ভালো গানের শ্রোতা নেই এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়, শোনা যায় এমন সব ব্যান্ডের মিউজিশিয়ানদের কাছ থেকে যাদের গানের 80% অন্ধ অনুকরন এবং বাকি 20% ব্যার্থ প্রহসন। বাংলা ব্যান্ডের বিষয়ে একটা কথাই বলতে হয় সিংহভাগ ব্যান্ডের গানের কথা ও গায়কী দূর্বল।তাদের এই দুর্বলতা সহজেই তাদের শ্রোতাবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। বাংলা গানের সার্বজনীন শ্রোতারা বর্তমানের নতুন ধারা ব্যান্ডের গান শুনে না। আমি নিজেও শুনে আর শোনার আগ্রহ পাই না।নতুন ব্যান্ডের প্রথম এলব্যামের মান ভালো হয়, সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকে ভালো করার হয়তো এ কারনেই। এমনই একটা ব্যান্ড পার্থিব তাদের প্রথম এলব্যামের জন্য চ্যানেল আই মিউজিক এওযার্ড জিতেছে, এলব্যামটা অনেক পরে শুনলাম, যদি ভালো গানের নাম বলতে হয় তাহলে বলতে হবে আমার প্রিয় 2টা গান হলো গ্রহন আর নিঝুম রাতে।বাংলা'র আগেই অনেক ব্যান্ড লোকগীতির সুরে গান করেছে, এবং সে গানগুলোর আবেদন এমন ছিলো যে শ্রোতারাও এর প্রতিদান দিয়েছে সেসব গানকে জনপ্রিয় করে। সোলসের প্রথম দিকের গানের কয়েকটা চিরকালীন বাংলা গানের ধারায় যুক্ত হয়ে গেছে। এই ব্যান্ডের গানেও সেই লোকগীতির প্রভাব আছে।এই ব্যান্ড হয়তো আরও একটা নতুন ধারার তৈরি করলো।তার নিজেরাই দেহতত্ত্বের গান লিখেছে। আমার অনুমান ভুলও হতে পারে তবে গানের সুরযোজনা আর কথা দেখে আমার তাই মনে হয়েছে যে তারাই গানটা লিখেছে।2টো গানের সংগীতযোজনায় ছিলো পার্থ, সোলসের গান যাদের পছন্দ তাদের নিশ্চিত ভালো লাগবে এই এলব্যামের গানগুলো।তবে কিছু কিছু গানের কথা দুর্বল, সুরে কখনও সোলস, কখনও বাচ্চু কখনও উইনিং এর ছোঁয়া স্পষ্ট, তবে সব মিলিয়ে গীতিসংকলনটাা শ্রুতিমধুর।বাংলাদেশের গানের সংকলনের নতুন ধারা হলো 10টা গান রাখা, এমন 10 গানের সংকলনের বদলে পার্থিবের প্রথম গীতিসংকলনে গানের সংখ্যা 14। ভালো গান কিংবা শ্রোতাপ্রিয় হতে পারে এমন গানের সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই বেশি, যার প্রমান শ্রোতাদের ভোটে প্রতিষ্ঠিত সব ব্যান্ডদের পিছু ফেলে এদের সংকলনের পুরস্কার পাওয়া।বাংলাদেশের জনগন ভালো গানের কদর করে না এমন কথা বলা সমস্ত মানুষের আসলে এই গীতিসংকলন শোনা প্রয়োজন। এখানে বাংলাদেশের গানের জগতে শ্রোতাপ্রিয় হওয়ার যতগুলো অলংকরন আছে তার প্রায় সবগুলোই ব্যাবহৃত হয়েছে স্বার্থক ভাবে।আমি সম্পুর্ন সংকলন কে 100 র ভেতরে নির্দিধায় 70 দিবো।অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো বলবো না তবে অবশ্যই শোনার মতো একটা গীতিসংকলন এটা।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন