গল্পটা আমার না। রবি ভাইয়ের। রবি ভাই একজন গল্পবাজ লোক। তার কোনো গল্পে আমাদের বিশ্বাস নাই। তবুও আমরা তার গল্পে বিশ্বাস আনি। কারণ এমন বিশ্বাস আনতে আমাদের মন চায়। একটা উদাহরণ দিই, তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। একবার এক ছেলে আর মেয়ের তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। চারুকলার উল্টো পাশে। মোল্লার দিকটায়, ফুটপাতে। রবি ভাই ও তার কয়েক বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছেন মোল্লার সামনের দিকটায়। বিড়ি ফুঁকছেন আর গল্প করছেন ডিজিটাল সিনেমা নিয়ে। বেশ গুরুগম্ভীর আলোচনা। ডিজিটাল সিনেমার সম্ভাবনা কেমন এইসব ইত্যাকার বিষয়। বলে যাচ্ছেন একজনই, সে রবি ভাই। কিন্তু সবার মনোযোগ তরুণ-তরুণীর ঝগড়ায়। ততক্ষণে ঝগড়া শেষ হয়েছে। মেয়েটি নিঃশব্দে কাঁদছে। ছেলেটি পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরায়। সিগারেটের আলোয় কেমন ম্লান, পান্ডুর মুখটা ঝলছে উঠে একবার। মেয়েটির কান্নার ধারাও চিক চিক করে উঠে। নজরে আসে তাদের সামনে রাস্তার ওপরে পরে থাকা আধখানা ইটের টুকরোটাও। মেয়েটি হঠাৎ-ই ইটের টুকরোটা তুলে নিয়ে কপালে এলোপাথালি মারতে থাকে। ছেলেটি এই কি করছো করছো বলে লাফিয়ে উঠে। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। মেয়েটির মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
আমরা দেখেছি, এইসব গল্পে ছেলেরাই শুধু ব্লেড দিয়ে আঙ্গুল কাটে, সিগারেটের আগুনে ছ্যাকা দিয়ে হাত পুড়িয়ে ফ্যালে, ঘুমের ওষুধ খেয়ে বিশ্রী কাণ্ড ঘটায়। কিন্তু রবি ভাইয়ের গল্পে থাকে উল্টো ঘটনা। সেজন্য রবি ভাইয়ের গল্প আমরা বিশ্বাস করতে খুবই উৎসাহী থাকি। আমাদের ভাবতে ভালো লাগে মেয়েরাও তাহলে এমন করে!
তবে রবি ভাইয়ের আজকের গল্পটা আমরা মোটেই বিশ্বাস করিনি। রবি ভাইও নাছোড়, আমাদের বিশ্বাস করিয়ে ছাড়বেন। বিশ্বাস করতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগতো। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি না। শেষে রবি ভাই রেগেমেগে একটা নাম্বার দিয়ে বললেন, তোরা ট্রাই কর। কে নাম্বারটি নেবে তাই নিয়ে সে যে তুলকালাম আমাদের মাঝে। শেষে জিত হয় বুলবুলের। এক সপ্তাহ পরে বুলবুল আমাদের ঘটনার ডিটেইল জানাবে। আমরা দিন গুনতে থাকি।
এক সপ্তাহ ফুরায়। বুলবুলের গল্পের ঢালা ভরে উঠে।
এবার এ গল্পে আর আমাদের পাট নাই। বুলবুলের একান্ত গল্প এটি। তার নিজ বয়ানেই শুনবো আমরা।
রাত কয়টা বাজে সেদিকে হুঁশ ছিল না। জয় গোস্বামীর সেইসব শেয়ালেরা পড়ছিলাম শারদীয় দেশে। হঠাৎ-ই ফোনে মেসেজ টোন বেজে উঠলো। কিছুটা বিরক্ত আমি। বিরক্তি নিয়েই মেসেজটা খুলি। রবি ভাইয়ের মেসেজ। সেই নাম্বারটি পাঠিয়েছেন। নাম্বারটি পেতে বন্ধুদের সাথে কী'না ফাইট-ই দিতে হয়েছে। গ্রামীণ নাম্বার। ফোন দিবো কী'না ভাবতে ভাবতে সবুজ বাটনটা চাপ দিয়ে ফেলি। ফোন বাজে। ফোনে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ বাজে, পরক্ষণেই জাহাজের ভেঁপু শুনি।
আমার বুক টিপ টিপ করে। ফোন ধরে না ওপাশের জনটি। আবার ফোন দিই।
আবার ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ, আবার জাহাজের ভেঁপু।
ঘুম জড়ানো কণ্ঠে একজন বলে, হ্যালো
সাগরকন্যা কেমন আছো।
মেয়েটি ফিক করে হেসে ফেলে। বলে, বাহ্ ভালোই তো একখানা নাম দিয়েছেন। তা তুই কেরে?
তুই তোকারি শুনে কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খাই। বলি, জাহাজের সারেঙ। এই যে তোমার বুকে সাতাঁর কাটছি।
তুই তো বেশ ভালো কথা বলিস। তোর কথা শুনতে খুব ইচ্ছে করছে রে। কিন্তু মাথা যন্ত্রণা করছে। আমার আবার সাইনোসাইটিসের সমস্যা। তোকে পরে ফোন করবো।
আমি বাই বলে কেটে পড়ি। নাম্বারটা সেভ করি সাগরকন্যা নামে।
সেইসব শেয়ালেরায় আর মন নাই। সাগরকন্যা সব মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। ম্যাগাজিনটা উল্টে রেখে দিই। একটা মশা ভোঁ ভোঁ করে কানের তালা ফাটিয়ে উড়ে যায়। শেষ রাতে শীত শীত করে বলে ফ্যান ছাড়া হয়নি। মশার ভোঁ ভোঁ-এ ফ্যান ছাড়বো কী'না ভাবতে ভাবতে ফোন বেজে উঠে। ডিসপ্লে জুড়ে সাগরকন্যা ভেসে উঠে। আর আমার বুকে দ্রিম দ্রিম করে ড্রাম বাজে।
যথাসম্ভব গলা গাঢ় করে বলি, সাগরকন্যা
কিরে তোর নামটা তো বললি না
জাহাজী
ধ্যাৎ, আসল নাম বল
বললাম তো জাহাজী
আচ্ছা, ঠিক আছে তুই জাহাজী। তা তুই কি জাহাজে করে সাগরে সাগরে ঘুরে বেড়াস; না ঢাকার বিভিন্ন বন্দরে বন্দরে ঘুরে বেড়াস।
ঢাকার বন্দরে বন্দরে মানে..
মানে সিএনজি ড্রাইভার। সত্যি করে বলতো তুই কে, কোথায় থাকিস।
একটু আগেই মেয়েটি সিএনজি ড্রাইভার বলেছে, আর একটু সময় দিলে আর কী'না বলে বসে আপাতত কোথায় থাকি, তাই তাড়াতাড়ি বলি, ঢাকা।
হুমম! দাঁড়া, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তোর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলবো।
সাগরকন্যার অবশ্য খুঁজে বের করতে হয়নি আমাকে। আমরা পরস্পরকে খুঁজে নিয়েছি ভালোলাগার আবেশ দিয়ে। যেকোনো দিন মোবাইলে আঙিনা ছেড়ে বাস্তবে আমাদের দেখা হতে পারে। কিন্তু সাগরকন্যা একটু সময় নিচ্ছে। সাগরকন্যা বলেছে, এর আগের প্রেমের ভূলগুলো সে এবার আর পুনরাবৃত্তি করতে চায় না। সেজন্য আর একটু সময় দরকার পরস্পরকে চিনে নিতে।
অফিসে বসের ঝাড়ি খেয়েছি একটু আগে। প্রচণ্ড ঝাড়ি। কিচ্ছু করতে মন চাচ্ছে না। মনকে হালকা করতে ফোন দিই সাগরকন্যার নাম্বারে।
টি-ই-ই.. টি-ই-ই...
একটা পাখি ডেকে উঠে।
বুঝি সাগরকন্যা ওয়েলকাম টিউন চেঞ্জ করে পাখিকন্যা হয়েছে।
কিছুক্ষণ পাখির কিচিরমিচির শুনিয়ে সাগরকন্যা থুক্কু পাখিকন্যা ফোন ধরে।
বলি, সাগরকন্যা এবার পাখিকন্যা হয়েছে যে!
আরে তোর আটলান্টিকের এপারে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। তাই পাখি হয়ে উড়াল দিচ্ছি তোর দেশে। সেজন্য পাখির টিউন।
তাহলে তুই এখন থেকে পাখিকন্যা।
পখিকন্যা পাখিকন্যা। পাখিকন্যা আসতেছে তোকে দেখতে। তুই রেডি থাকিস।
পাখিকন্যার সাথে আমার দেখা হবে, ভাবতে মন ভালো হয়ে যায়। কোথায়, কখন, কিভাবে দেখা হবে এই ভেবে সারাক্ষণ পুলক অনুভব করি। পাখির ডানায় ভর করে আরো কয়েকটি ফুরফুরে দিন চলে যায়।
আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষন।
পাখিকন্যা এসেছে ঘন সবুজ ধনেখালি শাড়ি পরে। গলায় সবুজ পুঁতির মালা। কপালে ডাসা লাল টিপ। দেখি আর মুগ্ধ হই। পাখিকন্যা আমার হাত ধরে বসে থাকে। কত কথা হয়। কত না বলা কথা থেকে যায়। ওঠার সময় হয় পাখিকন্যার।
চলো তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি
না কেউ দেখে ফেলবে, পাখিকন্যা বলে
আ রে সন্ধ্যা হয়েছে, একা একা যাবে?
একটু ভয় করছে। তবুও একা যেতে পারবো
চলো, আমি বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি
পাখিকন্যা এবার একটু জেদেও সাথেই বলে, না তোমাকে যেতে হবে না। এখানেই দাঁড়িয়ে থাকো।
একটু অভিমান চেপে বসে আমার। ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি। পখিকন্যা সামনে হেঁটে গিয়ে রিক্সা ঠিক করে উঠে বসে। রিক্সা সামনের দিকে একটু এগিয়ে আবার ব্যাক করে। পাখিকন্যা সামনে এসে বলে, উঠো।
রিক্সা চলছে। পরিচিত রাস্তা দিয়েই এগুতে থাকি। আমরা কেউ-ই কথা বলি না। পাশাপাশি বসে থেকে নিঃসঙ্গতা উপভোগ করি। রিক্সা গিয়ে থামে ভিলা ম্যাগনোলিয়ায়। পাখিকন্যা বলে, এসে পড়েছি, নামো।
রিক্সা থেকে নেমে পাখিকন্যাই ভাড়া মেটায়। তাড়াতাড়ি করে গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলে, এই অ্যাপার্টমেন্টের তিনতলার ডানপাশের ফ্ল্যাটে আমরা থাকি।
পাখিকন্যা ভেতরে ঢুকে যায়।
আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি। বারান্দায় কাপড় নাড়তে নাড়তে আম্মা আমাকে রাস্তায় দেখে বলে, বুলু কি হইছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ক্যানো? গেট বন্ধ? এই চাবি নে। উপর থেকে আম্মা চাবি ফেলে।
গেট খোলাই ছিল। চাবির দরকার পড়ে না। গেট দিয়ে ঢুকে পড়ি।
বাসায় ঢুকতেই আম্মা বলে, পাশের ফ্ল্যাটের হিমিকাকে দেখলাম তোর সাথে!
মন্তব্য
খুবই মজা হইছে ।
শিমুল ভাই, কইলেন, মজা হইছে?
মাথা পেতে মেনে নিলাম।
সহজ কাহিনী; জটিল উপস্থাপন।
পড়ে মজা পাইছি.....................
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
তথাস্তু, রাফি ভাই।
- এবার রবি ভাইয়ের গল্পটা শোনান!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রবি ভাইয়ের গল্পে একটা প্যাচ আছে। দাঁড়ান প্যাচটা খুইলা নিই। তারপরে বলতেছি।
আসলেই রবি ভায়েরটা শুনান
...........................
Every Picture Tells a Story
রবি ভাই মদ খাওয়াতে চাইছে। এখনো খাওয়ায় নাই। তাই কমু না। তয় আপনে যদি খাওয়ান, তাইলে কমু। হে হে হে হে...
গল্প দারুণ মজার হয়েছে। আহারে আমার কেন এমন হয়না
আলতো কাট করে, পাঁচতারা হাকাইলাম।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনের যেমনটা হয়েছে, তাই-ই জানান ব্লগরব্লগরে। পাঁচতারা হাকাইতে কান পেতে রইলাম।
mojar
থ্যাঙ্কু কর্ণদা।
ভালো লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই, হাচাই কইছেন তো?
জয় গোস্বামীর প্রথম উপন্যাস নামটা এখন ভুলে গেছি আপনার বাসায় আছে, বইয়ের তাকে, সেদিন চুরি করতে গিয়েও রেখে দিছি। তো বইটি কবে পড়তে দিচ্ছেন? জয়কে আমি আবার বহুত ভালা পাই।
পান্থ, বড় হও দাদাঠাকুর, তোমাকে সাগর , পাখি ছাড়িয়ে আরো অনেক কিছু দেখতে হবে......
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আর কত বড়ো হমু তানবীরাপু, বিয়ার বয়স চলে গেলে তখন কি বলবেন তুমি বড়ো হয়েছো!
হা হা হা
মজা পাইলাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইবার তাইলে টাকা ছাড়েন, আইসক্রিম খামু।
হা হা হা। খুবই মজা পাইলাম পান্থ'দা। খুউব ভাল লিখসেন
পাম মেরে কাজ হবে না, আমার শীতবস্ত্র কিন্তু চাই-ই-চাই।
নিঃসন্দেহে ভালো হয়েছে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
থ্যাঙ্কু দেবু দা।
উপস্থাপন খুবই ভালো হয়েছে।
তারপর কি হইল!!
তো তাড়াতাড়ি শেষ করলে কেমন কি!!
..................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আহারে কেমন কী
হইয়াও হইলো না শেষ!
ধুরো মিয়া আমি একটা না...
ব্যাপক গল্প !! সেইরকম পান্থদা
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ধন্যবাদ তারেক ভাই।
বাহ, খাসা!
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনি জ্ঞানী সচল পাঠক বলছেন খাসা
আমিও পুলকিত হয়ে বলি আহা!
হেহেহেহেহে...
আজ সকালের প্রথম পাঠ!
আমোদজনক। চমকালো, চিকচিক।
বেশ সুন্দর হয়েছে। একদমই কই কই জানি ঘুরে এসে শেষটায় যেন পাঠকও দাঁড়ালো ওই পাশের ফ্ল্যাটের চিরপরিচয়ের দোলের ওপর।
------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ভালো লাগলো পড়ে। খুবই বিশ্বাসযোগ্য গল্প।
ইন্টারেনেটের মাধ্যমে প্রথম যে-মেয়েটির সঙ্গে পরিচিত হই, সে থাকতো আমার পাশের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এ! মুখোমুখি দেখা হবার পর বোঝা গেল, দু'জনে আগে থেকেই মুখ চিনতাম পরস্পরের
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন