বেলা বয়ে যায়। স্মৃতির আঙিনায় ধুলি পড়ে। ভুলে যাওয়া গেল বুঝি শুকনো এক অতীত। এমন ভাবনা নিয়ে বেশ ছিলাম বেশ কিছুদিন। কিন্তু কিছু কিছু সময় এমন সব মুহূর্ত আসে, যার স্পর্শে হঠাত্-ই ভেঙ্গে পড়ে ধুলির আস্তরন। হাড়-কঙ্কাল নিয়ে বেরিয়ে আসে স্মৃতিরা। আর রাত-ঘুম হারাম হয়ে যায় আমার। আমি ঘুম না আসা রাতে লিখে ফেলি স্মৃতির বর্ণনালিপি।
খাঁন স্যারের পরীক্ষা। অ্যাসেসমেন্ট অব মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ: গভর্ণমেন্ট সেক্টর-এর ওপরে। অফিসে কোনোমতে কাজগুলো বুঝিয়েই বেরিয়ে পড়েছি। টেনশন আর তাড়াহুড়া দু'টোই আছে। ডেটা-মেটাগুলো তেমন পড়িনিই। আবছা একটা ধারণা নিয়েছি মাত্র। এই আবছা ধারণা নিয়েই ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। বিকালের ক্যাম্পাস। তেমন একটা ভিড় নেই। কর্মাস ফ্যাকাল্টিতে হুস করে ঢুকে পড়ে সিএনজি। সিঁড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে থামে। দূরে একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দেয়ার ঘেষে ঘনিষ্ঠ হয়ে কারা যেন বসে আছে। একটু চেনা চেনা মনে হয়। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে একটু ওদিকে তাকাই। যা দেখি, তাতে আমার পা জোড়ো যেন বসে যায়। নড়ে না একচুলও। মানে নাড়াতে পারি না। আমার পুরানো প্রেমিকা অন্যের বাহুলগ্ন হয়ে আছে।
ওকে অবশ্য পুরানো প্রেমিকা বলা যায় না। আমিই ছিলাম ওর প্রণয়প্রার্থী। বেশ কিছুদিন ওর পেছনে ঘুরে বৃথায় গেছে জীবনের কিছুদিন। কিন্তু, পাত্তা পাইনি ওর। ও বলেছিল, প্রেম করার ইচ্ছেটা ওর নেই। এ কথা বন্ধুদের মহলে পাঁচ কান হলে একজন শুনিয়ে দেয়- চোখের তারা সকল মেয়ের নাচে না। সে আরো বলে, যার তার কাছে প্রেম নিবেদন করতে নেই। পস্তাতে হয়। এখন পস্তাও মিয়া।
কথাটা আমার মনে ধরে ছিল। বিশ্বাস করেছিলাম, ওর চোখের তারা বুঝি আসলেই নাচে না। কিন্তু আজ ভুল ভাঙ্গলো। মনে হচ্ছে, আমার বেলায় হয়তো ওর চোখের তারা নাচে নি। হাঃ ইশ্বর, আমি এতো পঁচা।
মন্তব্য
মন খারাপ হয়ে গেলো আপনার জন্য... তবে এসব ক্ষেত্রে আমার আসলে বলার মতো কিছুই থাকে না... বললামও না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রেজা ভাই, ব্যাপার না। মেয়েরা কিছুটা বলতে পারেন দিল্লির লাড্ডুর মতন ব্যাপার-স্যাপার। পাত্তা না পেয়ে এখন যেমন হায় হুতাশ করছেন আবার পাত্তা পাইলেও হয়তো দৌড়ের উপর থাকা লাগত। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে আপনার জন্য হয়তো কেউ একজন অপেক্ষা করছে। কোথাও না কোথাও তো অবশ্যি আছে। পেয়ে যাবেন তার দেখা। আপনার জন্য ঐ মেয়ের চোখের তারা নাচেনি তো কি হয়েছে। অন্য কারো তারা যে কত্থক নৃত্যের মতন নাচতে শুরু করবেনা তা কিন্তু বলা যায়না। আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা।
--------------------------------------------------------
- আপনি পঁচা না, আপনার লাইগা মন খারাপও হইতাছে না। বড় বাঁচা বাঁচছেন আপনে। প্রেমে কি ভালো মানুষ পড়ে! যার বাহুলগ্ন হৈয়া ঐ মহিলা বসেছিলো তার সাথে কথা কইলে বুঝতেন। কতো গমে কয়টা রুটির হিসাব দেয় আপনার কাছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বড়ো দেরিতে বুঝলেন
আগে বুঝলে অত পচতেন না
আর পচা বানান চন্দ্রবিন্দু দিয়েও লিখতেন না
রেজা ভাইরে একটু বেশি "পঁচানি" দিয়ে ফেললেন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নতুন মন্তব্য করুন