অমঙ্গল আশংকা সত্য প্রমাণিত হলে বিহ্বল লাগে। সামরিক বাহিনী নিতান্ত বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক সংস্কার করছে, গভীর খনন চলছে, আগামি 18 মাস নির্বাচনের কোনো সম্ভবনা নেই।
মতার আনন্দ এমনই। সাখাওয়াত সাহেব খুব নিশ্চয়তা দিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন তার অনেক অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উর্দিবাজ সাখাওয়াত বলেছিলেন ছবিসহ ভোটার তালিকা তিনি প্রযুক্তির কল্যানে 90 দিনের ভেতরেই করে দিতে পারবেন। তার বিস্তারিত পরিকল্পনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ না দিয়ে বলি যখন সবাই ভোটার তালিকা ভূমিষ্ট হওয়ার সময়কাল নির্ধারণ করছিলো 12 মাস, 10 মাস, যখন কেউ কেউ এটাকে অপচয় বলছিলো তখন তার এই বানী- স্বল্প সময়ে স্বল্প মূল্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরীর এই পরিকল্পনা জেনে তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ দেওয়ায় আমাকে আনন্দিত করেছিলো।
তবে লঙ্কা আর রাবনের সংযোগের ইতিহাস অনেক পুরোনো। তাই আমলাতন্ত্রের জালে ফেঁসে গেলো প্রত্যাশার বেলুন। অবশ্য নিরুদ্বেগ ঘুরছেন উপদেষ্টারা। আশংকা ছিলো তারা উদ্বোধন মিছইলে যোগ দিবেন। হ্যানো ত্যানো উদ্বোধন করবেন তারা। সে আশংকাও সত্য হচ্ছে। তপন চৌধুরী উদ্বোধন করলেন কম্পিউটার মেলা- অবশ্য এসব দেখলে আমার গ জ্বলে তবে উপদেষ্টা কিংবা মতাসীনদের মতার আশ্চর্য প্রভাবে তাদের গায়ের চামড়া হয়ে যায় ভীষণ রকম পুরু। তারা এসব লোকলজ্জা বিসর্জন না দিলে সেখানে পৌঁছানোর সুযোগ পেতেন না।
রাজনৈতিকদের সময় একটা সান্তনা ছিলো নিজ্বস্ব লুটপাটে সবাই ব্যাস্ত বিধায় সকল মন্ত্রীর চেহারা প্রতিদিন দেখতে হতো না- এখন এই 11 জনকে প্রতিদিন দেখতে হয়।
কারো আকিকা, কারো সুন্নতে খাৎনা, কান ফোঁড়ন, গায়ে হলুদ, বাসর ঘরের দরজার ফিতে কাটা এসব কাজও তারা শুরু করবেন শীঘ্রই। আমরা গনমাধ্যমের কল্যানে তাদের এসব অনাচারও দেখবো। আমরা অনেক কিছুই হজম করে ফেলি। আমাদের জারণ মতা সীমাহীন। তাই সব সয়ে যায় আমাদের।
বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেেিত মনে হচ্ছে পরপর 2টা বাজেট পেশ করবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের দায়িত্বের নির্ধারিত সীমানার বাইরে তারা যেসব পদপে নিচ্ছেন তার সবগুলোই শুভ এমনও নয়। সব কিছুরই একটা ভবিষ্যত প্রভাব আছে। রাষ্ট্রীর পর্যায়ের যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনে সকল নাগরিকের অংশগ্রহনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটা থাকছে না এখানে। বাংলাদেশের জনগন এই 11 জনকে নির্বাচিত করে নি, তাদের বাছাই করেছে সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনী পরো ভাবে দেখ পরিচালণা করছে এবং আইন উপদেষ্টার মুখ থেকে তাদের আসবার কার্যকরণ ব্যাখ্যা করেছে- নিতান্ত বাধ্য হয়েই তারা রাজনৈতিক সংস্কারের কাজ করছে- বাংলাদেশের প্রতিটা নির্বাচিত সরকার কোনো ভাবেই দেশ গঠনের কাজ করতে পারেন নি। এমন কি 70 এ নির্বাচিত সরকার- যাদের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ হলো তারাও কিছু দিতে পারেন নি- দিচ্ছেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি মহান দেশ প্রেমিক- তার অনুগত সেনাবাহিনী দেশ প্রেমিক-
তবে সমস্যাটা এখানেই-
জনগন যাদের বাছাই করে নি কিন্তু যাদের বাছাইকে মেনে নিয়েছে- কারণ তাদের দায়িত্ব একটা গ্রহনযোগ্য নিরপে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা- তারা এখন রাম শ্যাম যদু মধু খেলবেন- তাদের যে কাজ সেটা না করে সকল নাগরিকের প েদেশের ব্যয়বরাদ্দ করবেন- আন্তঃ রাষ্ট্রীয়, অন্তঃ রাষ্ট্রীয় চুক্তি করবেন- এসবের কোনো ভিত্তিই নেই। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র যদি তেমন শক্তিশালী একটা সংগঠন হতো তাহলেও তি ছিলো না কোনো- তবে এই আমলাতন্ত্রও দূর্বল একটা প্রতিষ্ঠান।
সবারই নির্ধারিত সীমানা আছে। সে সীমার ভেতরে থেকেই তাদের জীবন যাপন করতে হয়। প্রত্যেকের কর্মজীবনের নিজস্ব পরিধি আছে।এসব নির্ধারিত সীমানার ভেতরে যতটুকু স্বাধীনতা, যেটুকু স্বাধীন মত প্রকাশ করা যায় ততটুকুই বাঞ্ছনীয়। যদি কেউ কোনো কারণে সেই সীমা অতিক্রম করেন সেটা তবে অন্যের সীমায় হস্তপে হয়ে যায়।
আমার বক্তব্য সবার কাছে গ্রহন যোগ্য নাও হতে পারে। যে মুহূর্ত থেকে মনে হয়েছে 11ই জানুয়ারীর পরের বাংলাদেশের তত্ত্বাবধান যারা করছেন তাদের নিজস্ব ল্য নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াই অনেকগুলো জনগুরুত্ব সম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনের চেষ্টা করবেন তখন থেকেই ীণ সন্দেহ ছিলো পর্দার আড়াল থেকে ঘোমটা ফেলেই সেনাবাহিনী সামনে চলে আসবে।
বর্তমান সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদের বচনামৃতে সে আশংকাই জোরদার হলো। দেশের প্রশাসন আর প্রতিরা দপ্তর স্বাধীন এবং বিচ্ছিন্ন 2টা সংস্থা। কেউ কারো উপর কখনই খরবদারি করে না।
গনতন্ত্রের জবাবদিহিতা অংশেও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার ব্যাবস্থা থাকলেও প্রতিরা দপ্তর জনগনের কাছে দায়বদ্ধ নয়। তাদের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো আছে- বেসামরিক প্রশাসনিক কাঠামো আর সামরিক প্রশাসনিক কাঠামোর মৌলিক পার্থক্য হলো বেসামরিক প্রশাসনিক কাঠামো জনগনের কাছে দায়বদ্ধ। তাদের কর্মকান্ড চলে সাধারন নাগরিকদের নিয়ে।
এখানে সঠিক ভাবে নিরপে ভাবে কা করবার জন্য তাদের রাজনৈতিক উর্দি দপ্তরের বাইরের দরজায় খুলে ররেখে আসতে হয়। তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস আর রাজনীতির ব্যবহার অন্যায়।
প্রতিরা দপ্তরের সর্বময় মতা রাষ্ট্র প্রধানের হাতে থাকলেও রাষ্ট্র প্রধান চাইলেই সামরিক প্রশাসনের উপর খবরদারি করতে পারেন না। এখানের প্রশাসনিক কাঠামো আর আইন শৃংখলা ব্যবস্থা বেসামরিক ব্যবস্থা থেকে পৃথক।
মইন ইউ আহমেদ বললেন গত 36 বছরে রাজনীতি আমাদের কিছুই দেয় নি। আমাদের জাতির পিতাকে স্বীকৃতি দিতে পারি নি। তার এ বিষয়ে মন্তব্য প্রদান নিজস্ব ড্রইং রুমের ভেতরে রাখলেই ভালো হতো। প্রতিরা দপ্তর ব্যতীত বেসামরিক প্রশাসনের আর তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কি ঘাটতি, কি খামতি এসব নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। জলপাই উর্দি পড়ে রাজনীতির কথা বলার অর্থ তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন
জানুয়ারী মাস থেকেই তিনি দেশভ্রমনে, বিভিন্ন জেলায় সভা করছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন- ব্যবসায়ী প্রশাসনের লোকজনের সাথে সাাৎ করছেন। আমাদের অথর্ব উপদেষ্টা পরিষদের একজনেরও মেরুদন্ড এমন সবল না যে তারা কোনো কথা বলতে পারেন এসব অনিয়মতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে। বরং তাদের একজন এ ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছেন।
কিছু মানুষ এই অব্যবস্থা সমর্থন করছেন যাদের ভেতরে অধিকাংশই সুশীল সমাজী কপট ভন্ডের দল। তাদের বক্তব্য এরা প্রশাসনের খবরদারী করে খুব ভালো কাজ করছেন। এত ভালো কাজ, এমন ঐতিহাসিক সুযোগ আর আসবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর অবদানের কথা সবাই কৃতজ্ঞতা সহকারে স্বীকার করবে।
তবে তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না আইনকে অমান্য করে কেনো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্রতী সামরিক বাহিনী?
হাইকোর্ট 54 জন রাজনীতিবিদের আটকাদের অবৈধ ঘোষণা করেছে। অথর্্যাৎ যৌথ বাহিনী যাদের আটক করে ফাটক দিয়েছে, তাদের অন্তরীণ করে রাখার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
এই রায় দেওয়ার অধিকার আছে কি না এটা নির্ধারণের জন্য একটা কমিটি গঠিত হলো, সে কমিটি এই রায়কে 1 মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে বাস্তবায়িত হতে দিলেন না। আইন অমান্যের দৃষ্টান্ত রেখে রাজনৈতিক সরকার যেভাবে অতীত পাপের ইতিহাস টেনে অপরাধ করেছিলো- সেই একই ধরণের অপরাধ করলো বর্তমান প্রশাসন। আইনের উপর খবরদারী করা এবং নিজস্বার্থে আইনের ব্যবহার করা, আইন অমান্য করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্টার আশাবাদ ব্যক্ত করছি, আমরা চমৎকার মানুষ।
15 বছর একটানা সেনা শাসনে থাকার পর, বিভিন্ন সময় অবসরপর প্রাপ্ত মেজর জেনারেলদের সুবিধা দিয়ে বেসামরিক প্রশাসনে কতৃত্ব দেওয়ার পর পূনরায় সেনা প্রধানদের কিংবা অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের রাষ্ট্র মতায় দেখতে আমি মোটেও আগ্রহী না।
এডিবি বিশ্ব ব্যাংক চাপ দিচ্ছে, চাপিয়ে দিতে চাইছে, টাটার সাথে বানিজ্য চুক্তি করার চাপ দিচ্ছে তারা- টাটার সাথে দীর্ঘ মেয়াদী বানিজ্য চুক্তিতে টাটা যেসব আবদার জানিয়েছিলো অতীতে তা তারা বদলাবে না- আর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তিকর বলেই এই চুক্তিতে সার করেন নি- একটা মাত্র মানুষ এতে অত্যুৎসাহী ছিলেন জ্বালানী উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান।
লোভী ঘুষখোর চার দলীয় জোটও ভোটের চাপে এ সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাদের শর্ত পরিবর্তনের অনুরোধ করেছেন, শর্ত পরিবর্তন সাপে েতাদের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে এমন কথা বলেছেন- টাটা কদিন আগে হুমকি দিয়েছে তারা অন্য কোনো দেশে যাবে বিনিয়োগ নিয়ে- তাদের ভাব ভঙ্গি এমন তারা দাতব্য সংস্থা, নিজেদের লাভের জন্য নয় শুধুমাত্র বাংলাদেশের উন্নতির কথা ভেবেই তারা এখানে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা এ দেশের সমৃদ্ধি চায়- কোনো বড় মাপের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন এমন মানবহিতৈষি রূপ গ্রহণ করে তখন মনের কোনে অজান্তেই উঁকি দেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কথা- কোনো কারণ নেই- এরপরও টাটা আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ মনে হয়- এর আগে আফ্রিকায় সভ্য !! মানুষেরা সেখানের জনগনের নৈতিক, অর্থনৈতিক চারিত্রিক, পরলৌকিক উন্নতি সাধনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন, এখনও তারা সেখানে, তারা দণি আমেরিকার দেশগুলোতেও একই উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। তাদের এই মানব হিতৈষি মনোভাবের ফলে সেখানে যা ঘটেছে সেই রকম ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসের পর এখন টাটার মুখেও এমন কথা শুনলে আশ্চর্য হই।
যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আগ্রাসন চালালো কারন তারা ইরাকের জনগনকে মুক্ত করতে চায়, তাদের গনতন্ত্র দিতে চায়, সমৃদ্ধি দিতে চায়। 4 বছরে প্রায় 5 ল মানুষ মরে যাওয়ার পরও সেখানের অবস্থা স্থিতিশীল হলো না।
এইসব বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার ল্যে গটিত রাষ্ট্রতন্ত্রের নীতি বাস্তবায়নের জন্য আরও চমৎকার কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে , বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান- দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের তির সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও এডিপি চাপ দিচ্ছে চুক্তি সারের।
টাটা যদি অন্য কোনো দেশে চলে যেতে চায় যাক, দেখা যাক অন্য কোনো দেশ তাদের এই মানবকল্যানের পন্থাতে কতটুকু আনন্দিত হয়। তবে সম্ভবত অনির্বাচিত 11 জন আর সেনাবাহিনী নানা রকম নীতিবাক্য আর দেশ উদ্ধারের কথা বলে চুক্তি সার করে ফেলবেন।
প্রাক্তন সেনাবাহিনীর লোক, দুদকের প্রধান মশহুদ সাহেব যখন আগামি 2 বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন তখন বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নি।
এ সময়ের ভেতরে সম্ভাবনাময় খনিজ সম্পদ উত্তোলনের চুক্তিগুলো সার করবেন কারা? বৈদেশিক বিনিয়োগের চুক্তি সার করবেন কারা?
আমাদের অথর্ব সম্পাদক আর সুশীল সমাজ ভালো কাজ ঘটছে বলে বেআইনী ব্যাবস্থার পিঠ চাপড়াবেন কত দিন? কবে সামরিক হস্তপে থেকে মুক্তি পাবো আমরা?
রাজনৈতিক সীমিত গনতন্ত্র কালে অনেক রকম স্বাধীনতা ছিলো। অহেতুক জরুরী অবস্থা ছিলো না। প্রতিবাদে রাস্তায় নামার উপায় ছিলো। এখন সে সুযোগ নেই।
সামরিক বাহিনীর একজন সেদিন যদি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ছেড়ে দিতেন ভালো হতো- তিনি আবারও বক্তব্য রেখেছেন- এবার বেসামরিক পোশাকে-
আমাদের গনতন্ত্র বদলাতে হবে। পরিবার তন্ত্রের খপ্পড় থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে- নতুন দল, নতুন মানুষকে সামনে আনতে হবে। ইঙ্গিত তা স্পষ্ট, আমাকে আর একবার বললেই আমি নাইতে রাজি ধাঁচের আব্দার। অনেক আগে থেকে অনুমান চলছে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানী কায়দায় নির্বাসন দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের মোশাররফ সাহেব নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেওয়ার পর বেনজীর আর নওয়াজ শরীফকে নির্বাসন দিলেন। দেশের নাগরিক রাজনীতি করবার অপরাধে, দুর্নীতির অপরাধে দেশে থাকতে পারবেন না- এই সব উদ্ভট নীতি ছিলো ঔপনিবেশিকতার কালে- ব্রিটেন থেকে অপরাধীদের নির্বাসন দেওয়া হলে তারা অস্ট্রেলিয়া গড়ে তুললো। আন্দামানে পাঠিয়ে দেওয়া হলো স্বাদেশী আন্দোলনকারীদের। তবে এই একই নীতি এই বর্তমানে প্রচলন করলেন মোশাররফ সাহেব। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী 1971 এ পরাজিত হলেও এ দেশীর সেনাপ্রধানদের ঘাড় থেকে তাদের ভুত ছেড়ে যায় নি।পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ধারণার জীবাণু তারা এখনও রক্তে বহন করছেন।
বিদ্যুত খাত থেকে 20000 কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে- সেটাকা ফেরত আনা হবে- ভালো কাজ, তবে নির্বাসন দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া যে তার নির্ধারিত আইনী সীমার বাইরের কাজ মহান আইন প্রতিষ্ঠক মইন ইউ আহমেদ এই কথা ভুলে গেলে কিভাবে হবে।
রাজনীতিতে নতুন মুখ আনার জন্য তিনি কি নিজস্ব সেনা ছাউনি স্বাধীনতা দল গঠন করবেন? অবশ্য সেনাবাহিনীর মদদ থাকলে যেকোনো উপায়েই মতায় টিকে থাকা সম্ভব।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন