বন্টু-মিন্টুর গুষ্ঠি কিলাই!

অভ্রনীল এর ছবি
লিখেছেন অভ্রনীল (তারিখ: রবি, ২৭/০৬/২০১০ - ৭:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইদানিং দেখি লোকজন নতুন ফ্যাশান ধরেছে- কম্পিউটারে লিনাক্স ব্যবহার করে! স্টাইল নিয়ে বলে “আমি বন্টু”-”আমি মিন্টু”। ভড়কে গেলেন? ভাবছেন বন্টু-মিন্টু কী জিনিস! হে হে হে, এগুলো হলো গিয়ে উবুন্টু আর মিন্ট ব্যবহারকারীদের নয়া নাম! কম্পুকানা পোলাপান যারা লেখালেখি, গেম আর গান-মুভি ছাড়া কিছু বুঝেনা, তারাও দেখি এখন লিনাক্স চালায়। আবার ঠোঁট উল্টে বলে কিনা লিনাক্স চালাতে কোন কম্পুজ্ঞান লাগেনা। বুঝেন ঠ্যালা! সারাজীবন শুনলাম উইন্ডোজ চালাতে কোন কম্পুজ্ঞান লাগেনা আর এরা বলে কিনা পোলাপান-বুড়াপান-খিলিপান-সবুজপান সবাই নাকি লিনাক্স ব্যবহার করতে পারবে। যাইহোক, ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আমিও উবুন্টু আর মিন্ট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ঘাঁটাঘাঁটি করে বুঝলাম যে লিনাক্সের মত কঠিন ও জঘন্য জিনিস দুইটা নাই। প্রমাণ চান? তাহলে চলেন, সামনে যেতে যেতে আলাপ করি…

আলাপের আগে ছোট একটা কথা। যে জিনিসকে কিলাতে চাই সেটার ছোটখাট কিছু বর্ণনা দেয়া উচিৎ। লিনাক্স হচ্ছে গিয়ে একটা কার্নেল। কার্নেলের সাথে বহু কিছু যোগ-বিয়োগ করে অপারেটিং সিস্টেম বানানো হয়। এভাবে লিনাক্সের অনেকগুলা অপারেটিং সিস্টেম আছে। এই যেমন- উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, রেডহ্যাট, ফেডোরা, স্যুযে – এরকম বহু ওএস আছে, সবগুলাকেই লিনাক্সের উপর বানানো হয়েছে। তাই সবগুলোকে না নিয়ে এখনকার পোলাপান যেই দুটাকে নিয়ে ফুটুংফাটুং করে সেই দুটা – উবুন্টু আর মিন্ট নিয়েই আলাপ করি।

প্রথমেই ধরুন গিয়ে, আমরা উইন্ডোজ চুরি করি। চুরি করার যে কী মজা সেটা চোর নাহলে বুঝবেননা (অবশ্য আপনি যদি চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করেন তাহলে আপনি সহজেই ব্যাপারটা বুঝবেন)। ঘুষখোর না হলে ঘুষের মজা যেমন বোঝা যায়না তেমনি চোর না হলে চুরির মজা বোঝা যায়না। আমাদের চুরি আবার এককাঠি সরেস, আমরা টাকা খরচ করে উইন্ডোজ চুরি করি! আর উবুন্টু-মিন্ট হচ্ছে মাগনা জিনিস, টাকা খরচ করতে হয়না। মাগনা জিনিস নিয়ে কি আর চুরির উত্তেজনা আছে!

তারপর ধরুন গিয়ে, উবুন্টু-মিন্টে কী কী জানি ক্যারদানী করা আছে যে, ইচ্ছে করলে এগুলো হার্ডডিস্কে ইন্সটল না করেই সিডি থেকে চালানো যায়, কাজ করা যায়। সিডি ড্রাইভে ডিস্ক ঢুকিয়ে পিসি চালু করলেই হল। বলেনতো, কী দরকার এত ক্যারদানীর! এর চেয়ে উইন্ডোজ দেখেন, কী সহজ একখান জিনিস, চালিয়ে দেখার একটাই রাস্তা- পুরোটা ইন্সটল করতে হবে। পুরোটা ইন্সটল না করে চালানো ছাড়া আর কোন উপায় নাই। তাহলে বলেন দেখি, এসব লাইভ সিডি-টিডি’র কোন বেইল আছে?

উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইন্সটলেশনও বহুত ঝামেলার। কী একটা মেন্যু নাকি আছে, সফটওয়্যার সেন্টার নামে, সেখানে নাকি সব সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সফটওয়্যার সেন্টারে গিয়ে নাম/ধরন লিখে সফটওয়্যার খুঁজে বের করে “ইন্সটল” বাটনে ক্লিক করলে পরে সফটওয়্যার ইন্সটল হয়। অথচ উইন্ডোজে এই কাজটা আমরা কতই না সহজে করি। প্রথমে গুগল দিয়ে পুরো ইন্টারনেট খুঁজে সফটওয়্যার ডাউনলোড করি, তারপর ডাউনলোড করা ফাইলটাকে ডাবল ক্লিক করে একগাদা নেক্সট-নেক্সট চাপতে থাকি, একটা ধাপে এসে দেখা যায় যে সফটওয়্যারটা সিরিয়াল নাম্বার চাচ্ছে। এইবার চুরি করার পালা! (আগেই বলেছি চোর না হলে চুরি করার মজা বুঝবেননা) আবার গুগল করে বিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করে একগাদা চোরাই সিরিয়াল নাম্বার নামাই। তারপর একটা একটা দিয়ে দেখি কোনটাতে কাজ করে। যদি এগুলো দিয়ে কাজ করে তো ভালো নাহলে আবার গুগল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। যাই হোক ধরে নিলাম যে প্রথমবারে নামানো সিরিয়াল নাম্বারেই সফটওয়্যারের সিরিয়াল মিলে গেল। তারপর আবার নেক্সট-নেক্সট-নেক্সট। তারপর আর কোন চিন্তা নাই, সফটওয়্যারটা ইন্সটল হয়ে যাবে। দেখেন তাহলে উবুন্টুতে কত ভেজাল করে সফটওয়্যার সেন্টার থেকে সফটওয়্যার খুঁজে তারপর ইন্সটল করতে হয়, উবুন্টু কঠিন নাতো কী!

উবুন্টু’র ডিফল্ট সফটওয়্যারগুলোও আমাকে চরম হতাশ করেছে। ধরুন উইন্ডোজ ইন্সটল করলেন। এখন লেখালেখি করতে চান, এজন্য আপনি পাচ্ছেন ওয়ার্ডপ্যাড, মনের খায়েশে লিখে চলুন। গান শুনতে চান কিংবা ভিডিও দেখতে চান- রয়েছে মিডিয়াপ্লেয়ার। ইন্টারনেটে ঘুরাঘুরি করার জন্য রয়েছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। আঁকাআঁকি করতে চান- কোই বাত নেহি, এমএসপেইন্ট রয়েছে। এবার আসুন উবুন্টু’র দিকে চোখ ফেরাই। সফটওয়্যারের দিক থেকে এটি এত জঘন্য একটা অপারেটিং সিস্টেম যে আপনি ভয়ানক রকম হতাশ হবেন। লেখালেখি করার জন্য রয়েছে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ একটা অফিস স্যুট – যাতে রয়েছে একটি ওয়ার্ডপ্রসেসর, হিসাবনিকাষের জন্য স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য একটা প্রেজেন্টার। গান শোনার জন্য রয়েছে রিদমবক্স, ভিডিও দেখতে আছে টটেম মুভি প্লেয়ার। আঁকাআঁকি’র কথা আর কী বলব! এর জন্য আছে ওপেনঅফিস ড্রয়িং, মিন্টে আবার বাড়তি রয়েছে গিম্পের মত ফালতু জিনিস যেটা কিনা কাজেকর্মে প্রায় ফটোশপের সাথে তুলনীয়। আর ছবি এডিট করার জন্য আছে এফস্পট। উবুন্টু-মিন্টের ইন্টারনেট বিষয়ক সুবিধার কথা বললে আপনি একেবারেই মুষড়ে পড়বেন। উবুন্টু-মিন্টে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য পাবেন শুধুমাত্র ফায়ারফক্স, সাথে রয়েছে ইমেইল আদান-প্রদানের জন্য একটা ইমেইল ক্লায়েন্ট। সেইসাথে ফেসবুক, টুইটার এইসবকে আপনার ডেস্কটপের সাথে একীভূত করতে রয়েছে গুইবার, এক জায়গা থেকেই সবখানে ঘুরাঘুরি করতে পারবেন। ডাউনলোড করার জন্য রয়েছে একটা বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট আর ডাউনলোড ম্যানেজার। আর চ্যাট করার জন্য রয়েছে এ্যাম্পাথি যা কিনা কেবলমাত্র সামান্য কয়েকটা সার্ভিস সাপোর্ট করে, যেমনঃ ইয়াহু, এমএসএন, গুগলটক, আইআরসি, ফেসবুক, …

কোন প্রিন্টার, স্ক্যানার, মডেম, ক্যামেরা ইত্যাদি ডিভাইস যদি উবুন্টু-মিন্টে চালাতে চান তাহলে খালি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করলেই হল, ড্রাইভার সিডির দরকার হয়না, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করে। এমনকি বিল্টইন সাউন্ডকার্ড, গ্রাফিক্সকার্ড,ওয়েবক্যাম এগুলোরও ড্রাইভার লাগেনা – এটা কি ফাজলামো নাকি! একটা কম্পানি এত কষ্ট করে ড্রাইভার সিডি বানালো, সেটার কিনা কোনো দরকারই নেই। বলেন দেখি, একটা অপারেটিং সিস্টেম কতটুকু জঘন্য হলে সেটা কোন কম্পানির ড্রাইভার সিডিকে উপেক্ষা করে!

উবুন্টু-মিন্টে সিস্টেম পরিচর্যা করার কোন উপায়ই নাই। উইন্ডোজে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এইসব কঠিন কঠিন উচুঁ লেভেলের প্রোগ্রাম চালাতে গিয়ে সিস্টেম প্রায়ই ক্র্যাশ করে। ফলে সপ্তাহে রুটিন করে মেশিনে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয়। অথচ উবুন্টু-মিন্ট এতই নিম্নমানের যে ভাইরাস-টাইরাস এখানে চলতেই পারেনা, ফলে সিস্টেমও ক্র্যাশট্যাশ হয়না। তাই দেখা যায় যে ঘন ঘন ইন্সটলও করতে হয়না। আপনিই বলুন কম্পিউটারে যদি অপারেটিং সিস্টেম ঘন ঘন ইন্সটল না করা হয় তবে কি সেটা ভালো থাকে? তাছাড়া ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এর মত উচুঁ লেভেলের প্রোগ্রাম চলেনা দেখে কোন এন্টিভাইরাসও লাগেনা। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হল উবুন্টু-মিন্টের ফাইল সিস্টেম এত বেশি গোছালো থাকে যে এর জন্য এগুলোতে ডিফ্র্যাগমেন্টও নাকি করা লাগেনা, তাই ডিফ্র্যাগমেন্টের কোন অপশনই দেয়া হয়নাই! সবচেয়ে আতংকের কথা হল উবুন্টু-মিন্ট হ্যাং করেনা। কম্পিউটার যদি হ্যাং না-ই করল তাহলে সেটা কীসের কম্পিউটার! হ্যাং করলে পিসি রিস্টার্ট দিতে হয়, যেটা কিনা পিসির জন্য খুব ভালো, এতে পুরো সিস্টেমটি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা সব ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করতে থাকে এবং ভবিষ্যতে আবার হ্যাং করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন, পুরো কাজ সেভ করেননি তার আগেই হঠাৎ করে নীল স্ক্রিন এসে হাজির। রিস্টার্ট দিয়ে সেই একই কাজ আবার নতুন করে শুরু করার মাঝেও একধরণের আনন্দময় স্নায়ুবিক উত্তেজনা কাজ করে, অনেক সময় এমন অবস্থায় লোকজন আনন্দের আতিশয্যে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলে (খুবই স্বাস্থ্যসম্মত কাজ, এতে করে পুরনো চুলের ভারে চাপা পড়া নতুন চুলদের বেড়ে উঠার রাস্তা খুলে যায়)। অথচ উবুন্টু-মিন্ট ব্যবহার করলে এইসব আনন্দময় সময় উপভোগ করার আশা গুড়েবালি।

উবুন্টু-মিন্টের জন্য হাইফাই হার্ডওয়্যারেরও দরকার নেই, এগুলো পুরানো হার্ডওয়্যারেও চলে! ফলে আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমের সাথে পাল্লা দিয়ে বছর বছর দামী দামী হার্ডওয়্যার পাল্টাবেন, সেটি হচ্ছেনা। পুরনো হার্ডওয়্যারেই বছরের পর বছর পার করে দিতে হবে। এমনকি থ্রিডি ডেস্কটপ বা বিভিন্ন ক্যারাবারা ইফেক্ট দেখার জন্য যে বাজারে নতুন আসা থ্রিডি গ্রাফিক্স কার্ডটা কিনবেন তারও জো নাই, উবুন্টু-মিন্টে বিল্টইন গ্রাফিক্স কার্ডেই ডেস্কটপের বিভিন্ন ক্যারাব্যারা ইফেক্ট আনা যায়। তাছাড়া উবুন্টু-মিন্ট এত দ্রুত বুট হয় যে আপনি যে পিসির বাটন অন করে একটু বাথরুম থেকে ঘুরে আসবেন বা চা-নাস্তা খেয়ে আসবেন, সেটাও হবেনা।

উবুন্টু-মিন্ট এতই জঘন্য যে লোকজন এগুলোর দিকে ফিরেও তাকায়না। তাই মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য এগুলোতে শুধু ইংলিশই নয় বরং অন্যান্য ভাষার কিবোর্ডও আগে থেকেই দিয়ে দেয়া থাকে। এই যেমন ধরুন গিয়ে বাংলা ভাষার কথা। উবুন্টু-মিন্টে বাংলায় লেখার জন্য প্রভাত, ইউনিজয় আর জাতীয় কিবোর্ডের লেয়াউট দিয়ে দেয়াই থাকে। ইদানিং আবার বাংলাদেশের একমাত্র পাইরেটেড সফটওয়্যারের খেতাব পাওয়া অভ্রও উবুন্টু-মিন্টের জন্য ফোনেটিক ভার্সন বের করেছে। নিন্দুকেরা বলে উবুন্টুতে নাকি বাংলা ফন্টের স্মুদিং উইন্ডোজের চেয়ে অনেক ভালো, ফলে ফন্টগুলো নাকি একদম ঝরঝরে স্পষ্ট দেখা যায়। আহারে বেচারারা!

লিনাক্সের জন্য প্রচুর গেম আছে। উবুন্টু-মিন্ট কিন্তু সেগুলো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারে। অথচ তারা সেটা না করে উইন্ডোজের গেমের দিকেও হাত বাড়িয়েছে। ওয়াইন নামে কী এক আজব সফটওয়্যার আছে যেটা কিনা উইন্ডোজের গেমগুলোকেও উবুন্টু মিন্টে চালিয়ে ফেলে! লিনাক্সের গেমগুলোতো চলেই, সেই সাথে উইন্ডোজের গেমও যোগ হয়েছে। এক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি করা জিনিস আরেক অপারেটিং সিস্টেমে চালায় – কী রকম নীচু মানসিকতা হলে এরকম করা সম্ভব, বলেন তো!

উপরের আলোচনায় নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে উবুন্টু-মিন্ট কত ফালতু অপারেটিং সিস্টেম। এইরকম ফালতু মানের অপারেটিং সিস্টেম দেখলেই তো কষে দু ঘা কিল বসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। অথচ লোকজন কিনা গর্ব করে বলে যে “আমি উবুন্টু চালাই”, “আমি মিন্ট চালাই”। শুধু তাই না যারা চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করে তাদের দেখে এরা আবার হাসাহাসিও করে। চোর কি হাসির বস্তু? চোরের কি মানসম্মান নাই? দেশে কি মানসম্মত চোরের এতই আকাল? অবস্থা এখন এমন যে লিনাক্স নিয়ে কাউকে তাই কথা বলতে দেখলেই মেজাজ খিঁচড়ে যায়। মনে হয় কিলিয়ে ভর্তা বানাই। তাই হে ভাই আমার বোনেরা তোমার, আসুন আমরা এখন থেকে বন্টু-মিন্টুদের ফালতু কথায় কান না দিয়ে চৌর্যবৃত্তিতে ডুবে থাকি। চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করব তারপরও মাগনা উবুন্টু-মিন্ট ব্যবহার করবোনা। সফটওয়্যার চুরির তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, আসুন গণহারে চুরি করে আমরা আমাদের দেশকে সেই তালিকার শীর্ষে নিয়ে যাই।

====================================

ঠ্যাংটিকাঃ

অতি-আগ্রহীদের জন্য দুটো বাড়তি লিংক দিলাম।
১। পেঙ্গুইনের পয়লা প্যাঁকপ্যাঁকানি!
২। উবুন্টু উপাখ্যানঃ মানুষের জন্য লিনাক্স!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

উইন্ডোজ ব্যবহার করে কেষ্ট-বিষ্টু হওয়ার চেয়ে লিনাক্স ব্যবহার করে বন্টু-মিন্টু হওয়াও অনেক ভালু পাইলাম। তা আপ্নে ওগোরে কিলান আর যত যুক্তিই দেখান, এই প্রজন্মের পুলাপানরে বেশি দিন বুকা বানান যাইব না মনে অয়। এই পুলাপান একটু পাগল কিসিমের। এরা দুর্নীতিতে যেমন শীর্ষে যাইতে না-রাজ, তেমনই সফটওয়্যার চুরিতেও চ্যাম্পিয়ন অইব না। দেইখা লইয়েন। চোখ টিপি

-------------------------------------------
কুটুমবাড়ি

অভ্রনীল এর ছবি

হ, ঠিক... পুলাপাইন আর বুকা নাই। চিন্তার বিষয়! চিন্তিত

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধুর মিয়া, চুরি চামারি ছাড়া কিছুই ভালু লাগে না, কি করুম? মাসে একবার যদি মেশিন রি-ইন্সটল না করুম তাইলে ইজ্জত থাকেনি? দারুণ লাগছে! সেই যে উবুন্টু লটকাইছিলাম, এখনো সেখানেই আছি, মাঝে মাঝে একটু চুরি ধারি করতে যাই বিল কাগুর পাড়ায় কয়েকটা জিনিসের জন্যে, বাকি সময় বন্টুর সাথে টাল্টিবাল্টি কইরাই জীবন কাটাই,আর সব বাদ দিলেও চোখের জন্যে এত আরাম আর কোন পাড়ায় হয় না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অভ্রনীল এর ছবি

পইড়া আরাম তো পাইবেনই, বুন্টুতে ফন্ট স্মুদিং যে উইন্ডোজের চেয়ে পুরাই ঝাকানাকা! আরাম না পাইয়া উপায় আছে? যেমন এই ছবিটাই দেখেন, ফন্টগুলা কত্ত স্পষ্ট, উইন্ডোজের সাথে পাশাপাশি মিলায়া দেখলে বুঝবেন।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

256 ড়্যামের পিসি তে কোন লিনাক্স চলবে বলতে পারেন? ওটাতে এখন এক্সপি চালাই (জেনুইন), কিন্তু কিছুক্ষণ পরপরই বলে ভার্চুয়াল মেমরী নাকি শেষ হয়ে গেছে বা এ ধরনের একটা মেসেজ। ইউটিউবে কার্টুন দেখা ছাড়া এই পিসির আর কোন কাজ নেই। আগাম ধন্যবাদ।

অভ্রনীল এর ছবি

পিপিদা,

আপনি যদি বুন্টু পরিবারেই থাকতে চান তাহলে লুবুন্টু ব্যবহার করতে পারেন। আর না হলে পাপি-লিনাক্স তো রয়েছেই। তবে এই রিলিজ থেকে পাপিও ল্যুসিডের উপর নির্ভর করছে। আরো তথ্যের জন্য এখানে দেখুন।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

Puppy Linux এর চাইতে Lubuntu ব্যবহার করা সোজা হবে। ২৫৬ র‌্যামে ঘোড়ার মত দৌড়াবার কথা। শুধু সমস্যা হচ্ছে এরসাথে ওপেন অফিস আর ফায়ারফক্সটা ডিফল্টভাবে আসে না। Word Processor হিসেবে AbiWord আর Spreadsheet হিসেবে Gnumeric আসে। ব্রাউজার আসে Cromium ( ১৯২ মেগা র‌্যামের জন্য তৈরি কিনা )। তবে ওপেন অফিস আর ফায়ারফক্স দুটো দুইটা ক্লিকেই ইন্সটল করা যাবে।

তবে গ্রাফিক্সের তেলেসমাতি দেখতে চাইলে ৫১২ র‌্যামে Ubuntu / Mint বা ১ গিগায় Kubuntu চালিয়ে দেখতে হবে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরো তারুণ্য ভাই যে! ঠিক আছে তাহলে লুবুন্টুই ট্রাই দেব। নিজের ল্যাপটপে ভিস্তা ছেড়ে উবুন্টু ধরেছি তাও প্রায় এক বছর হয়। এত লম্বা সময় ধরে ব্যবহারের ফলে মাঝে মাঝে হতাশা এসেছে তবুও ছাড়িনি। ইদানীং নতুন বুন্টুতে প্যানেল নিয়ে একটা সমস্যা করে। যদিও আমি সাধারণত মেশিন বন্ধ করিনা, তবুও ১৫/২০ দিন পর কোন কারণে বা আপডেট ইনস্টলের পর রিস্টার্ট করলে প্যানেল আর আসেনা। নেট ঘেঁটে একটা সমাধান পেয়েছিলাম সেটা এরকম:

$ killall gnome-panel

এর পরে লগআউট করে লগিন করলে সব ঠিক মত কাজ করে।

লেখা চমৎকার হয়েছে। তারচেও খুশীর কথা হলো ছেলেপেলে লিনাক্স ব্যবহার শুরু করেছে। হাসি

শামীম এর ছবি

আমার কাছে এক্ষেত্রে knoppixটা ভালো লেগেছে। তবে ইনস্টলাইনাই এখন পর্যন্ত। লাইভ সিডিটা লুবুন্টুর মতই lxde যা খুব কম ব়্যাম দাবী করে ... আর এর মধ্যেই কম্পিজ এনাবল করা ... ... পোলাপানকে মাঝে মাঝে ঐ লাইভ সিডি/ইউ.এস.বি. দিয়ে ম্যাজিক দেখাই।

এটাতে lxde'র পাশাপাশি ফায়ারফক্স, অফিস, গিম্প দেয়া আছে!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অভ্রনীল এর ছবি

পিপিদা, প্যানেলের সমস্যার জন্য এখানে একটু দেখেন তো।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বুকমার্ক করে রাখলাম। আচ্ছা, স্টেপগুলো ফলো করলে আমার প্যানেলের কাস্টমাইজেশন মুছে যাবে না তো?

অভ্রনীল এর ছবি

কাস্টম সেটিংগ্স মুছে গিয়ে উপরে ও নীচের ডিফল্ট প্যানেল দুটো আসবে।
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ও, তাহলে তো সমস্যা। কিলঅল দিয়ে কিন্তু আমার সেটিং মোছেনা। ধন্যবাদ আবারো।

অভ্রনীল এর ছবি

তবে এটা পার্মানেন্ট সল্যুশান, অন্তত যাদেরকে রেফার করেছি তাদের পার্মানেন্টলি কাজ করছে, বারবার রিস্টার্টে কমান্ড লিখতে হবেনা। একবার করার পর আবার না হয় সাজিয়ে নিলেন...
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ও, তাহলে তো ভালো। নেক্সট টাইম এপ্লাই করে দেখবো তাহলে। ধন্যবাদ।

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

ই-লাইভ (http://www.elivecd.org/) ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

এইরকম একটা চমৎকার লেখার জন্য +++

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, আমিও ভাবছি চুরি-দারি ছেড়ে দেব। নতুনদের জন্য কোনটা ভালো, উবুন্টু না মিন্ট? আর আমি কি M.S. Office ব্যবহার করতে পারবো? ওপেন অফিসের ডকুমেন্ট জানলা পিসিতে নিলে ফরম্যাট কেমন যেন বদলে যায় ইয়ে, মানে...

অভ্রনীল এর ছবি

উবুন্টু ও মিন্ট দুটোই আদতে একই জিনিস। তবে মিন্টের চেহারা অনেকটাই উইন্ডোজের মত। তাই উইন্ডোজ থেকে আসা ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহারে সুবিধা হয়। আইনী কারনে উবুন্টুতে অনেক কোডেক দেয়া হয়না, যার ফলে উবুন্টু ইন্সটল করার পর এমপিথ্রি বা এভিআই এর মত কোডেকগুলো নেট থেকে ডাউনলোড করতে হয় (তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, ডাউনলোড করে ইন্সটল করার পুরো প্রসেসটা কেবল কয়েকটা মাউসক্লিক মাত্র)। তবে বাংলাদেশের ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ব্যাপারটা বেশ সময়সাপেক্ষ। কিন্তু লিনাক্স মিন্টে সেই কোডেকগুলো শুরু থেকেই দেয়া থাকে, ফলে মিন্ট ইন্সটল করেই গান-ভিডিও দেখা সম্ভব। সেজন্য লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করাটা সুবিধাজনক।

ক্রসওভার দিয়ে এমএসঅফিস ব্যবহার করা যায়। তবে ওপেন অফিস কিন্তু বেশ শক্তিশালী জিনিস, কিছুদিন ব্যবহার করলেই টের পাবেন।
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

হাসিব এর ছবি

এভিআই এর মত কোডেকগুলো

/ এভিআই কন্টেইনার ফরম্যাট । কোডেক না ।
/ লেখা ভালৈছে ।

অভ্রনীল এর ছবি

/এভিআই কন্টেইনার ফরম্যাট । কোডেক না ।

কম্পুকানা মানুষতো, এতকিছু বুঝিনা খাইছে

লেখা ভাল্লাগসে সেজন্য ধইন্যাপাতা!
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যথারীতি দারুণ লিখছেন।
আমার পিসিতে দীর্ঘদিন ধরে লিনাক্স ব্যবহার করার পরিকল্পনা করতেছি। কিন্তু হচ্ছে না। দাঁড়ান, এবার করবোই। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে আমিও বন্টু মিন্টু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সিরাত এর ছবি

আপনে না বলে কম্পিউটার পারেন না?

মিছা কথা কন ক্যা? হাসি

সাহাদাত উদরাজী [অতিথি] এর ছবি

নজু ভাই, আমিও আমার পিসিতে দীর্ঘদিন ধরে লিনাক্স ব্যবহার করার পরিকল্পনা করতেছি। কিন্তু আমি এর ব্যবহারিত কোন কম্পিউটার দেখি নাই, শুঞ্ছি মাত্র। শুনে শুনে আমি এর প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
আপনি ইন্সটল করে, ধাপ গুলো আমাদের জানান। আমি নেক্সট হবো।
শুভ কামনা।

অভ্রনীল এর ছবি

কন কি! উবুন্টু চলা কোন কম্পু দেখেননাই। তাইলে আমারটা দেখেন! আমি আবার সাদাসিধা মানুষ, বেশি রকম ইফেক্ট পছন্দ করিনা, তাই আমার ডেস্কটপ দেইখা আবার মুষড়ায়েননা কইলাম!
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সিরাত এর ছবি

পাঙ্খা তো।

এবার একটু আমারে ম্যাস এফেক্ট ২ আর এম্পায়ার টোটাল ওয়ার খেলা একটা স্ক্রিনশট দেখান! হাসি

অভ্রনীল এর ছবি

এই গেম দুটাতো ওয়াইনে চলে! ওয়াইনের ডাটাবেজতো তাই-ই বলছে। ম্যাস এফেক্ট এর স্ক্রিনশট ঐখানে পাবেন। নীচে লিংকগুলো দিলাম:
ম্যাস এফেক্ট ২
এম্পায়ার টোটাল ওয়ার

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সিরাত এর ছবি

কন কি! একটু গবেষণায় নামি তাইলে। হাসি

ওডিন এর ছবি

এইবার একটু শান্তি পাইলাম মনে হয়! এই একটা কারনেই এখনো জানালারে লাত্থি দিতে পারতেছি না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অভ্রনীল এর ছবি

নজু ভাই, কী আছে দুনিয়ায়! চোখ বুইজা ইন্সটলায় ফেলেন! দেঁতো হাসি

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সিরাত এর ছবি

লিনাক্স গেমারদের জন্য হারাম!

সিরাত এর ছবি

'ওয়াইন' দিয়ে নতুন গেমগুলা খেলা যায় না, পুরানডি যায়।

অভ্রনীল এর ছবি

'নতুন' 'পুরানো'- সময়ের স্কেলে শব্দ দুটোর সংজ্ঞা জানতে পারলে ভালো হত। "কল অফ ডিউটি: মডার্ণ ওয়ারফেজ ২" কোন ক্যাটাগরীতে পড়ে? এটা কিন্তু উবুন্টুতে চলে। মূল সমস্যা হচ্ছে গেমগুলোকে উইন্ডোজ নির্ভর করে বানানো হয়, ফলে সেগুলোকে অন্য কোন সিস্টেমে চালাবার চিন্তা করাই উচিত না। কিন্তু তারপরও কথা হচ্ছে যে উইন্ডোজের জন্য বানানো এই গেমগুলো লিনাক্সে খেলা যায়।

ওয়াইন বিনপয়সার হবার কারণে এতে মাইক্রোসফটের কমার্শিয়াল ডিএলএলগুলো দেয়া যায় না। তবে যদ্দূর জানি Cedega দিয়ে খেললে সমস্যা নাই। কিন্তু Cedega আবার টাকা দিয়ে কিন্তে হয়।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সিরাত এর ছবি

মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২ বেশ নতুন, এবং প্রথম দিনেই ৫০ লাখ কপি সেল করসে। কিন্তু আমি খেলি আরেকটু নিশ গেম, ধরেন ম্যাস এফেক্ট ২, ড্রাগন এজ, অবলিভিয়ন, এম্পায়ার টোটাল ওয়ার, ওয়ার্ল্ড ইন কনফ্লিক্ট। এগুলি সেল হয় কম, সুতরাং ডেভেলপারদের টাকা থাকে না কোড কনভার্শনের। এটাই বিশাল ঝামেলা। নাইলে কি আর উইন্ডোজে থাকি।

করপোরেটেরও মাইক্রোসফটের বিশাল একটা স্ট্র্যাংগলহোল্ড আছে এই তড়িৎ সাপোর্টের জন্য। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

অভ্রনীল এর ছবি

(দুই একজন ছাড়া) কমার্শিয়াল ডেভেলপাররা মোটেও কোডগুলো লিনাক্সের জন্য কনভার্ট করেনা। ওয়াইন বা সেডেগা লিনাক্সের মধ্যে উইন্ডোজের ডিএলএল ব্যবহার করে একটা কম্পিট্যাবিলিটি লেয়ার তৈরি করে, যার ফলে উইন্ডোজের গেমগুলো ওখানে চলে।

মাইক্রোসফটতো এসেছে ব্যবসা করতে, ওদেরতো সাপোর্ট থাকবেই, তাইনা! তবে ইদানিং কিছু পরিবর্তন আসছে। (কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই) ইএ গেমস শুধুমাত্র উবুন্টুর জন্য গেম বানাবার যে পরিমান অনুরোধ পেয়েছে সেটা নাকি পুরো লিনাক্স দুনিয়াতো বটেই ম্যাকের ইউজারদের করা অনুরোধের চেয়েও অ-নে-ক বেশি। ফলে তারা উবুন্টুকে তাদের নতুন আরেকটি প্লাটফর্ম হিসেবে পরীক্ষানীরিক্ষা করছে। দুই এক মাসের মধ্যে ভাল্ভও তাদের গেমিং ইঞ্জিন লিনাক্সের জন্য মুক্ত করতে যাচ্ছে। এডোব এদিকে ক্যানোনিকালের (যারা উবুন্টু ডেভেলপ করে) পার্টনার হিসেবে যোগ দিয়েছে, এ্যাপলের সাথে ঝগড়াঝাটি হবার পর উবুন্টুকেই তারা উইন্ডোজের পর দ্বিতীয় ঘাঁটি হিসেবে দেখছে। তাই অচিরেই এডোবের ক্রিয়েটিভ স্যুট উবুন্টুর জন্য আসছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লোভ ধরায়া দিলেন...আমি একরকম কম্পুকানা বলতে পারেন।
দেখি, কাউরে ধরায়া উবুন্টুতে হাত মকশো করা যা কী না...

_________________________________________

সেরিওজা

অভ্রনীল এর ছবি

বন্টু-মিন্টু হইতে কম্পুজ্ঞানী হওয়া লাগেনারে ভাই... হাত মকশো শুরু করেন!

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অফিসে রেডহ্যাট এন্টারপ্রাইজ আর সুস্ ব্যবহার করি। বাসায় বন্টু একটাতে। বাকি তিনটায় এক্সপি (জেনুইন।)। বন্টুটা ব্যবহার হয়না।

লেখায় অতি উত্তম জাঝা!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সোহাগ এর ছবি

আমি কয়েকবার বন্টু ইন্সটল দিয়েও এর আগে উইন্ডোজে ফিরে গিয়েছিলাম। বর্তমানে পুরা বন্টু; সেক্ষেত্রে অভ্রনীলের কিছু লেখার প্রভাব ব্যাপক।ধন্যবাদ এসব লেখার জন্য।

অভ্রনীল এর ছবি

খাইসে! এইসব কাকের-ঠ্যাং-বকের-ঠ্যাং লেখার এ্যাত্ত প্রভাব! খুশি খুশি লাগতেসে...
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

দারুণ একটা লেখা।
__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ভাঙ্গা পেন্সিল [অতিথি] এর ছবি

উবুন্টু হ্যাং করে না কথাটা ঠিক না। আমার দুই-তিন বার করছে।

উবুন্টুতে টার্মিনাল দিয়ে কিছু সফটওয়ার ইন্সটল করছি, কিছু ডেবিয়ান প্যাকেজ দিয়ে। এখন ৯.০৪ থেকে ১০.০৪ এ আপডেট করার সময় আগের সফটওয়ারগুলো ব্যাকআপ করবো কিভাবে(বিশেষ করে টার্মিনালের মাধ্যমে ইন্সটল করা সফটওয়ারগুলো)?

অভ্রনীল এর ছবি

আমার সাড়ে তিন বছর বয়সী ল্যাপিতে যতবার উবুন্টু হ্যাং করেছে, সব সময় সেটা আমার নিজের নাপ্তামির জন্য (যেমন ভিবক্সে একাধিক ওএস চালানো, কিংবা ম্যাটল্যাবে বিশাল সিমুলেশন করতে দিয়ে বানশি ও ফায়ারফক্স প্যারালালি চালানো ইত্যাদি)। সাধারণ কাজ করতে গিয়ে কখনো হয়নি।

ব্যাকাপের অনেক পদ্ধতি আছে।
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

দ্রোহী এর ছবি

আমি জেনুইন "জালনা চেবেন'। বন্টু লাইভ 'চিডি' ব্যবহার করি মাঝে মধ্যে।

হাসি

লেখায় উত্তম জাঝা। শামীম ভাইয়ের একটা লেখার কথা মনে পড়ে গ্যালো!


কি মাঝি, ডরাইলা?

অভ্রনীল এর ছবি

শামীম ভাইয়ের একটা লেখার কথা মনে পড়ে গ্যালো!

ঠিক ধইরেছেন... ইন্সপায়ারড বাই শামীম ভাই! দেঁতো হাসি
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

শামীম এর ছবি

ছি ছি ... এ্যাত্ত পচা ...

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অভ্রনীল এর ছবি

আর বইলেননা, এইটা নাকি পচার কিছুইনা! সামনে একেবারে দুর্গন্ধযুক্ত একেকটা রিলিজ নাকি আসতেসে... মন খারাপ
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

মুস্তাফিজ এর ছবি

মন্টু মিয়া বন্টু মিয়া দুই জনের একজন কে ঘরে আনতে চাই, কেঊ একটু দাদাগিরি করলে ভালো হয়।

...........................
Every Picture Tells a Story

শামীম এর ছবি

যে-ই এগুলো ইনস্টল করুক ... এর আগে কিছুটা ঘর গোছানোর কাজ আছে।

১. যেই ড্রাইভে ইনস্টল করতে চান সেইটা থেকে সমস্ত ডেটা অন্য ড্রাইভে কপি করে এটাকে ফাঁকা রাখাটা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। এতে দাদাগিরি করার কাজটা এগিয়ে থাকলো।

২. আপনার ইন্টারনেট যদি ব্রডব্যান্ড লাইন হয় তবে ওটার ঠিকুজিটা একটু লিখে রাখেন ... কারণ তা-না হলে মিন্টু/বন্টু ইনস্টলের পর আবার উইন্ডোজ লগ-ইন করে (কতক্ষণ যে লাগবে!) ওগুলো দেখতে মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড হলে যদি নোকিয়া হয়, তবে কোনো চিন্তা নাই, অন্য কিছু হলে একটু হোমওয়র্ক করে যেতে হবে।

৩. এর পরের কাজটুকু এ্যাতই সোজা যে হাতে সিডি পেলে আপনি নিজেই ইনস্টল করতে পারবেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিফল্ট ইনস্টলের একটা অপশন পছন্দ করি না ... তাই একটু ডিস্ক পার্টিশন করে নেই (মিনিট দুয়েক সময় লাগে) ... এতে হোম ফোল্ডার (যেখানে আপনার জিনিষপাতি রাখবেন) আলাদা ড্রাইভে দেয়া হয়, ফলে পরবর্তীতে অন্য কোনো ভার্সন বা অপারেটিং সিস্টেম (ডিস্ট্রো) এর উপরে ওভার রাইট করলেও আপনার ডকুমেন্টে একটা আঁচড়ও পড়বে না।

৪. স্পেসিফিক কোনো সফটওয়্যার দরকার কি না ... যেমন স্কাইপ (স্কাইপ ফর লিনাক্স/বুন্টু), ওয়েব ক্যাম (cheese) ইত্যাদি .. তাহলে ওগুলো এরপর সফটওয়্যার সেন্টার (ইন্টারনেট) থেকে ইনস্টল করতে হবে। (ইন্টারনেট ছাড়াও করা যায় অবশ্য ... ...)

যে কোনো শুক্র/মঙ্গল/রবিবার দুপুরের আগে অপারেশন করতে রাজি আছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অভ্রনীল এর ছবি
শামীম এর ছবি

তা আর বলতে ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

তারপরও যদি 'কিরাম কিরাম লাগে' তাহলে কিছু পুলাপাইন দাদা এইরকম সাহায্যের জন্য এক পায়ে খাঁড়া আছে। এট্টু আওয়াজ দিলেই পৌঁছায় যাবে। আওয়াজটা আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে গিয়েও দিতে পারেন বা একটু মেইল দিতে পারেন। দাদা জোগাড় করা সমস্যা না। এইগুলি এখন পুলাপাইনও পারে।

(ইমেলটা দিয়ে রাখলাম: )

স্পর্শ এর ছবি

ওয়েসান্তরিত এবার হয়েই যাব!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লেখাটা পড়ে এবার আমিও ভাবছি এই বেলা সাহসে ভর করে লাইসেন্সড ভিস্তা-টা ফেলে দিয়ে মিন্টু হয়ে যাবার! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অভ্রনীল এর ছবি

লাইসেন্সড জিনিস ফালায়া দিবেন ক্যান? এর চেয়ে আগে বরং মিন্টের লাইভ সিডি চালায়া দেখেন, তারপর ডুয়েল বুট করেন, এরপর আর আমাকে বলতে হবেনা, নিজেই বুঝবেন কি করা লাগবে ... চোখ টিপি
_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লাইসেন্সডটা ফেলতে চাচ্ছি যন্ত্রণার কারণে মন খারাপ
আপনার সাজেশনটাই কাজে লাগাই তাহলে। এখন মিন্টের একটা লাইভ সিডি যোগাড় করে ফেলতে হবে। হাসি
লেখাটা খুব ভাল লেগেছে আর অন্যদের আলচনাগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলি কাজে দেবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অভ্রনীল এর ছবি

সিডি যোগাড়ের জন্য এখানে দেখুন। আর যেকোন সমস্যায় কেবল এখানে একটু টোকা দেবেন।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

অতিথি লেখক এর ছবি

অ-সা-ধা-র-ন।।

[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরা রিভার্স খেললেন মামা!
উইন্ডোজের পক্ষে নাইম্যা আত্মঘাতী দিয়ে লিনাক্স্ রে জিতিয়ে দিলেন।
আপনার কথা শুইনা বন্টু হইছিলাম। অসাধারণ কিন্তু উবুন্টুতে বাংলালায়ন ডঙ্গোল ডিভাইস(ওয়াইম্যাক্স) কাজ করে না। ফলে পুরাই ধরা খাইলাম। এখন কম্পুতে ডুয়াল বুট আছে। সফটোয়ার ড্রাইভার ক্যাম্নে ইন্সটল দিমু বুঝি না। সবাইরে কই, অন্ততঃ ইউনিকোড বাংলা ঠিকমত দেখার জন্য হলেও উবুন্টুতে যাওয়া দরকার!

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

মডেল নম্বরটা একটু বলবেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

US 211 WIMAX 802.16E USB ADAPTER লেখা আছে বাক্সের গায়ে। তবে উবুন্টুর ফিচারগুলোর সুবিধা ঠিকমত নিতে হলে কি ইন্টারনেট থাকা জরুরী?

অভ্রনীল এর ছবি

US 211 WIMAX 802.16E USB ADAPTER লেখা আছে বাক্সের গায়ে।

কষ্ট করে যদি আমাদের প্রযুক্তিতে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতেন তাহলে সবাই মিলে ঠিক করে ফেলা যেত। অনেকগুলো বন্টু-মিন্টু মাথা আছে কিনা সেখানে! হাসি

তবে উবুন্টুর ফিচারগুলোর সুবিধা ঠিকমত নিতে হলে কি ইন্টারনেট থাকা জরুরী?

উবুন্টুতে ইন্টারনেট লাগে প্রধানত তিনটা কারণে:
১। বিভিন্ন আপডেট ডাউনলোড করার জন্য (যেটা উইন্ডোজেও দরকার)
২। বিভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে (যেহেতু উবুন্টু'র ব্যবহারকারী কম, তাই এর সফটওয়্যার দোকানে পাওয়া যায়না)
৩। ব্যবহারকারীর নিজের প্রয়োজনে (ব্রাউজ করা, চ্যাট করা, ইমেইল করা ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজ)।

এখন প্রথম দুটোর জন্য আপনার কম্পিউটারে কোন নেট কানেকশান না থাকলেও চলে, অন্য কোন কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে আপডেট ও সফটওয়্যার ডাউনলোড করে আপনার অফলাইনের পিসিতে ইন্সটল করতে পারবেন। এজন্য কেরাইক্স দরকার আপনার। অথবা বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। তৃতীয় কারণটি পুরোপুরি আপনার উপর, এর সাথে উবুন্টুর কোন সম্পর্ক নেই।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

উন্মাতাল তারুণ্য এর ছবি

US211 WiMax USB adapter এর অফিসিয়াল সাইট বলছে এটা লিনাক্স সাপোর্ট করে।

আরো ভেতরে ঢুকে আবিষ্কার করা গেল যে এটা লিনাক্সে পোর্টে ঢোকাবার পর USB মেমরি হিসেবে মাউন্ট হয়। মডেম কাজ করাবার জন্য একটু টুইক করতে হবে। সেটাও খুব বিরাট কিছু নয়। দুটো ফাইল ইন্সটল করতে হবে খালি।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আমার ডেস্কটপে চলে জানালা ৭ (ভিস্তা থেকে ফ্রি আপগ্রেড), ল্যাপটপে আর নেটবুকে এক্সপি (সবই জেনুইন কপি)..

জানালা ব্যবহারে অভ্যস্ত ... এত্তগুলা টাকা দিয়া জানালা কিনসি, এখন ঝামেলা করে আরেকটা অপারেটিং সিস্টেম চালানো শিখতে বিশাল আইলসামি লাগে। তয় আমি জানালা ৭ এর মোটামুটি প্রেমে আছি .. ইনবার্সিটির সুবাদে নেটবুক / ল্যাপটপেও জানালা ৭ এর ফ্রি আপগ্রেড লাগাইতে পারুম, কিন্তু ঐ যে আইলসামি।

তারপর আমার এক ক্লাসমেটের তাড়নায় নেটবুকে উবুন্টু লাগাইলাম...

লাগায়ে যে ঘটনা... পরপর দুইবার রিস্টার্ট দিলে তিনবারের বার উবুন্টু বুট করে... কোনো ড্রাইভার পায়না (যেমন নেটওয়ার্ক ড্রাইভার, গ্রাফিক্স ড্রাইভার) ... তারপর ঘন্টা দুয়েক নেটে গুতাগুতি করে আশা ছাড়সি... এরপর গ্রাব আনইন্সটল করতে গিয়ে দেখি আরেক ঝামেলা...

সেই থেকে উবুন্টু আছে তবে ব্যবহার করা হয়না। কম্পুকানা হইলে যা হয় আরকি। তার উপ্রে অলস কম্পুকানা.. আমার জন্যে জানালাই সোজা।

লেখা ভালু হইসে।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অভ্রনীল এর ছবি

পরপর দুইবার রিস্টার্ট দিলে তিনবারের বার উবুন্টু বুট করে... কোনো ড্রাইভার পায়না (যেমন নেটওয়ার্ক ড্রাইভার, গ্রাফিক্স ড্রাইভার) ... তারপর ঘন্টা দুয়েক নেটে গুতাগুতি করে আশা ছাড়সি... এরপর গ্রাব আনইন্সটল করতে গিয়ে দেখি আরেক ঝামেলা...

আমিও কম্পুকানা কিন্তু রিস্টার্টের ব্যাপারটা হজম করতে পারছিনা, এরকম পরিস্থিতিতে কাউকে দেখিনাই কিনা! তবে নেটবুকের জন্য আলাদা অপটিমাইজড ভার্সন আছে, সেটা ব্যবহার করে ছিলেন কি? উবুন্টুতে ড্রাইভার ইন্সটল করা লাগেনা অটোমেটিক ডিটেক্ট করে, যদি না আপনি এক্সটার্নাল কোনো কার্ড না লাগান, যেহেতু নেটবুক বলছেন তাই ধরেই নিচ্ছি যে গ্রাফিক্স কার্ড বিল্টইন। ওয়্যারলেস ড্রাইভার ইন্সটল করার জন্য উবুন্টু ইন্সটলের পর প্রথমবার নেটবুকটিকে তার দিয়ে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করুন, দেখবেন উবুন্টুই আপনাকে বলবে যে আপনার নেটওয়ার্ক ড্রাইভার ইন্সটল করতে হবে। আপনি সম্মতি দিলেই উবুন্টুই আপনার জন্য সব ইন্সটল করে দেবে, এরপর থেকে তারের আর কোন দরকার নাই।

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

রণদীপম বসু এর ছবি

আমি মিন্টু হইবার চাই। এখন কন কী করতে হবে ?
তয় আমার ল্যাপটপে এক্সপিও থাকবে। অর্থাৎ ডুয়েল বুট।
আর আসল কথাটা হলো আমি কম্পুকানা হান্ড্রেড পারসেন্ট, এইখানে কোন সন্দেহ নাই।

বহুদিন পর আমার জিমেইল একাউন্টে হাজার তিনেক মেইল দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তারপর আরো বহুদিন কেটে গেলো। তারপর একদিন হাজার খানেক মেইল সাফ করতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, শামীম ভাইর একটা মেইল। তিনি উবুন্টুর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মিরপুর দশের দিকে সেদিন তাঁর আসার প্রোগ্রাম ছিলো। মেইলটা যখন পড়ছিলাম তার প্রায় সাত-আট মাস আগে শামীম ভাই আমাকে পাঠিয়েছিলেন এইটা। অতএব লজ্জায় আর ফিরতি মেইলও দেইনি। ইয়াহুতে করলে অবশ্য সাথে সাথে পেয়ে যেতাম, যা নিয়মিত চেক করি। এরপর ভয়ে আর শামীম ভাইরে বলতে যাইনি আমারে মিন্টু বানাইয়া দেন। আইজ লজ্জার মাথা খাইয়া বইলাই ফালাইলাম। কিন্তু আমি কম্পুকানা। সব খাইতে চাই, কিন্তু রান্না জানি না ! এই আর কী !

ঘরে বসেই কি কাজটা করে ফেলতে পারবো ? নাকি দৌড়াদৌড়ি করতে হবে ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অভ্রনীল এর ছবি

আপনার কমেন্টটা আগে দেখিনাই, আপনি না বললে চোখেও পড়তোনা মনে হয় খাইছে আপনার উত্তরটা এইখানে দিয়েছিলাম।

ঘরে বসেই কি কাজটা করে ফেলতে পারবো ? নাকি দৌড়াদৌড়ি করতে হবে ?

রান্নাবান্নাটা রেডিমেড। তারপরও যদি গ্যাস্ট্রিক-আলসারের ভয় লাগে তাইলে আপনি যেই কাজ করসিলেন সেটাই আবার করেন, শামীম ভাইরেই গুঁতা মারেন, এই লোক বন্টু-মিন্টু'র ওস্তাদ বাবুর্চি। ওনার রান্নায় গ্যাস্ট্রিক-আলসারের চান্স নাই! শামীমভাই যদি রান্নাবান্নায় আপনারে টাইম দিতে না পারে তাইলে আমাদের প্রযুক্তি বা লিনাক্সমিন্ট ফোরামে একটু আওয়াজ দিয়েন, দেখবেন লোকজন বাসায় গিয়ে হাজির হয়ে যাবে! দেঁতো হাসি

_______________
.:: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! ::.

অনুপম শুভ এর ছবি

বেশ কিছুদিন ধইরাই উবুন্টু নিয়া চিল্লা-পাল্লা শুনতে ছিলাম। তাই এক্সপেরিমেন্টের জন্য পিসিতে উবুন্টু লাগাইলাম। আর লাগাইয়া তো পুরা ধরাই খাইলাম......
দেখি বাকি জীবনটা উবুন্টু বা মিন্টের সাথে থাকোন যায় কিনা। তয় বিল কাগুরে অখনো পুরাপুরি ছাড়বার পারি না। শত হইলেও ম্যালা দিন ধইরা কাক্কুর লগে চোর-পুলিশ খেলতাছি, এতো সহজে কি তারে ভোলা যায়....???
এই লাইনে নতুন বইলা উবুন্টুর লগে এখনো ভালো কইরা বিটলামি করবার পারি নাই। তয় বিটলামির রাস্তা-ঘাট আর একটু চিইনা ফালাইলেই বিল কাগুরে টা টা গুডবাই জানামু এইটা একদম শিওর.....

মৌনকুহর [অতিথি লেখক] এর ছবি

লেখাটা অসাধারন... চলুক হাততালি

উৎসর্গ এর ছবি

জব্বর লিখছেন ভাই। এক্কেরে ইস্টলম্যান কাকার মত লেখা হইছে। চোখ টিপি

সাম্য এর ছবি

বস, বেশ আগে থেকেই আপনার লেখা পড়ি। আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে গিয়ে লিনাক্স সংক্রান্ত প্রায় সব লেখা পড়ে ফেলেছি! শুধু পড়িইনি, লিনাক্স ইন্সটলও করে ফেলেছি (এমনই অনুপ্রাণিত হয়েছি!)। হাচল হওয়ার সুবাদে আজকে পাঁচতারা দাগিয়ে গেলাম। অনুরোধ থাকল, আমার মত নাদানদের কথা ভেবে সচলে আবার নিয়মিত হবেন।

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দারুন লেখা। আমি এইসব বিষয় তেমন একটা বুঝিনা। তবুও কেম্নে কেম্নে জানি একটু একটু বুঝে ফেললাম।
উত্তম জাঝা! হাততালি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।