আন্তর্জাতিকতাবোধ বাংলাদেশ

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২১/১০/২০০৭ - ৭:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের আন্তর্জাতিকতা বোধ সাম্প্রতিক কালে কিংবা বেশ অনেক দিন ধরেই ঐসলামিক গন্ডীবদ্ধ। আমাদের ধর্মচেতনাই আমাদের আন্তর্জাতিকতাবোধের স্ফুরণ ঘটিয়েছে তাও আমাদের সচেতন যুব সমাজ- বিশেষত যারা চায়ের কাপ হাতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষণ করে তাদের খবর সংগ্রহ এবং উপস্থাপন এবং রক গরম করা দুরহ বিশ্লেষণে ঘুরে ফিরে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন, লেবানন ও বৈরুত প্রসঙ্গ এবং প্যালেস্টাইনে ইহুদি আগ্রাসন হয়ে সোজা হিমালয় পেরিয়ে কাশ্মীর সমস্যা এবং অবশেষে ভারতে মুসলিম নির্যাতন- এর বাইরে কখনও কখনও ইরান প্রসঙ্গও চলে আসে-

সংবাদ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের এই বিশেষ শ্রেণীবদ্ধতা এর ঐসলামিকতাকে প্রকট করলেও আরও মর্মান্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষনে মুসলিম নিষ্পেষন তন্ত্রের বিকাশ- যা আমাদের কম বেশী সাম্প্রদায়িক করে তুলে। মুসলমান মাত্রই নির্যাতিত মজলুম নানাবিধ বঞ্চনার শিকার- এই মনোভাব হীনমন্যতা জাগিয়ে তুলতে সহায়ক- ঐসলামিক গণজাগরণ এবং মানুষের ইসলামের পুরোনো ঐতিহ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী প্রক্রিয়া শুরু করে সবাইকে এক হাত দেখে নেওয়ার প্ররোচনাও দেয়।

তবে এর বাইরেও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করে না এইসব ইসলামী দেশগুলোর কোনোটাই- তারা বরং পরোক্ষ সহযোগির ভুমিকা পালন করে- যেমন ৭৫ পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান আমাদের বন্ধু হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছিলো তেমন ভাবেই এখনও রাজনীতিবিদদের ভেতরে বিদেশভ্রমনের প্রীতি এবং সেই সাথে ক্রমাগত কানাঘুষা সেখানে বসে করা চক্রান্ত বাংলাদেশে প্রয়োগের অপচেষ্টা চলছে- এসব কিছুরই কিছু না কিছু সত্য।

কুটনৈতিক পাড়ায় বিভিন্ন দুতাবাসের অতিথি কক্ষে আর অন্তরঙ্গ এটাশে ফোনালাপে গৃহীত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তসমুহ ছদ্ম উদাসীনতায় নির্বাসিতই থাকে তাদের আলাপচারিতায়। অথচ বেশ অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈদেশিক শক্তিগুলোর নগ্ন হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটছে- এসব যোগাযোগ- অনুরোধ- উপরোধ উহ্য রাখবার শালীনতাবোধ সর্বাংশে বিদ্যমান তবে বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষটা মইন ইউ আহমেদ যখন তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে বললেন খোদ সেনাপ্রধানকে ১১ই জানুয়ারীর আগে একটা অবস্থান গ্রহনের অনুরোধ করেছিলো বিভিন্ন দুতাবাস মারফত এই অবস্থান গ্রহনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার সামনে যতগুলো বিকল্প খোলা ছিলো তা বিবেচনা করে তিনি সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে গনতন্ত্ের পথা নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।
মইআহমেদ পরিস্কার করে কিছুই বলেন নি- কোন কোন দুতাবাস থেকে তাকে এমন অনুরোধ করা হলো- কেনো করা হলো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই বলেন নি তিনি তবে মইআহমেদের বক্তব্যে স্পষ্ট কিছু দুতাবাস থেকে সেনাবাহীনিকে ক্যু করবার কুপরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।

সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা তৎকালীন উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করে ফচৌকে প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহনে অনুরোধ করে- এত এত মানুষ থাকতে কেনো ফখরুদ্দিন সাহেব বাংলাদেশের সবার গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব হবেন আমার বোধগম্য না- তিনি খুব বেশী পরিচিত কেউ এমনও না- এমন কি সালমান এফ চৌধুরি তাকে নাজেহাল করবার ঘটনাটাও জনগন ভুলে গিয়েছে- এমন একজন মানুষ সবার গ্রহনযোগ্য প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্য এই বিবেচনাটা আসলো কোথা থেকে?

এটা অবশ্য একটা চমকপ্রদ ঘটনা যে বিমান কিংবা নৈ বাহিনী প্রধানকে কেউ এমন অনুরোধ করে কিংবা আবেদন নিবেদন করে না- সবাই সেনা বাহিনীর সদস্যদেরই এমন অন্যায় অনুরোধ করে বিচলিত করে। সেনাবাহিনীও অনুরোধে ঢেঁকি গিলে ফেলে সময় সময়।

সেনাপ্রধান কাদের অনুরোধ বিবেচনা করে ১১ই জানুয়ারী ঘটালেন তা স্পষ্ট নয় তবে এটা স্পষ্ট যে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পরিকল্পনা নেই- পরিকল্পনাহীনটার রাষ্ট্রীয় ব্যৈতে সমান ভাবে আক্রান্ত প্রশাসনের সবকটা অংশ। খামখেয়ালীপনার চুড়ান্ত নিদর্শন সবখানেই।

আমরা বাণিজ্যিক বিবেচনায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলকে কেন্দ্র করে কোনো পরিকল্পনা করি নি- যাদৃচ্ছিক ভাবে হলেও সীমিত পর্যায়ে যেসব বাণিজ্যিক সম্পর্ল স্থাপিত হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে সম্পূর্ন ব্যক্তি উদ্যোগে- সেসব উদ্যোক্তা কতটুকু সরকারী সহায়তা ভোগ করেন বিষয়টা প্রশ্ন সাপেক্ষ -তবে আমাদের অর্থনৈতিক প্রতিদন্ডী দেশগুলোর আন্তর্জাতিক নীতি ও বাণিজ্যনীতি পর্যালোচনা করে আমাদের একটা পরিকল্পনা করার প্রয়োজনীয়তা ছিলো- যদি এমন অগ্রসর ভাবনার ছাপ রাখতে পারতো বাণিজ্য অধিদপ্তর এবং পররাষ্ট্র দপ্তর তবে খুব ভালো হতো।

বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে যদি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হরতালের ডামাডোল না থাকে- এমন একটা প্রচারণায় পঞ্চমুখ ছিলো সরকার পক্ষ এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা- তবে বাস্তবতা হলো গত ১ বছরে দেশে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ করেমে ১০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তারা শংকিত হয়ে এখানে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন না-

তবে রাজনৈতিক বিবেচনা বন্ধ নেই- এমন কি বিভিন্ন জ্বালানী এবং বিদ্যুত বিষয়ক চুক্তি পর্যালোচনা কালে রাজনৈতিক স্বর্থ সিদ্ধির প্রচেষ্টা প্রমাণের চেষ্টাটা বুমেরাং হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেও আঘাত করতে পারে এমন বাস্তবতাও এড়িয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। তারাও বেশ কিছু জ্বালানী ও বিদ্যুত উৎপাদন সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন করবে-

এশিয়া এনার্জি উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের চুক্তি রদ হওয়ার বিষয়টাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছে না- তারা লবিং গ্রুপ তৈরি করেছে- এর ভেতরেই কৌশলে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ডেইলী স্টার পত্রিকার উপ সম্পাদক- সিটি ব্যাংক নিউইয়র্কের কর্মকর্তা মামুন রশিদ। আরও অসংখ্য দৈনিকে হয়তো এ সংক্রান্ত প্রচারণা চলছে

আমাদের বিকিয়ে যাওয়া জাতির বিবেক ঠিক কত সম্মানীর বিনিময়ে এমন প্রচারণায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে যান আমার জানা নেই। কত টাকার বিনিয়ে তিনি কোনো পক্ষের হয়ে কলম ধরে লড়াই চালাবেন এসব জানা যায় না- এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কমান জানা থাকলে হয়তো চাঁদা তুলে আরও কতিপয় বিষয়ে তাদের প্রচারণা চালানোর অনুরোধ করতে পারতাম। পোশাকী একটা নাম আছে এ পেশার কনসালট্যান্ট তবে যারা উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখছেন তারা কেউ ঠিক কনসালট্যান্ট পর্যায়ের মানুষ না।

