্রধান কারন তার নিরাপত্তাহীনতা, মানুষ নিরাপত্তা এবং উন্নত জীবনযাপনের প্রয়োজনে যুথব্ধ হয়েছে, এই বেঁচে থাকবার মৌলিক এবং পাশবিক আচরনটা মানুষ কেনো যেকোনো পশুর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক একটা প্রবনতা, আমাদের পশু এবং মানুষ সমাজের যুথব্ধতার পার্থক্য লিপিবদ্ধ করে সংস্কৃতির উত্থানের কথাটা বিবেচনা করতে হবে, এই জীবনের বা অস্তিত্বের লড়াই মানুষ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে করছে, মানুষের প্রাথমিক উদ্ভাবনকূশীলতার কারন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। যেকোনো পশুই প্রতিকূলতায় নিজের অস্তিত্বের সংগ্রাম করছে, এই মৌলিক প্রেষনা থেকে বাকি সব যৌগিক চেতনার জন্ম। মানুষের প্রতিমাপূজার একটা অর্থ নিরাপত্তা কামনা করা, পূজা বা উপাসনার মূল লক্ষ্য এবং প্রাথমিক উপাসনার শব্দগুলোর মধ্যে বিরূপ প্রকৃতিকে তুষ্ট করার প্রবনতা দেখে এই সিদ্ধান্তে আসতে হয় যে মানুষ তোয়াজ করেছে অস্তিত্বের প্রয়োজনে, যদিও প্রাকৃতিক দূর্বিপাক উপাসনায় উপশম হয় না ,কিন্তু উপাসনার সময়ের সাথে প্রকৃতির বিপর্যয়ের মাত্রা হরাস পায়, এখানে উপাসনার কৃতিত্ব নেই, কোনো ঝড়ই চিরস্থায়ি নয়, বন্যাও চিরস্থায়ি কোনো বিষয় নয়, যেকোনো প্রাক ৃতিক দুর্যোগ সময়ের সাথে থিতিয়ে আসে, এবং এই বোধটার জন্ম আমাদের দূর্যোগব্যাবস্থাপনার উন্নতির সাথে হয়েছে, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে 100 বছর আগেও ওলা দেবির উপাসনা হতো, শীতলাদেবীর উপাসনাও হতো, জাতিধর্ম নির্বিশেষে এই শীতলা দেবি ওলা দেবির অস্তিত্ব বিশ্বাস করেছে কারন জীবানু সংক্রমনের সাথে পরিচিত ছিলো না মানুষ, এখন বিজ্ঞানের প্রতিষোধক আবিস্কারে সাথে এই সব পূজার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়েছে, এটা মাত্র 100 বছর আগের চালচিত্র, তার আগে কি অবস্থা ছিলো এটা বিবেচনা করলেই দেখা যাবে মানুষ দৈত্য দানোর অস্তিত্বের বিশ্বাস করেছে, মানুষের খারাপ নজর মানুষের ক্ষতি করতে পারে এই বিশ্বাস এখনও মানুষের ভিতরে, এই ভয় মূলত ডাইনি এবং যাদুকরের স্রষ্টা, অন্ধকারের চিরন্তন ভয় অশরীরি রূপ ধারন করে দৈত্য দানো রাক্ষসের ধারনার জন্ম দিয়েছে, আমেরিকার সমাজব্যাবস্থার সূচনা 500 বছর আগে, সেই সময়ের প্রচলিত বিশ্বাস বহন করে নিয়ে আসা অভিবাসিরা তাদের সাংস্কৃতিক বিশ্বাস এখানে নিয়ে এসেছে, কিন্তু এই বিশ্বাসগুলো এই মাটির সংস্কৃতির সাথে খাপ খায় না, এইখানের আদিবাসিদের বিশ্বাসের সাথে যায় না, কৃষিজীবি আইরিশরা তাদের চাষের বীজ, গৃহপালিত পশু জাহাজেক রে এখানে এনেছে, মাত্র 500 বছর আগেও এই মাটিটে গরু ঘোড়া ছিলো না, আমেরিকা মহাদেশে এই জাতিয় প্রানী ছিলো না, এই মাটির সংস্কৃতি গ্রহন করলে একটা সাংস্কৃতিক বিবর্তন ঘটতো যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রনে একটা নতুন ধাঁচের সংস্কৃতি তৈরি হতো, এই প্রক্রিয়াটা এখানে ছিলো না, সেটলার বা অভিবাসিরা আসলে সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্ন ছিলো, স্বদেশ থেকে দূরে এসেও তারা ভিন্ন সংস্কৃতিকে গ্রহন করার ুদারতা দেখাতে পারে নি, তাই এখনও আমেরিকার প্রাচীন শহরগুলোতে জাতিভিত্তিক অঞ্চল বিভাজন বিদ্যমান, বোস্টনের চায়না টাউন, ইটালিয়ান টাউন ফ্রেঞ্চ অংশ, বিচ্ছিন্ন কিছু পয়াকেট যেখানে একই সংস্কৃতির জনগনের বসবাস ছিলো, এই প্রবনতা এখন নেই কারন ছড়িয়ে পড়েছে মানুষেরা তবে চায়নাটাউনের বেশীরভাগ মানুষ চীনা, ইটালিয়ান টাউনের বেশীর ভাগ মানুষের শেকড় ইটালি, আইরিশ চাষিরা মূলত দক্ষিনে বসতিস্থাপন করেছে, সেখানে জলবায়ুর সাথে ইউরোপের জলবায়ুর মিল বেশী, সেখানেই তাদের কর্ষনযোগ্য শস্যের বিকাশ হয়েছে,তাদের গবাদিপশুর এবং চাষাবাদের উন্নত পরিবেশ এখানে, এই আইরিশ মানুষের সমাজ বদ্ধ সমাজ, তারা তাদের মৌলিক বিশ্বাসগুলো বিসর্জন দেয় নি, এই কৃষিজীবি সমাজে র মানুষগুলো অতিরিক্ত ধর্মবিশ্বাসী,এখনও দক্ষিনের অধিকাংশ মানুষের ধর্মবিশ্বাস অক্ষুন্ন এবং অক্ষুন্ন তাদের জীবন যাপনের ধারা, এরা নিজেদের প্রয়োজনে ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সাথে মিলিত হয়েছে, এবং মূলত সবগুলো সমাজই ভালোত্বের ধারনাগুলো বহন করে, সততা, কর্মঠতা এসব গুনবলী সব সমাজেই ভালো গুন বলে বিবেচিত, সভ্যতার অগ্রগতির সাথে এই ধারনাগুলো জন্ম নিয়েছে, এবং এসব চর্চিত বিশ্বাসের বিকল্প নেই,
আমাদের সরলীকরন প্রক্রিয়ায় এই উপাদানগুলোকে বিবেচনা করা উচিত, সমাজের বিকােেশর স্বার্থে কোন ধরনের মানুষ প্রয়োজন এটার উত্তর সরল, সততা কর্মঠতা, উদ্ভাবনিকূশলতা, এসব আদিম এবং মৌলিক গুনের সাথে যুথবদ্ধতা যুক্ত হতে হবে, আমেরিকার াভিবাসি সমাজে এই মৌলিক গুনগুলোর চর্চা হয়েছে অস্তিত্বের প্রয়োজনে, এবং সামাজিক চাহিদা জন্ম দেয় যন্ত্রের। কিন্তু বহুবিভাজিত জাতি সত্ত্বায় সততা এবং সমাজের প্রয়োজনীয় উপকরনের আনাগোনা বেশী থাকে, একটা প্রমান দেওয়া যায় েই দাবির মিশ্র সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বেশী, মৌলিক সংস্কৃতি একটা পর্যায়ে গিয়ে মিশ্রসংস্কৃতির কাছে পরাজিত হয়, মিশ্র সংস্কৃতি ভালো ভালো গুনগুলো ধারন করে মৌলিক সংস্কৃতি একটা পর্যায়ে এসে তার গভীরতা হারিয়ে ফেলে ঠুনকো হয়ে যায়, ভাবনার স্রোত বাধা পড়ে যায় একটা বদ্ধ জায়গায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
তাই মিশ্র সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠা শিশুরা অনেক বেশী সাবলীল জীবনের সংকট মোকাবেলায়,
আমরা যখন সমাজের উন্নয়নের মৌলিক কাঠামো খুঁজতে চাইছি তখন এই সব আলোচনার প্রয়োজন আছে, আমাদের সাংস্কৃতিক গ্রহনের মাত্রা নির্ণয়ের প্রয়োজন আছে, এবং আমাদের সরলীকরন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্য ধারনের প্রয়োজন আছে। এই মৌলিক বিষয় কোনো মতেই ধর্ম কৃষ্টি নয়, সংস্কৃতির উদযাপনের বিষয়টা কখনই মৌলিক কিছু নয়, বরং একটা ধাঁচ যা কখনও গোত্রভিত্তিক গ্রহন, ইসলাম নিয়ে ভাবনা বা ইসলামি জীবন যাপনের ধারনাও একটা যৌগিক বিষয়, ইশ্বরপ্রণত হওয়া এবং ইশ্বর চেতনার সাথে শুভবোধকে মিশিয়ে ফেলাটা অপ্রয়োজনীয় একটা প্রপঞ্চ সমাজের বিকাশের আলোচনায়,
আমেরিকার সাংস্কৃতিক দৈনতা এখানে যেসব পকেট সংস্কৃতি তৈরি করেছে তারা পরবর্তিতে নিজেদের ভেতরে ঐক্য চেয়েছে, এবং এখানে জাতিভিত্তিক একটা ঐক্য বিদ্যমান, ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক ঐক্য, এই পর্যায় থেকে বেরিয়ে একটা যৌগিক ঐক্য হচ্ছে ধর্মভিত্তিক ঐক্য, কিন্তু এই ৈক্যগুলোর মধ্যে ক্ষুদ্্র ক্ষুদ্্র ঐক্য বিদ্যমান, যা অবশেষএ সমমনাদের ঐক্য বিবেচিত হয়, আমরা সাংস্কৃক মিল খুঁজি এখানে আমাদের নিজস্ব বিশ্বাসের সপক্ষ চাই আমরা, আমার বিশ্বাসের সাথে খাপ খাওয়ানোর ভাবনাধারার মানুষের সাথেই ঐক্যটা গড়ে উঠে, এই সময় জতিবিভাজনটা আবার হারিয়ে যায়, আমাদের অবশেষে ফিরে আসতে অস্তিত্বের কথায়, আমরা আমাদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছি, এত সব দূর্নিতির জন্ম অন্য একভাবে দেখলে সাংস্কৃতিক প্রেষনা, এখটা নির্দিষ্ট সংস্কৃতির জীবন যাপনের চাহিদা থেকেই মানুষের পরিশ্রম, এবং এই পরিশ্রমের যদি লক্ষ্য অর্জনের সম্ভবনা না থাকে তাহলে দূর্নিতীর আশ্রয় নেওয়া।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন