পয়গম্বরের সংখ্যা আসলে কত?

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৪/২০০৭ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের বিশ্বাস অচেতন প্রক্রিয়া। সেখানে যুক্তিবাদিতা নেই, অনেক সময় কোনো লিখিত ভিত্তি নেই। উৎসের নির্দেশ না করে যেকোনো বক্তব্য দেওয়াটা যখন কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য আচরণ না তখন আমার ভেতরে একটাই প্রশ্ন জাগলো- এই যে আমাদের নশ্বর, ববর্র মানুষের জন্য যুগে যুগে প্রতিটা জাতিকে পথপ্রদর্শক পাঠানো হলো- কিংবা কোরানের একটা আয়াতে বলা আছে- সবার জন্য সকল জাতির জন্য পথপ্রদর্শক পাঠানো হয় নি- তাদের সম্মিলিত সংখ্যা 1 লাখ 24 হাজার কিংবা মতান্তরে 2 লাখ 24 হাজার- এই সংখ্যাটা কিভাবে আসলো? এর ভিত্তি আসলে কোথায়?
অনেক জায়গায় বলা আছে আমরা অসংখ্য নবী রসুল পাঠিয়েছি এবং অচেতন মানুষ সব সময়ই তাদের মিথ্যাবাদী বলেছে, অবিশ্বাস করেছে- অস্বীকার করেছে- সেই নবীদের তালিকায় ইব্রাহিমের বংশধরদের একছত্র আধিপত্য- সেখানে যে কয়জনের নাম আছে তারা সবাই আরবেই জন্মেছে-
আরও অসংখ্য নাম উল্লেখিত হয় নি- তবে অনুল্লেখিত 1 লাখ 23 হাজার 970 জনের হিসাবটা আসলো কোথা থেকে।
সাদিকের কথা শুনে ভালো লাগে- সময় সময় আশ্চর্য হলেও এখন আর হই না- কোথাও না কোথাও আশ্রয় খুঁজতে হবে তাকে- তার আশ্রয় এখন ধর্ম- যেকেউ যেকোনো পথের শরণ নিতে পারে। শরণ নেওয়া কোনো ভাবেই অন্যায় না- এমন কি সাদিক পীর ভক্ত হয়ে দরগায় গরু কোরবানি দিলেও সেটাটে আপত্তিকর কিছু খুঁজে পাবো না আমি- সে বিগত এক লেখায় হামজা ইউসুফের উক্তি দিয়েছে- আকল হেড আর নাকল হেড নিয়ে- তবে সাদিক নাকাল হয়ে কোনো রকম পুঁথিগত উৎস ছাড়াই এত এত নবী রসুলের সংখ্যার বিষয়ে বানী দিবে এটা আশা করি নি।
আশা করি সাদিক এর উৎস জানাবে আমাদের।

রাম রহিম- যদু মধু সবাইকে আল্লাহ প্রেরিত মহামানব হিসেবে উপস্থাপনের পর সাদিকের বলা তাদের উপর সালাম শব্দটার একটা চমৎকার কুহক আছে। হঠাৎ করে সাদিককে বেশ মহান অনুসারি মনে হয়। ভাববাদের চরম অধঃপতন যাকে বলে। মনে হয় সাদিক নামের পেছনের মানুষটা সব ধর্মকেই সমান প্রাধান্যদেয়- সব ধমের্র অস্তিত্ব স্বীকার করে- সব মতই সঠিক মেনে নেয়- হয়তো বা সাদিক সম্পর্কে এই উক্তিগুলো সঠিকও হতে পারে।
তবে সময়কাল অনুসারে অনেক ধমের্র নেতারাই নবী রসুল হবেন না। বুদ্ধদেব, কনফুসিয়াস হলেও চৈতন্য কিংবা রামকৃষ্ণ মহামানব ইশ্বর প্রেরিত দুত হবেন না। না হলেও আমার কিছু যায় আসে না। অবতার হলেও তিনি নবী রসুল না এই কথাটাই প্রমানিত হবে শুধু। মানুষের বাক্য ব্যবহারে শব্দের চমকে এই বিষয়গুলো উহ্য থাকে সময় সময়।
কাল অনেক ক্ষণ হেসেছি- কোনো একজন লিখেছিলো আদমের জন্মবৃত্তআন্ত- সেখানে একটা তথ্য ছিলো আদম ছিলেন 60 হাত লম্বা- এই পরিমাপের এককটা আসলো কোথা থেকে- কে মাপলো? সে সময়ে চরাচরে আদম ভিন্ন অন্য কোনো মানুষ নেই- তাহলে আদম কি নিজের হাতের 60 হাত? এই প্রশ্নটাই করেছিলো মেন্টাল নামের একজন।
সেই সম্ভবনা চিন্তা করে হাসলাম অনেকক্ষণ। আমার পরিচিত জীব জগতে টিকটিকির হাত-পা বেশ ছোটো, একটা সম্ভবনা আছে বিবর্তনে জন্ম নেওয়া আদমের শরীর মানুষের আকার পেলেও হাত পা টিকটিকি পর্যায়ে কিংবা সরীসৃপ পর্যায়ে ছিলো- এই কথাটারও একটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে- পৃথিবীতে নাকি উভচর সরীসৃপেরাই মেরুদন্ডীদের পূর্ব পুরুষ হিসেবে স্বীকৃত। কোরান মহা বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ। আদমকে 60 হাত করে এই বৈজ্ঞানিক তথ্য লুকিয়ে রেখেছে গোপনে। খুঁজলে মানিক রতন পাওয়া যায় এই ঐশী গ্রন্থে।

যাই হোক বেশ অনেক আগে একটা কথা প্রসঙ্গে এসেছিলো - সূচের ফুটা দিয়ে উট পাচারের কোরানিক ভিত্তি নিয়ে কথা। এইটা আরাফ- কোরানের 7 নম্বর সুরার 40 নম্বর আয়াতের বক্তব্য- অন্য একটা বক্তব্যও আছে এখানে- পাহাড়কে উটের কুঁজের মতো ঘোষণা দেওয়া আরবের নাগরিকেরা পাহাড়কেও উটের কুঁজ বলতো- এমন একটা পাহাড়ের নামও আছে সম্ভবত সেখানে- সেই সূত্রে সূচ দিয়ে পাহাড় পাচার- এবং সেই থেকে শমসের সাহেবের ব্লাক হোলের সন্ধান খুঁজে পাওয়া।
চাইলে অনেক কিছুই বলা যায়। মানুষের স্থিতিস্থাপক মুখে অনেক কিছুই নির্গত হয়। সেসব নিয়ে এত শোরগোলের কোনো মানে নেই- অসভ্যতার অর্থ নেই- যেই সংস্কৃতি যে বিশ্বাস ধারণ করে- যে জীবনযাপন রীতিকে নিজেদের জন্য সঠিক মনে করে সেটাই সঠিক। খাদ্য বিষয়ক ভাবনাগুলোকে আসলে অসভ্য আলোচনারঅন্তর্ভূক্ত করার মানে নেই- যদিও এই শোভনাতা বোধের অভাব ধার্মিক মানুষের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা এর পরও তারা শোভন হয়ে উঠলে আমাদের জীবনযাপন আনন্দময় হতো।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।