ভূমিকাঃ
এই সিরিজ এর আইডিয়া এবং গুতাগুতি করে আমাকে দিয়ে অবশেষে শুরু করানোর একক কৃতিত্ব নজু ভাইয়ের। এমনকি সিরিজের নামকরণের প্রথম অংশটুকুও উনার করা। অর্থাৎ গিটার ইশ্কুল। যে মানুষ নিজের কন্যার নাম রাখতে দুই বছর পার করে দেন, সেই তিনিই কিনা জিজ্ঞেস করার পর “খাড়ান, কইতাছি” বলে মাত্র দুই মিনিটের মাথায় নাম হাজির করে ফেললেন। তো, এমন ডেডিকেশন নিয়ে কেউ গুতাগুতি করলে আর কাহাতক আলসেমি করা চলে?
তবে কিনা, লিখতে বসেই হলো আসল ঝামেলা। অন্যকে জ্ঞানদানমূলক পোস্ট লিখতে গিয়ে বুঝতে পাল্লুম নিজে একটা অকাট মূর্খ। তারমধ্যে যে জিনিস হাতেগিটারে (ওই হাতেকলমে আরকি) দেখানোর ব্যাপার তা শুধু লিখে লিখে বোঝানো আরেক মুশকিল। তবে সে ঝামেলা ছবি, ভিডিও দিয়ে অনেকটাই দূর করা যাবে আশাকরি।
আরেকটা কথা আগেই বলে রাখি- এই সিরিজটা আমি একা লিখবোনা। ইতিমধ্যে মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। উনি বেশ কিছু পর্ব লিখবেন পর্যায়ক্রমে এবং উনি একটা টিম করার কথাও বলেছেন। দেখাযাক কি হয়। আর, আপনারা ঠিকঠাকমতো রেসপন্স করলে চা খাওয়ার কথা বলে উধাও হয়ে যাবনা কথা দিচ্ছি।
গিটার কিঃ
গিটার কি? এটা খায় নাকি মাথায় দেয়? নাকি দুষ্ট ছেলেদের মতো মারামারি, গোলাগুলি করে (যেমন- ডেসপেরাডো) তা বলার আগে কিছুক্ষন তার বংশপরিচয় নিয়ে আলোচনা করি। গিটার বংশের আদিযন্ত্র হচ্ছে “কর্ডোফোন”, লম্বা ঘাড় এবং তার ওয়ালা বাদ্যযন্ত্র (আবার ঘাড়ত্যারা ভাববেন না যেন) । বিবর্তনের ফ্যারে পড়ে বেচারা কর্ডোফোনের ঘাড় দিনদিন ছোট হতে থাকে আর বিভিন্ন নাম হতে থাকে। ওসব বিস্তারিত আলোচনায় না যাই। আমরা বরং টুক করে জেনে ফেলি গিটারের বাপ-মা কে কে। Lute এবং Oud এরা দুইজন। তবে নাম দেখে বোঝার উপায় নেই কে বাপ আর কে মা। Lute বাজাতে হতো আঙুল (নখ) দিয়ে আর Oud বাজাতে হতো Pick (ছবি-২) দিয়ে। এদের দুইজন কে গিটারের বাপ মা বললাম এই কারণে যে এদের দুইজনের বৈশিষ্ট ধারণ করে গিটার আঙুল এবং পিক দিয়ে দুইভাবেই বাজানো যায়।
এইবার আসি নামকরণে। Guitar শব্দটি ইংরেজিতে তৈরি হওয়ার আগে সে বেচারা মোটামুটি তারেক অণু ভাইয়ের মতো একটা বিশাল ভ্রমণ শেষ করে এসেছে। প্রথমে সে বেচারা Kithara নামে ছিলো Ancient Greece এ। এরপর Cithara (Latin) --> Qitara (Andalusian Arab) --> Guitarra (Spane) --> Guitare (France) --> Gitare (Germany) ঘুরে শেষমেশ Guitar (England) এ এসে থামে।
এইবার বলি গিটার কি? গিটার একটি বাদ্যযন্ত্র। আরও আলাদা করে বলতে গেলে তারযন্ত্র। এর তারের সংখ্যা ৪ টি থেকে শুরু করে ১৮ টি পর্যন্ত হতে পারে। তবে আমরা সাধারণত ৬ তারের গিটারই বেশি দেখি।
মোটাদাগে ভাগ করতে গেলে গিটার দুই রকমের।
১. অ্যাকুস্টিক গিটার
২. ইলেক্ট্রিক গিটার
অ্যাকুস্টিক গিটার আবার বিভিন্ন রকমের হতে পারে- Classical and Flamenco Guitar (সাধারণত নাইলন স্ট্রিং); Steel string Guitar (Flat top or Folk); Twelve-string Guitar; Arched-Top Guitar.
অ্যাকুস্টিক ও ইলেক্ট্রিক গিটারের তুলনামূলক ছবি-
ছবি-১
ছবি-২
গিটার এনাটমিঃ
পোস্টের শিরোনাম দেখেই যারা লুঙ্গি কাছা মেরে “এইবার গিটার শিখা সোনিয়া, মুনিয়া, তানিয়া রে পটায়ালবাম” বলে পোস্টের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, তারা হয়তো এতক্ষনে “ধুরো হালা, এত কিছু জাইনা কি করাম?” বলে আমাকে গালি দেয়া শুরু করেছেন। তাদের বলি ধীরে ভাইডি ধীরে। এই মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটালে আপনার গিটার দিয়ে সুর নয় বরং অসুর বের হবে! গিটার মেয়ে পটানোর যন্ত্র নয় আবার মেয়েদেরও এত সস্তা ভাবার কোন কারণ নেই। একটা গিটার নিয়ে তিন বাঁকা হয়ে দাড়িয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলেই (যে ছবি দেখলেই বোঝা যায় আপনি গিটার ধরতেও জানেন না) বডি স্প্রের কুৎসিত অ্যাডের মতো আপনার বুকে মেয়েরা এসে ঝাপিয়ে পড়বে না। আগে গিটার টা ধরতে শিখুন। আর তার আগে গিটারের কোন অংশের কি নাম এসব জানাও জরুরি বৈকি।
ছবিতে মোটামুটি ল্যাবেলিং করে গিটারের বিভিন্ন অংশ দেখানো হয়েছে। এবার এগুলোর ছোট ছোট বর্ণনা দেই।
গিটার বডিঃ গিটারের বডি গিটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি গিটারের টোনের বৈশিষ্ট তৈরি করে দেয়। বিশেষত অ্যাকুস্টিক গিটারের ক্ষেত্রে। আবার ইলেক্ট্রিক গিটারের ক্ষেত্রে একটা নোট (স্বর) এ টোকা দিলের তার সাউন্ড কতক্ষণ পর্যন্ত থেকে যাবে সেক্ষেত্রে এর ভুমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাকুস্টিক গিটারের বডি সাধারণত একটু বড় হয় এবং এর মাঝামাঝি জায়গায় একটা গর্ত থাকে, যাকে সাউন্ডহোল বলা হয়। ইলেক্ট্রিক গিটারে সাধারণত সাউন্ডহোল থাকে না।
ব্রিজঃ এটি গিটারের বডির সামনের দিকে থাকে। কিছু কিছু গিটারে এখান থেকেই গিটারের তার শুরু হয় আবার কিছু কিছি গিটারে এটি শুধু গিটারের তারগুলোকে সাপোর্ট দেয়। এটি সাধারণত স্ক্রু দিয়ে লাগানো থাকে এবং স্ক্রু ঘুরিয়ে গিটারের তারের অ্যাকশান হাইট (পরে বর্ণনা করা হবে) অ্যাডজাস্ট করা হয়।
স্যাডলঃ এটি প্লাস্টিকের তৈরি মসৃণ চিকন পাতের মতো। ব্রিজের উপর এটি বসানো থাকে।
ফ্রেটবোর্ড বা ফিঙ্গারবোর্ডঃ ফ্রেট ধাতব পাতের তৈরি এবং এগুলো প্রত্যেকটি নোট (স্বর) কে আলাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ফ্রেটবোর্ডের উপর ফ্রেটগুলো বসানো থাকে। গিটার ভেদে ফ্রেটের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। ফ্রেটবোর্ডের উপর বিভিন্ন যায়গায় চিহ্নিত ফোঁটা/দাগ কে পজিশন মার্কার বা ইনলে বলে।
পিকআপ সুইচঃ এটি সাধারণত ইলেক্ট্রিক গিটারে থাকে। পিকআপ নির্বাচন করার জন্য এটি ব্যাবহৃত হয়।
পিকআপঃ এটিও ইলিক্ট্রিক গিটারে থাকে। এটি একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেট। তারের ঠিক নিচেই এটি বসানো থাকে যার কাজ একটি ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করা যা তারের কম্পন পিক করে অ্যামপ্লিফায়ারে পাঠিয়ে দেয়।
ট্রাস রডঃ এটি স্টিলের তৈরি রড এবং সাধারণত স্টিল স্ট্রিং অ্যাকুস্টিক গিটার ও ইলেক্ট্রিক গিটারে ফ্রেটবোর্ডের ভিতরে লম্বালম্বিভাবে থাকে। ফ্রেট বোর্ড অ্যালাইনমেন্ট তথা গিটার অ্যালাইনমেন্টের কাজে এর গুরুত্ব অনেক। নাইলন স্ট্রিং গিটারে ট্রাস রড থাকে না।
টিউনিং পেগঃ টিউনিং পেগ ঘুরিয়ে তারের টান কম বেশি করে গিটার টিউন করা হয়।
ভলিউম নবঃ এটি সাধারণত ইলেক্ট্রিক গিটার বা ইলেক্ট্রো অ্যাকুস্টিক গিটারে থাকে। নব ঘুরিয়ে ভলিউম নিয়ন্ত্রন করা হয়।
গিটার শেখার পূর্ব-প্রস্তুতিঃ
মানসিকঃ
ধৈর্য। হ্যাঁ, প্রচন্ড ধৈর্যশীল হতে হবে। একটা বাদ্যযন্ত্র শেখা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। শিখতে গিয়ে, প্র্যাকটিস করতে করতে বারেবারে মনে হবে “ধুর ছাতা! এই ঘোরার ডিম শিখবই না।” এইভাবনা ওইখানেই কবর দিন। তা না হলে এগুতে পারবেন না। কিছু কিছু টেকনিক আয়ত্ব করতে অনেক দিন লেগে যায়। এমনকি এক একটা কর্ড ধরতে যে যে নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে আঙুল বসাতে হয় সেসব আয়ত্বে আনতেও অনেক দিন লেগে যায়। সুতরাং, “হয়না কেন, ধুরো” টাইপ চিন্তা একেবারেই পাত্তা দিবেন না।
মানসিকতা সবসময় পজেটিভ রাখুন। না হওয়ার কিছু নেই। হবেই...
শারিরিকঃ
ঘার, হাত, পিঠ, কোমর, আঙুলের ডগায় অনেক ব্যাথা হবে। বিশেষত আঙুলের ডগায় এবং কব্জিতে। অনেকের আঙুলের ডগা প্রথম দিকে তারের ঘষায় কেটেও যায়। আপাতত সহ্য করুন। ওই যে বললাম ধৈর্য... অপেক্ষা করুন। একটা সময় দেখবেন আঙুলের ডগা শক্ত হয়ে গিয়েছে, ক্যালাসের মতো হয়ে গিয়েছে। আর ব্যাথা লাগছে না। খুব বেশি ব্যাথা শুরু হলে সাময়িক বিরতি দিন।
একটানা বসে থাকলে কোমর ব্যাথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। একটানা বসে থাকবেন না। বিশ মিনিট পরপর উঠে দুই এক মিনিট হাটাহাটি, হাত নাড়াচাড়া করুন।
গিটার প্র্যাকটিসের সময় শরিরের যে মাসলগুলো একাধারে কাজ করে যায়, সেই মাসলগুলো এবং সেইসব মাসল যেসব জয়েন্টের উপর দিয়ে ক্রস করে সেই জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা হতে পারে। তাই প্র্যাকটিসের আগে সেইসব মাসলের স্ট্রচিং করে নিন (৩০ সেকেন্ড করে)। যেমন-
১. রিস্ট জয়েন্ট ফ্লেক্সরস মাসল স্ট্রেচিং
২. রিস্ট জয়েন্ট এক্সটেন্সরস মাসল স্ট্রেচিং
৩. বাইসেপ্স মাসল স্ট্রেচিং
৪. ট্রাইসেপ্স মাসল স্ট্রেচিং
আপনার ফ্রেট হ্যান্ড অর্থাৎ যে হাত ফ্রেটবোর্ড বা ফিঙ্গারবোর্ডের উপর থাকবে সেই হাতের নখ অবশ্যই ছোট রাখতে হবে। আর যে হাত দিয়ে রিদম বাজাবেন/ স্ট্রাম করবেন/পিক ধরবেন সেই হাতের নখ বড় থাকলেও সমস্যা নেই।
গিটার বাজাতে/প্র্যাকটিসে বসার সময় অবশ্যই হাত ধুয়ে, মুছে পরিস্কার হয়ে বসুন। আপনার হাতের ময়লা গিটারের তার বা ফ্রেটবোর্ডে লাগলে টেম্পার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
গিটার বাজানোর/প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রেঃ
সঠিক টেকনিকে প্র্যাকটিস করা বিগেইনারদের জন্য অবশ্যকর্তব্য। নিয়ম ভাঙতে চাইলে আগে নিয়মটা জানা জরুরী। এবং যে যে লেসন দেয়া হয় একেবারে ক্রমানুসারে প্র্যাকটিস করতে হবে। একটা লেসন একটু কঠিন মনে হলে “আচ্ছা, এইটা একটু পরে করুমনে” বলে সামনে আগাবেন তো আদতে আপনি পিছিয়ে পড়লেন। সুতরাং, এই বাজে ইচ্ছাটা দমন করুন।
অযথাই দ্রুত বাজানোর চেষ্টা করবেন না। আঙুলের স্পীড জোর জবরদস্তি করে বাড়ানো যায় না। এটা আস্তে আস্তে এমনিতেই বাড়ে। দ্রুত অনেকগুলো নোট বাজাতে গিয়ে অস্পষ্ট নোট বাজানোর চেয়ে স্পষ্ট করে দুটা নোট বাজান। আপনার বাজানোর একটা অর্থ থাকুক।
কান তীক্ষ্ণ করতে হবে। অর্থাৎ, শুনে বুঝতে হবে কোন নোটটা বাজছে। এটা প্রথমেই সম্ভব না এবং অনেকদিনের সাধনার ব্যাপার। তবে প্র্যাকটিস টা প্রথম থেকেই জরুরী। যত দ্রুত সম্ভব ফ্রেটবোর্ডের কোথায় কোন নোট অবস্থিত এই বিদ্যাটা আত্বস্থ করে ফেলুন (ভয় নেই, মনে রাখার টেকনিক এবং ফ্রেট বোর্ডে নোট চার্ট দেয়া হবে) এবং প্রতিটি নোট বাজানোর সময় সেটা কোন নোট তা মনে আনার চেষ্টা করুন।
যদিও গিটার বাজানো, শেখা এসব প্র্যাকটিক্যাল ব্যাপার, তবুও সময় করে মিউজিক থিওরি শেখার চেষ্টা করবেন যদি সম্ভব হয়। এটা আপনাকে পরবর্তিতে আগে বাড়তে সাহায্য করবে।
এবং অবশ্যই অবশ্যই, আনন্দ নিয়ে শিখুন...
সবচেয়ে জরুরী কথাটা বলতে বেমালুম ভুলে গেছি। গিটার বাজানো শিখবেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে একটা গিটার আগে অন্তত কিনুন। পোস্টের শিরোনামে “গিটার পড়ানো হয়” আছে বলে কি পড়ে পড়েই গিটার শিখে ফেলবেন নাকি?
মন্তব্য
দারুণ! ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় থাকলাম। সানিয়া, মুনিয়া সব পটায়ালবাম!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমিও। সানিয়া মুনিয়ার খবরাছে আইজকা।
..................................................................
#Banshibir.
সানিয়া মুনিয়া আমার ঘরে বেহালা শুন্তেছে! ডিস্টাব দেবেন্না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হে হে।
সানিয়া আমার গিটারের বাম কান্ধে, আর মুনিয়া গিটারের ডান কান্ধে বসে বসে পা দুলাচ্ছে। লাইনে আসুন।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
পীর সাব ফু ফা দিয়েন না।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
ক্লাসও শুরুর অপেক্ষায় আছে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
পিক নিয়া গিটার হাতে বসলাম।
আমি মোটামুটি খুবই অস্থিরচিত্ত মানুষ। মাস তিনেক আগে, এপেন্ডিক্স ফেলা হলো. ডাক্তার কইলো দুই মাস নো খেলাধুলা। অনেক দিন ধরেই মনের মাঝে কুর কুরানি ছিল গিটার কেনার জন্য। এইটারে অযুহাত বানায়ে একখান কিনে ফেললাম। ফেলার পরে পরথম যেই সমিস্যায় পরলাম তা হইলো ইহা খায় না মাথায় দেয় সমিস্যা। দেখলাম বাংলায় অনলাইনে ভালো রিসোর্স নাই। তবে ইংরেজিতে বেসিক শিখতে একটা ভালো সাইট পেলাম।www.justinguitar.com
আপাতত ঐটা ফলো করছি। আমার পরামর্শ থাকলো জাস্টিনের স্টেপগুলো একবার রিভিউ করে কাছাকাছি কিছু করার। কোন সাহায্য লাগলে আওয়াজ দিয়েন।
বাংলায় এই চ্যানেলটাও ভাল।
আপনাকে অশেষ ধইন্যা।
অবশ্যই সাহায্য লাগবে। সাইটগুলা কাজে দিবে মনে হচ্ছে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
'টিউনিং পেগ' হবে মনে হয় শব্দটা। মানসিক প্রস্তুতির একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম। গিটার বা তারের যন্ত্রে লার্নিং কার্ভ খুব স্টিপ। অর্থাৎ শুরুটা ধরতে অনেক সময় লেগে যায়।
যে কোনো জটিল কাজ শেখার সময় কাজটাকে কয়েকভাবে ভেঙ্গে ফেললে শিখতে সুবিধা হয়। যেমন, গাড়ি চালাতে হলে আগেই নিয়ম কানুন খুব ভালো করে শিখে নিতে হয়। তারপর কিভাবে স্টিয়ারিং করতে হয়, গিয়ার বদলাতে হয়, লেইন বদল করতে হয় এই টেকনিক গুলো শিখতে হয় ধীরে ধীরে।
একই ভাবে গিটার শিখতে প্রথমে একটা আঙ্গুল দিয়ে একটা তার শক্ত করে ধরা, এভাবে প্রত্যেকটা আঙ্গুল আয়ত্বে আনা। তারপর, দুটা আঙ্গুল একত্রে আনা। কর্ড শেখা। স্ট্রামিং শেখা। এভাবে আগাতে হবে।
ঠিক করে দিছি। আপনার সাথে কথা বলে একটা কারিকুলাম টাইপ বানাতে হবে। আর টিম বানানোর ব্যাপারেও কথা বলা দরকার। ইনবক্সে বিস্তারিত কথা হবে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
হ্যাপি বার্থডে! (অলমোস্ট ভুলে গেছিলাম )
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
জন্মদিন আজকে? বাঃ! শুভ জন্মদিন!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
২৭ তারিখে ছিলো।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
গুরাকালে শখ করে একখান গিটার কিনেছিলাম। সেটা এখন আমার বসার ঘরের শোপিস ( কারণ আমি ভয়াবহ অলস, মহা উতসাহের কিছু শুরু করি তারপর আলসেমি দিয়ে শেষ করি না আর)
আপনার গিটারের এনাটমি ফিজিওলজি পড়লাম। সেরাম হয়েছে এখন ডায়াগনোসিস আর ট্রিটমেন্ট শেখান, অপেক্ষায় থাকলাম
ডায়াগনোসিস এর হিস্ট্রি পার্ট কিন্তু শুরু করে দিছি অলরেডি। গিটারের ধুলা মুছে, তার লাগিয়ে রেডি হয়ে যান।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
বহুদিন আগে শেখা শুরু করে তারপর হুট করে বন্ধ করে দিলাম, আর এগুতে পারিনি, ইচ্ছে’টা আজো রয়ে গেছে স্যার
ইচ্ছেটা বাস্তবে রূপান্তরিত হোক।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
সাথে আছি, অত্যন্ত আগ্রহের সাথে পর্বগুলা অনুসরন করবো।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
উপকারী।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
পয়লায় বিলম্বিত শুভ জন্মদিন।
পোস্ট রেগুলার চাই। নিয়ম করে। ক্লাসে ফাঁকি দেওন চইলতো না।
আমি গিটার শিখি সেই ১৯৯১ সাল থেকে। কিছুদিন শিখে টিখে যখন হাতটা মোটামুটি চলে আসে, তারপর ঢিল দেই কয়েক বছরের জন্য। তারপর আবার প্র্যাকটিস শুরু করি। এভাবেই চলছে জীবন।
আপনেরে গুতানোর মূল উদ্দেশ্য হইলো এই সিরিজ যতদিন চলবে ততোদিন প্র্যাকটিস চালায়া যামু। জয় বাংলা বলে শুরু করলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছাত্র এবং শিক্ষক কারোই ফাকিবাজি চইলতো না। আপ্নে মহা ফাকিবাজ। অনলাইন এবং অফ্লাইন, দুই লাইনেই আপ্নের কাছ থেকে পড়া নিতে হবে।
আপনার গুতাগুতিতে এত সহযে সারা দেয়ার একটা কারণ হলো এই ঠেলায় নিজের প্র্যাকটিসটাও আবার নিয়মিত শুরু করা।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস হচ্ছে মায়া না থাকলে বাদ্যযন্ত্র শেখা হয়না। অভিজ্ঞতা থেকে জানি ফ্যামিলি পার্টিতে অথবা বন্ধুমহলে স্টার হওয়ার জন্য বেশিরভাগ লোকে গিটার বা বেহালার মতো বাদ্যযন্ত্র শিখতে চায়। মূল উদ্দেশ্য ওই, সানিয়া মুনিয়া পটানো। এইরকম লোক চেনার সবচে সহজ উপায় হচ্ছে, এরা শেখার আগে প্রথম প্রশ্ন করে "কতদিন লাগবে শিখতে?"। ওই 'কতদিন' যদি দুতিনমাসের বেশি হয় তাহলে তারা খুব হতাশ হয়ে যায়।
আপনি/আপনারা যদি এই সিরিজ চালু রাখতে চান তাহলে এটা অতি অতি লম্বা একটা সিরিজ হবে। লম্বা না হলে সিরিজটা বিশেষ কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। সেই ধৈর্য থাকুক, শুভকামনা।
চলুক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শতভাগ সহমত। আমার কাছে যতজন গিটার শেখার ব্যাপারে অগ্রহ প্রকাশ করেছে, আমি প্রথমেই গিটার বাজাতে গেলে কি কি সমস্য দেখা দিতে পারে সেই বর্ণনা দিতে থাকি। অনেকেই মন খারাপ করে বলেন- "আপনি ডিসকারেজ করেন কেন?" আমি বলি-"যা সত্যি, তাই বলি। এইসব সহ্য করার মানসিকতা থাকলে গিটার শেখা আগাবে, আর নাহয় অযথা গিটার কেনার টাকাটাই লস।" প্রথম তিন-ছয় মাস যে প্যাথেটিক, বোরিং লেসনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেই সাথে শারিরিক কষ্ট, তাতে প্যাশন না থাকলে শেখা সম্ভব না। ইচ্ছা আছে লম্বা সিরিজ করার। লম্বা না হলে আসলেই কাজে আসবে না।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
প্রথম তিন-ছয় মাস বেশ আনন্দের সাথেই কাটছে, বোরিং লাগা শুরু করলো এক বছর পর। এখন সাময়িক বিরতিতে আছি। এখনো যেই কনফিউশনে ভুগি তা হচ্ছে আসলে কী স্টাইল শিখতে চাই! আপাতত ক্লাসিক্যাল শিখছি, তবে প্রগ্রেস খুবই স্লো। ইচ্ছা আছে আরও একবছর শিখবো, তারপর যতটুকু পারি তাই বাজাবো।
ওইযে, প্রথমেই বললাম-"প্যাশন", এটা থাকলে সব কষ্ট উৎরান যায়। ক্লাসিক্যাল শিখেন। তারপর আমাকে শিখায়েন। আমি ক্লাসিক্যাল পারি না।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
ছুড়ুবেলায় আমিও একখান গিটার কিনছিলাম, শিখেছিলাম টুকটাক। তারপর নানান কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। কিছু কাজের জন্যে যেমন কষ্ট লালন করতে হয় বুকের মাঝে এটি তেমন একটি। দেখি এই বুড়াকালে আবার শুরু করতে পারি কিনা
লম্বা সিরিজ যেহেতু হবে তাই দুটো পর্বের মাঝে খুব বেশি সময়ের ব্যবধান রাইখেন না।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
দেখি বুলেছেন তো আর দেখা হবে না। কোম্র বাইন্ধা বইসা যান।
ইচ্ছা আছে প্রতি সপ্তাহেই একটা করে পোস্ট দেয়ার।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
আহ পোস্ট পড়ে মনে পড়লো একদা আমিও গিটার শিখেছিলাম, তারপর এক ঝড় এসে........যাহোক আবার নতুন করে শিখতে পারবো না। গিটার পড়তে পারি আপাততঃ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
যেভাবেই হোক সাথে থাকলে আমরা সামনে আগানোর সাহস পাবো।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
দারুণ! থিওরি বেশি বেশি দেবেন, প্র্যাকটিকেল কম!
(অনুবাদঃ আমার গিটার নাই, সানিয়া-মুনিয়াও নাই)
পুনশ্চঃ বিলম্বিত শুভ জন্মদিন, সুবোধ অবোধ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধইন্যা ভাই। আপ্নের ডিএসএলার নাই?
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
এই কথাটাই পোলাপানেরে বুঝানো যায়না। লেফট-রাইট ব্যালান্স আসার আগেই ঝড় তুলতে তৎপর হয়ে ওঠে বেশিরভাগ তরুন শিক্ষার্থ? বাজাতে বাজাতে আস্তে আস্তে গতি চলে আসে কিন্তু অনেকেই ধৈর্য ধারন করে থাকতে পারেনা সেই পর্যন্ত। সুরের মাধুরীকে ছাপিয়ে যায় তীব্র গতিদানব হওয়ার আকাঙ্খা।
উদ্যোগে সাধুবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
গীটার কিনেছি এক বছর। বাবাকে বলে বলে টাকা দাও না দাও না করে করে। কিনার কিছুদিন পর জানলাম (কয়েক জন বল্ল) এটা দুই নাম্বার। ঠকছি।একটু আধটু প্র্যাকটিস করতাম। কিন্তু ওটা মনে পড়লে মন খারাপ হত। টিউনিং করতে পাঁচ ছয়বার তার ছিড়সি। তখন মনে হত হবে না আমাকে দিয়ে।বন্ধুরা বলত অমুক গান করে ফেলতে পারে তুই পারিস না এখনও।আরেক্টা কিনব টাকা জমিয়ে।এখন ভাবছি ওটা দিয়েই আবার শুরু করব।
দূরবীনের চোখফ
জনাব, আগে তো গিটার চাই, কোন গিটার ভাল, কোনটা খারাপ সেটা একটু বলবেন।
নতুন মন্তব্য করুন