আমার নাম...সভ্য

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/১১/২০১০ - ৩:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কি যে হইলো, বইয়্যা বইয়্যা খালি ভাবি। হক্কালে এসএমএস পাইয়া নাক ডাকাইয়া ঘুম দিছি। উঠছি সেই বিকাল পাঁচটায়। উইঠ্যা দেহি মাইনষে স্ট্যাটাস দিছে আজ সকালে ঈদের ছুটি দিছে...বুয়েট বন্ধ। বগল বাজাইলাম আবার।

সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট গেল গা। কি আর করমু, মোবাইল নিয়া গুতাগুতিতে বইলাম।

কারেন্ট আইতেই পানি আইলো, গোসল দিয়া লগে লগেই বাসার বাইর। ভার্সিটি যামু।

একটু দূর গিয়াই রাস্তায় এক ললনার সাথে দে ...কি যে হইলো, বইয়্যা বইয়্যা খালি ভাবি। হক্কালে এসএমএস পাইয়া নাক ডাকাইয়া ঘুম দিছি। উঠছি সেই বিকাল পাঁচটায়। উইঠ্যা দেহি মাইনষে স্ট্যাটাস দিছে আজ সকালে ঈদের ছুটি দিছে...বুয়েট বন্ধ। বগল বাজাইলাম আবার।

সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট গেল গা। কি আর করমু, মোবাইল নিয়া গুতাগুতিতে বইলাম।

কারেন্ট আইতেই পানি আইলো, গোসল দিয়া লগে লগেই বাসার বাইর। ভার্সিটি যামু।

একটু দূর গিয়াই রাস্তায় এক ললনার সাথে দেহা, দেহা কইলে ভুল হইবো।
প্রর্থমে চোখাচোখি। ললনা তহন মোর পাশের রিক্সায়, এক পুলার লগে।

সবই ঠিক আছে ললনার। খালি শার্টের বোতামডা খোলা। প্রর্থমে না তাকাইবার ট্রাই মারলাম। কিন্তু দেহি উলটা রাস্তায় সব যাইতে যাইতে ড্যাব ড্যাব কইর্যাগ চাইয়া রইছে। চাচা-চাচী, মাম-মামী, বাচ্চা-বুইর্যাট, প্রেমিক-প্রেমিকা হগলডে মিইল্যা মজা লয়।

কি আর কমু। জামাকাপড়ডি খালি আইছে, লগে ওগুলান সহ্য করনের মত ক্ষমতা আহে নাই। আইলে ভালা হইতো, এটলিস্ট মোর লাগি :(।

মাইয়ার দিকে তাকাই, মাশাল্লাহ, সে যে অবস্থা। যেকোন পুলাই ধরাশায়ী হইবার বাধ্য।
হঠাৎ কি হইলো কইতে পারি না, কইয়্যাই দিলাম,
"আপু, বোতামটা খোলা।"

মাইয়া প্লাস আশপাশের মাইনষে পুরাই ভ্যাবাচেকা। পুলাডা তাকাইলো মোর দিকে। আমি তো চুপ কিছু কই না আর।
ললনা বোতাম লাগায় আস্তে। কিছু কয় না। আশপাশের মানুষ নিরাশ হয়, য্যান দুনিয়ার হকল আলো নিমিষে নাই হইয়্যা গেলগা।

সিগন্যাল পার হইবার পর মোর রিক্সার মুহে কথা ফুটে।

"মামা, কাজটা জব্বর করছেন।"

"ক্যালা?"

"এই রহম মাইয়াগো লাইগ্যাই মেয়েছেলে আজকাল বেপর্দা হয়।"

কি কমু বুঝতাছিলাম না, চুপ মাইর্যাহ গেলাম।

কইয়্যা লাভ নাই, পুরান ক্যাচাল। নারী স্বাধীনতা ভার্সেস নারী বেপর্দা। কেউ তালগাছ দিব না।


মোর এক বন্ধু মোরে খালি খোঁচায়। কয় আমি নাহি বেশি সিরিকাস। হেরে কই জানোস আমি কমেডি লেখছি, চরম কমেডি।
-কি হয় হেইড্যায়?
-লাস্টে হিরো মইরা যায়।

পোলায় হাসে। হাইস্যা গড়াগড়ি দেয়। এরপর থেইক্যা কমেডি বনধ।
সে যাউজ্ঞা। ভার্সিটি আইয়া তো মোর চোখ ছানাবড়া। দুর্ভিক্ষ লাগলো নি? না যুদ্ধ চলতাছে?সব যায় কই?খ্যালা দেখবো না?

দেহি এক দঙ্গল জাইঙ্গালিস্ট খাড়াইয়্যা। ফুটো খিঁচে। মুই তো ভাবতাছি তহনো কিতা হইছে।

আইলো ব্যটা মুরীদ(আসলি নাম নেহি হ্যায় জি, নাকলি হ্যায়), আইয়াই গরম। হের বাপ-মা হজ্ঞলে গ্যাছে গেরামে।

মুরীদরে ধরি, জিগাই, “কি হইছে রে ব্যটা?”

“কি হইছে মানে, তুই হালায় কোন দুনিয়ার থাকোস? হক্কালে যে মাইর
দিছে, পোলাডা মনে হয় নাই।”

-“কোন পোলা?”

নাম কয়। চিনবার পাই, মুর লগেরই।

পুরা কাহিনী হুনলাম। হুইন্যা যে কেমনডি লাগতাছে কইবার পারুম না।
মনে চায়, নিজের চুল নিজেই ছিঁড়ি।

মুরীদ মুরতাদের লগে যায়, কেউ বাড়িত নাই তো আর কই যাইবো??
যাওনের পর আশিক-কায় গল্প জমায়। দুফুরের কাইজ্জার চাক্ষুস দর্শক।

-সইভ্য ভাই, কইয়েন না। যে মারডি দিছে, রড, স্ট্যাম্প কি দিয়া মারে নাই হেইডা কন?

-মুই কিছু কইনা, চুপ কইর্যা্ থাকি। কওনের কি আছে, যা হইবার তো হইয়াই গেছে।

মুই হইলেও মনে কয় মারতাম। ব্যটা নাকি বড় তালে হাত তুলছে।

-সইভ্য ভাই, মাইনষেরে মারতে বহুত মজা, না ভাই?

আশিক কি কইবাবার চায় বুজবার পারি।

আগের দিন পুলিশের হাতে মাইর খাইছিল ব্যটা, পুলিশের চান্দা দিবার চায় নাই দেইখ্যা। চাইবো ক্যামনে, আগে ছিল ১০ টেহা এহন নাহি ৪০ টেহা।

আশিক হালায় পুরাই সুজা-সরল, দুনিয়াদারি কম বুঝেহ। আবারও কি কমু বুইঝ্যা পাই না।

চা খাইয়্যা হাঁটা দেই। হাইটাই যামু, বাড়িত গিয়া ঘুম দিমু। কিছু না পারি সভ্য মুই ঘুমাইবার তো পারি।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রিয় পলাশ,
একজন নারীর বুকের বোতাম খোলা দেখে তাকে সেটা মুখের উপর বলে দেয়া সভ্যতা নয় বরং অসভ্যতা। একজন নারীর বুকের বোতাম খোলা থাকা সত্ত্বেও চোখের দিকে কথা বলতে পারাটা আমাদের সকলের অভ্যাস করা উচিৎ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এনকিদু এর ছবি

পুরুষের প্যান্টের জিপার খোলা থাকলে ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নীলকান্ত এর ছবি

মুর্শেদ ভাই,
আপনার কথা পুরোপুরি সঠিক।
কিন্তু আমি এখানে আমাদের পারিপাশ্বিকতাকে ব্যঙ্গের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটা সত্য হতেও পারে, নাও হতে পারে। যেটাই হোক না কেন, আমাদের সমাজ কি এখনও এসব কিছু মেনে নিতে পারে? শিক্ষার হার বাড়ছে, কিন্তু মনে কি আলো যাচ্ছে? আমরা কি আরো অসভ্য হয়ে যাচ্ছি না?

আমি পুরোপুরি নিরপেক্ষ থেকে কিছু ঘটনা তুলে ধরতে চাই, হয়তো সিরিজ আকারে, যার নায়ক 'সভ্য'।
কোন বৈষম্যমূলক মনোভাব থেকে লেখাটা লিখি নাই। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পারবেন ভাইয়া।

আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি


অলস সময়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।