সম্পর্ক

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/১১/২০০৬ - ৪:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্পর্ক দানা বাঁধে, নানা সুতোয়, নানা ছুতোয় সম্পর্ক দানা বাঁধতে থাকে, অন্তর্জালিক যোগাযোগ গড়ে উঠে বিশ্বজুড়ে, আমাদের ইশ্বরমুখীতা, বা ইশ্বরবিমুখতা, আমাদের নৈয়ায়িক মনন আমাদের অচেতন সমর্পন, সবটুকু মিলেই আমরা সম্পর্কিত হই, একে অন্যের ভাবনায় মিশি, অন্যের ভাবনায় বাগড়া দেই, সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের সচ্ছলতার পাপে।আমরা আমাদের সাথে আমাদের সমাজটাকেও সাথে করে নিয়ে আসি, আমাদের আদর্শিক সমপ্রসারণ, আমাদের ভাবনার অভিক্ষেপ জমে ব্লগ পাতায়, কেউ কেউ অতিমাত্রায় স্পর্শকাতর হয়ে যায়, সবটা মিলেই আমরা একই সাথে বসবাস করছি বেশ অনেক দিন, সূচনা থেকে এই অবধি এমনই চলে আসছে, আমাদের সম্পর্ক গড়ার বাসনায় কেউ কেউ অনেক বেশী গভীরে পৌঁছে গেছে, আত্মিক সম্পর্ক হয়েছে, কেউ কেউ আমাদের ভাবনার দোসর, কারো সাথে আদর্শিক সংঘাতও আছে। পক্ষ-বিপক্ষ শিবিরে আমাদের বিভাজনটাও আমরা মেনে নিয়েছি অনায়াসে। বিদ্্বেষ নেই এমনটা বলা উচিত হবে না মোটেও। পরস্পরের আদর্শিক মৃতু্য কামনা করছি না এমন বললে মিথ্যাচার হবে।খতিয়ে দেখার অক্ষমতা আমাদের শিক্ষার দীনতা, কেউ প্রশ্ন করতে ভয় পায় হয়তো প্রশ্নের জবাবটা পছন্দ হবে না বলেই, খোঁজার বিষয়টা একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই সত্য নয়, আসলে চিন্তাজগতের আলস্য ঘিরে ধরলে যা হয়, ক্রমশ অব্যাবহারে চেতনার মর্চে পড়ে যায়, তখন সাধারন কথাগুলোও আর সাধারন মনে হয় না।মাঝে বেশ কয়দিন প্রাচীন বিবাহ নিয়ে পড়ছিলাম, কবে কিভাবে এই প্রথার উৎপত্তি হলো, পরিবর্তন হলো কি রকম, নৃবিজ্ঞানের একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় এই সামাজিক সম্পর্কগুলোর ক্রমবিকাশ, তেমনভাবে খুঁজলে অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে, যেমন আমাদের প্রচলিত ধারনাগুলো আমাদের নবীর গালগল্পগুলো সংকলনের কাজ শুরু হয়েছিলো 2800 বছর আগে, প্রথম ধাপে 400 বছরে নুন্যতম 3জন এই ওলড টেস্টামেন্ট সংকলন করেছে, সে হিসাবে এটা গ্র ীক পুরানের তুলনায় নবীন, আমাদের ব্যাবিলনীয় পুরানের সংকলন করা হয়েছে তাও 4000 বছর হবে, এবং এই গালগল্পগুলো সংকলন করা হয়েছে যখন বিখ্যাত সুলেমান নবীর সম্রাজ্য বিভাজিত হয়েছে, যখন জেরুজালেম নামক ভুখন্ড অধিকৃত হয়েছে,সেখানে গড়া মাসজিদুল আকসা( যদিও এমন কিছুর অস্তিত্ব ছিলো না, এটাও মেরাজের সাথে সম্পর্কিত একটা ভুয়া বিষয়, উমরের গল্প যে সে জেরুযালেম অধিকগ্রহন করার পর নামাজ পড়েছিলো এটাও একটা ভুয়ামি কারন মুহাম্মদ বা উমরের সমসাময়িক সময়ে এই মসজিদুল আকসা ছিলো না মর্ত্যধামে, এর পরও বিশ্বাসীদের সাথে এইসব ফ্যাক্ট নিয়ে তর্ক করা উচিত না। মসজিদুল আকসা বলে যেই কাঠামোর কথা মুহাম্মদ বলেছে মেরাজের সময় সেটা পৌরাণিক বিষয়, ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে ছিলো, সুলেমানের রাজত্ব যখন পারসিকদের অধিকারে যায় তখন কিংবা তার সামান্য পরে সেই সুলেমানের তৈরি মসজিদ!!!ও ধ্বংস করে দেওয়া হয়, প্রায় 1000 বছর পড়ে তা পুনঃনির্মান করা হয়, সেও 700 শতকের কথা, 622এর দিকে যখন মুহাম্মদ ঘুম থেকে উঠে বোরাকে চেপে মসজিদুল আকসাায় গিয়ে নামাজ কালাম করলো, সেখান থেকে স্বর্গ ীয় লিফট এসে তাকে তুলে নিয়ে গেলো সেই ভিত্তিটা ছিলো না বাস্তবে, মানুষের মনে অনেক কিছুই তৈরি হয়।সেই হিব্রু কিংবা তোরাহর সময়ে বিবাহরীতি নিয়ে পড়তে গিয়ে ভালোই লাগছিলো, মেয়েরা পরিবার নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট একটা মরুদ্যানে অপেক্ষা করতো, যাযাবর জাতিরা আসতো, তারা মেয়ে পছন্দ করতো, একসাথে সহবাস হতো, এর পর তারা চলে যেতো, পরবর্তি সময়ে ফিরে আসতো, যারা খুব অনিয়মিত আসতো, তাদের সাথে যে সম্পর্ক গড়ে উঠতো ওটাকে সাময়িক, অনিয়মিত বিবাহ কিংবা মুতা বিবাহ বলা হতো। এই একই অর্থে পরবর্তিতে মুহাম্মদ মুতা বিবাহের প্রচলন করেছেন, কোনো রকম দায়বদ্ধতা বিহীন সম্পর্ক, বিবাহ মানে শুধু সহবাস না, বিবাহ সিদ্ধ হতো যখন একটা সন্তান হতো, সন্তান না জন্মানো পর্যন্ত বিবাহ বলবত থাকতো ঠিকই তবে সহবাসে বিবাহ অনুষ্ঠিত হলেও পূর্নতার জন্য সন্তানের জন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো, এর পর মেয়েরা বিবাহিত নারীর অধিকার পেতো, কৌমার্য্য একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় ছিলো, ব্যাভিচারের যেসব দন্ড আমরা দেখছি, সেই পাথর ছুড়ে মৃতু্য, সেই 100 ঘা চাবুক জাতীয় বিষয় সবই ছিলো সেখানে, ছিলো জেনা, নিয়মনীতির দিক থেকে খুব বেশী উন্নত অবস্থানে পৌঁছাতে পারে ইসলাম।সামান্য সংশোধন করেছে অবশ্য, ইব্রাহিম নিজের সৎবোনকে বিবাহ করিয়াছিলো, এমন কথা অনেক নবীর জন্যই প্রযোজ্য,এইসব দেখে গবেষকদের ধারনা একই মায়ের সন্তানদের ভেতরে বিবাহে চল না থাকলেও একই পিতার সন্তানদের ভেতরে বিবাহের চলটা সেইসময়ে তেমন নিন্দনীয় ছিলো না। বরং আন্তঃগোত্রিয় বিবাহকে উৎসাহিত করা হতো, ভিন্ন জাতির সংমিশ্রন অপছন্দনীয় ছিলো,এইরকম একটা কাঠামো দেখে অনুমান করা যায় কেনো আসলে বনী ইসরাইল নামক গোত্রটার জেনেটিক মিউটেশন হয়েছে কম।সমাজটাকে আমরা পেছনে ফেলে আসতে পারলাম না মোটেও, একই রকম শৃংখলা আমরা চাই ভার্চুয়াল জগতেও, সেখানেও ইশ্বরের ঠাঁই আছে, অনেক আনপড় নির্বোধের কথা পড়লে মেজাজ খারাপ হয়, সামান্য বিবেচনা বোধের অভাব নিয়ে ঘুরছে এমন নির্বোধের সংখ্যা কম না, একটু পরিশ্রমি হলেই অনেক কিছুই জানতে পারতো তারা,ইবলিশের কাজকারবার সম্পর্কেআমরা যতটুকু জানি তার কতটুকুই বা কোরানে আছে, বাকিটার উৎস সেই 400 বছর ধরে সংকলিত হওয়া নবীদের কেচ্ছা। তবে কেউ সে জায়গাটাতে গিয়ে পড়তে ইচ্ছুক না। এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের আরও একটু শিক্ষিত করে তুলো যেনো এদের সাথে যুক্তিতে যেতে ইচ্ছা হয়, 200তম পোষ্টে এর বেশী কিছু আশা করা বোকামি হবে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।