ধর্ম ও বিজ্ঞানের ভেতরের সম্পর্ক গড়তে চেয়ে অনেকেই দুটোকেই কলুষিত করে ফেলছে, বিষয়টা ভয়াবহ, তবে মানুষের সচেতনতা কম বলেই তেলে জলে মিশে না জেনেও তারা মেশানোর নানাবিধ প্রচেষ্টা করছে।ধর্মের সংজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্য আমার নেই, তবে নিজস্ব উচ্চাকাংক্ষা বা নিজস্ব বিশ্বাসের প্রতি অতিরিক্ত সম্ভ্রম কিংবা গুরুত্ব আরোপ করতে চেয়ে কেউ কেউ সুন্দর করে বলে ফেলেন অন্য ধর্ম এবং ইসলাম আলাদা।ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান, কোরান ঐশী গ্রন্থ এবং এতে বিজ্ঞানবিরোধি কিছু নেই, কোরান বিজ্ঞানের সাথে হাত ধরাধরি করে চলে। বিজ্ঞানের কর্মপ্রনালী সম্পর্কে নিতান্ত অনভিজ্ঞ যারা, যারা বিজ্ঞানকে যাদুমন্ত্র ধাঁচের বিষয় মনে করেন তারা সব সময় ধরেই নেন এটা ম্যাজিকের মতো, কোনো একটা পদ্ধতি আছে, সুইচ টিপলেই বাতি জ্বলে, সুইচ চাপলেই আওয়াজ করে, এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের চিরায়ত শিশুদের জন্য এই পোষ্টের অবতারনা। মুগ্ধতার কিছু নেই, প্রায়োগিক দিক বাদ দিলে বিজ্ঞানের খোলসটা শুধুমাত্র কিছু অবশ্য পালনীয় নীতির উপরে দাঁড়িয়ে এবং এই নীতিগুলোকে বা শর্তগুলোকে পুরন করেই নতুন সিঁড়ি পাততে হবে।এখন আমরা কোথায় উঠছি তা নিশ্চিত জানি না, তাই আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র আমাদের প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করা। বিজ্ঞান শুধুমাত্র এই কাজটাই করে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। এই ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়ায় তারা যেসব তত্ত্ব খুঁজে পায়, যাকে বস্তুর ভৌত গুন বলা যায়, সেই ভৌত ধর্মের একটা প্রায়োগিক দিক খুঁজে বের করে সেটাকে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাবহার করে। আমাদের ঘরে ব্যাবহৃত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রগুলো খুবই সামান্য কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে চলছে, এই নীতিগুলো চেষ্টা করলেই একটা পাতায় লিখে রাখা যায়।তবে এই একটা পাতায় লেখা যাবে এমন সরলীকরন করতে বিজ্ঞানকে পাড়ি দিতে হয়েছে সভ্যতার সমান সময়। এখন আমরা বিজ্ঞানকে যেভাবে দেখছি, বিজ্ঞানের যেসব নীতির কথা বলছি সেগুলো জড়জগতের চালিকা শক্তি। ঘটনার ব্যাখ্যা করতে যাওয়ার সময় যদি প্রায়োগিক বা বানিজ্যিক কোনো উপলক্ষ্য না থাকে তবে সেসব বিষয়ে গবেষণা কম হয়, একটা উদাহরন দেই-সভ্যতার শুরু থেকেই হয়তো মানুষ চিংড়ি মাছ খাচ্ছে, তবে চিংড়ি সিদ্ধ করলে কেনো ওটা লাল রং ধারন করে এটার ব্যাখ্যা এসেছে সম্ভবত গত বছর কোনো এক সময়। কেউ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে জীবনপাত করে নাই। বিশেষত জীববিজ্ঞানের সম্পুর্ন শ্রেনীবিন্যাস প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত থাকায় যত সব জৈববিজ্ঞান বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর ধীরে ধীরে পাওয়া যাচ্ছে। এটা এখনও একটা নির্দিষ্ট আকার পায় নি, তবে সেই 1700 সালে নির্দিষ্ট করা নিয়ম এখনও বস্তুজগত মেনে চলছে। বস্তুজগত আগে থেকেই মেনে চলতো তবে এটাকে একটা সুত্রের আকার দিয়েছিলো 1700 সালে ল্যাভয়েসিয়ে, যেখানে বলা হয়েছে- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের কোনো পরিবর্তন হয় না। কেউ 10 গ্রাম কার্বন আর 15 গ্রাম অক্সিজেন নিয়ে কাজ শুরু করলে যদি কোনো কিছু বাইরে না চলে যায় তবে কাজ করা শেষ করার পর সেখানে 25 গ্রাম কার্বন ও অক্সিজেন পাওয়া যাবে।নতুন করে কিছু সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যাবে না। বস্তু জগতের এই ভরের অবিনশ্বরতার ধারনাটা একেবারে বদলে গেলো গত শটাব্দিতে এসে।পল ডিরাক নামের একজন ভদ্্রলোক অস্থায়ি কনিকার ধারনা জানালেন। পজিট্রন নামের এই কনিকার ভর ইলেকট্রনের সমান তবে এর আধান ইলেকট্রনের বিপরিত, এবং কি আশ্চর্য পজিট্রন নামক কনিকাটাকে দেখা গেলো পরীক্ষাগারে। তবে সমস্যা হলো শুধুমাত্র পজিট্রন কোথাও তৈরি হয় না, পজিট্রন তৈরির সময়ে একটা ইলেকট্রনও তৈরি করতে হয়।আইনস্টাইন নামক একজন আসলেন, তিনি ঘোষনা করলেন আলোর গতিবেগ শুন্য মাধ্যমে নির্দিষ্ট এবং এটার নড়চড় হয় না।100 বছর আগের এই নীতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে বস্তুজগত কে , যা বলছে বস্তু যার ভর আছে, তার গতিবেগ কখনই আলোর সমান হতে পারবে না। এই যে একটা নিয়ম নির্দিষ্ট করে দেওয়া, নিজ্ঞান বদল হলেও এই নিয়মটা বদলাবে না।বিজ্ঞানের পরিবর্তনগুলো হয় কিছু মুলনীতিকে অক্ষুন্ন রেখে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করার ভিন্ন প্রয়াসে। নতুন ব্যাখ্যা আরও বড় পরিসরে ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারে, কিছু নতুন ভবিষ্যতবানী করে। এবং এই ভবিষ্যতবানীৗলোকে পরীক্ষাগারে প্রামন করা সম্ভব হলে সেই নতুন ব্যাখ্যা টিকে যায় পরবর্তি অন্য কোনো পরীক্ষা যদি সরাসরি এই ব্যাখ্যাকে বাতিল না করে তত দিন পর্যন্ত।যেহেতু 100 বছরের ক্রমাগত টানা হ্যাঁচরাতে আইনস্টাইনের নীতির পরিবর্তন হয় নি তাই বলা যায় ওটা টিকে থাকবে চিরকাল। ম্যাক্সওয়েল নামক একজন 1865 সালে 4টা সুত্র একটা পাতায় লিখেছিলেন, সেই সুত্রের বদল হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আমরা এত যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করছি তার পেছনে এই 4টা মাত্র সূত্র কাজ করছে।নিউটন 1700 সালের কাছাকাছি সময়ে মহাকর্ষ বলে একটা ধারনার জন্ম দিলেন, সেই মহাকর্ষ ধারনাটাও টিকে আছে। এবং যত দিন আশে পাশে ভর আছে ততদিন এই সূত্র সামান্য বিচু্যতি ছাড়া ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারবে।বস্তুর জগতের ঘটনা প্রবাহ মূলত বস্তুর উপর মহাকর্ষের প্রভাব আর বস্তুর উপর তড়িৎচুম্বকীয় বলের প্রভাব। এর বাইরে যেই 2 জাতের বল force এর ধারনা দেওয়া আছে তার প্রভাব বস্তুজগতে নগন্য।যাই হোক তত্ত্ব কথার আড়ালে যা বলতে চেয়েছি তা সরাসরি বলি।বিজ্ঞান বস্তুজগতের ব্যাখ্যার জন্য যেই নীতিগুলোকে তৈরি করেছে তার অনেকাংশই পূর্নাঙ্গ, তবে কিছু বিচু্যতি আছে, সেই বিচু্যতিগুলো দুর করার জন্যই পৃথিবী জুড়ে বিজগানীরা গবেষণা করছে। এবং অনিশ্চয়তার মান এই ক্ষেত্রেই সীমিত। এবং যেহেতু চিরায়ত বলবিদ্যার দ্্বারা বস্তুজগত যতটুকু ব্যাখ্যা করা হয়েছে তার ভেতরে মহাবিশ্বের সৃষ্টিটা এখনও সম্পুর্ন হয় নি, সেই সৃষ্টিতত্তবটুকু বাদ দিলে বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আমরা স্পষ্ট বলতে পারি এসব নীতি অলংঘনীয়।বিজ্ঞান কার্যকরন ব্যাখ্যা করে, বলে কারন ছাড়া কিছুই ঘটে না, আমরা যদি বস্তু জগতে পরিবর্তন ঘটাই, সেটার প্রভাব আমরা যন্ত্রের সাহায্যে নির্ণয় করতে পারবো।যারা বড় গলায় বলছে ইশ্বরের অস্তিত্ব বিজ্ঞান অপ্রমান করে নাই তাদের উদ্দেশ্যে বলা ইশ্বরের প্রভাবের ধরনটা কেমন তা কেউ যদি পরিস্কার করে বলে দেয়, ইশ্বর ধরার যন্ত্র আবিস্কার করতে সময় লাগবে 2 দিন, তবে কেউ আসলে বলতে পারে না ইশ্বর কিভাবে ক্রিয়া করে।প্রকৃতি নিয়ম শাসিত, এবং এই নিয়মের লংঘন করা সম্ভব না। একেবারে হুলুস্থুল করে ফেলার মতো কোনো ইশ্বরের জন্ম হয় নি প্রকৃতিতে। যদি ইশ্বর নামক কোনো অস্তিত্ব থাকে মহাবিশ্বে তবে তাকে বিজ্ঞানের নীতি মেনে চলতে হবে, তার 1000 বছর আগের স্বেচ্ছাচারিতার যুগ শেষ। বস্তু কিভাবে অন্য বস্তুর উপর প্রভাব বিস্তার করে?মূলত মহাকর্ষ এবং তড়িৎচুম্বকীয় বলে দ্্বারা। মহাকর্ষ বলছে এটা স্থান কালের বক্রতার উপর নির্ভর করে কাজ করে। আর তড়িৎ চুম্বকীয় সব প্রভাব আসলে আলোর বিনিময়। সে আলো দৃশ্যমান হতে পারে আবার দৃশ্যমান নাও হতে পারে। আমরা রেডিও শুনি তাও আলোক তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ছে বলে। আমরা এক্স রে দিয়ে হাড়ের ছবি তুলছি তাও তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, এদের কোনোটাই আমরা চোখে দেখি না, তবে তাদের উৎপত্তি কিভাবে হয় তা আমরা জানি, আর জানি বলেই তা দিয়ে যন্ত্র তৈরি করে ব্যাবহার করছি। অর্থ্যাৎ ইশ্বর বলে যদি কোনো কিছু থাকে তাকেও যোগাযোগ করার জন্য এই 2 মাধ্যমের একটা ব্যাবহার করতে হবে। ইশ্বর মহাকর্ষ ব্যাবহার করে যোগাযোগ করতে চাইবেন না, তার মতো মহা ক্ষমতাধর ইশ্বরের আগমনের মহাকর্ষিয় প্রভাব হবে ভয়াবহ। সৃষ্টি বলে কিছু থাকবে না।বাকি থাকলো আলোক তরঙ্গ, খুবই ভালোএকটা প্রশ্ন, কোরানে বলা হয়েছে ফেরেশতারা সব আলোর তৈরী, অতএব কোরান সত্য- সমস্যা হলো আলোর সাথে তথ্য পাঠালেই হবে না, সেটাকে বদলে ফেলার উপযুক্ত যন্ত্র লাগবে। অন্য রকম আয়োজনের কথা বলা যায়, কোনো ভাবে আলোক রশ্মি দিয়ে মানুষের চেতনাকে নিয়ন্ত্রন করা, চমৎকার যুক্তি হতে পারে এটা। তবে সবার মস্তিস্কই তাহলে এই উদ্দিপনায় সাড়া দিতো। এখনকার বিজ্ঞানের গবেষণায় মানুষের মস্তিস্কের ভেতরের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গগুলো পরিমাপের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এবং সেখানে দেখা গেছে মোটামুটি একই রকম উদ্দিপনায় সবার মস্তিস্কই একই রকম সাড়া দেয়। তাই ইশ্বর যদি মুহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে তার আশে পাশের মানুষের উপরেও এর প্রভাব থাকবে, এর পিছনেও যুক্তি দেওয়া যায়, খুবই সামান্য বিচু্যতি হয় এমন তরঙ্গ ব্যাবহার করলেই চলে। যুক্তির খাতিরে ধরে নেওয়া হলো এমন কোনো ব্যাবস্থা করেছেন ইশ্বর, তিনি কোনো ভাবে একটা যন্ত্র ব্যাবহার করেছেন যা শুধু মুহাম্মদের মাথা বরাবর তাক করা থাকতো এবং তার পাঠানো তথ্যগুলো মুহাম্মদের মুখ দিয়ে বের হয়ে যেতো, যেমন রেডিও অন করলে আমরা দেখতে পাই, মুহাম্মদ কি তবে রেডিও? কোনো দুরনিয়ন্ত্রিত রোবট? সকল নবীই কি তবে রোবট পর্যায়ভুক্ত। না কি তারা মানুষ? উটকো প্রশ্ন করতে চাইলে বলা যায় মুহাম্মদের পর আর নতুন কোনো রোবট তৈরি হলো না কেনো ইশ্বরের কারখানায়? ইশ্বরের বাজেট নিয়ে টানাটানি চলছিলো?যারা এই প্রকল্পে বেশ খুশী তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে এই ইশ্বরের মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষমতা এবং একে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা সীমিত। এবং এই মহাবিশ্বের ভেতরে বসবাসকারী ইশ্বর অবিনশ্বর নয়, বরং তার জীবনকাল মহাবিশ্বের সাথেই শেষ হয়ে যাবে।এবং তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারিও নন। কিছুটা খর্বিত ইশ্বর আসলে এই ইশ্বর। এমন কি বর্তমানে তিনি গোপনে আগমন করতে পারবেন না পৃথিবীতে।তার 99 গুনাবলীর অনেকগুলোই তাকে ত্যাগ করে ইশ্বর হতে হবে। তিনি চাইলেই বারি বর্ষণ করতে পারবেন না, তিনি চাইলেই খরা দিতে পারবেন না, এমন কি বস্তুজগতে সমান্য একটা খড় তোলার ক্ষমতাও তার নেই। অন্য একটা সম্ভবনা হতে পারে ইশ্বর মহাবিশ্বের বাইরের কোনো অস্তিত্ব, তিনি মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন। সাদিক যেমন করে বলতে চায় মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ে কিছু অনুপাতের একটু এদিক ওদিক হলেই বিশ্ব আর এরকম থাকতো না, সেই অনুপাত গুলো তারই তৈরি করে দেওয়া, তবে তার ভুমিকা সেটুকুই, সেই ইশ্বর আবার 1400 বছর আগে আরবে এসে মুহাম্মদকে কোরান দিয়ে যেতে পারবে না।তবে মহাবিশ্ব যখন ধংস হবে, যা কোরানে বলা আছে পরিস্কার ভাবেই, সে সময়ে ইশ্বরেরও স্মৃতি ধংস হয়ে যাবে।পরবর্তি সমস্যাগুলোর মধ্যে যেসব প্রধান সমস্যা রয়েই গেলো আলোচ্য আলোচনায় তা হলে, পৃথিবীতে গোর আযাব হবে না, এমন কি আরাফাতের ময়দানে উঠিয়ে শাস্তিও দিতে পারবে না ইশ্বর। কোনো স্বর্গ নেই এই নিধানে। কোনো নরক নেই। ভালো থাকার বা মন্দ থাকার কোনো কারন নেই। মানে ঐশী কারনে ভালো থাকতে হবে এমন কোনো প্রয়োজন নেই।মর্গের লাশের কোনো বিকৃতি চোখে পড়ে নাই কারো। এমন কি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা লাশের গায়েও কোনো আযাবে চিহ্ন চোখে পড়ে নাই। সেই কবর দিয়ে চল্লিশ কদম সরে গেলেই ফেরেশতা হাজির হয়ে যাবে এটা সম্পুর্নই একটা বুজরুকি।এখন আমার প্রশ্ন হলো, খর্বিত ইশ্বর, যার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ তাকে সর্বেশ্বর ভেবে সান্তনা পাওয়া কি আছে?যেই ইশ্বর নিজের ধ্বংস রোধ করতে পারে না তাকে উপাসনার প্রয়োজন কি?ঐশি গ্রন্থে যেভাবে পুরস্কৃত ও তিরস্কার বিধান রাখা হয়েছে মহাবিশ্বের ভেতরে ইশ্বরকে স্থাপন করলে সেই বিধাংুলো পালন করা সম্ভব না। তাহলে কিসের আশাস্বে মানুষ সৎ কর্ম করবে,যে ইশ্বর নিশ্চিত মরে যাবে একটা সময়ে তার জন্য উপাসনার প্রয়োজন কি? যে ইশ্বর আকে অবমাননা করা বা তাকে উপাসনা করার কোনো প্রতিদান দিতে পারবে না তাকে উপাসনার প্রয়োজন কি?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন