আসলে এই গল্পের কোনো শেষ নাই!
আসুন যারা যারা শেষ নাই জেনেও গল্পটি পড়তে শুরু করেছেন তাদের সম্মানে এক চুমুক পান করি। কিন্তু আপনারা যাই বলেন, এইসব পানটান আমি একদমই সহ্য করতে পারি না। গলা জ্বলে। পেটে গিয়ে গণ্ডগোল পাকায়। আর বড়ো কথা হলো আমি বেহেড মাতাল হয়ে যাই। তবে আমার জানি দোস্তরা এই-ই চায়। মাতাল হলে নাকি আমি সব সত্য কথা একে একে বলে দিই। সত্য কথা বলতে, আমি মিডিয়াতে কাজ করি। সেখানকার নানা অকাম-কুকাম, ফস্টিনস্টি’র সব খবর ফাঁস করি। বন্ধুরা সব মিডিয়ার বাইরের মানুষ। এরা বেশ মজা লয়। পরে গিয়ে এ গল্প তাদের পরিচিতদের বলে বেশ আমোদ লাভ করে। তাই বন্ধুরা প্রায়ই ফুসলিয়ে বারে নিয়ে যায়। তবে বারে গেলে আমি বেশ ভালো লোক, মাতাল-টাতাল হই না। কিন্তু যেদিন কারো বাসায় হলো, সেদিন আমি বেহেড মাতাল। তাই পারতপক্ষে কারো বাড়িতে যাই না। না যাওয়ার আরেকটা কারণ আছে। তা হলো নাজনীন। মদ খাওয়া ও একদমই পছন্দ করে না। নাজনীনের কথা বলতে কী যা’তা বলে যাচ্ছি। তবে বিশ্বাস করুন, এখন আমি মোটেই বেহেড মাতাল নই।
কথাটা কার কাছে শুনেছিলাম তা মনে নাই আজ। বাংলাদেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়ের প্রথম প্রেম কিংবা সেক্স দু’টোরই অভিজ্ঞতা ঘটে কাজিনদের সাথে। কিন্তু আমার শ’খানেক কাজিন থাকার পরও কোনোটাই হয়নি। আদপে আমি খুবই ভীতু ধরনের মানুষ। কখনো আকার ইঙ্গিত পেলেও যৌথ ফ্যামিলির একগাদা মানুষজনের মধ্যে আমার সাহসে কুলায় নি। তাছাড়া সেই ছোটবেলা থেকেই আমার মধ্যে একটা সুশীল সুশীল ভাব ছিল। তবে নাজনীনের ছিল কিনা তা জানা হয়নি। তখনো প্রেম না হলেও নাজনীন সবকিছুই আমার সাথে শেয়ার করতো। শেয়ার করতো বলে তাকে উদার মানুষ ভাবার কোনো কারণ নাই। পাঠক, নাজনীন যে পরিমাণ বজ্জাত তার পরিচয় আপনারা এই গল্পের শেষে পাবেন, এটা আপাতত বলে রাখছি। তবে কেউ যদি আমার উপলদ্ধির বাইরে থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করে তার ভালোত্ব আবিস্কার করেন, তাতেও আমার আপত্তি নাই।
নাজনীনের সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। একদিন মেইল খুলে দেখি, ‘নাজনীন অ্যাডেড ইউ অ্যাজ অ্যা ফ্রেন্ড’। কাউকে বন্ধু লিস্টিতে যোগ করে নেয়ার আগে তার প্রোফাইল পড়াটা আমার কাছে জরুরি মনে হয়। নাজনীনের প্রোফাইল ফটো দেখে আমি ভড়কে যাই। অনিন্দ্য সুন্দর একটা মেয়ের ছবি। পৃথিবী উল্টে যাক, কিন্তু এর বন্ধুত্বের আহবান ছাড়া যায় না। অ্যাড করে নিই তাকে। তারপর তার প্রোফাইল ছবির দিকে তাকিয়ে থাকি কিছুক্ষণ। আমার বুকের ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়। বিনা মেঘেই বজ্রপাত ঘটে বুকের মধ্যিখানে।
নাজনীন ইন্টার দিয়েছে। হলিক্রস থেকে। কমার্স শাখা। পরীক্ষা ভালোই হয়েছে। জিপিএ ফাইভ পাবে। ইউনিতে চান্স পাবে নিশ্চিত। তার ইচ্ছা ঢাকা ইউনি। আমিও ঢাকা ইউনিতে পড়ি। ফিন্যান্সে। মাঝে মাঝে এটা-ওটা জানতে চায়। কখনো কখনো একাউন্টিং-এর জটিল এন্টিগুলো নিয়ে কথা তোলে। আমি অতো পারি না। কয়েক বন্ধু আছে ভর্তি কোচিং-এ ক্লাস নেয়। ওদের কাছ থেকে সমাধা নিয়ে আসি। ওরা মিটিমিটি হাসে। নাজনীনের চেহারার কাছে ওদের হাসি পাত্তা না দিলেও চলে।
এভাবে সময় গড়ায়। একদিন লিখি-
‘আমাদের মল চত্বরে কখনো এসেছো’
না, কেন’ নাজনীন লিখে
‘মল চত্বরের সবুজে পিচঢালা পথে বসে তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছা করছে’
‘অ্যাই, তুমি তো আমার প্রেমে পড়ে গেছো দেখছি’
এই প্রথম নাজনীন আমাকে তুমি বলে। নাজনীনের কথায় আমি চুপ করে রই। আমার কিবোর্ড জমে যায়। রাজ্যের শিহরণ এসে ভর করে। আধ ঘণ্টা যায়। নাজনীন লেখে
‘আছো’
‘হু’
‘কিছু বলছো না কেন’
আমি আবার চুপ। কিছুক্ষণ যায়। ‘মা ডাকছে রান্নাঘরে’ বলে নাজনীন কেটে পড়ে। আমি ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে জীবনের তৃতীয় প্রেমপত্রটি চালান করে দিই নাজনীনের ইনবক্সে।
দুদিন পর নাজনীন তার একাউন্ট আপডেট করে। সিঙ্গেলের জায়গায় ‘ইন অ্যা রিলেশনশিপ’ কথাটি স্থান করে নেয়।
নাজনীনের সাথে আমার প্রেম চলছে। সারাক্ষণ আমার ফুরফুরে ভাব। শুধু প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতে ইচ্ছা করে। পাখি হয়ে গান গাইতে ইচ্ছা করে। আমার এমন হাবভাব দেখে ছোটভাবী একদিন নিরালায় ডেকে নিয়ে বলেন, ‘অ্যাই, কোন মেয়ে তোকে পটিয়ে ফেলছে রে’। আমি জোরালো কন্ঠে না বলি। ভাবী বলেন, ‘গাধা, আমরা ওই পথ আগেই পার করে এসেছি, বুঝলি। দু’দিন পর এসেই বলবি, ভাবী তোমার হেল্প লাগবো। সেদিন দেখা যাবে নে’।
বস্তুত, ভাবীর হেল্প আমার দরকার হয়নি। কেন দরকার হয়নি, সে কথা পাঠকরা আর একটু পরেই জানবেন।
ফেসবুকের ‘পিপল ইউ নো’র ব্যক্তিবর্গের অনেকের নামের নিচে দেখি, ইউ অ্যান্ড অমুক একই শহরে বাস করেন। নাজনীন আর আমিও একই শহরে থাকি। কিন্তু দেখা হয় না কখনো। খুব দেখতে ইচ্ছে করলে ফেসবুকে ওর প্রোফাইল ফটোর দিকে তাকিয়ে থাকি। তখন ওকে নিয়ে কত কিছু করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ওকে যদি বলি, আজকে চন্দ্রিমায় আসো না, একটু বসি। প্রতিবার সে বাড়ির দোহাই দিয়ে বাঁচে। ওদের বাড়ি রক্ষণশীল। মেয়েদের এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না এমন বিধিনিষেধ। এমন বিধিনিষেধের ফাঁদে বেচারির মোবাইল পর্যন্ত নাই। ভাই বাসায় না থাকলে তার নেট থেকেই যোগাযোগ করে। মনে মনে ভাবি, নাজনীনকে এসব থেকে যে করেই হোক উদ্ধার করতে হবে। এই উদ্ধারের মনোবাসনা আমাকে পাগল পাগল করে দেয়। আর আমি আরো বেশি করে নাজনীনের প্রেমে পড়ি।
সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। কারো জন্য অপেক্ষা না করেই তারা নানা অঘটন ঘটিয়ে চলে যায়। আমারো হলো একদিন। ফেসবুক মাত্রই খুলেছি। নিউজফিডের একদম উপরের দিকে জ্বলজ্বল করছে নাজনীনের নাম। স্ট্যাটাস জানাচ্ছে, নাজনীন থিংক হিমসেলফ সিরিয়াসলি। ‘হিমসেলফ’ আমাকে ভাবায়। ভুল হতে পারে। এটা মনে করে তা নাজনীনকে জানানোর উদ্যোগ নিই। ওর হোমপেজে ক্লিক করি। যতবারই ওর প্রোফাইল পেজে যাই, ততবারই ওর ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে অনেকক্ষণ। এবারও তাকিয়ে থাকি। দেখি আর মুগ্ধ হই। ক্লোজআপ ছবি। এই একখানা মাত্র ছবিই সে আপলোড করেছে। কখনো চেঞ্জ করেনি। আমিই চেঞ্জ করতে মানা করেছি। বলেছি, এই ছবিতে ওকে দারুন লাগে। নাজনীনের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে রুমে বন্ধু আমিন আসে। এসেই কম্পিউটারে হামলে পড়ে। আর নাজনীনের ছবি দেখেই বলে, কী রে টাবুকে দেখছি যে! ইন্ডিয়ান নায়িকারাও আজকাল ফেসবুক একাউন্ট খুলছে!!!
নাজনীন তখন অনলাইনেই ছিল। এমন সময় সে আমাকে হাই জানায়। পাঠক, বলুন এই হাই-এর উত্তরে আমি একবুক ঘৃণার প্রকাশ ছাড়া আর কী’ইবা বলতে পারি?
মন্তব্য
গভীর শোক .... বাট গল্প র সমাপ্তি তো ঠিকই আছে বলে মনে হচ্ছে......
গল্পটা যেভাবে লিখবো বলে ভেবেছিলাম, লেখার সময় সেভাবে আগাইনি। তারজন্য মনে হয়, একটা সমাপ্তি এসে গেছে।
বঝতেছিলাম ঘটনা কি ঘটতে যাচ্ছে, কিন্তু হিন্দি নায়িকার ছবি থাকবে এইটা ভাবি নাই
তবে গল্পটা পড়ে ভাল লাগছে।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
তাহলে কী আবীর বলবো, আমার গল্পে টুইস্ট আছে? হাঃহাঃহাঃহাঃহাঃ
ভাইজান শেষ পর্যন্ত হিন্দি সিনেমার নায়িকার ছবি দিয়ে কাইত হইলেন ! আহারে ফেসবুক কতজনের দিল পুড়াইল কে জানে । ব্যাপারনা ।
নিবিড়
ভাই নিবিড়, আমার দিল টা সফট, মেয়ে দেখলেই... বুঝলেন!!!
ফেসবুকের কমন কাহিনী... প্রোফাইল ফটো দেখে বহুজনই হোঁচট খায়... তবে ব্যাপারটা যে 'হিমসেল্ফ'-এ গড়াবে, সেটা বুঝিনি। এইবার রেজা ভাই, আপনে নাজ (লাজ) নিন..
নারে ভাই, ওই কথা আর বইলেন না, জানেনই তো ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়।
ব্যাপার নাহ।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্নাহত, প্রেমের কয়টা শেষকৃত্য করেছো, তার বিশদ বিবরণ ছাড়ো তাড়াতাড়ি, তখন আমারও কমেন্টাবো, ব্যাপার নাহ্, জীবন তো এমনই।
আহারে....
০২
এই প্যারাটা বাদ দিয়ে দেন
গল্পটা আগের প্যারাতেই শেষ হয়ে গেছ দুর্দন্তভাবে
লীলেন্দা, আনাড়ি হাতের লেখা। ঠাসা ভুল তো হইবো। ধরতে গেলে এইটাই প্রথম কোনো গল্প লেখার চেষ্টা। যদিও আগে অনুগল্প টাইপের হাবিজাবি কয়েকটা লিখেছি পাফোতে।
এরপর লেখার সময় এইসব বিষয় নজরে রাখার চেষ্টা করবো।
০১.
আহা রে পান্থ ... !
০২.
এই প্যারাটা বাদ দিয়ে দেন
গল্পটা আগের প্যারাতেই শেষ হয়ে গেছ দুর্দন্তভাবে
লীলেন ভাই'র মন্তব্যে ১০ তারা !!
এই কথাই লিখতে চেয়ে দেখি বলা হয়ে গেছে আগে ।
এর বাইরে পুরো লেখাটাই দারুন একটা গল্প !
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুপান্থ দা, মূল্যবান পরামর্শের কমেন্টে আপনাকেও দিলাম ২০ তারা।
গল্পটা দারুন লাগল।
কোথায় যেন শুনেছিলাম, এক ভারতীয় বালিকা ঐশ্বরিয়ার ছবি দিয়ে এক কেনেডিয় বালকের সাথে প্রেম করে। পরে ঐশ্বরিয়ার বাগদানের খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রকাশ পেলে বালক তার ভুল বুঝতে পারে।
তবে, হলিক্রস আবার কমার্স শাখা খুললো কবে??
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
গল্পটি লেখার সময় হলিক্রস নামটাই প্রথমে মাথায় এসেছিল। সেখানে কর্মাস শাখা আছে কী'না তা যাচাই করিনি। তবে এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে কর্মাস তো থাকার কথা। আমাদের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টে তো হলিক্রসের মেয়ে ছিল।
হলি ক্রস স্কুলে আগে থেকেই কমার্স আছে। শুনেছিলাম, কলেজ়ে ২০০৭/০৮ এর দিকে শুরু হবে। তাই, technically এর মধ্যে HSC পাশ করা সম্ভব না।
পান্থদা, লেখা চেন-পরিচিতির মাঝে হয়েছে, মজাই পেলাম
প্লট ও স্টাইল , দুটোই ভালো হয়েছে ।
জেবতিক ভাই, একসময় ফেসবুকে অ্যাডিক্টেড ছিলাম। আশেপাশের অনেককে এরকম দেখেছি। তখন থেকেই ফেসবুকের কর্মকাণ্ডগুলো নিয়ে গল্প লেখার আইডিয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করছিলাম। হয়নি হয়তো কিছু, তবে চেষ্টা করেছি।
সরি হাসার জন্য, আহারে পান্থ ভাইয়ের প্রেমের এই পরিনতি। বেটার লাক নেক্স টাইম।
কমেন্ট না করেও পারলাম না। আপনি দেশে এত বছর থেকে টাবু কে চিনেন না?? সত্যি অবাক হলাম। আমি তো টাবু কে চিনি সেই ১১ বছর বয়স থেকে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমাদের দেশের নায়িকা অপু বিশ্বাস, এই ঈদে তার কয়েকটা সিনেমা রিলিজড হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করেন, কোনো দুষ্টু বন্ধু তার কোনো ফুটু এনে কেউ যদি বলে তোর জন্য একটা পাত্রী দেখেছি, এই তার ছবি বলে আমি নাদান তা ধরতে পারবো না। আর টাবু তো সেই বলিউডের। ক্যামনে চিনবো কন?
হায় হায়... আমারো তো একই অবস্থা! ভাই, আমি এখনো বেল তলায় যাইনি; এখন কেউ যদি এমন করে টান দেয়!!!
এমনিতেই আপনি ভাঙ্গা মানুষ। আবার যদি মন ভাঙ্গে তাইলে ক্যামনে হবে। এখনই সাবধান হয়ে যান।
বলিউডের খোঁজ খবর রাইখেন...নাহয় পরের বার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাছে ছ্যাঁকা খাবেন
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
নাহ্, এ রে চিনি। এর দ্বারা ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা নাই।
ধুর হিন্দী ছবির নায়িকা আবিষ্কার করে হতাশ হলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনি হতাশ হয়েছেন জেনে আমি নিজেও হতাশবোধ করছি। সরি, মুর্শেদ ভাই, আপনাকে হতাশ করার জন্য।
(১) মোবাইল কোম্পানীর একটা বিজ্ঞাপন আছে না ? "সাদা পাঞ্জাবী..."।
এমন ঘটনা প্রায়ই হয়, মনে হয়।
(২) হলিক্রসে বাণিজ্য নেই বলেই জানি। হয়তো বিজ্ঞান থেকে গ্রুপ বদলে কেউ আসতে পারে।
(২) আমি ঠিক জানি না বজলুর ভাই। বিজ্ঞান থেকে আসতে পারে হয়তো।
আহা রে বেচারা! টাবু-তে কাবু!
সমস্যা নাই, পান্থ। ন্যাড়া বেলতলায় শুধু একবার যায় ভয়ে। প্রেমিকের তো ভীতু হলে চলে না, প্রেমিক পুরুষ কলতলায় যাবেই- চারবার, আরোবার, বহুবার। কোনো সমস্যা না, চলো, চালাও। ))))))
তুমি মন খারাপ কইরো না, যদি আমিও লীলেন ভাই আর সুপান্থ দা'র সাথে গলা মেলাই এই দুর্দান্ত গল্পটার ফিনিশিং নিয়ে। মানে, আসলেই মনে হয় গল্পটা তাতে ফিনিশড-ই হইতো আরো বেশি। এখন এডিট যদি না-ও করো, দ্বিমত করবা না নিশ্চয়ই এডিটের দরকার নাই মনে হয়।
হ্যাঁ, অবশ্যই অনেক ভালো হইসে গপ্পো-টা। স্টাইলিশ, ট্রেন্ডি সানগ্লাসের মতোই।
_ সাইফুল আকবর খান
শেষ প্যারাটা বাদ দিতে আপত্তি নাই, তয় এখানে বাদ দিলে আবার মডারেশনের ঘর-ঘুপচি ঘুরে আসতে অনেক সময় লাগবো। তাই ব্যাপারটা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখলাম।
ফেইস বুকরে লোকে আজকাল ফেইক বুক ডাকে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বুঝতে পারলাম। নজু ভাইয়ের ইদানীং ঘন ঘন ফেইস বুকে যাবার রহস্য।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নজু ভাই, পোলাপান আইজক্যা ইচড়ে পাকা হইয়া গ্যাছে, বড়দের ব্যাপার-স্যাপার নিয়া কথা কয়, প্রশ্ন তোলে। কিছু কমু কন।
আপনেও তো মিয়া ছোট। আমার দলে আসেন। আমরা একসাথে নজু ভাই ভালোকরণ কর্মসুচীতে অংশগ্রহণ করি। ইহকাল ও পরকালে বহুত ফায়দা হবে ইনশাল্লাহ।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
দাঁড়াও নজু ভাই আইত্যাছে। তোমারে ধোলাই দেয়ার লাইগা।
আমি ধোলাই খেতে চাই না। আমার ইহকাল পরকাল কোনোটারই দরকার নাই।
এই জন্যেই তো আপ্নের ভাগ্যে টাবু ছাড়া আর কিছু জুটবেনা। কৈয়া দিলাম।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমার পোড়া কপাল নিয়া এতো বড়ো অভিশাপ, হে আল্লাহ রক্ষা করো।
আমি তো ডাকি "ফাঁসবুক"!!!!
কে আবার আপনাকে ফাঁসিয়ে দিলো। তাড়াতাড়ি পোস্ট লিখে জানান।
বেশ মজা পেলাম।
তবে এরকম একটা নাটক ঈদে কোন চ্যানেলে দেখিেয়েছে- ফেসবুকনাম।
এখানে নায়িকা দীপিকা পডুকান এর ছবি দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়েছিল। নায়ক বেচারা আপনার মতো ধরতে পারে নি।
এর পর অবশ্য অনেক কিছু আছে। নাটক তো সহজে বিচ্ছেদে গড়ায় না।
ভাই, আমি এমন প্রাণী যে দিনে গড়ে ৫ মিনিটও টিভি দেখে না। তাই কইতে পারুম না।
শানেনুযুল: খোমার ফডু দেইখ্যাই মজতে নাই। মানুষটাও দ্যাখন লাগে!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি- এই প্রবাদটির কী হবে তাইলে।
রেজা ভাই দেখি চরম ধরা খাইছিলেন !!!
পুলারা এমন বদমাইসি ক্যান করে বুঝিনা । মাঝে মাঝে ভাবি এগুলা সমকামী কিনা !!! আপ্নে কি কন ?
--------------------------------------------------------
আমি তো ধরা খাইনি। এটা একটা গল্প। বানিয়ে বানিয়ে লেখা।
- আপনার দোস্ত যে টাবুরে চিনে তার সঠিক প্রমাণ কী? টাবুর মতো প্রায় একই চেহারার মেয়ের নাম নাজনীন হইতে পারে না? অবশ্যঢই পারে জনাব, আপনের দোস্ত আপনেরে গোল খাওয়াইছে। গিয়া দেখন এখন নাজনীনের কোলে বসে ধানমণ্ডি মাঠের চটপটি খায় ব্যাটা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিজের মনে মন কলা খাইলে মাইনষের কি দোষ?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
"...লাইন ছাড়া চলে না রেলগাড়ি!"
তালে গোলে টাবুরে আমাদের ভাবী বানাতে পারলে এক বেলা দাওয়াত দিয়েন।
নতুন মন্তব্য করুন