অনেক রকম বিভ্রান্তি চারপাশে, অনেক রকম কথার আলোড়ন, সবাই একটা গ্রহনযোগ্য উত্তর খুঁজছে, আমিও একটা প্রশ্ন উত্থাপন করি, সস্তা এবং সভ্যতার মতোই প্রাচীন একটা ছোট্ট প্রশ্ন-
সত্যা কি?
ধর্মের অংশীদারিত্ব থেকে যদি চেতনাকে বিচু্যত করে ফেলি, যদি কোনো রকম রীতিনীতির সংশ্লিষ্ঠতা এড়িয়ে যাই তাহলে সত্যকে আমরা কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবো?
নীতির সাথে সত্যের সম্পর্ক আছে কোনো? নীতিভ্রষ্টতার সাথে কি সত্যের সম্পর্ক আছে? আমি নিশ্চিত এই খানে অনেকেই সত্য এবং কোরানের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক খুঁজে পায়, কোরানই সত্য এই দাবি নিয়ে তারা হাজির হতে পারে, কিন্তু কোরান সত্য এইটার ভিত্তি কোথায় স্থাপন করবে তারা?
সত্যের সাথে ইশ্বরের কোনো সম্পর্ক আমরা করবো না, কোনো রকম পূর্বানুমান রাখবো না বিবেচনায়। এমন ভাবে অধিবিদ্যা বাদ দিয়ে কি সত্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব?
সত্য কি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোনো বিষয়? আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে যা অনুভব করি, চোখ দিয়ে যা দেখি, কান দিয়ে যা শুনি সব কি সত্য?
না কি সত্য আমরা পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে নির্ধারন করতে পারি, যেটা আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুমানের সাথে খাপ নাও খেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা পর্যবেক্ষনে প্রামানিত না হওয়া সবকিছুকে মিথ্যা ঘোষনা দিবো?
সত্য কি আমরা বোধে অনুভব করবো না কি পরীক্ষাগারে নির্ণয় করবো? বিষয়টা এরকমই সরল। কার কি রকম ভাবনা জানা যাক?
সবাই সত্যধর্ম সত্যকর্ম নিয়ে বাজার গরম করছে কিন্তু সত্যকে ন্যাংটা করে ফেললে মানে এইসব ইশ্বর চেতনা এবং পূর্বানুমান থেকে বিযুক্ত করে ফেললে তার অনুভব কি হয় মানুষের ভেতরে তা জানার একটা চেষ্টা এটা।
আমার কাছে কোনো গ্রহনযোগ্য উত্তর যেহেতু নেই, তাই আমি সবার মতামত দেখে একটা ধারনা করতে পারবো কার দৃষ্টিতে সত্য কেমন। কিংবা সত্যের সার্বজনীন কোনো রুপ আছে কি নেই।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন