ফ্লাডিংয়ের একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে এই 2য় পোষ্টটা করায় তারপরও করেই ফেলি।
প্রার্থনার প্রধান নিয়ম মুসলিম সমাজে নামাজ। প্রতিদিন 5 বার করে ইশ্বরকে স্মরণ করে মুসলিমরা, তার কাছে শরণ চায়। মসজিদে যায় নাতো বাসায় পড়ে কিন্তু মুসলিমরা 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়েই পড়ে।
প্রার্থনা বলতে আমাদের ভেতরে কি অনুভব জাগে? এই প্রশ্নটা সবাই নিজেকে করলেই হবে। আমরা প্রার্থনা বলতে কি বুঝি? যারা এখনে কোরান হাদিস নিয়ে কথা বলছে তারা সবাই একটা বিষয় বলছে বাংলায় কোরান পড়ার কথা এবং পরে বলছেআরবিতে পড়ার কথা। যাই হোক আমার প্রশ্নটা অন্যখানে এই যে দিনে 5 বার নামাজ পড়া হচ্ছে সেখানে ফেরাউনের গল্প পড়ছি, মুসার গল্প পড়ছি, পড়ছি ইশার গল্প, নুহের প্লাবনের গল্প পড়ছি, শুক্রবারে খোতবার পরে ইমামের পিছনে দাড়িয়েও এইসব গল্প কথাই শুনছি আরবিতে, বাংলায় এসব গল্পকথা বললে তার মাহত্ব্য কি কমে যেতো?
মুসলিমদের প্রার্থনাপদ্ধতিটা এমন সেকেলে আদিবাসি ধাঁচের কেনো? কেনো বিভিন্ন উপকথাকে প্রার্থনা হিসেবে চালানো হচ্ছে। নামাজের সময় এইসব গল্প কথা, তালাকের নিয়মকানুন তেলাওয়াত করলে কি প্রার্থনার শর্ত পূরণ হয়?
যারা কোরানের বাংলা অনুবাদে এইসব উপকথা পড়েছে তারা সবাই নিশ্চিত যে অনুবাদে এইসব গল্পকথার অর্থবদল সম্ভব নয়। কোরানের গুঢ় তত্ত্বকথা আসলেই খুব কম, নেই বললেই চলে। সেইসব গুঢ় তত্ত্বকথার প্রধান বিষয় হলো আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি, এবং আমার সৃষ্টির নমুনা তোমাদের সামনে আছে, তোমরা বিবেচনা করে আমাকে একটা ভোট দাও, আমার প্রার্থনা করো। বিভিন্ন উপলক্ষে এইসব কথা বলা হয়েছে।
বলা হয়েছে তার শরণাগত হয়েছিলো বলেই নুহের জীবন রক্ষা হয়েছে, তিনিই নুহকে বাঁচিয় রেখেছেন ভাসিয়ে রেখেছেন, তিনিই মুসাকে নদীর মধ্যে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছেন, সব তার কৃতিত্ব, মেনে নিলাম কোনো তর্ক করলাম না, কিন্তু তার এই সব কীর্তিকলাপ বলাই কি প্রার্থনা। তিনি কি এইসব গল্প কথা শুনে বিমোহিত হন? তিনি কি প্রসন্ন হন এসব অধিভৌতিক বিষয়ে তার নাম যুক্ত হলে? তিনি কিভাবে নিরপেক্ষ বিচারক হবেন যদি সামান্য প্রসংশায় তার ভেতরে প্রসন্নতা আসে। তিনি যদি নিজের কৃতিত্ব বরননার জন্য 150 কোটি মানুষের দঙ্গল তৈরি করে দিনে রাটে 5 বার এইসব শুনে শুনে আত্মপ্রসাদে ভুগেন তাকে কিভাবে সকল মানুষের উপাস্য হিসেবে সম্মান করা যাবে?
মানুষের বোধের উন্নতির সাথে সাথে তাদের প্রার্থনার মধ্যেও একটা শোভনতা এসেছে। আমার মনে হয় রবি বাবুর পূজা পর্যায়ের গানগুলো চমৎকার আত্ম সমর্পনের গান। এমন মনোহর আত্মসমর্পনের বানী ইশ্বর অগ্রাহ্য করতেই পারে না। ফেরাউন মুসার লড়াই, নুহের নৌকা ভাসা শহর ডোবার চেয়ে অনেক বেশী প্রাসংগিক এবং স্পষ্ট বানী এখানে, লক্ষ্যটাই ইশ্বরের কাছে আত্মসমর্পনের। তো আমরা কেনো প্রার্থনা হিসেবে নামাজে দাঁড়িয়ে রবি বাবুর গান গাই না? এটা কি চেতনার উন্নয়ন নয়?
অন্য একটা বিষয় যা মনে হয় আমার, ইসলাম যদি ভারতে উৎপত্তি হতো তাহলে দৃশ্যপট কেমন হতো? মুহাম্মদের ভাষা তখন হতো এই খানের কোনো ভাষা, আরবের উপকথার বদলে এইখানের উপকথা হতো কোরানের উপজীব্য। আমরা কোরানে ইন্দ্রলীলা পড়তাম, কিভাবে কামুক ইন্দ্র বিভিন্ন জায়গায় লীলাখেলা করেছে, কিভাবে কৃষ্ণ তার সখীদের নিয়ে লীলা করেছে, হয়তো বাৎসায়নের কামসূত্রের কিছু অংশ থাকতো সেখানে, আমরা ভর মজলিশে কামসূত্র নিয়ে আলোচনা করতাম, এখানে কিছু মহান ব্লগার কামসূত্রের বিভিন্ন আসন নিয়ে লেখা দিতো। শুধু যদি আরবে না হয়ে মুহাম্মদের জন্ম ভারতে হতো তাহলে আমাদের প্রার্থনার ধাঁচই বদলে যেতো।
আস্তমেয়ের লেখা পড়ে মনে হলো কোরানের অর্থবিকৃতির সেই দাবি সে করছে তার সাথে এইসব মিথের অর্থবদলে যাওয়ার কি সম্পর্ক। এইসব গল্পতো বদলের না। আস্তমেয়ে কি নিজেকে প্রবোধ দেয় বাংলায় নুহের গল্প পড়লে ওটাকে ভুল মনে হবে?
আর যে প্রশ্নটা করেছিলাম আগেই সেটার উত্তর পাই নাই, এইসব গালগল্প তেলাওয়াত করে আমরা 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়ি কেনো? এইসব গালগল্পের সাথে প্রার্থনার কি সম্পর্ক
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন