রিটার্ন অন ব্লগ, ইমোটিকন, ডিজিটাল জার্গন ও আরো কিছুমিছু...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: বুধ, ১৭/১২/২০০৮ - ৫:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ ডিসেম্বরের সচল আড্ডা থেকে ফিরে এসে ভাবতেছিলাম, এই যে একটা ব্লগ কমিউনিটি ঘিরে এতো উদ্দীপনা, উৎসাহ সেটা কেন? কেনইবা একেকজন হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও, কর্পোরেট দায়িত্ব থেকে ক্ষণিক বিরতি নিয়েও ব্লগ লেখেন। ব্লগ লিখে কিইবা হয়? এইসব-ই ঘুরপাক খাচ্ছিল বেশ কিছুক্ষণ। জানি, এইসবের উত্তরে একেকজন একেক কথা বলবেন। তবে আমি আমার মতটাই শুধু বলতে পারি।

ব্লগ আসলে কেন লিখি। মূলত লিখি নিজের আনন্দেই। কাউকে তুষ্ট করতে নয়। তবে লিখে পাঠকদের মনোযোগ কাড়তে যে চাই, সেটা অস্বীকার করছি না। আর ব্লগের মতো সহজ প্রকাশ মাধ্যম পেয়ে তা লুফে নিয়েছি। ব্লগ লেখার পেছনে এই-ই কারণ।

ব্লগ লিখে কী হয়? অনেক কথাই হয়তো বলা যায় এর উত্তরে। ব্লগ লিখে কী হয় সেটা না বলে বরং ব্লগ আমাকে কি দিয়েছে সেটাই বলি। ব্লগের মাধ্যমেই আমি এমন সব সহৃদয়বান মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি, স্নেহ ও আন্তরিকতা মাখানো ভালোবাসা পেয়েছি, সেসবের ঋণ একজীবনে পুরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। নত মস্তকে আমি তাদের ভালোবাসা এখনো গ্রহণ করে চলেছি।

০২.
এর বাইরেরও ব্লগ আমাকে আরো কিছু বিষয়-আশয় উপহার দিয়েছে। এরমধ্যে ইমোটিকন ছাড়াও আছে কিছু টেকি জার্গন। অনুভূতি প্রকাশে হাজার কথামালার চেয়ে একটা ছোট্ট ইমোটিকন যে কত কার্যকর, ব্লগে এসে আমি তাই জেনেছি। যদিও আমি কিছুটা কনফিউজড, ইমোটিকন মানুষের অনুভূতিমালার সঠিক প্রকাশ কী'না। একটা অট্টহাসি যে পরিবেশের জন্ম দিতে পারে, তা দাঁত কেলানো ইমোটিকনে পাওয়া যায় কী'না। কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ার দীর্ঘশ্বাসের ইতিহাস ইমোটিকনে ফুটে উঠে কী'না?

০৩.
টুকটাক ব্লগ লিখি, অথচ ব্লগোস্ফিয়ার সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না, তাই কী হয়। ব্লগ জিনিসটা জানতে একদিন গুগল মামার শরণাপন্ন হলাম। ওমা, একগাদা জার্গন এসে হাজির আমার সামনে। কী সব বাহারি ব্যাপার-স্যাপার একেকজনের। ওয়েব টু ডট জিরো, আরএসএস, পডকাস্ট, উইকিস, ফ্লোক্সনমি, সোস্যাল সফটওয়্যার, উইডজেট, ট্র্যাকব্যাক, ট্যাগ, অ্যাজাক্স, ফ্লেক্স, পিএইচপি, টপিক ম্যাপস, ম্যাস-আপস্, পারমালিংক, টেকনোরাটি, সোস্যাল বুকমার্কিং, ফিডবার্নার, ফিডস্টেয়ারসহ আরো কতো কী। এতো এতো জার্গন দেখে ভয় পেয়ে দৌঁড়াইছি সেদিন।

০৪.
বিজ্ঞাপন সেক্টরে কাজ করি। তাই চোখ কান খোলা রাখতে হয়। তা যেমন কনজিউমারদের ইনসাইট জানার জন্য, তেমনি অন্যরা কী করছে, তাও দেখার জন্য। এই জানতে গিয়েই একদিন দেখি জাপানি এক গাড়ি কোম্পানি তাদের নতুন মডেলের একটি গাড়ির লঞ্চিংয়ের দিনে মুলধারার সাংবাদিকদের সাথে ব্লগারদেরও দাওয়াত করেছে। ফলাফল, পত্রিকার কভারেজের চেয়ে ব্লগ কভারেজ হিউজ পরিমাণ এসেছে। গুগলে ওই গাড়ির লঞ্চিং ইভেন্ট লিখে সার্চ দিলে যে কয়েকটি পত্রিকার ওয়েব লিংক আসে, তারচেয়ে অনেকগুণ বেশি আসে ব্লগ লিংক। এভাবে ব্লগেও পা রাখছে বিজ্ঞাপনের জগৎ। বলতে গেলে পা রেখেছে অনেক আগেই। এখন বেশ জোরেসরেই তা চলছে। যদিও আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা খুব একটা চোখে পড়ে না। মাস কয়েক আগে জুঁই নারকেল তেলের জন্য মিডিয়াকমের করা 'বাবলির জন্য' ক্যাম্পেইনটি ব্লগে আলোচনায় এসেছিল।

০৫.
নতুন নতুন জার্গন আর ডিজিটাল ল্যাঙ্গুইজ নিয়ে ভীতি থাকলেও, কম্পু কানা হিসেবে পরিচিত হলেও, ব্লগের প্রতি আমার মুগ্ধতাবোধ বলে বুঝানো যাবে না। এই মুগ্ধতাবোধটুকু নিয়েই ব্লগিং করে যেতে চাই।
শুভ ব্লগিং।


মন্তব্য

অম্লান অভি এর ছবি

পান্থ রহমান রেজা লিখেছেন:

০৩.
টুকটাক ব্লগ লিখি, অথচ ব্লগোস্ফিয়ার সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না, তাই কী হয়। ব্লগ জিনিসটা জানতে একদিন গুগল মামার শরণাপন্ন হলাম। ওমা, একগাদা জার্গন এসে হাজির আমার সামনে। কী সব বাহারি ব্যাপার-স্যাপার একেকজনের। ওয়েব টু ডট জিরো, আরএসএস, পডকাস্ট, উইকিস, ফ্লোক্সনমি, সোস্যাল সফটওয়্যার, উইডজেট, ট্র্যাকব্যাক, ট্যাগ, অ্যাজাক্স, ফ্লেক্স, পিএইচপি, টপিক ম্যাপস, ম্যাস-আপস্, পারমালিংক, টেকনোরাটি, সোস্যাল বুকমার্কিং, ফিডবার্নার, ফিডস্টেয়ারসহ আরো কতো কী। এতো এতো জার্গন দেখে ভয় পেয়ে দৌঁড়াইছি সেদিন।

আপনার মন্তব্য-গন্তব্যহীন লক্ষ্য যাত্রা- পূর্ণ মাত্রায় পরিপূর্ণ। ভাই আমাকে যে এবার গুলিয়ে দিলেন। এতসব টেকি শব্দযোগে মেকি আসরের আমার মত পাঠককে রাজা করায়। দয়া করে মাথা নাড়িয়ে দেয়া শব্দ গুলো নিয়ে একটা একটা করে-''ওয়েব টু ডট জিরো, আরএসএস, পডকাস্ট, উইকিস, ফ্লোক্সনমি, সোস্যাল সফটওয়্যার, উইডজেট, ট্র্যাকব্যাক, ট্যাগ, অ্যাজাক্স, ফ্লেক্স, পিএইচপি, টপিক ম্যাপস, ম্যাস-আপস্, পারমালিংক, টেকনোরাটি, সোস্যাল বুকমার্কিং, ফিডবার্নার, ফিডস্টেয়ার''- আলোচনা করুন। ব্লগিং উপভোগ করি উপযোগিতাসহ।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

অভ্রনীল এর ছবি

মাফ করন যায়না? এমনিতেই মাউস টিপতে হিমশিম খাই তার উপর আবার এইসব তাংফাং শব্দের আলোচনা...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

মাউস দিয়া টাইপ কর নাকি? অ্যাঁ
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অভ্রনীল এর ছবি

নাহ ... এইজন্যই তো কীবোর্ড টিপাটিপি করি... দেঁতো হাসি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেদিন এক আড্ডায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একজনের সঙ্গে দেখা... দেখা হতেই তিনি বললেন আপনাকে তো ব্লগে দেখি... তিনি আছেন ভিন্ন ব্লগে... মূলত ইংরেজী ব্লগে... তো ব্লগ নিয়ে আড্ডা চললো অনেকক্ষন... মজাই লাগে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

'...আমি ব্লগ লিখি নিজের আনন্দে।'...একদম আমার মনে কথা বলেছেন। @ পোস্ট।

---

আমার ব্লগকে আমি বলি, খেরো/ রাফ খাতা। আমার যেমন ইচ্ছে, তেমন লেখার ওয়েবলগ।

ব্লগটি পাঠক প্রিয়তা পাক, এটি সব সময়ই চাই; কিন্তু কোনো পোস্টে একটিও মন্তব্য না পড়লেও আমি তেমন ব্যথিত হই না।

লক্ষনীয় গত বছর সচল ভোটাভুটিতে 'লাশকাটা ঘর' শীর্ষ স্থান দখল করলেও, সামহোয়ারিনে কারফিউ লেখাটি টপ রেটেড পোস্ট এবং স্বাধীন বাংলার পতাকার প্রথম নকশাবিদ পোস্টটি এখনও নির্বাচিত পোস্ট হলেও (শেষ দুটি লেখা একই সঙ্গে সচলেও প্রকাশিত; তখন সচল নীতিতে এমনটায় বাধা ছিলো না।)
কোনো পোস্টে একটিও মন্তব্য পড়ে নি এমনটা --সচলে ও সামহোয়ারিনে এমনটা একাধিকবার হয়েছে।

আর এখন তো ব্লগিং এর সময়ই পাই না। তবু দু'টি ব্লগেই আমি সময় পেলেই পড়ার, মন্তব্য করার ও লেখার চেষ্টা করি।

আবার এমনও হয়েছে, একটি পোস্ট দেয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেটিকে হাওয়া করে প্রথম পাতায় ১০ নম্বর সতর্কবার্তা জারি করে একটি শাহী ফরমান পোস্ট করেছেন!

তবে আমি এ নিয়েও ভাবিত নই। এমন কী ব্লগীয় দ্বৈত নীতি আছে কী নেই, সেটিও আমার ধার্তব্য নয়। কারণ আমার কাছে যা আপাত: সঠিক, তা কর্তৃপক্ষের কাছে না-ও হতে পারে। আর মোটকথা, আমি তো আর ব্লগের কর্তা গোছের কেউ নই!

তাই তো বলি: জয়তু ব্লগিং!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ বিপ্লব ভাই, মাঝে মাঝে কর্তৃপক্ষ খুবই গুন্ডাগার্দি করে। ডুয়াল পোস্ট সরায় দেয়, হাউকাউ লাগলে কমেন্ট ব্লক করে, সহব্লগার মেয়েদের শরীর নিয়ে লেখা ফাউল পোস্ট একেবারে মুইছা দেয় ... । তারপরও যে সদয় সচলরা কর্তৃপক্ষরে গণধোলাই না দিয়া বাঁচাইয়া রাখসে এই নিয়া খোদার কাছে লাখো শোকর গোজার করা উচিত তাদের।

জয়তু ব্লগিং, জয়তু সচলায়তন!


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ইয়া হাবিবি! দেঁতো হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানিয়া এর ছবি

বিপ্লবদা আবার এমনও হয় অসাধারন একটা লেখা পড়ে (আমার মত পাঠকের বিশেষত) সেই লেখায় দেবার বা করার মতো কমেন্ট আর পাইনা। মনে হয় জগতের যাবতীয় ইমো কিংবা অসাধারন/দুর্দান্ত এই জাতীয় শব্দগুচ্ছ দিয়ে পাঠক হিসাবে আমাকে লেখাটি যে কি পরিমান নাড়া দিয়েছে তা প্রকাশ করতে পারিনা

পান্থ বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে লেখা ....... শুভ ব্লগিং

রণদীপম বসু এর ছবি

@তানিয়া
চলুক এটা হলো একটা ফাঁকিবাজী মন্তব্য। যখন কোন মন্তব্য করা দরকার অথচ জুতসই মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তখনই এই ওকে সাইনের ইমোটিকনটা ব্যবহারের একটা প্রক্রিয়া হয়তো নেয়া যেতে পারে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানিয়া এর ছবি

আসলেই রণদা চলুক দিয়ে ভালো লেগেছে বোঝান যায় কিন্তু মনকে কতখানি বিবশ করেছে তা প্রকাশ করা যায়না। অবশ্য মন্তব্যে (বিপ্লব) বা হাসির/মজা পাবার মাএা বোঝাতে গড়াগড়ি দিয়া হাসি বা দেঁতো হাসি র প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ঞঁ !! খাইছে


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানিয়া এর ছবি

হ্যাঁ দেঁতো হাসি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অতিথি তানিয়কে গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেঁতো হাসি খাইছে চলুক (বিপ্লব) -- ইমোকটিন সফলভাবে দেয়ার পারদর্শিতার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁকে দ্রুত সচল করার জোর দাবি জানাই! হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানিয়া এর ছবি

বিপ্লবদার দাবীর সাথে সহমত ঘোষনা করছি হাততালি
কতৃপক্ষ দ্রুত ব্যাবস্থা নিন অন্যথায় গুল্লি গুল্লি
ইয়ে মানে বিপ্লবদা আমি এইগুলাও দিতে পারি শয়তানী হাসি অ্যাঁ চাল্লু লইজ্জা লাগে চিন্তিত রেগে টং
দেখেন যদি একটা চাকরী দিতে পারেন চোখ টিপি

অভ্রনীল এর ছবি

সেসাথে এইসকল ইমোটিকন শুদ্ধভাবে হৃদয়ংগম করার জন্য এই নাদানকেও পূর্ণরূপে সচল করার জোর দাবী জানাই...
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

এনকিদু এর ছবি

শুনেন আপনারে একটা বুদ্ধি দিই । কারো মন্তব্য বা পোস্টে কোন ইমোটিকন দেখলে, সেটার উপর দিয়ে মাউস টা ছেঁচড়ে নিয়ে যাবেন ( ভদ্রলোকেরা একে বলে drag করা ) । তাহলে আপনার ছ্যাঁচড়ানো অংশটা সিলেক্টেড হয়ে যাবে । তারপর সেটার উপর রাইট-ক্লিক করে, যেই মেনু গজায় তার থেকে copy তে ক্লিক করবেন । তারপর পছন্দ মত স্থানে পেস্ট ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

উত্তম জাঝা! (বেড়াল) শ্রদ্ধা -- এই তিনটা বাদ পড়লো কেমনে?? @ তানিয়া @ অভ্রনীল।

ও ইয়ে, মানে... শেষেরটাসহ চারটা ইমোকটিন বাদ পড়েছে। হো হো হো


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানিয়া এর ছবি

আহহা তাইতো গুরু গুরু কোলাকুলি ছাগুরাম সুলভ আর কস্কি মমিন! বাদ পড়লো কেমনে?
আমার আর অভ্রনীল এর সচলীকরন কর্মসূচীর কি হবেরে দাদা ??

অভ্রনীল এর ছবি

চিন্তা কইরেননা... আন্দোলন ডাক দিতাসি... এখনতো জরুরী অবস্থা নাই...
"দিকে দিকে একই রব
তানিয়া-অভ্রনীল সচল হোক "

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

তানিয়া এর ছবি

অভ্র ভাইয়া এগিয়ে চলো
আমিও আছি তোমার সাথে হাসি

স্বপ্নাহত এর ছবি

কথা সইত্য। ব্লগিং করি মনের আনন্দে। মাঝে মাঝে নিরানন্দ লাগলে একশ মাইল দূরে গিয়া বইসা থাকি চুপচাপ। কিন্তু একসময় আবার ফিরে আসতেই হয়। ব্লগিং এর টানে, ব্লগিং এর আড়ালের মানুষগুলার টানে।

আর পান্থ মিয়া ভাই যেই হারে টেকি জিনিসের নাম দিতেসেন নেক্সট ইলেকশনে যেই উঠুক আপনারে না আবার ধইরা বাইন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বানায় দেয় চোখ টিপি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনে ভাই টেকি স্মার্ট লোক। আমি কম্পু কানা। ওই দায়িত্বে আমারে মানাবে না। তাই দায়িত্বটা আপনার উপর নাজিল হইবেক।

অনিকেত এর ছবি

পান্থ, চমৎকার লেখা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাহ, দারুণ লেখা পান্থ ভাই।
বছর দুয়েক আগে এমনই একটা অনুভূতি থেকে একটা লেখা প্রসব করেছিলাম। তার অংশ বিশেষ তুলে দেবার তাগিদ অনুভব করছি এখানে।

আমরা এখানে যারা লিখি, কেনো লিখি আমরা? উদ্দেশ্যটা কি আমাদের? একটা মন্তব্যের জন্য, নিজের লেখা ছাপার অক্ষরে দেখতে পাবার আকাঙ্ক্ষা, নাকি নিজের মনের ভেতরে এলোমেলো ভাবে এদিক ওদিক ঢুঁ মারতে থাকা কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনার অবিরত তাড়নার ফলে!

মনেপড়ে সেই কবে প্রথম লেখা শুরু করেছিলাম। মাসের হিসেবে তো বেশ অনেকগুলো মাস হয়েই গেলো। প্রথম আলো দৈনিকের কল্যানে জানলাম সামহোয়্যার বলে একটা সাইট বাংলায় ব্লগিং করার সুযোগ এনে দিচ্ছে। নিতান্তই আগ্রহের বশে, অনেকটা খাপছাড়া ভাবেই নিতান্ত অলসতায় ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট সামহোয়্যার ইন ব্লগ ডট নেট টাইপ করলাম। চোখের সামনের এলসিডি স্ক্রীনে ভেসে উঠলো আগাগোড়া ঝকঝকে বাংলা হরফে ভরা ওয়েবসাইট টা। ব্যস্ততার কারণে তেমন কিছুই করা হয়ে উঠেনি আর। সাথে সাথেই উইন্ডোটা বন্ধ করে দিয়ে আবার কাজে মনোনিবেশ!

তখনো ভাবিনি এই সাইটটা আমাকে এতদূর নিয়ে আসবে, সব মিলিয়ে নিজের পোসট হবে দেড়শতাধিক (কিছু অবশ্য ডিলিটেড)। খুব কাছ থেকে কিছু মানুষকে অনুভব করতে শেখাবে। যাদেরকে জীবনে দেখিনি, যাদের কথা কোনদিন শুনিনি তাদের সাথে হয়ে যাবে আত্মীয়তা, একেবারে হার্ট টু হার্ট। কার নাম বলবো? কার নাম বাদ দেবো? এমন কী কেউ আছে যার নামটা কখনো সামহোয়্যারের পাতায় দেখে মনে হয়েছে আমার "আরে একেতো আমি চিনি না"! পেছনের এতোগুলো দিন পার করে এসে মনে হচ্ছে সবাই ই যেন এক অদৃশ্য সূতায় গাঁথা হয়ে আছি। কতো বাক-বিতন্ডা, কতো ঝগড়া, কতো চিৎকার চেঁচামেচির পরেও কারো জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে কেউ ভুল করে না, ভুল করেনা কোনো অনুপ্রেরণামূলক পোসটে নিজের মন্তব্য দিতেও।

আমার কেনো যেনো মনেহয় মূলত সেই অদৃশ্য সূতার টানের কারনেই আমরা ফিরে ফিরে আসি এই ব্লগের পাতায়। ভাগাভাগি করে নেই প্রতিদিনের টুকিটাকি জিনিষের সাথে খুব গুরু-গম্ভীর কিছু তত্ত্ব। যার তাড়নাতে আমাদের মাথায় চেপে বসে লেখার "সিন্দাবাদের ভূত", আঙুল চলে কী-বোর্ডে, সামহোয়্যারের পাতা ভরে যায় পোসটের পর পোসটে!

প্রথম যখন ভার্চুয়াল আত্মীয়তার খাতিরে সবার সাথে আমার পরিচিত, খুব কাছ থেকে দেখা উত্তরাধুনিক একজন লেখকের বই শেয়ার করলাম সেদিনও বুঝে উঠতে পারিনি আসলে কেনো লিখি আমরা। উপলব্ধিটা এসেছে ধীরে ধীরে। দিনের পর দিন সবাইকে একটু একটু করে জানার পর। অনেকেই যখন আমার সেই পোসটে নিজেদের অংশগ্রহন করলেন, নিজের উপস্থিতি জানান দিলেন, অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, একজন লেখকের কী শক্তি! আমি যাদেরকে আমার ভার্চুয়াল আত্মীয় বলে জানি, তারা অনেকেই আমার ভিজু্যয়াল আত্মীয়কে চেনেন। লেখার কারনেই একজন মানুষ কেবল একটি এনটিটি হয়ে দেশ-কাল-সীমানার গন্ডি পেরিয়ে সবার মাঝে এক মেলবন্ধন রচনা করতে পারেন। এই বন্ধনকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করতেই কিনা লিখে যাই আমরা।...

সেই পুরাতন আত্মীয়তা বেড়েছে অনেক। পুরনো সেই বন্ধুতা পরিপক্ক হয়েছে ঢের। সচলায়তন শিখিয়েছে অনেক কিছু, দিয়েছে অনেক অজানা অনুভূতির জন্ম।

জয়তু ব্লগিং। জয়তু সচলায়তন...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আত্নীয়তা আরো বেড়েছে। ভবিষ্যতেও আরো বাড়বে। এই আশা আমারো।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

রাইট বাটন ডাইনে বুঝতে আমার দুই বছর সময় লাগছে-------- বুঝছি এই ব্লগে বাংলা শব্দে কি হিব্রু কথা লিখা তা বুঝতে আর বার বছর----।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

খাল্লাপু, তুমি তাও বারো বছরে শিখবে। আমি যে কবে শিখবো এইগুলো!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুন লিখসেন পান্থ'দা, ভাল্লাগসে খুব হাসি

ব্লগের মজাটা হচ্ছে বিভিন্ন মানুষের সাথে ইন্টার‌্যাকশন। এই কারণেই মূলত ব্লগিং করা- আমার নিজের।

জয়তু ব্লগিং।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ইন্টারঅ্যাকশনটা আসলেই উপভোগ্য একটি বিষয়।

তারেক এর ছবি

ব্লগ এ মজা লাগে। বেশি বেশি মজা ।
শুভ ব্লগিং
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রায়হান আবীর এর ছবি

মোরও মজা লাগে। দেঁতো হাসি

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

একটি ইন্টারভিউ:

প্রশ্নকর্তা: ব্লগিং ছাড়াও আপনার আর কী কী মজা লাগে?

রায়হান: এই ধরুন, ছাদে উঠে টাংকি মারা, গল্প করতে করতে ভুল রাস্তায় রিকশা নিয়ে যাওয়া, আড্ডার মাঝখানে হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়া, বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি খাওয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি...

চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

বস তাও ত বিশুদ্ধ পানি খাই। আপনি তো কী সব কী খেয়ে, কী সব কী সব শুনেন- দেখেন।

=============================

এনকিদু এর ছবি

IUTর সব গুলো কি পানিখোর নাকি ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আর আপনে পানি খান না? খালি ধোঁয়ার উপরে থাকেন নাকি? খাইছে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আবার জিগায়! সে তো পকেটে করে তাম্বাকু নিয়ে আসছিল! খাইছে


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

অভ্রনীল এর ছবি

চলুক
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কবি রফিক আজাদ একবার জিগাইলেন তুমি কি বিমানবাহিনী না নৌবাহিনী? আমি তো তাস্কী... কস্কী মমিন? এইটা কী?
তখন তিনি বললেন যে বিমান বাহিনী হইলো ধোঁয়াবাজ... আর নৌবাহিনী হইলো... (আরো বলা লাগবে?)

এটার একটা সঙ্গীতিয় নমুনা আছে- লালন হইলো বিমান বাহিনীর আর হাছন রাজা নৌবাহিনীর... এইটাও তারই আবিষ্কার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা... মনে থাকবে এইটা। সুযোগ পাইলেই কোনো আড্ডায় ঝাড়তে হবে চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

অভ্রনীল এর ছবি

মুই এ্যম্বাই ব্লগাই... হাসি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ব্লগাসক্তি দূরীকরণ কেন্দ্র আছে নাকি কোথাও?
আমার প্রয়োজন। অতি জরুরি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সন্ন্যাসী দা' ঠিকানা পাইলে আমারে একটু জানায়েন। আমিও যেতে চাই সেখানে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমিও এক ব্লগাশক্ত।

জয়তু ব্লগিং !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নাশু দা বলেছেন:
ব্লগাশক্ত
!!!???

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

"আমি তো এমনি এমনিই খাই" বলবো কি না চিন্তা করতেসি। না কি কমু- "যা দিনকাল পড়ছে, আরে ভাই .......টা তো ঠিক রাখা লাগবো!"?! দেঁতো হাসি

লেখা ভালো হয়েছে পান্থ, যথারীতি। ইন্টারেস্টিং-ই শুধু না, তোমার ৫০ ভাগ লেখার মতোই থট-(অন্তত-গপ্প-)-প্রোভোকিং।
অন্যদের কমেন্ট-ও পড়লাম সব। বিমানবাহিনী নৌবাহিনী'র ব্যাপারে (নিজে আমি একদম সশস্ত্রবাহিনীর ভিত্রে পড়িই না যদিও), ইমোটিকন-এর বাহারে এবং আরো আরো ব্যাপারে মজা লুটে নিসি। দেঁতো হাসি
আমাকে দ্যাখেন সবাই। টপিক লিখি না, সময়-শক্তি-বুদ্ধি কোনোটাই জোটে টোটে না তেমন, খালি আপনাদের সবার লেখার নিচে আইস্যা গেজায়া দেই এক-আধবার। চোখ টিপি
কতো ব্যস্ততা, তবু উঁকি দিয়ে ঝুঁকি নেই!- এইটাই ব্লগিং।
তাই, সব কিছুর পরেও, শুভ ব্লগিং! জয়তু ব্লগিং!!
[আমার আবার পিছ্লা স্বভাব! কী জানি কতোদিন থাকতে পারি এই ব্লংসারে! ;)]

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।