ছোট্ট এক গল্প।
একজন মাত্র তার কথক, একজনই তার নায়ক।
জানালার পর্দা একটাই, এ মাথা থেকে ও মাথা।
একটাই তার ফুলহাতা শার্ট, একটাই তার ফরমাল প্যাণ্ট।
তাই হয়তো আজ সে একলা দাঁড়িয়ে, হোয়াইট বোর্ডটার দিকে তাকিয়ে।
দরজাগুলো বন্ধ। বাতিগুলো সব জ্বলছে, তারা ঝলমলে তাদের আলো।
নতুন কিছু নয় তার জন্য। প্রায়ই সে বসে থাকে এভাবে, সবশেষে।
শূন্য ঘর জুড়ে একজোড়া শূন্য দৃষ্টি দিয়ে যায়।
হঠাৎই সে হেসে ওঠে। খোলা মনের এক হাসি। বাড়তে বাড়তে হয়ে যায় অট্টহাসি। গমগম করতে থাকে ঘরটা।
তারপর সব চুপ, একেবারে চুপ।
হেঁটে যায় সে মাঝখান দিয়ে; ধানের ক্ষেত ধরে , ঐ তো বাবা দাঁড়িয়ে। বিদায় দিচ্ছে আমায়।
ঐ তো মা। আঁচলে মুখ ঢেঁকে দেখছে আমায়।
একদম সামনে দাঁড়িয়ে সে। অনুভূতিগুলো ভোঁতা হবার কথা, কিন্তু না। সব চলে গেলেও অনুভূতিগুলো কেন যেন ছেঁড়ে যায় না। বরং প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে জানান দেয়, "আমরা আছি।"
দরজার ওপাশে আর এক পৃথিবী, তারই-তবু যেন তার নয়।
এগিয়ে যায়, আস্তে।
দরজ়াটা খোলে সে। হালকা এক ঝাপটা এসে জানিয়ে দেয় তাকে-উৎসব শুরু হয়েছে।
পুরো করিডোরে এক উত্তাল শব্দের প্রতিধ্বনি।
নিচে নামতেই পরিচিত মানুষের ভীড়।
ভয় পায় না সে, হেসে উঠে আবার। কিন্তু হাসিটা কেন যেন স্বাভাবিক হতে পারে না।
হেঁটে যায় সে, সবার মাঝ দিয়ে। ঐ তো দরজা, ঐ যে।
সে জানে, এবার নয়। হয়তো আগামীবার, আবার হয়তো কোনবারই নয়।
কোলাহল ফেলে সবার মাঝ দিয়ে চলে যায় সে, ধরাছোঁয়ার বাইরে। সদর দরজ়াটা ফেলে চলে যায় সামনে, উপরে লেখা, "র্যাগ ................."
মন্তব্য
বুঝলাম! কিন্তু মাত্রতো ফোর্থ ইয়ারের শুরু! শেষের শুরু বলতে পারিস যদিও!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তা ঠিক।
শেষের শুরু বলা যায়, তয় শেষ এখনও মেলা দেরী।
অলস সময়
সুন্দর।
পলাশের লেখা কম, কিন্তু আমার পড়তে ভালো লাগে।
আরো লেখ...
আর হাচলত্বের জন্যে অভিনন্দন। নিজের নামে লেখা দেখতে ভালো লাগে তাই না?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া, যে আমার লেখা আপনার ভালো লাগে।
অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।
নিজের নামে লখা দেখতে অনেক ভালো লাগে, সাথে সাথে দায়িত্বও বেড়ে যায়। ভাল লেখার দায়িত্ব।
অলস সময়
... বুঝলাম...
লেখা ভালোচ্ছে তোর, দিঙ্কে দিন...
_________________________________________
সেরিওজা
চেষ্টা করি, ভালো লেখার।
অলস সময়
ভাল লাগল। লিখতে থাকুন।
লিখতে ভালো লাগে, জানি ছাঁইপাশ হয়, তবু লিখবো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ফারাবী।
অলস সময়
ঠিক বুঝলাম না, "ছিড়ে না?" নাকি "ছেড়ে যায় না" নাকি "ছেঁড়া কাপড়"
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বানান নিয়ে বেশি সতর্ক থাকতে গিয়ে কি অবস্থা হয়েছে দেখেন!
ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য।
'ছেড়ে যায় না' হবে।
অলস সময়
কথক/নায়ক একটা দরজা ফেলে সামনে যাচ্ছে, ভাল কথা। সামনে আরও দরজা অপেক্ষা করে থাকার কথা। একটার পর একটা শুধু আসতেই থাকবে। এখন সে কি সেগুলো দিয়ে ঢুকবে নাকি ঢুকবেনা
অনুগল্প ভাল লাগসে।
ভাল্লাগছে জেনে ভাল্লাগছে।
অলস সময়
ভালো লাগ্লো। কিন্তু কেমন যেন কবিতার ছন্দ, অনুগল্পের ভাবের অভাব।
--- প্রীতি রাহা
নতুন মন্তব্য করুন