ক্ষ্যাপ বিষয়ক দু'চারটি কথা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: সোম, ০৪/০৮/২০০৮ - ২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্ষ্যাপ কথাটির সাথে প্রথম পরিচয় সেই ছোটবেলায়। আমাদের বাড়িতে এক ভদ্রলোক থাকতেন। শওকত নামে। আমরা তাকে শকাতকা' বলে ডাকতাম। তার ছিল এক ভ্যান গাড়ি। সারাদিনমান ভ্যান গাড়ি চালাতেন। রাতে এসে তাঁত শ্রমিকদের সাথে ঘুমাতেন। ভোরে আবার খেয়েদেয়ে বের হতেন। হাটবারে আমাদের শাড়ি-লুঙ্গির গাট্টি নিয়ে হাটে যেতেন। হাট থেকে ফিরতেন সুতার বেল নিয়ে। হাটবার ছাড়া অন্যান্য দিন লোকজন কিংবা অন্যান্য জিনিস বহন করতেন। তিনি সকালে ভ্যান নিয়ে বের হতেই আমরা প্রায়ই তাতে চড়ে বসতাম। অনেকটা দূর নিয়ে গিয়ে আমাদের নামিয়ে দিয়ে বলতেন, অমুকের বাড়িতে ক্ষ্যাপ আছে। তোরা এবার নাম, বাড়ি যা। তখন থেকেই ক্ষ্যাপ বলতে বুঝতাম, ভ্যানে করে বোঝা নিয়ে হাটে কিংবা অন্য কোথাও যাওয়া।

ক্ষ্যাপের এই সাদামাটা সংজ্ঞাটি ঢাকায় এসে হুট করেই বদলে গেলো আমার কাছে। এই গত পরশু রাতের ঘটনা। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সহকারী সম্পাদক জব্বার ভাই বললেন, পান্থ, একটা ভালো ক্ষ্যাপ আছে রে। কখন সময় করতে পারবি। তোর সাথে একটু বসতে হয় যে। ক্ষ্যাপ মানেই একটু বাড়তি টাকার হাতছানি। আর সে টাকায় একটু মাস্তি করা, তাই তাড়াতাড়ি গিলে ফেলে বলি, কখন আসতে হবে জব্বার ভাই। জানা গেল এই ক্ষ্যাপ বইমেলায় একটি সাক্ষাতকার সংকলন বের করার। জব্বার ভাই কন্ট্রাক নিয়েছেন। আমরা কয়েকজন তার সাথে মিলে নামিয়ে দেবো।

সেদিন আরেক বন্ধু বললো, দোস্ত, লাইটিংয়ের একটা ভালো ক্ষ্যাপ পেয়েছি, বেশ টাকা আসবে। যা তোকে এবার মাল খাওয়াবো। মনে মনে আমি বন্ধুর ক্ষ্যাপের সুন্দর সমাপ্তি প্রার্থনা করি। আবার মাসখানেক আগে গেছি বাংলাভিশনে। পরিচিত বড়ো ভাইয়ের কাছে। তার ডেস্কে বসে গুলতানি মারতেছি। এটা-ওটা নিয়ে কথা হচ্ছে। বললেন, পান্থ, তুমি তো প্রোগ্রামের স্ক্রিপ্ট লিখতে পারো। ভালোই টাকা পাবে। এই ক্ষ্যাপের অফারটি অফিসে এসে এক কলিগের সাথে শেয়ার করি। তিনি আবার একটা নাটকের ক্ষ্যাপ নিয়ে মহা পেরেশান। তো পেরেশানির মধ্যে ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে ফোন আসে। ভিজিটর এসেছে। ভিজিটর বন্ধু কাম মডেল কাম নাটকের অভিনেতা। নানা কুশল শেষে বলে, দোস্ত, তোদের একটা এখানে একটা ক্ষ্যাপের ব্যবস্থা কর না। তাকে আশ্বাস দিয়ে ডেস্কে ফিরি। তখন মনে পড়ে, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে আমি যে মাঝে মধ্যে ফিচার জাতীয় জিনিসপত্র লেখি, ওটা তো আজকের লিখে ফেলার কথা। চাকরির পাশাপাশি এই যে ম্যাগাজিনের জন্য লেখা, এটা কি ক্ষ্যাপের মধ্যে পড়ে? ধন্দে পড়ি আমি। তবে লেখালেখিটা আমার কাছে ভালোই লাগে। টাকা নয়, যা লিখি, মন থেকেই লেখার চেষ্টা করি।

এই লেখা যখন লিখছি, তখন আমার কলিগ সাগর ভাই চারুকলার ক্ষ্যাপের নানা গল্প শোনালেন। আবার ক্ষ্যাপ কত প্রকার তারও ব্যাখ্যা দিলেন। চারুকলার পোলাপাইনের মতে, ক্ষ্যাপ তিন প্রকার। ১. ক্ষ্যাপ, ২. আক্ষেপ এবং ৩. নিক্ষেপ। ক্ষ্যাপ হলো যাতে কিছু টাকা আসে এবং মদ খেয়ে তা উড়ানো যায়। আক্ষেপ হলো, পরিচিত জনদের জন্য টাকা ছাড়াই কাজ করে দেয়া। মানে বেগার খাটা। আর নিক্ষেপ হলো, যে ক্ষ্যাপে কোনো টাকা আসে না। বরঞ্চ নিজের পকেট থেকে টাকা ঢালতে হয়।

এতো গেলো শুধু ক্ষ্যাপের কথা। ক্ষ্যাপ নিয়ে বিড়ম্বনাও কম নেই। আবার ক্ষ্যাপের কাজের টাকা না পাওয়াও ইতিহাস আছে কয়েকটা। মাঝখান থেকে শুধু ফোন করে টাকা ফুরাতে হয়েছে। আর আশায় থাকতে হয়েছে, ওই টাকা পেলে এই করবো, সেই করবো। তবে ক্ষ্যাপ নিয়ে একটা পেরেশানির গল্প বলেই বিদায় নিই আজকে।

গেল মাসের শুরুর দিকের ঘটনা। আমাদের ফ্রেশজেল মুখ সাফাই, দেশ সাফাই ক্যাম্পেইনের হাজারো আইডিয়া জমা পড়েছে। সেখান থেকে ১০০টি সেরা আইডিয়া বাছাই করা হয়েছে। এই আইডিয়াগুলো নিয়ে একটি বই হবে, যা প্রধান উপদেষ্টার হাতে দেয়া হবে। যারা আইডিয়া পাঠিয়েছেন, তাদের আইডিয়ার লেখাগুলো একটু ঠিকঠাক করা দরকার। ঠিকঠাক মানে, বানান ভুল দেখা, বাক্য গঠনে সমস্যা থাকলে তা শুধরিয়ে দেয়া ইত্যাদি। আমাদের কপি টিমের সবাই ব্যস্ত। সবার হাতেই কাজ। খোঁজ পড়ল ক্ষ্যাপ পাবলিকের। আর দায়িত্বটা দেয়া হলো আমার ওপর। আমি আমার দুই সিনিয়র সাংবাদিক ভাইকে ক্ষ্যাপটা নিয়ে দিলাম। সে কাজ সেই কবে শেষ। এখনো তাদের পেমেন্ট হয়নি। সেই সিনিয়র ভাই দু'জনের সাথে প্রায়ই দেখা হয়। পেমেন্টটা কবে পাচ্ছে জানতে চায়। আমি বিব্রত মুখে জানাই, এইতো পেয়ে যাবেন শিগগিরই।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

ক্ষ্যাপ নিয়ে আপনার ক্ষ্যাপামি তো ভালোই হইছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ক্ষ্যাপের কাহিনী তো ম্যালা। দাঁড়ান, ভাবতেছি একখানা ই-বুক লেখা যায় কী'না!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মজার একটা ই-বুক করা যায় আসলেই। ক্ষ্যাপ-সংকলন হলে মন্দ হয় না। আমার হাতে ঘটনা কম, তবে সাথে আছি। মডুদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ইশতিয়াক রউফ বলেছেন:
মজার একটা ই-বুক করা যায় আসলেই। ক্ষ্যাপ-সংকলন হলে মন্দ হয় না। আমার হাতে ঘটনা কম, তবে সাথে আছি। মডুদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।

___হে মহামান্য মডুগণ, আপনারা কি ইশতি ভাইয়ের আবদার খানা একটু শুনবেন।

ইশতি ভাই, বললাম। দেখি, রাখে কী'না।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ভালোইতো লিখছেন। আপনার লেখা পড়ে আমারও ক্ষ্যাপ মারতে ইচ্ছা করতেছে। ক্ষ্যাপ আইলে খবর দিয়েন।

মূর্তালা রামাত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঠিকাছে।

ভবঘুরে এর ছবি

ক্ষ্যাপ এর খপ্পরে পরছেন। ক্ষ্যাপারা ক্ষেপে গেলে খপখপ করে খেয়ে ফেলবে আপনাকে।

-যথাশীঘ্র পেমেন্ট করুন।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জ্বি আচ্ছা, যথাসময়ে পেমেন্ট করার চেষ্টা করা হবে।

পলাশ এর ছবি

সম্ভব সুন্দর লেখা রেজা ভাই
অনেক অনেক ধন্যবাদ
মাঝে সাঝেই এইরকম প্যাচাল ঝারবেন
ক্ষ্যাপ এর প্রকারভেদ টা একদম খাটি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষবেলায় তাহলে খাঁটি কথা বলেছি।
ধন্যবাদ পলাশ দা মন্তব্যের জন্য।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ক্ষ্যাপের ধান্দায় লগাইলাম।মাঝে মধ্যে স্মরণে লইয়েন।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

টুটুল ভাই, স্মরণ তো লমুই। আপনি আমগোর বড়ো ভাই না। তয় ক্ষ্যাপের কাজ পেতে চাইলে একখানা বায়োডাটা পাঠাইয়া দিয়েন। মায় সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের দু'খানা ফুটুসহ। হাহাহাহাহাহা

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

শুধু ফুটু ক্যান,চাইলে নিজেরে স্ক্যান কইরা পাঠাই।বায়ো,জিও যা যা লাগে নিজের মতো করে লিখে নিবেন।তারপরেও...
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

না না, ভুলেও আপনি নিজেরে স্ক্যান করতে যাইয়েন না। ক্ষতিকর রশ্মিতে কি থিকা কি হইয়া যাইবো। শেষে আমারে দুষবেন। আপনেরে আমি এমনিতেই স্মরণ লমু।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ক্ষ্যাপ সিস্টেম টা একটু রিস্কি বটে !!!
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, টাকা পয়সা অনেক সময় মাইর যায়। ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া দেয় না। তাই বলি, পার্টি দেখে ক্ষ্যাপ মারুন।

রাফি এর ছবি

দুনিয়ার সব কাজই ক্ষ্যাপ।
কোনটা স্বল্পমেয়াদী , কোনটা দীর্ঘমেয়াদী।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

রাফি বলেছেন:
দুনিয়ার সব কাজই ক্ষ্যাপ।
কোনটা স্বল্পমেয়াদী , কোনটা দীর্ঘমেয়াদী।

একদম সত্যি করা বলেছেন।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

এইগুলা ছাড়া বাঁচার তো আর রাস্তা নাই-------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ক্যামেলিয়া আপা, এইগুলা ছাড়া রাস্তা নাই কী'না জানি না। তবে অনেককেই ক্ষ্যাপ খেলেই শুধু চলতে দেখেছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হায় রে ক্ষ্যাপ, এ থেকে আমাদের কারোরই রেহাই নাই!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

প্রহরী দা' রেহাই যখন নাই, তাইলে এতো চিন্তা কইরা কী লাভ!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ক্ষ্যাপ তিন প্রকার। ১. ক্ষ্যাপ, ২. আক্ষেপ এবং ৩. নিক্ষেপ।
জ্ঞান আহরণ করলাম।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিনা পয়সায় বিদ্যে পেলেন, আর একটা ধন্যবাদ দিলেন না। আপনি মানুষটা অনেক কৃপণ দেখছি।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ওহ, চরি !
এই লন চল্লিশ কেজি ধন্যবাদ।
কিন্তু এই কেইসটা কি হইলো?
নিক্ষেপ, না প্রক্ষেপ?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দাঁড়ান, লীলেন দা'রে একটু জিগায়া লই।

থার্ড আই এর ছবি

আহা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা ক্ষ্যাপ মানে বুঝতাম টিউশনি। কখনও কখনও ইটভাঙ্গতে যাই এই কথাটাও কম প্রচলিত ছিলোনা।
যাই হোক সিনিয়র ভাইদের পেমেন্টগুলা জলদি দিয়া দেন নইলে আবার ক্ষ্যাপে গ্যাপ পড়ে যাবে।

অফ টপিক :

তখন আমার কলিগ সাগর ভাই চারুকলার ক্ষ্যাপের নানা গল্প শোনালেন। আবার ক্ষ্যাপ কত প্রকার তারও ব্যাখ্যা দিলেন।

এই সাগর কি মিডিয়া কমের সাগর ?? মহাখালীর নিটল ভবনের অফিস হইলে দুইটা কথা আছে।
----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

থার্ড আই দা' ঠিকই ধরেছেন, এই সাগর ভাই মিডিয়াকমের সাগর ভাই। তয় অফিসটা নিটল ভবনে নয়, রূপায়ন সেন্টারের দশ তলায়। সাগর ভাই হেভি জিনিস একখান। বড়ো ভালো মানুষও। আমারে বড়োই স্নেহ করেন।

থার্ড আই এর ছবি

রাইট, রূপায়ন সেন্টারে অফিস। হুম সাগর খুব ক্রিয়েটিভ। ওই হারামজাদা আবার আমার ক্লাস মেট। অনেকদিন বন্ধুর সাথে যোগাযোগ নাই। এইবার ঢাকা গিয়ে মিডিয়া কমে গেছিলাম একটা কাজে, বাথরুম চাপলো গিয়া দেখি বাথরুমে লোকজন লাইন ধইরা সিগারেট খাইতেছে।
-আরো সাগর তুই...!!
-হ দোস্ত আমিতো এইখানে কামকরি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনে মিয়া লোকটা কেমন কন তো। মিডিয়াকমে আমরা দুই সচল আছি (আমি আর মূর্তালা রামাত)। তাদের একটু তালাশও করবেন না।

মুজিব মেহদী এর ছবি

ক্ষ্যাপের দুইটা পয়সা না হলে জীবনটা অনেক আগে পানসে হয়ে যেত। সাধ-আহ্লাদ তো ক্ষ্যাপের পারিশ্রমিকেই মেটে। তবে কিনা ক্ষ্যাপের জন্য ক্ষ্যাপে গেলে পয়সা ছাড়া জীবনে আর থাকে না কিছুই। ওই জীবন কেউ চায় নাকি?
................................................................
জেতা মৎস্য গিলে বকে মনুষ্য খায় বাঘ-ভালুকে
রহস্য বোঝে না লোকে কেবল বলে জয়।
(দীন দ্বিজদাস)

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কবি মুজিব মেহদী বলেছেন:
সাধ-আহ্লাদ তো ক্ষ্যাপের পারিশ্রমিকেই মেটে।

আপনি মিয়া কবি মানুষ। তাও দেখি ক্ষ্যাপের টাকায় সাধ-আহ্লাদ মেটান।

মুজিব মেহদী এর ছবি

কী সাংঘাতিক!
কবিদের কি সাধ-আহ্লাদ থাকতে নেই নাকি?
................................................................
জেতা মৎস্য গিলে বকে মনুষ্য খায় বাঘ-ভালুকে
রহস্য বোঝে না লোকে কেবল বলে জয়।
(দীন দ্বিজদাস)

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ক্ষ্যাপ দুই ধরনের
যেটা মেরে টাকা পাওয়া যায় তাকে বলে পিওর ক্ষেপ
আর টাকা ছাড়া ক্ষেপের নাম কিন্তু আক্ষেপ

বহু ক্ষেপ কিন্তু মাঝেমাঝে আক্ষেপ হয়ে যায়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লীলেন দা,
ক্ষেপ, আক্ষেপ বুঝলাম, কিন্তু বহুক্ষেপটা আবার কী?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বস বা সিনিয়র কেউ যখন ঘাড়ে ধরে কোনো বেগার খাটাতে বাধ্য করে তখন তার নাম নিক্ষেপ

আর চাপা মেরে নিজের উদারতা প্রমাণ করতে গিয়ে যখন কোনো বেগার খাটতে হয় তখন তাকে বলে প্রক্ষেপ

এই নিক্ষেপ এবং প্রক্ষেপের ডায়রিয়া অবস্থাই (মানে ঘন ঘন...) হলো বহুক্ষেপ

(একেবারে খাঁটি সংজ্ঞা। স্ব উদ্ভাবিত এবং পরীক্ষিত)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, এইবার বুঝলাম।

খেকশিয়াল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আপনার কমেন্টে জাঝা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রায়হান আবীর যাকে যাচাই হবে বলেও এর ছবি

বহুত মজা পাইলাম ক্ষেপ কাহিনী শুনে। শালা আমি জীবনে ক্ষ্যাপই মারতে পারলাম না তেমন একটা।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

যান মিয়া, তাড়াতাড়ি গিয়া নজরুল ভাই রে ধরেন। তিনি নাকি চাকরি, ব্যবসা সব বাদ দিয়া ক্ষ্যাপ খেলে বেড়ায়।

নজমুল আলবাব এর ছবি
পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, ক্ষেপময় জেবন আমাদের।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার চেয়ে ভালো ক্ষেপবাজ কে আছে?
আসেন মামা কাতারে খাড়ান...
চাকরি ব্যাবসা সকল কিছু বাদ দিয়া এখন শুধু ঘরে বইসা বইসা ক্ষেপ মারি... তাতেই জীবন কাইট্টা যায় অনায়াসে... ইচ্ছা হইলে কাম করি না হইলে করি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নজরুল ভাই, কি আর কই, ক্ষ্যাপ কাজে পান্থ কিন্তু খারাপ না। অভিজ্ঞতার ঝুলিটাও বেশ মোটাসোটা। তাই, একটা কতা কই, মাঝে মইধ্যে ক্ষ্যাপট্যাপ দিয়েন। বোঝেনই তো, এই বয়সের একটু আধটু ফুর্তির করার জন্য ক্ষ্যাপ ইনকামের দরকার আছে না! এটা আপনার চেয়ে আর কে বেশি বুঝবো কন!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

নতুন শব্দ শিখলাম, মজার লিখেছেন চলুক
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

যাক, লেখা পড়ে আপনার ভোকাবুলারি বাড়লো তবে!

খেকশিয়াল এর ছবি

ক্ষেপিতে ক্ষেপিতে সে কবে হল ক্ষ্যাপা
চাকুরী টিকানো হল মহা বড় হ্যাপা

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।