সমপ্রতি একটা পোষ্ট পড়লাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিষয়টা স্পর্শকাতর, আমাদের অনেকের আবেগের জায়গা এটা, আমাদের অনেকের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জায়গাটা নিয়ে সন্দেহ নেই কোনো। মুজিবনগর সরকারের ঘোষনা যে আসলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সারমর্মটা ধারন করে আছে এ বিষয়েও আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনের প্রতিটা পর্যায়ে বাংলাদেশের অসামপ্রদায়িক চেতনাই ছিলো মূল ভিত্তি- এই বিষয়টাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে যখন এই বিষয়ে সন্দেহ নিরসনের জন্য একটা সুস্থ বিতর্কের আয়োজন করা যেতে পারে।এটা যেকোনো দিন হতে পারে, আমি প্রস্তুত, কেউ যদি এই বিষয়ে বিতর্ক করতে চায় তাহলে সে যেকোনো দিন হাজির হতে পারে, তবে জামাত শিবির সহ আর যত মৌলবাদী মানুষেরা এই বিষয়টাকে অস্ব ীকার করতে চায় তাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন থাকলে তারা একটা দিন ঠিক করে দিতে পারে মন্তব্যের অংশে। তারা তাদের তথ্যপ্রমান জোগাড় করতে যত দিন সময় লাগে, আলোচনার জন্য, বাবা-চাচা দাদা, তাত্তি্বক নেতা, যাদের প্রয়োজন হয় নিয়ে আসতে পারে।তারা সম্পুর্ন প্রস্তুত হয়ে যেকোনো দিন আমাকে আলোচনার বা বিতর্কের জন্য আহবান করতে পারে, আমি প্রস্তুত আছি।আমি শনিবার আলোচনার প্রস্তাব করছি- যদি এ সময়ে জামাত শিবির সহ মৌলবাদী দলগুলোর কর্মি সমর্থকদের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট না হয় তবে তারা দিনক্ষন নির্দিষ্ট করুক, সেই আলোচনায় কোনো রকম হানাহানি হবে না, তাদের বক্তব্য এবং যুক্তি প্রদানের পর আমি কিংবা এই আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধেরর চেতনাধারী যেকেউ তাদের যুক্তি খন্ডন করবো। এবং আমাদের দাবির পক্ষে প্রমান হাজির করবো।শর্ত একটাই-তারা যুক্তিতে হেরে গেলে সবার সামনে স্ব ীকার করবে তাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষন ভুল, অথবা তারা হারের ভয়ে বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পারে, তবে যদি তারা এই বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চায় তাহলে এটাই প্রমানিত হবে যে তাদের সম্পুর্ন রাজনীতিই ভুল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।সুতরাং জামায়াত শিবির ওমৌলাবদি দলের নেতা কর্মি ভাই বেরাদান গন আপনার আপনাদের কল্পিত ইতিহাস এবং ইতিহাস বিশ্লেষনের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সহ আগামী শনিবার 2রা সেপ্টেম্বর হাজির হইবেন আশা রাখি। অথবা সবাই একটা করে পোষ্ট দিয়ে এই অন্যায় উক্তি এবং ভিত্তিহীন প্রচারনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন আশা রাখি।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন