নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা বাপটাকে দেখে একবার।
বাড়ির সামনে বসে ধূপের ধোঁয়ায় হেরোইনের গন্ধ ঢাকবার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় রত।
বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখে গৃহশিক্ষক বসা।
এই লোকটাকে তার খুব একটা পছন্দ না। তবুও রেখেছে। কথা বেশি বললেও যন্ত্রণা দেয় না। কোন অনর্থক নালিশ করে না।
দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায় দোতলায়।
আম্মার রুমের দিকে এক নজর তাকায়। সব চুপচাপ। বাচ্চাটা ঘুমাচ্ছে তাহলে। এখন আম্মার দিন কাটে বাচ্চাটাকে নিয়ে।
আবরারের রুম পাশ কাটিয়ে নিজের রুমে যায় সে। এসি অন করে বিছানায় রাখা ল্যাপটপে হামলে পড়ে। এক হাতে কিবোর্ড, অন্য হাতে জামা-কাপড়। এক কাপড়ে আসতে মুহূর্ত মাত্র লাগে তার।
কাজের লোকটা নিয়মমাফিক ট্রে হাতে হাজির হয়। বিছানার পাশে রেখে যাওয়ার সময় দরজাটা লক করে দিতে ভোলে না। শেষবারের কথা এখনও সে ভোলেনি। এত তাড়াতাড়ি ভোলার কথাও না। ড্রয়ার থেকে সিগারেটের প্যাকেটটা বের করে।
স্ক্রিনে তখন ‘সার্চিং......’
দেয়ালে টাঙ্গানো মার আঁকা ছবিটা দেখে আর ধোঁয়া নেয় ভিতরে। কেমন যেন কুৎসিত ছবিটা। খাপছাড়া। পুরো পরিবার এক সাথে।
শুধুমাত্র বাচ্চাটা নেই। থাকার কথাও না।
একটা যান্ত্রিক শব্দে ফিরে তাকায়। ‘সার্চ কমপ্লিট’।
দেখার কথা মাথাতেই ছিল না। আজ আসার পথে মনে পড়েছে।
বন্ধুরা সব দেখে ফেলেছে। এখন ওর দেখা বাকী। খুব নাকি হিট সিরিজটা। নামঃ
‘মডার্ণ ফ্যামিলি’।
মন্তব্য
দুই বার পড়লাম, এবং কিছুই বুঝতে পারলাম না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মডার্ণ ফ্যামিলি একটা টিভি সিরিজ- এখন খুব হিট। সেটার প্লটটা লিখেছে পলাশ।
এই গল্পটাকে ঘঁষেমেজে নিলে একটা পূর্ণাঙ্গ গল্প হতেই পারত। এক লাইনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় অনেকগুলো আলাদা দৃশ্যপটকে জোড়া দেওয়া বেশ কঠিন কাজই বটে।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তারপরও ভালৈছে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কিছুই বুঝতে পারলাম না ।মডার্ণ ফ্যামিলি টিভি সিরিজটার প্লট এরকম না। হুমমম...
আমাদের দেশের মডার্ণ ফ্যামিলি এরকমই।
অলস সময়
নতুন মন্তব্য করুন