অনেকেই এই পোষ্টের বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছে, তাদের মতের প্রতি আমার শ্রদ্ধাও আছে, এরপরও তাদের মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও গনমতের বিপক্ষে এই পোষ্ট করলাম।
মৌলবাদী গোষ্ঠি সবসময়ই ক্ষমতাবানদের পা চাটা কুকুর, তারা সব সময় স্বার্থসিদ্ধির সম্ভবনায় ক্ষমতাবানদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছে, উপমহাদেশের রাজনীতিতে প্রথম বার বঙ্গভঙ্গের সময়ে জল ও পানির রাজনীতি শুরু হয়েছিলো। শুরু হয়েছিল এরও কিছুদিন আগে যখন ফার্সির বদলে হিন্দিকে দাপ্তরিক ভাষা করা হলো।
সেসময় মুসলীম লীগ গঠিত হয়েছিলো মুসলমানদের ব্রটিশ আনুগত্য আনার জন্য, যে কারনে জিন্নাহ মুসলীম লীগ গঠিত হওয়ার প্রথম 1 যুগ মুসলীম লীগের রাজনীতি করেন নি। তখন জিন্নাহর রাজনীতি ছিলো ভারতের স্বাধীকারের রাজনীতি, স্পষ্টতঃ মুসলীম লীগের রাজনৈতিক অবস্থান ছিলো এর বিপরীতে।
তবে বঙ্গ ভঙ্গ হয়েছিলো প্রশাসনিক সুবিধার্থে, একটা মুসলিম প্রধান রাজ্য তৈরি করেছিলো ব্রিটশরা, বর্তমানের বাংলাদেশ ও আসামের অংশ নিয়ে গঠিত সেই রাজ্যের বিলুপ্তি হয় গন আন্দোলনে, এবং এরপর মুসলীম লীগ ব্রটিশ আনুগত্য ভুলে যায়।
ঘটনার ধারাবাহিকতা যেরকমই হোক, মুসলীম লীগের দ্্বি জাতি তত্ত্বভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলনের শোচনীয় পরাজয় হয় 1937এর নির্বাচনে, অধিাকগনশ মুসলীম প্রধান অঞ্চলে তারা পরাজিত হয় এবং এই পরাজয়ের কারন অনুসন্ধানের সময়ে 23শে মার্চ 1940 এ পাকিস্তানের প্রস্তাবনা সামনে আসে।
তবে এই সামপ্রদায়িক ভিত্তিতে তৈরি রাষ্ট্রের ব্যার্থতা, এবং বাংলাদেশের মানুষের অসামপ্রদায়িক মনোভাব, সব মিলিয়ে পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই একটা সেকুলার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে বাংলাদেশের মানুষ।
ভাষা আন্দোলন মূলত অসামপ্রদায়িক আন্দোলন ছিলো- এই বিষয়টাকে নিয়ে জলঘোলা করছে মৌলবাদী দলের মানুষ জন। তাদের ভাষ্যমতে এই আন্দোলন মুসলিম বাংলাভাষাভাষিদের আন্দোলন, জামাতের কাছে এই বিষয়ে কি কি তথ্যপ্রমান আছে তা সামনে আসা দরকার, সম্পূর্ন অকারনে রাজনৈতিক কারনে ধর্মের ব্যাবহার করছে তারা, ধর্মকে কলুষিত করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই, তাদের জীবনের ধর্মের প্রভাব কতটুকু এ নিয়ে আমার সন্দেহ থাকলেও আমি এই পোষ্টে ওসব নিয়ে চিন্তিত নই, আমি শুধুমাত্র তাদের কাছে তথ্যপ্রমান চেয়ে এই পোষ্ট করছি। তারা একটা দাবি করছে এর সপক্ষে কোনো তথ্য বা প্রমান হাজির করুক তারা।
ঠিক কোন সময়ে বাংলা ভাষার আন্দোলন সামপ্রদায়িক একটা প্লাটফর্ম থেকে পরিচালিত হলো?
অন্য একটা বিষয়ও সামনে এনেছে জামাত শিবির ভাইয়েরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভেতরে অসামপ্রদায়িক উপাদান ছিলো না- এই দাবিটা তারা করেছে কেনো এই বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমান তারা হাজির করতে পারবে কিনা এইটা জানার জন্য এ পোষ্টের অবতারনা।
জামায়াত শিবিরের কর্মিসকলকে আমি জানিয়েছিলাম তাদের যদি প্রমান সংগ্রহে সময় লাগে তারা যেনো আমার আগের পোষ্টে মন্তব্যে তা জানায়, তাদের প্রমান সংগ্রহ হওয়ার পরই আমি বিতর্কের শুরু করবো। কোনো সৎ শিবির কর্মি এখানে উঁকি দিয়ে যায় নি, আমার ধারনা তাদের হাতে পর্যাপ্ত প্রমান আছে।
অথবা তারা অযথাই কথার সৌধ তৈরি করছে।
আমি সেই সব সৎ শিবির কর্মিকে অনুরোধ করবো, তাদের যদি সৎ সাহস থাকে তারা তাদের দাবির সপক্ষে প্রমান হাজির করবে, অথবা তারা নিজেদের ব্লগে একটা করে পোষ্ট লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, বাংলাদেশের বিপক্ষে, বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে জঘন্য মিথ্যাচারের জন্য তাদের এবং তাদের নেতৃবৃন্দের ক্ষমা প্রার্থনার দাবি আমার আছে, তবে এই ব্লগে অন্যায় এবং মিথ্যাচারের জন্য তাদের ক্ষমা প্রার্থনার আহববান জানিয়ে পোষ্টটা শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে
( এই মন্তব্যের জায়গায় শুধুমাত্র জামাত শিবির এবং মৌলবাদের সমর্থকেরা মন্তব্য করবে, তাদের দাবির সপক্ষে প্রমান দিয়ে, অথবা তারা নিজেদের ব্লগে এই বিষয়ক লিখা দিয়ে এই মন্তব্যে তাদের লিংক দিয়ে যাবে, অথবা তারা যদি মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে সেই পোষ্টের লিংকও এখানে দেওয়া যাবে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি সন্দিহান নয় তাদের মন্তব্য আসলে প্রয়োজন নেই এখানে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন