আগের দিন ১২ ঘণ্টা জার্নি করে এসেছি। নাগরকোট টু পোখরা। এতো সময় লাগে না সাধারণত। কিন্তু পথে দেরি করে দিল একটি লরি। বেচারা নষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল। তাকে উদ্ধার করতেই গেল অনেকটা সময়। পোখরা পৌঁছাতে রাত আটটা। তারপর রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে গেলাম রাতের খাবার খেতে। ডিনার শেষে র্যাফেল ড্র। সব শেষ হতে হতে দেখি রাত এগারোটার বেশি বেজে গেছে।
লাবন্য আপার সাথে পরিচয় সেই ২০০০ সালে। একটি পত্রিকা অফিসে। তথন সবেমাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। হলে থাকি। রাস্তাঘাট তেমন একটা চিনে উঠতে পারিনি। কোথায় কী আছে তাও জানি না ঠিকমতো। লাবন্য আপা আমাকে ঢাকা শহর ও তার সাহিত্য-সংস্কৃতির অলিগলি চেনানোর দায়িত্ব নিলেন। নাহ্, লাবন্য আপা আমাকে নিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াননি। ভোরের কাগজের পাঠক ফোরামের সেই আড্ডায় বললেন, তুই প্রতিদিন পত্রিকার ‘আজকের ঢাকা’ বলে এক কলাম এক
আঁকাআঁকির হাত আমার কোনোকালেই ছিল না। ফুল, পাখি, বাড়িঘর কিংবা গ্রামের দৃশ্যাবলী কোনোদিনই আঁকা হয় নি। খুব ছেলেবেলায় গ্রামের যে স্কুলে পড়েছি, সেখানে আঁকাআঁকির কোনো বালাইও ছিল না। কিছুদিন আগে ফেসবুকে ‘বিটস্ট্রিপ’ খুব জনপ্রিয় হলো। সবাই নিজ নিজ কার্টুন অবতার এঁকে ফেললো। তার সাথে আরো কতো মজাদার সব সংলাপ। ভাবলাম আমিও একটা এঁকে ফেলি। সোনম কাপুরকে নিয়ে ‘বিটস্ট্রিপ’-এ চড়ে একটা ড্রিম ডেটে যাই। চোখ, মুখ
অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!
আজকাল খুব একটা পত্রিকা পড়া হয় না। টিভিও তেমন একটা দেখা হয় না। টিভির রিমোট থাকে বউ আর বোনের হাতে। ওরা সিরিয়াল দেখে। ওদের হাত থেকে রিমোট পেলে সংবাদ চ্যানেলগুলোতে একটু ঘুরে এসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, এইচবিও অথবা স্টার মুভিজে গিয়ে থিতু হই। গত পরশু সংবাদ চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে চ্যানেল২৪-এ এসে দেখি, মির্জা ফখরুল সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন। তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র ভাবনাচিন্তার কথা বলছেন। তার বক্তব্য শুনতে থ
গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবারে মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজিনার বাসায় ইফতার পার্টি ছিল। সেখানে এক টেবিলে বসেছিলেন সৈয়দ আশরাফ, এইচ এম এরশাদ, ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ। পাশের টেবিলের কোনোটিতে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, মঈন খান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সুশীল সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
সমালোচনা প্রসঙ্গে অনেকে অনেক কথা বলে গেছেন। তবে মোক্ষম কথাটি বলেছেন জীবনানন্দ দাশ, ‘সমারূঢ়’ কবিতায়। সমালোচককে কবিতা লেখার আহবান তো জানিয়েছেন-ই সাথে তাকে ‘অধ্যাপক, দাঁত নেই- চোখে তার অক্ষম পিঁচুটি’ ইত্যাদি বলে গালমন্দও করেছেন। জীবনানন্দের যে স্বভাব তাতে এরকম বলাটা কেমন বেমানান লাগে যেন! তবে তিনি সমালোচকদের এরকম বলতে বাধ্যই হয়েছিলেন।
পত্রিকায় কাজ করেছি কয়েক বছর। প্রদায়ক হিসেবে। কখনো ফিচার রিপোর্টার হিসেবে। সেটা ভার্সিটি পড়ার সময়ে। পত্রিকায় লিখে যে কয়টাকা পেয়েছি, তাই দিয়ে পড়ার খরচ চালিয়েছি। ভার্সিটি থেকে বেরুবার আগেই অন্য পেশায় এসেছি। তাতে অবশ্য পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ততা বাদ পড়েনি। এখনো কালেভদ্রে লিখি। তাই পত্রিকাওয়ালাদের বদনাম নিজের গায়ে একটু হলেও লাগে!
সপ্তাহখানেক আগের কথা। একটি ইমেইল এসেছে। মার্কিন দুতাবাস থেকে। ঢাকায় আসছেন ওয়েন্ডি আর শারম্যান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি। তিনি বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ওপর একটি বক্তৃতা দিবেন। ২৭ মে সোমবার রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে সেই বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। বক্তৃতার শিরোনাম: এক সীমাহীন অংশীদারিত্ব: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক। সেই অনুষ্ঠানে আমার দাওয়াত। তাও আবার ব্
জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মাল্যবান’। উপন্যাসের নায়িকা উৎপলা। আর নায়ক মাল্যবান। উপন্যাসে মাল্যবান উৎপলা সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছে। সেই মন্তব্যে একটু নজর বুলিয়ে নিই-
‘মরা নদীর বালির চেয়েও বেশি বিরসতায়’
‘একটা অদ্ভুত নিরেট নিগ্রহময়তায়’
উৎপলা ‘জলভারানত নীল মেঘ নয়-সাদা কড়কড়ে মেঘ-দূরতম আকাশের’
‘ভাল বংশের সুন্দর শরীরের নিচু কাণ্ডজ্ঞানের নিরেস মেয়েমানুষ’