বিভিন্ন সময়ে এমন ভাবে বিষ্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছে, এমন কি সাহিত্যেও বিষয়টা এমনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যেনো মুক্তিযুদ্ধ একটা হৈ হৈ রৈ রৈ বিষয়।হঠাৎ একদিন 26 শে মার্চ সকালে কেউ বলে গেলো তোমরা স্বাধীন। গনহত্যা হলো সারা রাত, বর্বরতায় মেরুদন্ড কুঁচকে যাবে ভয়ে এমন প্রত্যাশার রাত শেষে বেতারে ইয়াহিয়ার ভাষণ। মুজবিকে রাষ্ট্রোদ্রোহী ঘোষণা, আওয়ামীলিগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা।
ইতিহাসের সরল নির্মাণে আমরা নিশ্চিত ভাবেই ধরে নেই মুক্তিযোদ্ধা মানেই ধোয়া তুলসি পাতা পুতপবিত্র মানুষ না, পাকিস্তানপন্থি মানেই ববর্র নীচ চরিত্রের মানুষ। বিষয়গুলো কোনো যুদ্ধেই এমন না। মানুষের মানবিকতার সবটুকু যুদ্ধ নষ্ট করে দিতে পারে না। তবে সরল নির্মাণের ফলেই হয়তো মাত্র 2 প্রজন্ম পরে এখন মানুষের ভেতরে প্রশ্নটা ঢুকে বসে আছে- কেনো এই যুদ্ধ? আমাদের প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন, আমাদের বিজয় নিয়ে প্রশ্ন, আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন।
যুদ্ধ কিংবা ববর্র আগ্রাসনের গল্পগুলো পৃথিবীতে একই রকম। গনহত্যার সব ঘটনাগুলোই একই রকম। ইতিহাস লিপিবদ্ধ হওয়ার কালে যুদ্ধের মরণাস্ত্রের পরিবর্তণ হলেও রীতি পরিবর্তিত হয় নি এতটুকুও।
আত্মজিজ্ঞাসার প্রথম ধাপে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশ্নের উত্তর খোঁজা ভালো। 25শে মার্চ রাতের গনহত্যার প্রেক্ষিত কিভাবে নির্মিত হলো? কেনো মার্চ থেকে নভেম্বর একটা যুদ্ধকে কিংবা ববর্র আগ্রাসনকে গৃহযুদ্ধের মোড়ক পড়ানোর চেষ্টা করা হলো? বিশ্বের মেরুবিভাজনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয়াসয় সম্পর্কে পরাশক্তিগুলোর উদাসীনতার কারণ কি ছিলো?
এসব বৈশ্বিক প্রশ্নের উত্তর কিংবা পরাশক্তিগুলোর কুটনৈতিক অবস্থান কিংবা সামরিক অবস্থান জানার উপায় হলো তাদের সরকারী নথিগুলো উদ্ধার করা, এখন মুক্তিযুদ্ধের 36 বছর পরে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর নথি অবমুক্ত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধাকলীন নথিগুলো তারা প্রকাশ করেছে। এটা খুব সহজেই পাওয়া যায়। তবে যুক্তরাজ্যের নথিগুলো কিংবা জার্মানীর নথিগুলো পাওয়া অসম্ভব না। তাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত নথিগুলো কেউ সংগ্রহ করলেই তাদের ভেতরের বাদানুবাদ প্রকাশ হয়ে যাবে। এমনিতে সংবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে পার্লামেন্টের অনেক সাংসদ এই গনহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে অনুরোধ করছে, তারা সমাবেশ করছে, তারা পিটিশন সই করছে। তাদের লোকজন কোলকাতার কাছাকাছি উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলোতে এসেছে। সেইসব ক্যাম্পে অপুষ্টির কারনে নিহত শিশুদের সংখ্যা 5 লক্ষের কাছাকাছি। অনাহারে অপুষ্টিতে নিহত হওয়া এইসব শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী কারা? যুদ্ধ বর্বর, যুদ্ধ সবার হৃদয়ে রক্তের ছাপ রেখে যায়। সেইসব শরণার্থি শিবিরের অপুষ্ট শিশুদের কান্না দেখলে এখনও সারারাত বিষন্নতার বলয়ে নীল হয়ে থাকি। তবে এই বর্বরতার ছবি দেখেও প্রতিবেদন পরেও কোনো এক মেরূবিভাজিত বিশ্ব যখন বারংবার বলে এটা পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের ওখানে হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই তখন মানুষের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন জাগ্রত হয়।
আর মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিত আর ইতিহাস নির্মাণের কাজটা করা প্রয়োজন ছিলো যাদের তারা কেউই আন্তরিকভাবে কাজটা সম্পূর্ণ করে যান নি। কেউই ঠিক স্বস্তি বোধ করেন নি বোধ হয়।যেহেতু যুদ্ধাবসানের পর প্রাথমিক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অধিষ্ঠিত ছিলো 1972 থেকে 75 পর্যন্ত তাই এই দায় চাপিয়ে দেওয়ার কিংবা ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এই একটা পক্ষকে পেয়ে তাদের আন্তরিকতাকে প্রশ্ন করে সবাই নিজেদের হাত পরিস্কার করে ঘুরছে। খুব নিপূন ভাবে 75 পরবর্তী সরকার এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রচার যন্ত্র এ কাজটাই করেছে। একটা সংশয় তৈরিতে তারা সফল। তারা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যে নিবেদিত ইতিহাসসংগ্রাহকেরা এখন চোরের মতো ইতিহাস সন্ধান করে যেনো স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সন্ধান কোনো ভাবে অপরাধ।
1948 থেকে 1971 এর মুজিব আর 1972 থেকে 1975 এর মুজিব ভিন্ন মানুষ। এই পর্যায়টা এখানের পরিস্কার করে রাখা ভালো।71 পূর্ববর্তি মুজিবকে স্বাধীনতার ইতিহাসের সন্ধানের সময় আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তার শাসক চরিত্র কোনো ভাবেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে সংশ্লিষ্ট না।
একজন হঠাৎ প্রশ্ন করলো ধর্ম নিরপেক্ষতা মুক্তিযুদ্ধের কারণসমুহের কোথাও ছিলো না। মুজিবের ছয় দফার ঘোষণার কোথাও বলা ছিলো না স্পষ্ট ভাবে "ধর্ম নিরপেক্ষ" স্বায়ত্ব শাসিত অঞ্চলের কথা, তাহলে কেনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে সেকু্যলার বাংলাদেশ বোঝায় তথাকথিত " মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিরা"?
মুজিব নগরের ঘোষণা কিংবা 72এ গৃহীত সংবিধান বাদ দিলে এই 48 থেকে 71 কোথাও ধর্ম নিরপেক্ষতার উল্লেখ পাওয়া যায় না। ছাত্রদের 11 দফায়ও সেকুলারিজম নেই। এরপরও " মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিরা" "ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রধান একটা কারণ উল্লেখ করেন। তারা কেনো এই দাবী করছেন?অর্বাচীনতার আশ্চর্য হতে নেই। উগ্রপন্থি নির্বোধের সংখ্যা বর্তমানে আশংকাজনক হলেও একটা সময় এরা মূল ধারা ছিলো না। "রেসিজম" "কম্যুনালিজন" " "বর্ণবিদ্বেষ" শব্দগুলো কাছাকাছি অর্থ বহন করলেও তারা ঠিক একই ভাবে ব্যবহৃত হয় না।
কোনো একটা জাতিস্বত্ত্বা অন্য সবার তুলনায় এগিয়ে তাই তাদের পদানত হবে বিশ্ব- এই উগ্রমতের বিষয়টা রেসিজম। 48 থেকে 71 তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান এর করুণ শিকার ছিলো। তাই সব ধরনোর শোষন আর বঞ্চনামুক্ত স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা আসলে রেসিজমের বিরোধিতায় লিখিত। বক্তব্য।
কম্যুনালিজম গোত্রভিত্তিক বিভাজন। কোনো একটা গোত্র অন্য সকল গোত্রের তুলনায় ভালো, এই গোত্র কখনও স্থানীয় জাতিস্বত্ত্বর গোত্র হতে পারে, বাংলাদেশের আদিবাসী চাকমা ম্রো কিংবা পাঞ্জাবি গোত্র হতে পারে। এই জাতিস্বত্ত্বার গোত্র ভিত্তিক বিভাজনে বাঙ্গালী কোথায়? বাঙ্গালী বলে আলাদা কোনো গোত্র বা জাতিস্বত্ত্বার অনুপস্থিতি বাংলাদেশে কম্যুনালিজমের উপস্থিতি নাকচ করে দেয় না। বাঙ্গালী কোনো জাতিস্বত্ত্বা না একটা সাংস্কৃতিক ধারা।
এখানে বরং ধর্মভিত্তিক গোত্র বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে- দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে যখন পাকিস্তানে স্বপ্ন দেখা হলো- যার মূল কারণ ছিলো আসলে 1937 এর সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান তখন ধমের্র ভিত্তিতে দেশ ভাগের ঘোষণা সম্বলিত লাহোর প্রস্তাবের একটা ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের কথা আলোচিত হয়েছিলো। এটা ইউনিয়ন ওফ স্টেট- পশ্চিম পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন নীতি তারা তৈরি করবে- পূর্ব পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন নীতি তারা তৈরি করবে, উভয় রাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একই ফেডারেল রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হলেও অহেতুক নাক গলাবেন না অন্য রাষ্ট্রের রীতিনীতিতে।
1947 এর 14 আগষ্টের পরের ইতিহাস অবশ্য তেমনটা প্রকাশ করে না। ধর্মবিদ্বেষ ছাড়ানোর জন্য ব্রিটিশ সরকার যতটা দায়ী তার চেয়ে বেশী দায়ী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো। দুঃখজনক সত্য হলো পূর্ববাংলায় অমুসলিমদের কোনো রাজনৈতিক সংগঠন ছিলো না। বিষয়টা এখনও সত্য যে বাংলাদেশে অমুসলিমদের কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নেই। রাজনৈতিক সংগঠন সবই ইসলাম ধর্মভিত্তিক। যখন এমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের জন্ম আর বিকাশ ঘটে তখন অসংগঠিত পক্ষের ভেতরে সাম্প্রদায়িক ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতিতে ধমের্র আত্তীকরণের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ছিলো প্রায় 40 শতাংশ হিন্দুপ্রধান পূর্ব বাংলা।
তবে 1951 সালে যখন ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়লো ভীষণ ভাবে, যখন বিভিন্ন জ্ঞানী পন্ডিত ইসলামজ্ঞরা " আহমাদিয়াদের" বিরুদ্ধে গন সম্মেলন গন সমাবেশ করে দাঙ্গা বাধিয়ে দিলেন। এইসব রক্তপাতের ঘটনা কিংবা এই সব বববর্রতা আসলে অসংগঠিত অমুসলিমদের ভেতরে কি বার্তা নিয়ে আসলো? এর পরে কোনো এক সময় যখন মুসলীম আওয়ামী লীগ টার নাম থেকে মুসলিম শব্দটা মুচে ফেললো এবং তাদের আন্দোলনের পর্যায়ে পর্যায়ে তাদের সংগঠন ধর্মনিরপেক্ষ একটা সংগঠনের স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশের সবার কাছেই। শত্রু সম্পত্তি আইন বলে একটা আইন জারি করা হলো সেখান শত্রু কিংবা হিন্দু যাদের ভারতের চর হিসেবে কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই অভুযুক্ত করে তাদের সম্পত্তি জব্দ করার অধিকার রাষ্ট্রের হাতে সমর্পিত হওয়ার অনেক বঞ্চনা আর যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছিলো। এসব সাম্প্রদায়িকতার সাথে মুসলীম পাকিস্তান ভাব ধারা তৈরি চেষ্টা- আওয়ামী লীগ আরও বেশী করে ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় পেলো আসলে 1963 এর পর, তখন শেখ মুজিব দলের প্রধান আর তাজউদ্দিন আহমেদ তার প্রধান সহনেতা।
ছয় দফার ঘোষণার প্রেক্ষিতে 1970 এর নির্বাচনে আওয়ামি লীগের সংখ্যাপরিষ্টতা পাওয়া " ধর্মভিত্তিক শোষন আর বঞ্চনামুক্ত" স্বায়ত্বশাসিত দেশের দাবীর উপর সিলমোহর।
প্রকাশ্যে না হলেও নেপথ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতা একটা অন্যতম কারণ হিসেবে উপস্থিত ছিলো সব সময়ই। তবে হৈ হৈ রৈ রৈ বিষয়টা উপস্থাপিত হওয়ায় এমন একটা ধারণা জন্মায় মুজিবের শাসন ক্ষমতা গ্রহনের চেষ্টা কিংবা তারা ক্ষমতা লিপ্সুতার সাথে সেটা না পাওয়ায় কিংবা তা দিতে না চাওয়ায় মুজিব অকারণেই বাংলা বন্ধের দাবী জানালেন, সেই দাবি জনগন মেনে নিলে আওয়ামী লীগ দুস্কৃতিকারীদের ভয়ে- এরপর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গনহত্যা শুরু হলো- তার পর সব সময়ই পাকিস্তান ভেঙে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ট থাকা ষড়যন্ত্রকারী ভারতের মদদে 16ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্ম হলো।
এই সম্পূর্ণ ইতিহাসে কিছু কলংকিত চরিত্র আছে- প্রধান কিংবা প্রথম নামটা খন্দকার মোশতাকের- তার কোনো এক অজানা কারণের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো 6 দফা একটা রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ঘোষণা। এই ঘোষণা আওয়ামী লীগ কিংবা তার নেতা মুজিব বিশ্বাস করে না- পাকিস্তানের অখন্ডতায় বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাই মুজিব নগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে কমর্রত খন্দকার মোশতাক আহমেদ যুদ্ধাকলীন সময়েও ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এবং এর কারণে তাকে বহিস্কার করা হয়।
কলংকিত চরিত্র হলো আওয়ামী লিগের কিছু নির্বাচিত গনপ্রতিনিধি যারা 25শে মাচের্র পর পাকিস্তার আনুগত্য স্বীকার করেন। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মীরা যারা এই যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে কাফের বলার চেষ্টা করছে এবং অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষে লড়ছে -যদিও অখন্ড পাকিস্তান বলে কোনো কিছু আসলে হওয়ার কথাই ছিলো না।
আওয়ামী লিগের বামঘেঁষা অবস্থান সমর্থন করে নি আমেরিকা, যদিও তারাও সোহওয়ার্দিকে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়োগ দিয়েছিলো, তারা সে সময়টাতে সমাজতন্ত্র ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্র ছড়ানোর লড়াইয়ের কৌশল হিসেবে ডানপন্থি কিংবা উগ্র ডানপন্থিদের সহায়তার রাষ্ট্রনীতি গ্রহন করেছে।
ভারতের সাথে সীমান্ত সংঘাত আর রাশিয়ার সাথে আদর্শিক সংঘাতের ফলে চীন পাকিস্তানপন্থি একটা অবস্থান গ্রহন করে।
এর ভেতরে জানুয়ারীর 10 তারিখে মুজিবের প্রত্যাবর্তনের পর তার পাশে ঘনিষ্ট দাঁড়িয়ে খন্দকার মোশতাক।
সামরিক- আধাসামরিক- অসামরিক সৈন্যদের ভেতরের দ্বন্দ্ব কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতরে একটা এলিট সম্প্রদায় তৈরি হয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে লক্ষ্যবিচ্যুত করেছে।
এই কয়েকশত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের সম্মিলিত অবদানকে নষ্ট কিংবা কলুষিত করেছে। খুব লজ্জা লাগে বলতে যে এইসব টথাকথিত মেজর জেনারেলদের কেউ কেউ সে সময় থেকেই পাকিস্তান সেনাপ্রধানদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রেখেছেন- লজ্জা লাগে বলতে এদের কেউ কেউ 71 পরবর্তী সময়ে প্রভূত অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে- লজ্জা লাগে বলতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি টাঙ্গাঈলের গড ফাদার- টাঙ্গাঈলের যাবতীয় সন্ত্রাস আর অঘটনের পেছনে তার পরিবার জড়িত। তারা টেন্ডার দখল করছে, তারা জমি দখল করছে
অসহায় কিছু রাজাকার নিহত হলেও রাজাকার নেতারা কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী নেতারা এবং এই সব লোভী মুক্তিযোদ্ধারা জোট বেধে দেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন তাতে আমাদের এখন মুক্তিযোদ্ধা জেলারেলের মুখেও শুনতে হয়
"35 বছর আগের িতিহাস ভুলে " দেশ গড়ায় মনোযোগী হই।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন