বিষয়টা দুঃখজনক ২০শে অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আবারও রাজনৈতিকসুবিধালোভীদের ভীড়,অতীতে সরকার শুধুমাত্র সরকারি প্রচারযন্ত্রের আনুকল্য পেলেও এই সেনাসমর্থিত সরকারের কবলে দেশের সকল প্রচারমাধ্যম। ক্রিয়েটিভ মিডিয়া নামের এক সংস্থা বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে যেখানে রাজনীতির নষ্ট চেহারা তারা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন-এমনটাই সংস্থাটির ধারনা।
দুঃখজনক সম্পূর্ন প্রক্রিয়াটি শুধু এজন্য নয় যে এটা প্রচলিত রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রচার- প্রচলিত রাজনীতির ভেতরে সমস্যা আছে বলেই আমরা আজকে এ অবস্থানে এসে সম্পূর্ন বাকসংযম প্রদর্শনে বাধ্য হচ্ছি। বরং প্রক্রিয়াটি দুঃখজনক এজন্য যে এখানে বক্তার মুখে ভাষা তুলে দিচ্ছে উন্নত মস্তিস্কের অধিকারি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। সাধারন মানুষের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা যা প্রচার করছে সেটা কতিপয় সুবিধালোভী মানুষের ভাষ্য- এবং এরা কোনোভাবেই এই সাম্প্রতিক অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ নয়।
সমস্যা এজন্য যে এর বিপরীত ভাষ্য প্রচারমাধ্যমের আনুকল্য পাচ্ছে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরা প্রায় সময়েই অবহেলিত পক্ষ, তারা যেহেতু সীমিত প্রচার পায় তাই আমাদের সুশীলদের দিকে তাকিয়ে থাকা ভিন্ন অন্য কোনো সুযোগ তাদের থাকে না। আমাদের মহৎপ্রাণ সুশীলেরা যখন কোনো এক সময়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান মানুষের বঞ্চনার সংবাদ সেটা শিরোনাম হয়, এ কারণেই হয়তো শুধু সাধারন মানুষের ভাষ্য নয় বিশেষজ্ঞরাও প্রচারমাধ্যমের সামনে মিথ্যা বলছেন।
এখানেই আমাদির জাতিগত নির্লজ্জতায মুঢ় হতে হয়। সামান্য সুবিধাপ্রপ্তির লোভে আমরা কতটা নীচে নামতে পারি তার একটা উদাহরণ সামনে এসেছে ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার কল্যানে। আন্দোলনের দাবী সম্পর্কে প্রায় সবাই অবগত, ২০শে আগস্ট সামরিক নিপীড়নের পর ছাত্রদের প্রথম দাবি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সেনা ও পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার করা- তবে এর সাথে সহযোগী দাবি ছিলো দেশ থেকে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহারের দাবী। আন্দোলনের প্রথম সাফল্য হলো প্রথম দাবিটা মেনে নিয়ে প্রশাসন ক্যাম্প প্রত্যাহার করে তবে অন্য দাবীগুলো পুরণের কোনো আশ্বাস দেওয়া হয় নি। বিজয় ছিলো আংশিক-
আজ হঠাৎ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার প্রামাণ্যচিত্র দেখে মনে হলো তারা মূল ৪টা দাবিকে মুছে ফেলে বিষয়টাকে এমন চেহারা দিতে চায় যে মূলত দাবি ছিলো সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের- অন্য কোনো দাবি সেখানে ছিলোই না- বরং তাদের প্রচারনা এমন একটা চেহারা নিয়েছে যে অন্য দাবিগুলো যা পুরণ হয় নি সেগুলো পরে যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক দলেরা করেছে।
আমাদের সম্মানিত বিবেকবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষত বললেন বিষয়টা লজ্জাজনক- আমরা বর্তমানে যে সময় অতিক্রম করছি সেটা লজ্জাজনক নয় কোনোভাবেই- সামরিক খবরদারির এশাধিক নমুনা যদিও প্রচারমাধ্যমে এসেছে তবে সামরিক খবরদারি গ্রহনযোগ্য, মূলত মানসিকতার সমস্যা, ক্ষমতাবানদের পা চাটার প্রিয় স্বভাব বলা যায় এটাকে। এমাজউদ্দিন বললেন শিক্ষকদের উস্কানিতে এমনটা ঘটেছে- শিক্ষকেরা যেখানে দাবি তুলেছিলো জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের- দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবার দাবিটা ঠিক কোন বিবেচনায় উস্কানি হিসেবে পরিগনিত হয়- কোন প্রেক্ষিতে হয় এটা আমার জানা নেই।
লোকপ্রশাসন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক বললেন সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের পরই বিষয়টার সমাপ্তি ঘটেছে- তিনি কি মিছিলের শ্লোগান শুনতে পান নি কানে? কিংবা তিনি কি এ দাবির বিপক্ষে- না তিনি এরও কয়েকদিন আগে একুশে টিভির সামনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থা তুলে নিতে আহ্বান করেছেন। তবে সেটা ক্যামেরা স্ট্যান্ট ছিলো সম্ভবত, উপস্থিত সবাই বলছিলো এমনটাই আসলে করা উচিত তাই তিনি এ মতে সহমত প্রকাশ করেছিলেন। তবে একই দাবি যখন উত্থাপিত হলো সহকর্মীর কণ্ঠে তখন মনে হলো বেটা উজবুক বলে কি জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পরিস্থিতি কি আদৌ এসেছে- কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো?
তবে কৌশলটা চমৎকার এক বিবেচনায়, এখানে সাধারণ ছাত্রদের তোয়াজ করে বলা হচ্ছে তোমরা ঠকেছো- তোমাদের নষ্ট করে রাজনৈতিকেরা সুবিধা নিচ্ছে- আমাদের দেখো, আমরা মানবহিতৈষি- আমাদের কোনো স্বার্থ নেই- আমরা জনস্বার্থে এসব করছি। আমাদের কোনো লাভ নেই লোভ নেই। ছাত্রদের ঠকিয়ে যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তারা পাপিষ্ট নরাধম। তবে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে তারা। গণতন্ত্রায়নের হিস্টেরিয়ায় ভুগছে কারা? সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের পটভুমি তৈরির কাজটা অসমাপ্ত রেখে কারা দেশের প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার করছে। কারা সংবিধানকে বাদ দিয়ে নিজেদের মর্জিমফিক চলছে। প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক করবার কাজটা করবার জন্য নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি প্রয়োজন। এ প্রয়োজন অস্বীকার করে কারা কাজটা করছে? এর আইনগত বৈধতা কতটুকু? আমরা আইনের শাসনের কথা বলছি- আইন হত্যা করে বোনো কাঠামো নির্মানের কথা বলছি না। এখানে নিজেদের অবস্থান চিিহ্ণত করবার প্রয়োজন আছে।
কাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে, কাকে করতে দেওয়া হবে না এটা নির্ধারণ করবে নির্বাচনী আইন কাঠামো- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উন্মাদ কোনো উপদেষ্টা এটা নির্ধারণ করে দিবে কেনো। দেশের সংবিধান অনুযায়ি যা যা অধিকার নাগরিকের প্রাপ্য তার কতটুকু পাচ্ছে নাগরিক? ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল দেবার গোঁসাই সরকারের কাছে এ প্রত্যাশা সবার যে তারা নিজেদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন যথাযথ ভাবে।
ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ভাংচুরে অংশগ্রহন করে নি, তবে কারা করেছে? উত্তর দিচ্ছে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া- রাজনৈতিক দলের ভাড়াটে দুস্কৃতিকারি, তারাই এ কাজে অংশগ্রহন করেছে- আরও একটা সম্ভবনাও তো আছে এখানে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট জনগণ, যাদের জীবিকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে- হকার উচ্ছেদের নামে যাদের জীবিকার নিশ্চয়তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে এসব অসন্তুষ্ট মানুষও এ কাজ করতে পারে। একটা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ায় যাদের অবস্থা হয়েছে বিড়ালের মতো- সন্তানের নিরাপত্তা ও জীবিকার নিরাপত্তার জন্য যারা এ রাস্তা সে রাস্তায় পসরা নিয়ে ঘুরছেন প্রতিটা দিন- প্রতিদিন রাতে যারা হলি ডে মার্কেটে নিজেদের অবস্থান গ্রহনের জন্য জায়গা দখল করছে মাঝ রাতে সেখানে ঘুমিয়ে পরদিন নতুস কোনো রাস্তায় দাড়িয়ে লড়াই করছেন এসব অসন্তুষ্ট মানুষও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে- যদিও গরীবের কথা বলবার অধিকার তেমন স্বীকৃত অধিকার নয় তবে ছাত্রদের সাথে সংহতি প্রকাশের এবং জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবিতে সহমত হওয়ার একটা কারণ আছে তাদের। উচ্চবিত্তের বিলাসি সরকার যখন উচ্চ বিত্তের চাহিদামফিক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ফুটপাত উপহার দিয়েছেন- তষনও হয়তো তাদের জানা ছিলো না এজন্য হয়তো ২০ লক্ষ মানুষ ভয়ংকর সমস্যায় পড়বে। বিদেশে সময় কাটানো, উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভেতরে সময় কাটানো মানুষেরা একদিনও যদি এই লড়াইয়ে অংশ নিতো তবে তারা আরও বেশী প্রতিক্রিয়া জানাতো। তাদের চোখে সম্পুর্ন বিষয়টাই একটা রাজনৈতিক চত্রান্ত, ছাত্ররা এর শিকার আর লাভবান পক্ষ হচ্ছে রাজনৈতিকেরা। তারা বলছেন এজন্য যতটুকু কঠোর হওয়া সম্ভব সামরিক কতৃপক্ষের তারা যেনো ততটা কঠোর হাতে বিদ্রোহ দমনে ব্রতী হন। সামরিক কতৃপক্ষ কঠোর হয়েছেন, মাঝরাতে ছাত্রী হোস্টেলে হানা দিয়েছেন- মোহাম্মদপুর আর আজিজ কো অপারেটিভ মার্কেটে গিয়ে ছাত্র এবং উকিল পিটিয়েছেন- মাঝরাতে রাস্তায় কর্তব্যরত সাংবাদিক পিটিয়েছেন- আর কতটুকু কঠোর হওয়া সম্ভব?
এবং কঠোর কার্ফ্যু জারি করেছেন- শিক্ষাঙ্গন বন্ধ করেছেন- এবং অবধারিত ভাবে এটাও ঠিক ভাবে সমাপ্ত করতে পারেন নি। অনির্দিষ্ট কালব্যাপি জরুরি অবস্থা ও কার্ফ্যু জারির পর দিন ১০টায় ঘোষনা দিলেন অফিস আদালত বন্ধ, তখন সবাই মোটামুটি রাস্তায় পুলিশ আর যৌথ বাহিনীর হাতে হেনেস্তা হয়ে অফিসে পৌঁছেছেন। এবং সেখানে গিয়ে সূখবর পেয়েছেন আজ ছুটির দিন। এবং ফিরতি পথে আবারও নির্যাতিত হয়েছেন- হাসপাতালে অসুস্থ মানুষ আসতে পারে নি চিকিৎসা নিতে যৌথ বাহিনীর তৎপরতায়। এবং মৃত মানুষের পরিজনেরা লাশ নিয়ে হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মাতম করেছেন- লাশের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা সম্ভব হয় নি- দেশে জরুরি অবস্থা- এ অবস্থায় মৃত্যু বরণের লজ্জায় মুঢ় মৃত মানুষের আত্মা। যদি সম্ভব হতো তারা শেষ চিঠিতে লিখতো
প্রিয় পরিজন- আমি খুবই লজ্জিত, তোমরা আমার চিকিৎসার জন্য যতটুকু সম্ভব করেছো- আমাকে হাসপাতালে এনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখিয়েছো- তবে আমি তোমাদের এ আন্তরিকতার প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছি- হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করে যেটুকু মানুসক যন্ত্রনা দিয়েছি তারচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে ফেলেছি তোমাদের- আমার কার্ফ্যু চলাকালিন সময়ে মরে যাওয়া উচিত হয় নি।
২০ থেকে ২২ অগাস্ট ২০০৭ যা ঘটেছে তার পেছনে রাজনৈতিক উস্কানি ছিলো এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার মনে হয় এটা সরকারের প্রতি অনাস্থার প্রকাশ- তবে সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশিত হলে এটাই প্রমাণিত হবে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গৃহীত সকল পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় মানুষ। এতে অন্তত একটা বিষয় প্রমাণিত হয় অদক্ষ রাজনৈতিক সরকার দেশ পরিচালনায় কতিপয় উচ্চবিত্ত উচ্চ শিক্ষিত মানুষের তুলনায় অনেক বেশী সফল। দুর্নীতি করেও তারা অন্তত দেশের মানুষের মুখে ১৫ থেকে ২০ টাকায় ভাত আর সহনীয় মূল্যে তরকারি তুলে দিতে পেরেছিলো, নিতান্ত সৎ এবং উচ্চ শিক্ষিত প্রশাসকেরা এ কাজে এমনভাবে ব্যর্থ যে দুর্গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল। খার্দের বাজারে মূল্যস্ফ্রীতি হয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ, যদিও উচ্চ শিক্ষিত অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন এটা প্রমাণ করে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে- তবে তাকে সমর্থনের জন্য ভোট চাওয়া হলে কয়জন সহমত জানাবেন এটা প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়।
জরুরি অবস্থা সবসময়ই নিরন্ন মানুষের প্রতিবাদরে রুদ্ধ করে, তবে পেটের দায় বড় দায়, তাই শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা যায়, মিছিল নামে নিরন্ন মানুষের- সারের দাবিতে নিহত হয় কৃষক এবং সকল ইউনিয়নে একাধিক সারের ডিলারের নিয়োগের প্রতিশ্র“তি আসে। সারের ভর্তুকি পায় না কৃষক তবে নিরাপত্তা বাহিনীর বুলেট ধেয়ে আসে। আইনের চেয়ে বড় বালাই নেই জীবনে- এ উপলব্ধি কৃষকের। শ্রমিক বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বুলেটের আঘাতে মরে যায়- বাস্তবতা ২০০৭।
ন্যুনতম বেতন স্কেল ঘোষিত হলেও এর সুফল পায় না শ্রমিক। প্রশাসন তৎপর- আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। মিছিল হবে না, তবে শ্রমিক এ সত্য বুঝে সুশীল কানে মৃদু শব্দ মোজার্টের সিম্ফনি। তাদের জীবিকার দাবির জন্যে আওয়াজ উচুঁতে তুলতে হবে, কয়েকটা লাশ না পড়লে, রক্ত না দেখলে সুশীল দাবির যৌক্তিকতা বুঝে না। তাদের জন্য জরুরি অবস্থা মৃত্যুফাঁদ। নিঃশব্দে মরে যাওয়ার প্রতিশ্র“তি।
তবে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া বলছে এটা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাওয়া গোয়েন্দা বাহিনী তৎপর চারপাশে- এ লেখা , এ অনুভব প্রকাশ করা ঝুঁকিপূর্ন । তারা লুকিং ফর শত্র“জ। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো ব্যক্তিদের উপরে লানত বর্ষিত হচ্ছে। নিয়মিত পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে আমরা দেখছি ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার বানী- দেশ ও জাতির শক্রদের চিহ্ণিত করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন সুবোধ জনগণ। যারা অমানবিক ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে তারা দেশ ও জাতির শত্র“। তাদের চিহ্ণিত করুন- তাদের নাম ঠিকানা জানান-
এমন তিনটা ভিডিও ফুটেজ দেখতে দেখতে ক্লান্ত এখন, উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে ত্যাক্ত- বিরক্ত- যদি সামরিক সমর্থিত সরকার( মইনুল হোসেনের জাতীয় সরকার কিংবা মইন ইউ’র তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমাদের গোলাপ ফুল সরকার যদি নির্দিষ্ট কয়েকটা প্রায়োরিটি ফিল্ডে মনোযোগ দিতো তবে এত সমস্যা হতো না। ব্যবসায়ীদের এখন অন্য রকম তোয়াজ দেওয়া হচ্ছে, তারা বাইরে থেকে আমদানী করতে সাহস পাচ্ছেন না- সরকারী অফিসে ঘুষ নেওয়া চলছে- আর যেখানে ঘুষের সম্ভবনা কম সে কাজ আপাতত স্থগিতই আছে। ওয়াসার লোকেরা ঘুষের হার পূনঃনির্ধারণ করেছে- আগে যেখানে ১০ হাজার ছিলো এখন একই কাজের জন্য নির্ধারিত হার ৫০০০, এ সুযোগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকালীন সময়ের জন্য। দুর্নীতি কমে নি- বরং ঘুষের হার কমেছে এটা শুভসংবাদ- আমরা সুশাসনের দিকে যাচ্ছি।
আসন্ন রমজানে জিনিসপত্রের দাম নির্ধারিত হলেও সে নির্ধারিত দামে কোথাও কিছু বিক্রী হচ্ছে না। সরকার দেশের সকল বাজারে সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে পারবে না, এটা সীমাবদ্ধতা, তবে এ জন্য নাগরিক ভোগান্তির শিকার হলে প্রতিকার কি? দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবতা এমন যে আইনী দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য যতটা পরিশ্রম করতে হয় আর যতটা সময় আর শ্রম দিতে হয় ততটা দেওয়ার সামর্থ্য অধিকাংশ মানুষের নেই। এরা কি চিরটাকাল বঞ্চিতই থেকে যাবে?
মন্তব্য
এই সেনা শাসন এরশাদশাসনের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠবে । মিডিয়ার যে প্রতিবাদী ভুমিকা ছিলো সে সময়ে এবার তার বিপরীত । বরং মিডিয়া মুঘলরাই তো সেনাশাসনের ইজারাদার হয়েছে ।
কি চমৎকার কৌশলে একটা প্রতিরোধ আন্দোলনকে কলংকিত করা হলো । আর্মির ড্রাইভারকে লাথি দিলে সেটা নাকি জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমন হয়ে যায় । আর ছাত্র-শিক্ষক-সাধারন মানুষ পিটালে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায় ।
যাস শালা!
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন