এটা আমার এক বন্ধুর কল্যানে পাওয়া যুক্তি, তবে আমার চমৎকার লেগেছে বিষয়টা। সূচনা হিসেবে এটা আমার পছন্দ হয়েছে- অনেক দিন পরে মনে হলো ধর্ম নিয়ে অনেক বড় করে কিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো, নৃতত্ত্ব এবং সভ্যতার বিবর্তন নিয়ে লেখার ইচ্ছাও ছিলো- কোনো এক কারনে সম্ভব হয় নি সমাপ্ত করা।
নামাজের এবং ওজুর নিয়মকানুন নিয়ে অনেক কিছুই বলা আছে। যেসব কারনে ওজু নষ্ট হয় তার একটা হলো বাতকম্ম সম্পাদন, নামাজের মাঝে যদি কারো বায়ু নির্গত হয় তবে তার ওজু নষ্ট হয়ে যায়। তবে সমস্যা হলো ওজু করার সময় যেসব নিয়ম কানুন পালিত হয় তার কোনোটাই ঠিক পশ্চাতদেশ পরিস্কারের মতো বিষয় না।
কথা হলো বায়ুনির্গত হয় যে স্থান থেকে সেই স্থান পরিস্কার না করে হাত পা মুখ মাথার চুল ধুলে কিভাবে পবিত্র হয়ে নামাজ উপযোগি হয়ে যাবে মানুষ?
এখানে প্রথার বিষয়টা চলে আসে, আমরা অন্ধ ভাবে অনেক কিছুই অনুসরণ করে যাই, উপযোগিতা বিবেচনা না করেই। ঘোড়ায় চড়িয় মর্দ হাটিয়া চলিলো অবস্থা আসলে অনেকেরই, মধ্যযুগীয় বিশ্বাস এখন উপযোগী কি না এটা বিবেচনা করার বিষয়টা এখন অবান্তর। বেশ কিছু দিন ধরে দেখছি ইসলামী শাসনব্যাবস্থার উপযোগিতা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি চলছে। আমাদের ইসলামি শাসনব্যাবস্থা ভালো কি মন্দ এ নিয়ে একটা বিতর্ক চলতেই পারে। কোনো সংশোধন করা উচিত কি না এ নিয়েও আলোচনা করা যায়। আলোচনার পরিসর আছে অনেক। কোরান বিজ্ঞানসম্মত এমন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে যারা জীবনযাপন করছে তাদের জন্য কিছু ছোটো ছোটো লেখাও আছে এই ব্লগে। তারা এর বিপরীতে কি বলেছেন তা দেখেই বলছি সব সময়ই একটা নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা মেনেই যুক্তির বিস্তার করতে হয়।
তবে এখন ঠিক তেমন ভাবে অবসর নেই তাই একটু সময় নিয়ে অবশ্যই সেই ধর্ম বিষয়ক লেখাটা সমাপ্ত করবো। তবে কবে অবসর হবে এমন তা বলতে পারছি না।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন