সচলায়তন এবং আমাদের দাঁড়াবার জায়গা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০০৮ - ১০:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পূর্ণমুঠির প্রকাশনা আড্ডা চলছে। সে কী তুমুল আড্ডা। এই আড্ডার মাঝেই ঢাকার হবু মেয়র পদপ্রার্থী আরিফ জেবতিকের কী'না বিড়ির নেশা পেলো। ভরা মজলিশে বিড়ি খাওয়া যায়!আরিফ ভাই অতিশয় ভদ্রলোক। যেখানে ক্যামেলিয়া আলমের মতো রূপসীও বসে আছেন কয়েক বিঘত দূরে, সেটা ভেবেই বুঝি বিড়িটা বারান্দায় গিয়ে ধরালেন। তবে যারা বিড়ি খান তারা মাত্রই জানেন একা একা বিড়ি খাওয়াটা কেমন ম্যাড়মেড়ে লাগে। আরিফ ভাই তাই সঙ্গে নিলেন ক্ষ্যাপবাজ পাবলিক নজরুল ভাইরে। দু'জনে গিয়ে বারান্দায় বিড়ি ফুঁকছেন। কয়েক মিনিট পরে একটা ফোন কল রিসিভ করতে ভরা মজলিশ ছেড়ে আমিও বাইরে আসি। দেখি, আরিফ ভাই আর নজরুল ভাইয়ের সাথে গিয়ে জুড়েছেন সৈয়দ আকতার ভাই। ফোনে কথা শেষে আমিও বারান্দার এই মিনি আড্ডায় যোগ দিই। বিপ্লব রহমান সস্ত্রীক যোগ দেন খানিক সময়ের জন্য। আড্ডার প্রসঙ্গ সচলায়তন থেকে বাংলা ব্লগের ভুত ভবিষ্যত পর্যন্ত। আর এটিকে গিয়ে নানা কথামালা।

পুরানো অনেক প্রসঙ্গই উঠল। আরিফ জেবতিক আর নজরুল ভাই একদা ভোরের কাগজে কাজ করেছেন। দীর্ঘকাল দেখা সাক্ষাত ছিল না। সচলের এসেই আবার তাদের এই মোলাকাত। তারা দু'জনে সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করলেন খানিকক্ষণ। আবার আকতার ভাই এবং নজরুল ভাই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ছিলেন। তাদের মধ্যেও কোনো যোগাযোগ ছিল না। সচলের প্রকাশনা আড্ডাতে এসে নাকি দেখা মিললো। সচল যেন তাদের মেলবন্ধন।

একটা সময় পত্রিকা অফিস ঘিরে আমাদের একটা আড্ডার জীবন ছিল। পত্রিকা অফিসে গিয়ে আড্ডা মেরেছেন এমন সচলের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু বর্তমানে সেই আড্ডার মুখরতা নেই। একসময় যারা পত্রিকা কিংবা বিভিন্ন ম্যাগাজিনে কাজ করত, তাদের বেশিরভাগই মিডিয়া ছেড়ে এখন নানান পেশায়। কেউ কেউ প্রবাসে। কিন্তু আমাদের সবারই আড্ডার সেই টানটা রয়ে গেছে এখনো। আর তাই সচলের মতো এসব আড্ডায় প্রাণের টান ঠিকই ফেরে। সচল যদি না থাকতো এক আরিফ জেবতিকের সাথে পান্থের দেখা আর কখনো হতো কী'না সন্দেহ। আরিফ জেবতিক, নজরুল ভাই এসব নিয়েই বলছিলেন। পত্রিকা অফিস ঘিরে আমাদের আড্ডার সেই দিনগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না সত্যি। কিন্তু সচলের প্রকাশনা ও অন্যান্য নানা বিষয় ঘিরে যে আড্ডার আয়োজন হচ্ছে, তাতে প্রাণের সেই উত্তাপটা ঠিকই পাওয়া যাবে। আমার ধারণা, সচলায়তন আমাদের সেই আড্ডাবাজী দিনের দাঁড়াবার একটা জায়গা হতে পারে। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সপ্তাহান্তে মিলবো, ভাব ভালোবাসার বিনিময় করবো।

এখন আমাদের দাঁড়াবার জায়গাটুকু নিয়ে একটু আলোচনা হতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সপ্তাহান্তে বসবো, কথা বলবো, কারো লেখা নিয়ে তুমুল ঝগড়া করবো। এটা শুধু একটি প্রকাশনা কিংবা বইমেলা কেন্দ্রিক হবে এমন তো নয়। তবে সপ্তাহান্তে বসতে না পারলেও আমরা ১৫ দিনে কিংবা মাসে একবার তো বসতে পারি। আবার আমাদের আড্ডা হতে পারে, কোনো সচলকে ঘিরেও। যেমন মানিক, লীলেন, জেবতিক কিংবা অপু সন্ধ্যা। সেদিন আমরা না হয় সেই লেখককে ঘিরেই আড্ডা দিলাম। আবার আৎকা আড্ডাও হতে পারে। বিদেশ থেকে কোনো সচল লেখক দেশে আসলে তাকে ঘিরে এইসব আৎকা আড্ডার আয়োজন হতে পারে। আবার এসব আড্ডায় শুধু সচল থাকবেন, এমনও নয়। সমমনা অন্যান্য ব্লগের ব্লগারও থাকতে পারেন। এগুলো সবই আমার প্রস্তাব। যে কেউ দ্বিমত কিংবা সহমত করতে পারেন।


মন্তব্য

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

তোমার এই ধারণাটি নিয়েই কথা বলছিলাম একটু আগেই দেশের বাইরের এক সচলের সঙ্গে। খুব ভালো হয় এরকম কিছু ঘটলে। আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া বা পূর্ণমুঠির প্রকাশের মতোই নতুন নতুন কোনো প্ল্যানে ঝাঁপিয়ে পড়ার বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হয় তাহলে। শুদ্ধস্বরকে ঘিরেই আমাদের আড্ডাটা হতে পারে। সপ্তাহে একদিন হলেই ভালো হয়। প্রতিদিন হলেও খারাপ হত না, কিন্তু বউ তাহলে বাসায় ঢুকতে দেবে না। বা এই আড্ডা গড়াতে পারে ছবির হাটের দিকেও। পর পর দুটি মিটিংয়ে গিয়ে আমার যে ধারণা হয়েছে, কলমে চাল্লু হলেও সামনাসামনি অধিকাংশ সচলই লজ্জাবতী লতা, একজন আরেকজনের সাথে এগিয়ে গিয়ে দু-চারটা কথা বললেও পরে আবার সঙ্কোচ বোধ করতে থাকেন, কী বলতে কী বলে ফেলেন টাইপের সঙ্কোচ। ভার্চুয়াল সম্পর্কের ভেতরে আমরা ভারী আপন একজন আরেকজনের, তবে সামনাসামনি হলে একটু লজ্জাবোধ কাজ করতেই পারে... কিন্তু সেসব ভেঙ্গে একে অপরের দোস্ত হয়ে ওঠা খুব জরুরি। আমি রোজ শনিবার আড্ডা মারতে চাই। লীলেন ভাইয়ের টাকায় গরম চা-পুরি আর ব্যানচন বিড়ি খেতে চাই...
প্রসঙ্গটা তোলার জন্য ধন্যবাদ হে পান্থ!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

শ্যাজা এর ছবি

লীলেনজী কি চা-পুরি-ব্যানচেন খাইয়ে দিলেন নাকি? সেই আশি টাকায় নয়তো?!

গল্প আছে একখনা।

আমার সাথে যেদিন লীলেনজীর দেখা হলো শুদ্ধস্বরে, সেদিন আসার পথে লীলেনজী একটি একশত টাকার নোট কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। কুড়ি টাকার পুরি- ব্যানচেন সেদিন খাওয়া হলো আর আশি টাকা ছিল ( লীলনজীই বললেন সেদিন, আশি টাকাটি আছে এখনও)। তা সেটি কি তিনি খচ্চা করিয়া ফেলিলেন! আমার যে আবার খুব শিগগিরই যাওয়ার ইচ্ছা!

মশকরা অ্যাপার্ট-
প্রকাশনা আড্ডা ভীষনভাবে মিস করেছি। এই বিষয়ক পোষ্ট দেখলেই গোগ্রাসে গিলছি। একটা ব্লগসাইট ঘিরে এত উন্মাদনা আর এত বন্ধুলাভ। এ শুধু বাঙালীই পারে এবং ( বোল্ড এন্ড আন্ডারলাইন্ড) বাংলাদেশীরাই পারে।

আপনারা নিয়মিত মানে (শনিবার শানিবার) আড্ডা দিন। বাইরে থেকে কেউ গেলে একটা আৎকা আড্ডা তো যেকোন দিন-সময়ে হয়ে যেতেই পারে।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মৃদুল ভাই, আমাদের সচলদের মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাত হলে মনে আত্নীয়তার সম্পর্কটাও একটু মজবুত হয়। কী বলেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লীলেন্দার পয়সায় চা পুরি সিগারেট আর জরিনা খাদ্য নিশ্চিত করতে পারলে আমি প্রতিদিন আড্ডায় যাইতে আগ্রহী।

আর সচলায়তনে দেখতেছি লোকজন আমারে নিয়া কুত্সা রটনা করতেছে ইদানীঙ... জরিনা খাইতে গেলে আমার কথা... সিগারেট খাইতে গেলে আমার কথা... আমার ইমেজ কোথায় গিয়া ঠেকতেছে তা কেউ ভাবে না...

এইভাবে চললে তো পরে আমার মেয়ের জন্য পাত্র পাোয়া যাবে না!!!
আমি আর আরিফ ভাই যে স্ব স্ব কন্যাসন্তান নিয়া কত ভালো ভালো কথা বললাম সেইগুলা পান্থ বললোই না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমিতো পরে জয়েন্ট করেছি। আপনাদের কন্যাজননীদের কথা তো শুনিনি। তা কেমন আছে নিধি। আর আপনারে নিয়ে কে কুৎসা রটায়, তার ঠিকানা একবার বলেন তো, গিয়ে একটি চিমটি কেটে আসি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পান্থের সাথে সহমত। এমন ব্যবস্থা যদি আগেই থাকতো তাহলে দোনোমনা করে প্রকাশনা উৎসবটা মিস করতাম না।
=================================

তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দুরো মিয়া, আপনি দেখছি মেয়েদের চেয়েও লাজুক। এইসব লজ্জাফজ্জা তুলে রাখুন। আগামী আড্ডায় আপনাকে দেখতে চাচ্ছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মৃদুল ভাইয়ের কথার সাথে ভীষণভাবে একমত। হাসি আরেকটা প্রস্তাব, শ্যাজাদির বাসায় একদিন আড্ডা দিতে গেলে কেমন হয়! খুব বেশি দূর তো না! চোখ টিপি আর গেলে উনি নিশ্চয়ই শর্ষে ইলিশ খাওয়াবেন! দেঁতো হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তো চলুন না, একদিন ট্রেনে বসে পড়ি। তয় কইলাম, আমার কিন্তু পাসপোর্ট নাই। শ্যাজাদি'র বাড়ি যাবো, পাসপোর্ট কী লাগবো! ওই তো এতটুকু মাত্র দূর।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শ্যাজা
টাকা আমি প্রায়ই কুড়িয়ে পাই
নো প্রব্লেম
চলে আসেন

০২
নজরুল
ভাইজান ওইদিনেরটা বিজ্ঞাপন ছিল
মূল বাণিজ্য শুরু হবে এর পরে

০৩
দোহাই সবার পায়ে ধরে
আড্ডা দেন কিন্তু সংগঠন করার চিন্তাটা করেন না
তাহলে এখন যেমন একজনকে দেখলে আরেকজন খুশি হয়ে উঠে
তখন একজনকে দেখলে আরেকজন তেড়ে উঠবে কিংবা মুখ খামছি দেবে....

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লীলেন্দা, সংগঠন নয়, মামুলি ধরনের আড্ডাবাজী'র কথা বলছিলাম আর কি। যেমন বিকেলবেলা হাঁটতে হাঁটতে নদীপারে একটু ঘুরে আসা। পরিচিত সচলদের সাথে একটু খোশ গল্প করা। সবাই তো আপনারে নেতা মানতেছে। তা কী কন আপনে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আড্ডা দেন কিন্তু সংগঠন করার চিন্তাটা করেন না
তাহলে এখন যেমন একজনকে দেখলে আরেকজন খুশি হয়ে উঠে
তখন একজনকে দেখলে আরেকজন তেড়ে উঠবে কিংবা মুখ খামছি দেবে....

মারাত্মক সত্যি কথা লীলেন ভাই । একমত ।

@পান্থ
আগের কয়েকটা পোস্ট পড়েও এই-ই লিখতে হয়েছে, পূর্ণমুঠি-প্রকাশনা সংক্রান্ত আড্ডার যে কোনও পোস্ট পড়ে বাড়ছে কেবল হা-হুতাস । তোমারটা পড়েও শ্বাস একটু দীর্ঘ করেই পড়লো !
---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

________

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার প্রস্তাব হচ্ছে আড্ডা হোক প্রতি মাসে একবার। এটা শনিবারও হতে পারে আবার শুক্রবারও হতে পারে। তবে মাসে একটা হলে আমার মনে হয় সবার মধ্যে একটা জোশ থাকবে, যেটা সাপ্তাহিক আড্ডায় কম থাকবে বলেই মনে করি। তবে সাপ্তাহিক হলেও আমার আপত্তি নাই। আড্ডা হোক - এটাই আসল কথা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এই আকালের স্রোতে আড্ডাতে ভেসে যাবো, কী বলেন কীর্তিনাশা!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আহা, নদীর ঐপাড়ে কত সুখ!!! মন খারাপ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বানী চিরন্তনী....

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

দেখি, আরিফ ভাই আর নজরুল ভাইয়ের সাথে গিয়ে জুড়েছেন সৈয়দ আকতার ভাই।

আমার খানদানি নামের বানান ভুল করেছো পান্থ। তোমারে খাইছি। আকতার নামে আমাদের আরেক সচল বন্ধু আছে... তার সাথে তো প্যাঁচ লাগায়ে দিলা। যাই হোক এবারের মতো মাফ...

তোমার লেখার সাথে শতভাগ একমত... আসলে সেদিনের আড্ডায় আমরা কয়েকজন সচল বন্ধু এ বিষয় নিয়ে আলাপও করছিলাম... মৃদুল ভাইকেও গাড়িতে আসতে আসতে প্রস্তাব দেই... এবার সবার সম্মতির অপেক্ষা।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মাফ করে দিলেন তবে! ভাবছিলাম, আখতার ভাই ক্ষেপে না জানি কি করে বসে।
দেখি সবার সম্মতি কী বলে! না হলে আপনার আর আমার অফিসের মাঝে দূরত্ব কতটুকুই বা। অফিস ফেরতা পথে মাঝে মধ্যে না হয় আড্ডা দেয়া যাবে।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

ক্যামেলিয়া আপার মত রূপসী বইসা আছে?-------থাবড় খাবিরে তুই অন্য ব্লগারগো হাতে। চার ফুইটারে যদি রূপসী কস।

আমি সহমত পোষণ করছি। বলে কয়ে আড্ডার দরকার কি? হুট করে কোন একজন সচলে পোষ্ট দিয়ে হয়ে যাক না মাঝে সাঝের আড্ডা। সামনের মাসে বিখ্যাতদের মধ্যে থেকে কেউ কি দেবেন এমন পোস্ট?
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এই যে তুমি তোমার মাস্টারি'র পরিচয়টা আবার দিয়া বসলা। আচ্ছা, আবার দেখা হইলে না হয় তুমিই থাবড় দিয়োনে। অন্যদের শক্ত হাতের থাবড় খেলে ব্যথা বেশি পামু না!

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কাম সারছে। পান্থর কপালে দেখি আসলেই খারাবি আছে। ক্যামেলিয়া আপারে চ্যাতাইছে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আরে আখতার ভাই আপনি জানেন না, ক্যামেলিয়া আপা খুবই নরম মানুষ। একটু প্রশংসা করলেই রাগ একদম পানি হইয়া যায়। সাথে একটু তেলও দিতে হয়। যদিও তেলের দাম একটু বেশিই। একটু ভেজাল মিশাইয়া দিমুনে তারে। দেখবেন, বাসায় নিয়া ডেকে রেঁধে খাওয়াবে। এটা কিন্তু আমার আপনার ভেতরে রাখবেন। ক্যামেলিয়া আপু যেন না জানে!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

----------

ইমরুল কায়েস এর ছবি

প্রস্তাবনার পক্ষে সহমত ।
-----------------------------------------------------
কেউ একজন অপেক্ষা করে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আরো একজন আড্ডারু যোগ হলো।

রাফি এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মুখোমুখি দেখা হওয়াটা এত জরুরী কিছু না, লেখার মাধ্যমে আত্নার যতটা কাছাকাছি পৌছানো যায় মোলাকাত ঠিক ততটা কার্যকর হতে পারে না কখনোই; বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা ভুল মেসেজ দিতে পারে।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনার মতো আমিও মনে করি, মুখোমুখি দেখা হওয়াটা জরুরি কিছু না। তবে আমি মামুলি ধরনের আড্ডার কথা বলছিলাম আর কি। যেমন একই পাড়ার বন্ধু বান্ধব বিকেলে হলে কোথাও বসে কিছুক্ষণ আড্ডা পেটায়। এরকম আর কি। ভার্চুয়াল জগতের বোঝাপড়ার সাথে সাথে ব্যক্তিজীবনেও যদি কারো সাথে মিলে তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না।

হিমু এর ছবি

সুখে থাকতে ভূতে কিলায় হো হো হো ...।


হাঁটুপানির জলদস্যু

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভূতের কিল, তা যা বলেছেন, সচলে ওঝা-বৈদ্য কি কম আছে!

নিরিবিলি এর ছবি

হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

আমারে একখান বিড়ি আর এককাপ চা দিলেই আমি সুড়সুড় কইরা শনিবারে গিয়া হাজির হমু কইলাম। স্বর শুদ্ধই হোক আর অশুদ্ধই হোক, আহিহে হইলেই চলবো।

কী, চা-বিড়িতে রাজী তো ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রায়হান আবীর এর ছবি

নায়াম...

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍দ্যান আপনারা আড্ডা, আর আমরা, প্রবাসী সচলেরা, সেইটার সচিত্র রিপোটিং পড়ি...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।