পূর্ববর্তী গ্যাস ও তেল চুক্তি সমুহ গোদের উপর বিষফোঁড়া প্রমাণিত হলেও সাঙ্গুতে গ্যাস চাপ কমে গেছে- আমার সংশয় এই পর্যাপ্ত চাপহীনতা খানিকটা উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলা= বেশ কিছু সম্ভাবনাময় গ্যাস ও তেলক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলন সংক্রান্ত চুক্তি অসম্পাদিত অবস্থায় আছে- কয়লা উত্তোলন নীতিও নির্দিষ্ট হয় নি। সাঙ্গুর চাপহীনতা পরোক্ষ চাপ প্রদান করছে এবং এসব চুক্তি সম্পাদনে পরোক্ষ প্রভাবক হিসেবেও কাজ করতে পারে এই চাপহীনতা- এর ভেতরে যেসব পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তাতে আগামী কয়েক বছরে দেশের আভ্যন্তরীন গ্যাসের চাহিদা বাড়বে কয়েকগুন। পরিবেশ বান্ধন যানবাহনে রূপান্তরিত করা, শিল্প কারখানায় জ্বালানী হিসেবে গ্যাসের ব্যবহার, এসব কাজে গ্যাসের বর্ধিত ব্যবহারের সাথে সাথে নবনির্মিতব্য অনেকগুলো বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্পে গ্যাসকেই প্রধান জ্বালানী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে= অর্থ্যাৎ আমরা প্রচুর গ্যাসের চাহিদা তৈরি করছি হয়তো আগামি ৩ বছর সাঙ্গু এ চাহিদা পুরণে সক্ষম হবে তবে তার চাপহীনতার চাপে এতদিক বিবেচনা করে খুব দ্রুতই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিবে প্রশাসন।

এইসব চুক্তি এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দুতাবাস বিভিন্ন ফোনালাপ করে উচ্চপর=যায়ের নীতিনির্ধারকেরা বিভিন্ন পরোক্ষ সুবিধাও ভোগ করেন- দুতাবাসের নেক নজরে থাকা এসব নীতিনির্ধারকেরা সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের সাথেও সংযুক্ত।

আমরা মূলত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভিক্ষুক জাতি হিসেবে চিহ্নিত= বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্রীয়- বেসরকারী এন জিও মারফত আমরা দান অনুদান- স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘহ মেয়াদী ঋণের দায়ে নতজানু হয়ে আছি- আমাদের গলায় কাঁটার মতো বিধে আছে বৈদেশিক সহায়তা।

যে গরু দুধ দেয় তার লাথিও মধুর- তাই ক্রমাগত লাথি ঝাঁটাও খাচ্ছি- এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তির দায়ে জেরবার হয়ে আছি- একই সাথে আমাদের ঐসলামিক আন্তর্জাতিকতাবোধে আক্রান্ত যুব সমাজ চায়ের কাপ হাতে প্রলাপে মত্ত।

ইরাকের মানবতা হরণ কিনগবা ফিলিস্তিন আন্দোলনের বিষয়ে আবেগী হওয়ার যঠেষ্ট অবকাশ আছে, তবে একই পরিস্থিতিতে কিংবা এর চেয়েও বেশী মানবেতর পরিস্থিতিতে মানুষ বসবাস করছে এই বিশ্বে- ভারতে প্রকাশ্যে কুরবানী দিতে না পারা এবং বাংলাদেশে সার্বজনীন দুর্গাপূজার ভেতরে বৈরিতা এবং ইসলাম বিদ্বেষ না খুঁজে আরও অনেক স্থানের পরিস্থিতি বিবেচনা করা প্রয়োজন- উত্তর আমেরিকা কিংবা ইউরোপে প্রকাশ্যে এবং সব খানে কুরবানীর বিধান নেই- এটা অবশ্য টাদের পরিবেশ সচেতনতার বিষয় তবে ভারত হিন্দু রাজ্য- তাদের এ সিদ্ধান্ত মুলত ইসলাম বিদ্বেষ- এই মর্মান্তিক সত্যোপলব্ধি আমাকে ব্যথিত করে।

ইরাকের কুয়েত দখল এবং আমেরিকার ইরাক দখলের পেছনে ইসলাম বিদ্বেষ কিংবা ধর্মগত উপাদানের তুলনায় বেশী কার্যকর এর পেছনের অর্থনৈতিক বিবেচনা - একই কারণে ইরাক কোনো রকম সুবিধা না পাওয়া সত্তবেও আরও বিনিয়োগ করে যাচ্ছে মার্কিন সরকার- বসনিয়া- চেচনিয়া কিংবা অবহেলিতা আফ্রিকার মানবেতর পরিস্থিতির তুলনায় প্যালেস্টাইন কোনো ভাবেই গুরুত্বপূর্ন বিষয় না। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এমন দেশগুলোর ভেতরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অন্যতম- কাতার- সিরিয়া- জর্ডান- সৈদি আরব- পাকিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে এবং সেলে আটক রয়েছে সন্দেহভাজন বিভিন্ন উগ্র ইসলামী জঙ্গীরা- তাদের আটক করে পাচার করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সেখানে তাদের নিয়মিত অত্যাচার করা হচ্ছে- বিচার বহির্ভুত হত্যা করা হচ্ছে- তবে এর পরও এসব আলোচনায় নেই আলোচনায় সব সময়ই আসছে গুয়েনতামো বে-

আমাদের একদেশ দর্শীতা কিংবা ধার্মিক আচ্ছন্নতা বিষয়ে একটা সাধারন মন্তব্য হতে পারে- আমাদের আত্মঘাতি মানসিকতা- তবে ধর্মের মিশাল থাকলেও আমাদের আন্তর্জাতিকতার বোধ খুবই উদ্ভট-

এক দিন আলোচনা করছিলাম বাংলাদেশের মানবিকতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে- এখানের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং এ কাজে সামাজিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনায় হঠাৎ সিদ্ধান্ত ঘোষিত হলো- আরে মিয়া রাখো- ইরাকে কয়েক লক্ষ শিশু মরে গেলো ওটার বেলায় কি হয়? শুধু বাংলাদেশে কতগুলো ইসলামত্যাগী মানুষ মরে গেলো বলে মাতামাতি।

সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী হলেও পারস্পরিক সম্পর্কহীনতা বিবেচনা করে আলোচনা অগ্রসর করবার কোনো সুযোগও থাকে না-

ভারত বিদ্বেষ এবং ইহুদি বিদ্বেষ যদি আমাদের আন্তর্জাতিকতাবোধের মূল চালিকা শক্তি হয় এবং যদি আমাদের সচেতন যুব সমাজ এই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে তবে আগামীতে এরা যখন নীতি নির্ধারকের ভুমিকায় যাবে তখনও আশাবাদী হয়ে উঠবার কোনো কারণ নেই- তখনও এদের মতোই কেউ থাকবে পররাষ্ট্র দপ্তরে- এদের মতোই কেউ থাকবে বাণিজ্য দপ্তরে- সেখানের নীতি নির্ধারণে ঐসলামিকতা যদি মুল বিবেচ্য বিষয় হয় তবে আমাদের মানবেতর জীবনযাপনই হবে আমাদের ভবিষ্যতের মূল বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন- আপাতত সত্য এরকমই মনে হয়।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পড়লাম। ভাল লিখেছেন।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আত্নসম্মানবোধ বলে একটা ব্যাপার আছে যা জাতিগতভাবে আমরা আত্নস্থ করতে পারিনি এখনো । প্যালেষ্টাইন,কাশ্মীর,ইরাক,ইরান, বসনিয়া নিয়ে ধারাবাহিক মর্সিয়া পরিবেশিত হয় এই সত্য ভুলে গিয়ে যে,বাঁচা-মরার চুড়ান্তক্ষনে গোটা মুসলিম বিশ্ব মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলো এই ন্যাকাবোকা বাংগালীদের থেকে ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।