নিজেদের নীচতায়, নিজেদের হিংস্রতায় বিষন্ন বিমুঢ় নির্বাক হয়ে যাই সময় সময়, কখনও নির্মম আক্রোশ অনুভব করি।কখনও নৃশংস অমানবিক বর্বর আচরণ করতে ইচ্ছা করে।
গুয়ানতামো বেতে বন্দী নির্যাতন হচ্ছে এইসব বন্দী নির্যাতনের বিষয়ে পড়তে গিয়ে বন্দী অপরাধী ও রাষ্ট্র বিরোধীদের নির্যাতনের অতীত বর্তমান নিয়ে পড়েছিলাম মাঝে বেশ কয়েক দিন। আফ্রিকার আদিবাসীরা যুদ্ধবন্দীদের ধরে কেটে খেয়ে ফেলে- তবে এর পেছনেও একটা কুসংস্কার ভিত্তিক ব্যাখ্যা আছে-
মধ্যযুগে ইউরোপের বন্দী ও রাষ্ট্র দ্রোহীদের নির্যাতনের যান্ত্রিক কৌশল কিংবা সভ্যতায় অগ্রসর- অবধারিত ভাবে অসভ্য বর্বরতায় অগ্রসর চীনের অনুসৃত বন্দীদের নির্যাতন কৌশলের বর্ণনা পড়ে হতবাক, শিউরে উঠেছি।
আধুনিক যুগে বন্দী আর অপরাধীদের উপর নির্যাতনের বর্ণনা যখন পড়া শেষ হলো তখন মানুষ কতটা নির্মম নৃশংস হয়ে উঠতে পারে তার একটা দলিল পেয়ে আশ্বস্ত হলাম অন্তত আত্মঘাতীরা সে পরিমাণ বর্বর না- তারা শরীরে বোমা বেঁধে অনেক লোককে নিয়ে মরলেও সেটা ওয়ান শট প্রসেস- সুইচ চাপো ইতিহাস হয়ে যাও।
বন্দী নির্যাতনে প্রথম ১০টা দেশের ভেতরে ২টো বাদে সবগুলোই মুসলিম অধ্যুষিত দেশ- কাতার সৈদি আরব সিরিয়া পাকিস্তান উপরের দিকে জ্বলজ্বল করছে-এটা কি প্রমাণ করে মুসলিমরা অধিক আইনী নির্যাতন করে, তারাই অধিক নৃশংস? তারা এমন কাজ করে যেতে পারে এর অনুপ্রেরণা কি তারা সুন্নাহ কোরান থেকে পায়? না কি তারা দোযেখের কল্পিত বর্ণনাকে বাস্তবায়ন করতে চায় পৃথিবীর বুকে?
তবে আইন বহির্ভুত বিচার বিভাগীয় হত্যার তালিকা তৈরি করলে বাংলাদেশ অনায়াসেই সেখানে প্রথম ৫ জনের একজন হতে পারবে।
তবে আজকে মনে হচ্ছে সবগুলো বর্বর নির্যাতন ব্যবস্থাও আসলে যথেষ্ঠ না, আরও নির্মম আরও নৃশংস আরও যন্ত্রনাদায়ক হত্যা প্রক্রিয়া আবিস্কার করা প্রয়োজন, অনেক সময় ফাঁসী কিংবা মৃত্যুদন্ড অনেক হালকা শাস্তি হয়ে যায়।
বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর নারী লোলুপতা, অর্থ লোলুপতা এবং আইন ভঙ্গে পারদর্শীতা নিয়ে অনেক বার আলোচনা হয়েছে- আমার মনে হয় এই সব বিচার বহির্ভুট ক্রাস ফায়ার আর এনকাউন্টারে মৃত্যু ঠেকাতে আরও কঠোর বিধি জারি করা দরকার- যেসব ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এসব কাজে যুক্ত থাকবে তাদের সরাসরি ফাঁসী-
যেদিনই ক্রস ফায়ারের ঘটনা ঘটবে- সেদিনই যে সকল পোকজন সেই বন্দীকে নিয়ে বের হয়েছিলো তাদের ক্লোজ করে হত্যার চার্জশীট দাখিল করো- তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দাও- তারা যদি ব্যাখ্যা করে বুঝাতে পারে যে বন্দী পাগল ছিলো তাই সে লাইন অফ ফায়ারে ঝাঁপ দিয়ে পড়েছিলো তবেই তাদের রেহাই- নতুবা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে ফাঁসির আদেশ দাও- বাংলাদেশে ফাঁসীর দড়ির কমতি নেই আরও অন্তত ১০০০ জনকে এখনও ঝুলানো যাবে।
পুলিশি হেফাজটে গনধর্ষণের শিকার হওয়া তরূনীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার এবং অন্যান্য সদস্যদের বিষয়ে তেমন শক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নি। এই মেয়েটিকে নিরাপত্তা হেফাজটে রেখে টানা ধর্ষণ করা হয়েছে- মেয়েটা গর্ভবতী- সরকারের শৃংখলা রক্ষায় জন্ম নেওয়া এ শিশুটি কত রাষ্ট্রীয় সুবিধা পায় এটা আমাদের জানা প্রয়োজন।
ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরন পোষণের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করতে হবে অভিযুক্ত ধর্ষককে- এমন একটা আইনী বিধান আছে- অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এ শিশুটিকে সরকারী বেতন ও অন্যান্য ভাতা খাতে অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। যেহেতু প্রশাসন ধর্ষকদের নিয়োগ দিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আগের মৃদু অভুযোগগুলো অবজ্ঞা করে গেছে তাই এর দায় সম্পূর্নই বর্তায় প্রশাসনের উপরে। অভুযুক্ত পুলিশদের ফাঁসী দেওয়া হোক এবং তাদের সমুদয় বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি এমন কি পেনশনের উত্তরাধকারী করে দেওয়া হোক এ শিশুকে- এই শিশুর পিতা ধর্ষক বাংলাদেশ।
এ সংবাদ পড়ে আহত হয়েছি- বিমর্ষ হয়েছি- প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় এভাবে আরও কত ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে সরকার সচেতন হবে এমনটা ভাবতে চেয়েছি- সীমা ইয়াসমিনের পরও এমন ঘটনা ঘটেছে- আবারও ঘটলো কয়দিন আগেই- তবে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেব অপমানিত বোধ করলেও আমি চাইলেই আমার নাগরিকত্ব খারিজ করে দিতে পারি না- তাই অপরাধপ্রবণ ভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকত্বের লজ্জা বহন করছি।
নির্মম আক্রোশ অনুভব করেছি যে সংবাদ পড়ে , যে সংবাদ পড়ে মনে হয়েছে মানুষের উদ্ভাবিত যাবতীয় নির্যাতন কৌশলও যথেষ্ট নয় এর যথাযোগ্য শাস্তি নির্ধারণে সে ঘটনা ঘটেছে ভৈরবের একটি ক্লিনিকে।
গর্ভে শিশু মরে গেলে মৃত শিশুকে গর্ভচ্যুত করতে অস্ত্রোপচার করতে হয়- এটা না করলে মায়ের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে-
ভৈরবের অর্থলিপ্সু এক ক্লিনিক কর্মচারী কর্মকর্তারা নিজেদের অর্থ লিপ্সার নির্মমতায় কংসকে ছাড়িয়ে গিয়েছে- সেখানে যতজন মাতা যেতো সন্তান জন্ম দানের জন্য তাদের ভেতরে মক্কেল খুঁজে বের করে সেই কর্মচারীরা মা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বলতো গর্ভার শিশুটি মরে গেছে- এখন মাকে বাঁচানোর জন্য অপারেশন করা দরকার-
এ সময়ে তাদের মানবিক চেহারা বের হয়ে আসতো- রোগীকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অপারেশন করলে ১০- ১৫ হাজার টাকা লাগবে এছাড়াও যাতায়ত খরচ আছে- আমরাই বরং ৫-৭ হাজার টাকা দিয়ে অপরেশনটা করে ফেলি।
এর পর তারা মায়ের অস্ত্রোপচার করতো এবং গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করতো। আমি ভাবতেও পারি না মানুষ এমন অর্থলিপ্সু নৃশংস হয়ে কিভাবে গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা কে? কিভাবে তারা একটি প্রায় পরিপূর্ণ ভ্রুণকে কেটে টুকরা টুকরা করে- এমন নৃশংসতার উপযুক্ত শাস্তি কখনই ফাঁসী হতে পারে না।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন